আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানে তথাকথিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে তার পেছনে দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শিব কুমার বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) গত ৭ মে রাতে পাকিস্তানে অবস্থিত তথাকথিত সন্ত্রাসবাদী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে, তা মূলত ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেওয়া সীমাবদ্ধতার কারণেই।’ শিব কুমার ইন্দোনেশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ইউনিভার্সিটাস দিরগান্তারা মার্সেকাল সুরিয়াধর্মায় গত ১০ জুন ‘পাকিস্তান-ভারত বিমানযুদ্ধ বিশ্লেষণ এবং বিমানশক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে ইন্দোনেশিয়ার পূর্বপ্রস্তুতি’—শীর্ষক ওই সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেখানে ৩৫ মিনিটের বক্তব্যে ক্যাপ্টেন শিব কুমার বলেন, ‘আমি হয়তো (ইন্দোনেশিয়ার এক আগের বক্তার বক্তব্যের সঙ্গে) একমত নই যে, আমরা এতগুলো বিমান হারিয়েছি, তবে এটা স্বীকার করছি যে আমরা কিছু বিমান হারিয়েছি।’
বিমানযুদ্ধের শুরুর পর্যায়ে আইএএফ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষতির শিকার হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা রাফালসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কিছু বিমান হারানোর কথা স্বীকার করলেও নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ তথা প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, ‘আসল বিষয়টি হলো সংখ্যা নয়, বরং কেন বিমানগুলো ভূপাতিত হয়েছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাপ্টেন শিব কুমার আরও বলেন, ‘বিমান হারানোর পর আমরা আমাদের কৌশল বদলাই। এরপরই আমরা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করি। আগে শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করি, তারপর ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সহজেই আঘাত হানতে সক্ষম হই।’ তিনি সম্ভবত ১০ মে পাকিস্তানের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে ভারতের হামলার কথাই উল্লেখ করছিলেন।
ভারতীয় এই প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট যে, আইএএফ বিমানগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের দেওয়া কঠোর রাজনৈতিক নির্দেশনার অধীনে কাজ করছিল। ওই নির্দেশনায় পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা কিংবা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা নিষিদ্ধ ছিল। মূলত পারমাণবিক পরিবেশে সংঘাত যাতে আরও বড় আকার ধারণ না করে, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ভারতের ধারণা ছিল, যদি তারা পাকিস্তানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না করে, তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করা আইএএফ যুদ্ধবিমানগুলোর ওপর হামলা চালাবে না।
কিন্তু পাকিস্তান নিজে কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনীর উপ-প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, আইএএফ যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী স্থাপনায় হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান ‘নিরুৎসাহিতকরণ’ থেকে ‘ধ্বংস’ নীতিতে চলে যায়। ফলে আইএএফ-এর যুদ্ধবিমানগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শত্রু লক্ষ্যবস্তু এড়িয়ে চলতে হয়েছিল, যা সাধারণত যেকোনো অভিযানে আকাশে আধিপত্য কায়েমের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আঘাত করা হয়।
এই কৌশলগত অসুবিধা বুঝতে পেরে, ভারতীয় সামরিক নেতৃত্ব দ্রুত কৌশল বদলায়। কয়েক দিনের মধ্যেই আইএএফ তাদের পরিকল্পনা সংশোধন করে, যাতে ১০ মে’র অভিযানে ব্রহ্মসসহ অন্যান্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যাপ্টেন কুমারের বক্তব্যকে ‘প্রসঙ্গ থেকে আলাদা করে প্রচার করা হয়েছে।’ দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সেই সেমিনারে আমাদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন দেখেছি। তাঁর বক্তব্যকে প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সংবাদ প্রতিবেদনগুলো মূল বক্তব্যের অভিপ্রায় ও গুরুত্ব বিকৃত করেছে।’
উক্ত উপস্থাপনায় ব্যাখ্যা করা হয়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মতো নয়; তারা বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীন কাজ করে। এ ছাড়াও পরিষ্কার করে বলা হয়েছিল, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল সংঘাত বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশ্যবিহীন, অর্থাৎ এটি ছিল একটি অ-উসকানিমূলক প্রতিক্রিয়া।
এদিকে, শিব কুমারের এই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিরোধী দল কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বিমান হারানোর বিষয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। দলটি বলেছে, বিজেপি সরকার জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে, যে কারণে তারা সংঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের বিরোধী দলের দাবি গ্রহণ করেনি।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন শিব কুমারের আরেকটি চমকপ্রদ প্রকাশে জানা গেছে যে ৭ মে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারিয়েছিল “শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতার কারণে”।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন কুমারের এই প্রকাশ মোদি সরকারের সরাসরি অভিযোগ।’
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ‘প্রথমে সিডিএস সিঙ্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। এরপর একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ইন্দোনেশিয়া থেকে একই ধারা অনুসরণ করেন। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রী একটি সর্বদলীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে এবং বিরোধী দলগুলোকে আস্থায় নিতে অস্বীকার করছেন? কেন সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে?’

পাকিস্তানে তথাকথিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে তার পেছনে দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শিব কুমার বলেন, ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) গত ৭ মে রাতে পাকিস্তানে অবস্থিত তথাকথিত সন্ত্রাসবাদী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে, তা মূলত ‘রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেওয়া সীমাবদ্ধতার কারণেই।’ শিব কুমার ইন্দোনেশিয়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ইউনিভার্সিটাস দিরগান্তারা মার্সেকাল সুরিয়াধর্মায় গত ১০ জুন ‘পাকিস্তান-ভারত বিমানযুদ্ধ বিশ্লেষণ এবং বিমানশক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে ইন্দোনেশিয়ার পূর্বপ্রস্তুতি’—শীর্ষক ওই সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেখানে ৩৫ মিনিটের বক্তব্যে ক্যাপ্টেন শিব কুমার বলেন, ‘আমি হয়তো (ইন্দোনেশিয়ার এক আগের বক্তার বক্তব্যের সঙ্গে) একমত নই যে, আমরা এতগুলো বিমান হারিয়েছি, তবে এটা স্বীকার করছি যে আমরা কিছু বিমান হারিয়েছি।’
বিমানযুদ্ধের শুরুর পর্যায়ে আইএএফ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষতির শিকার হয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা রাফালসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কিছু বিমান হারানোর কথা স্বীকার করলেও নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ তথা প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, ‘আসল বিষয়টি হলো সংখ্যা নয়, বরং কেন বিমানগুলো ভূপাতিত হয়েছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্যাপ্টেন শিব কুমার আরও বলেন, ‘বিমান হারানোর পর আমরা আমাদের কৌশল বদলাই। এরপরই আমরা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করি। আগে শত্রুর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করি, তারপর ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সহজেই আঘাত হানতে সক্ষম হই।’ তিনি সম্ভবত ১০ মে পাকিস্তানের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে ভারতের হামলার কথাই উল্লেখ করছিলেন।
ভারতীয় এই প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্যে স্পষ্ট যে, আইএএফ বিমানগুলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের দেওয়া কঠোর রাজনৈতিক নির্দেশনার অধীনে কাজ করছিল। ওই নির্দেশনায় পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনা কিংবা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানা নিষিদ্ধ ছিল। মূলত পারমাণবিক পরিবেশে সংঘাত যাতে আরও বড় আকার ধারণ না করে, সেজন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ভারতের ধারণা ছিল, যদি তারা পাকিস্তানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত না করে, তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করা আইএএফ যুদ্ধবিমানগুলোর ওপর হামলা চালাবে না।
কিন্তু পাকিস্তান নিজে কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপ করেনি। পাকিস্তানের সশস্ত্রবাহিনীর উপ-প্রধানের ভাষ্য অনুযায়ী, আইএএফ যখন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী স্থাপনায় হামলা চালায়, তখনই পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান ‘নিরুৎসাহিতকরণ’ থেকে ‘ধ্বংস’ নীতিতে চলে যায়। ফলে আইএএফ-এর যুদ্ধবিমানগুলোকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শত্রু লক্ষ্যবস্তু এড়িয়ে চলতে হয়েছিল, যা সাধারণত যেকোনো অভিযানে আকাশে আধিপত্য কায়েমের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আঘাত করা হয়।
এই কৌশলগত অসুবিধা বুঝতে পেরে, ভারতীয় সামরিক নেতৃত্ব দ্রুত কৌশল বদলায়। কয়েক দিনের মধ্যেই আইএএফ তাদের পরিকল্পনা সংশোধন করে, যাতে ১০ মে’র অভিযানে ব্রহ্মসসহ অন্যান্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যাপ্টেন কুমারের বক্তব্যকে ‘প্রসঙ্গ থেকে আলাদা করে প্রচার করা হয়েছে।’ দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সেই সেমিনারে আমাদের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন দেখেছি। তাঁর বক্তব্যকে প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সংবাদ প্রতিবেদনগুলো মূল বক্তব্যের অভিপ্রায় ও গুরুত্ব বিকৃত করেছে।’
উক্ত উপস্থাপনায় ব্যাখ্যা করা হয়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মতো নয়; তারা বেসামরিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের অধীন কাজ করে। এ ছাড়াও পরিষ্কার করে বলা হয়েছিল, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো ধ্বংস করা এবং ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল সংঘাত বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশ্যবিহীন, অর্থাৎ এটি ছিল একটি অ-উসকানিমূলক প্রতিক্রিয়া।
এদিকে, শিব কুমারের এই বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিরোধী দল কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বিমান হারানোর বিষয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। দলটি বলেছে, বিজেপি সরকার জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে, যে কারণে তারা সংঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের বিরোধী দলের দাবি গ্রহণ করেনি।
কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন শিব কুমারের আরেকটি চমকপ্রদ প্রকাশে জানা গেছে যে ৭ মে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী স্থাপনাগুলো লক্ষ্যবস্তু করার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধবিমান হারিয়েছিল “শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতার কারণে”।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাপ্টেন কুমারের এই প্রকাশ মোদি সরকারের সরাসরি অভিযোগ।’
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, ‘প্রথমে সিডিএস সিঙ্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন। এরপর একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ইন্দোনেশিয়া থেকে একই ধারা অনুসরণ করেন। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রী একটি সর্বদলীয় বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে এবং বিরোধী দলগুলোকে আস্থায় নিতে অস্বীকার করছেন? কেন সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশনের দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে?’

এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৬ মিনিট আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলা কিশোর বয়সে ট্রেনে এক ব্যক্তির হামলার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বলেছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই হামলার ঘটনা তাঁকে তীব্র ক্ষোভে ভরিয়ে দিয়েছিল।
আজ বুধবার নারী নির্যাতন বিষয়ে প্রচারিত এক আলোচনায় ক্যামিলা বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী ছিলাম, তখন ট্রেনে আমার ওপর হামলা হয়েছিল। সেই সময় আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম। এটা এখনো মনে আছে। আমি তখন বই পড়ছিলাম। হঠাৎ এই ছেলেটি বা বলা ভালো লোকটি আমার ওপর হামলা করে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করেছিলাম।’
রাজা তৃতীয় চার্লসের স্ত্রী জানান, যিনি তাঁর ওপর হামলা করেছিলেন, তাঁকে তিনি চিনতেন না।
৭৮ বছর বয়সী ক্যামিলা দীর্ঘদিন ধরে যৌন ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে কাজ করা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও উদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন এবং ভুক্তভোগীদের সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
বিবিসিকে ক্যামিলা বলেন, ‘আমি ট্রেন থেকে নামার পর আমার মা আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “তোমার চুল এমন এলোমেলো কেন? আর তোমার কোটের বোতাম কোথায়?’”
ক্যামিলা বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করেছিল। সেই অনুভূতি বহু বছর ধরে মনের ভেতর কোথাও রয়ে গেছে।’
ওই বইয়ে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটে লন্ডনের প্যাডিংটন স্টেশনের দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে। তখন ক্যামিলার বয়স ছিল প্রায় ১৬ বা ১৭ বছর। জুতা খুলে হামলাকারীর যৌনাঙ্গে আঘাত করেছিলেন তিনি।
বইটিতে বলা হয়, প্যাডিংটন স্টেশনে পৌঁছানোর পর তিনি এক কর্মকর্তাকে হামলাকারীকে দেখিয়ে দেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাক্ষাৎকারে ক্যামিলা এসব বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করেননি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স

পাকিস্তানে তথাকথিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে তার পেছনে দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের...
৩০ জুন ২০২৫
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে জানান, ১০২টি টাউনশিপের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছেন। তিনি এই উপস্থিতিকে ‘গর্বের বিষয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে জান্তা সরকার। গত রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে মিয়ানমারে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবার তা ৫২ শতাংশে নেমে আসায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘ, পশ্চিমের দেশগুলো এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিরোধী দলগুলোকে অংশ নিতে না দেওয়া এবং নির্বাচনের সমালোচনা করাকে বেআইনি ঘোষণা করায় আন্তর্জাতিক মহলে এই ভোট কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তবে জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, ‘অনেক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশেও ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আমাদের এই হার অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।’
নির্বাচনের গতিবিধি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির’ (ইউএসডিপি) হাতেই এবার ক্ষমতা যাবে। কারণ, জনপ্রিয় বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তী রাউন্ডের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ জানুয়ারি এবং ২৫ জানুয়ারি। মোট ৩৩০টি শহরের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট হবে। যদিও এর অনেক অঞ্চলেই জান্তা সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই।
এদিকে ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি এখনো বন্দী অবস্থায় আছেন। তখন থেকেই মিয়ানমারের জান্তা সরকারের অধীনে ব্যাপক গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দখল করে নিয়েছে।
এই অস্থিতিশীলতার মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে সামরিক সরকার। তবে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস জানিয়েছে, জান্তা সরকারের নির্বাচনী আইনে ভোটার উপস্থিতির কোনো ন্যূনতম সীমা নেই। এটি তাদের ভোটার উপস্থিতির যেকোনো হারকেই বৈধতা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।

পাকিস্তানে তথাকথিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে তার পেছনে দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের...
৩০ জুন ২০২৫
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৬ মিনিট আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে চলন্ত গাড়িতে ২৮ বছর বয়সী এক নারীকে তুলে নিয়ে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহিত ওই নারী রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যানবাহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় একটি গাড়ি থামে এবং দুজন যুবক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। কিন্তু গাড়িটি তাঁর গন্তব্যের বদলে গুড়গাঁও সড়কের দিকে যেতে শুরু করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী নারী বারবার তাঁর বোনকে ফোন করছিলেন। পরে তাঁর বোন যখন ফিরতি ফোন করেন, তখন তিনি পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর মুখে ১০ থেকে ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে।
বর্তমানে ওই নারীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ট্রমায় ভুগছেন। এ জন্য এখন পর্যন্ত তাঁর জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীর বোন অভিযোগে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর বোন তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন। তিন ঘণ্টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসবেন বলেও বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। পারিবারিক কলহের কারণে তিনি স্বামী থেকে আলাদা থাকেন।
পুলিশ এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার ও অপরাধে ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করেছে।

পাকিস্তানে তথাকথিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে তার পেছনে দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের...
৩০ জুন ২০২৫
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৬ মিনিট আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।
চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা-সিরিজে হরহামেশাই ব্যাংক ডাকাতির কাহিনি দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমন হওয়াটা অসম্ভব মনে হলেও এমন সিনেমাটিক স্টাইলে ব্যাংক ডাকাতি হয়ে গেছে জার্মানির এক ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকায়। ড্রিল দিয়ে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে ৩ কোটি ইউরো মূল্যের অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গেছে ডাকাতেরা।
পশ্চিম জার্মানির গেলসেনকির্শেন শহরের স্পারকাসে সেভিংস ব্যাংকে এ ঘটনা ঘটেছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বড় ড্রিল ব্যবহার করে আনুমানিক ৩ কোটি ইউরো (৪৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা) নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ডাকাতির কাহিনিনির্ভর হলিউডের সিনেমা ‘ওশানস ইলেভেন’-এর সঙ্গে তুলনা করে এএফপি বার্তা সংস্থাকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এটি অত্যন্ত পেশাদারভাবে করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ডাকাতির সময় অর্থ, স্বর্ণ ও গহনা রাখা ৩ হাজারেরও বেশি সেফ ডিপোজিট বক্স ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গেলসেনকির্শেন পুলিশ জানায়, গত সোমবার ভোররাতে ফায়ার অ্যালার্ম সক্রিয় হলে তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। তখন ক্রিসমাসের ছুটি চলছিল। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বুয়ের জেলায় নিয়েনহোফস্ট্রাসে অবস্থিত ওই ভবনে ডাকাতি চালায়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা পাশের একটি পার্কিং গ্যারেজ ব্যবহার করে ব্যাংকে ঢোকে এবং সেখান দিয়েই পালিয়ে যায়।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শনিবার রাত থেকে গত রোববার ভোর পর্যন্ত ওই ভবনটির গ্যারেজের সিঁড়িঘরে কয়েকজন পুরুষকে বড় বড় ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, ভিডিও ফুটেজে সোমবার ভোরে ডে-লা-শেভালারি-স্ট্রাসে অবস্থিত গ্যারেজ থেকে একটি কালো অডি আরএস ৬ গাড়িকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। সোমবার ভোররাতে একটি ফায়ার-অ্যালার্ম বাজলে ভূগর্ভস্থ ভল্ট রুমে ঢোকার জন্য করা গর্তটি ধরা পড়ে। এরপর পুলিশ ও দমকল বাহিনী ভবনটিতে তল্লাশি চালায়।
চুরির ঘটনায় ব্যাংকের শাখাটি বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ শতাংশ সেফ ডিপোজিট বক্স খুলে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি।

পাকিস্তানে তথাকথিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে হামলার সময় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে যুদ্ধবিমানগুলো হারিয়েছে তার পেছনে দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্বের সীমাবদ্ধতা। এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যাপ্টেন শিব কুমার। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের...
৩০ জুন ২০২৫
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৬ মিনিট আগে
মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম দেশটিতে তিন ধাপে বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি কম।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযোগ অনুযায়ী, ওই নারী দুই ঘণ্টা গাড়িটির ভেতরে আটকে ছিলেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ক্রমাগত তাঁকে ধর্ষণ করেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত ব্যক্তিরা থামেননি, উল্টো তাঁকে হুমকি দেন। এরপর এস জি এম নগরের রাজা চকের কাছে ওই নারীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এতে তাঁর মুখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং প্রচুর
৩ ঘণ্টা আগে