এনডিটিভি

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার সমান।
গুরুগাঁওভিত্তিক সংখ্যাতত্ত্ব জ্যোতিষ সংস্থা নুম্রো ভানির জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ এস কুমার এই পরিবর্তনের সরাসরি সাক্ষী। তিনি প্রতি মাসে ১০০ জনেরও বেশি ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দেন, যাঁদের বেশির ভাগের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তবে তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী ক্লায়েন্ট মাত্র আট বছর বয়সী! তিনি জানান, এই জেন-জিদের মধ্যে থেকে অনেক কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সম্পর্ক বা আত্মপরিচয়-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসছেন।
সিদ্ধার্থ এস কুমার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক এসেছিলেন তাঁর কাছে। যুবক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কেন এখানে? আমার জীবনের উদ্দেশ্য কী?’ সিদ্ধার্থ বলেন, ওই ছেলে যখন দেখলেন তাঁর জন্মছকে ভ্রমণ, শিক্ষা ও দর্শনের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, তখন তিনি আর চোখের জল আটকাতে পারেননি। তিনি ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ের কথাও বলেন। ওই মেয়ের অল্প দিনের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। সে সিদ্ধার্থের কাছে জানতে চেয়েছিল, ‘কেন সে মানুষের প্রতি এত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে?’
সম্পর্ক, কর্মজীবন বা জীবন নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকা মানুষের এমন গল্পগুলো একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরে—তরুণ ভারতীয়রা তাঁদের ভেতরের বিশৃঙ্খলা ও মানসিক বাধাগুলো বুঝতে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকছেন। প্রায়শই এটিকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর প্রযুক্তি, এআই ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব বিষয়ে পরামর্শ পাওয়াও সহজ হচ্ছে দিন দিন।
নুম্রো ভানির ২০২৪ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ তরুণ ভারতীয় প্রতিদিন জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় অন্তর্দৃষ্টি খোঁজেন। প্রায় ৮৮ শতাংশ সপ্তাহে অন্তত একবার রাশিফল পড়ে এবং ৭৫ শতাংশ তাদের হৃদয়সংক্রান্ত ব্যাপারে জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে।
তবে ট্র্যাডিশনাল জ্যোতিষশাস্ত্রের বাইরে এখন ডিজিটাল জ্যোতিষশাস্ত্রের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। অ্যাস্ট্রো টক ও অ্যাস্ট্রো ভেদের মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যক্তিগত রাশিফল ও ম্যাচ-মেকিংয়ের মতো পরিষেবা দিচ্ছে। অনলাইন জ্যোতিষশাস্ত্রের বাজার ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৪ শতাংশ হারে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি) ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে—২০২১ সালেই অনলাইনে এসব বিষয়ে পরামর্শের হার ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে।
এমনকি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও জেন-জিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সমাপ্ত কুম্ভমেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এবং তাঁদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল তরুণ ভারতীয়। এর মাধ্যমে ভারতের আধ্যাত্মিক অর্থনীতিও বিকশিত হচ্ছে। এটি এখন কেবল মন্দির পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এতে ভার্চুয়াল পূজা, অনলাইন তীর্থযাত্রা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় পরামর্শের মতো ডিজিটাল পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বাজারের মূল্য ২০২৩ সালে ৫৮ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকা) ছিল এবং এটি বার্ষিক প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্র কেন আবার জনপ্রিয় হচ্ছে?
মিলেনিয়ালরা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা থেকে দূরে ছিলেন। তাঁরা কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, দীর্ঘ সময় কাজ করতে ও নীরবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু জেনারেশন জেড বা জেন-জিরা উল্টো পথে হাঁটছেন—পুজোর ধূপকাঠি, রত্নপাথর, কৃতজ্ঞতার তালিকা, জ্যোতিষীয় রুটিন—সবই আজ তাঁদের পরিচয়ের অংশ এবং তাঁরা এটি গর্বের সঙ্গে করছেন।
এআইচালিত জ্যোতিষশাস্ত্রীয় অ্যাপ অ্যাস্ট্রো শিওর এআইয়ের প্রধান নির্বাহী ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই—এটি কেবল ফিরে আসছে না, এটি সম্ভবত পরবর্তী ফোমো (FOMO-Fear Of Missing Out)। মানুষ আর জিজ্ঞাসা করবে না, আপনি সপ্তাহান্তে বাইরে গিয়েছিলেন কি না। তারা জিজ্ঞাসা করবে, আপনি আপনার কর্মফল ঠিক করেছেন কি না।’
মিশ্রের মতে, মিলেনিয়ালরা একসময় উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আধ্যাত্মিকতাকে চাপা দিয়েছিলেন। কিন্তু জেন-জি এই ইঁদুর দৌড় থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের পথ তৈরি করছেন। তাঁদের কাছে মানসিক শান্তির অগ্রাধিকার বেশি। মিলেনিয়াল ও তাঁদের বাবা-মা পারিবারিক আঘাত নিয়ে কখনো কথা বলেননি, কিন্তু জেন-জিরা এখন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইউভেট ডিসাও এতে একমত। তিনি বলেন, জেন-জিরা ধর্মের ক্ষমতা ও সমস্যা বোঝেন। তাঁরা এটিকে অন্ধভাবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা তা-ই করেন, যা তাঁদের শান্তি দেয়। তাঁর মতে, এই প্রজন্ম আধুনিক বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই করে ভারতীয় ঐতিহ্যকে গ্রহণ করছেন।
জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ বলেন, এই প্রজন্ম ধর্মকে নতুন করে সাজাচ্ছে—ট্র্যাডিশন মাইনাস ডগমা। তাঁরা প্রাচীন বিজ্ঞানের ডিজিটাল পুনরুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমনকি মিলেনিয়ালরাও এখন এই পথে ফিরতে শুরু করেছেন। এটি কেবল ভারতেই নয়, পশ্চিমা বিশ্বও বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে আসক্ত হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করলে বোঝা যাবে, জ্যোতিষশাস্ত্র কতটা ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন জ্যোতিষ মিম, রাশিচক্রভিত্তিক রিল, সেলিব্রিটিদের রাশিফল—সবই ভাইরাল। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (ইনস্টাগ্রামে তাঁর পৌনে ৩ কোটি ফলোয়ার) বা অনিরুদ্ধাচার্য মহারাজ ওরফে পুকি বাবার (ইনস্টাগ্রামে ৩৬ লাখ ফলোয়ার) মতো আধ্যাত্মিক গুরুরাও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁদের কর্মকাণ্ড শেয়ার করে এই আলোচনার অংশ হচ্ছেন। তাঁরা জেন-জি ও অন্যান্য তরুণ প্রজন্মকে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলছেন।

ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘বিরাট কোহলি, আনুশকা শর্মা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক তারকা দুয়া লিপাও প্রকাশ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁদের বিশ্বাসের কথা বলছেন। বিষয়টি আধ্যাত্মিকতাকে আবার জনপ্রিয় করে তুলছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যা আছে এবং আপনার তারকারা যা অনুসরণ করেন, তা অবশ্যই কুল, তাই না?’
সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, আজকের তরুণেরা জ্যোতিষশাস্ত্র ও আধ্যাত্মিকতাকে তাঁদের সম্পর্ক, অর্থ, স্বাস্থ্য ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে গাইড করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। অনেকের কাছে জ্যোতিষীরাই তাঁদের প্রধান উপদেষ্টা। একসময় যা কুসংস্কার হিসেবে দেখা হতো, তা এখন জেন-জিদের সেল্ফ-কেয়ার রুটিনের অংশ। কেউ নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করছেন চন্দ্রচক্র অনুযায়ী, কেউ আবার ঘড়ি কিনছেন জ্যোতিষ দেখে।

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার সমান।
গুরুগাঁওভিত্তিক সংখ্যাতত্ত্ব জ্যোতিষ সংস্থা নুম্রো ভানির জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ এস কুমার এই পরিবর্তনের সরাসরি সাক্ষী। তিনি প্রতি মাসে ১০০ জনেরও বেশি ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দেন, যাঁদের বেশির ভাগের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তবে তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী ক্লায়েন্ট মাত্র আট বছর বয়সী! তিনি জানান, এই জেন-জিদের মধ্যে থেকে অনেক কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সম্পর্ক বা আত্মপরিচয়-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসছেন।
সিদ্ধার্থ এস কুমার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক এসেছিলেন তাঁর কাছে। যুবক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কেন এখানে? আমার জীবনের উদ্দেশ্য কী?’ সিদ্ধার্থ বলেন, ওই ছেলে যখন দেখলেন তাঁর জন্মছকে ভ্রমণ, শিক্ষা ও দর্শনের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, তখন তিনি আর চোখের জল আটকাতে পারেননি। তিনি ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ের কথাও বলেন। ওই মেয়ের অল্প দিনের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। সে সিদ্ধার্থের কাছে জানতে চেয়েছিল, ‘কেন সে মানুষের প্রতি এত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে?’
সম্পর্ক, কর্মজীবন বা জীবন নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকা মানুষের এমন গল্পগুলো একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরে—তরুণ ভারতীয়রা তাঁদের ভেতরের বিশৃঙ্খলা ও মানসিক বাধাগুলো বুঝতে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকছেন। প্রায়শই এটিকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর প্রযুক্তি, এআই ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব বিষয়ে পরামর্শ পাওয়াও সহজ হচ্ছে দিন দিন।
নুম্রো ভানির ২০২৪ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ তরুণ ভারতীয় প্রতিদিন জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় অন্তর্দৃষ্টি খোঁজেন। প্রায় ৮৮ শতাংশ সপ্তাহে অন্তত একবার রাশিফল পড়ে এবং ৭৫ শতাংশ তাদের হৃদয়সংক্রান্ত ব্যাপারে জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে।
তবে ট্র্যাডিশনাল জ্যোতিষশাস্ত্রের বাইরে এখন ডিজিটাল জ্যোতিষশাস্ত্রের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। অ্যাস্ট্রো টক ও অ্যাস্ট্রো ভেদের মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যক্তিগত রাশিফল ও ম্যাচ-মেকিংয়ের মতো পরিষেবা দিচ্ছে। অনলাইন জ্যোতিষশাস্ত্রের বাজার ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৪ শতাংশ হারে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি) ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে—২০২১ সালেই অনলাইনে এসব বিষয়ে পরামর্শের হার ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে।
এমনকি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও জেন-জিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সমাপ্ত কুম্ভমেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এবং তাঁদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল তরুণ ভারতীয়। এর মাধ্যমে ভারতের আধ্যাত্মিক অর্থনীতিও বিকশিত হচ্ছে। এটি এখন কেবল মন্দির পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এতে ভার্চুয়াল পূজা, অনলাইন তীর্থযাত্রা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় পরামর্শের মতো ডিজিটাল পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বাজারের মূল্য ২০২৩ সালে ৫৮ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকা) ছিল এবং এটি বার্ষিক প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্র কেন আবার জনপ্রিয় হচ্ছে?
মিলেনিয়ালরা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা থেকে দূরে ছিলেন। তাঁরা কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, দীর্ঘ সময় কাজ করতে ও নীরবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু জেনারেশন জেড বা জেন-জিরা উল্টো পথে হাঁটছেন—পুজোর ধূপকাঠি, রত্নপাথর, কৃতজ্ঞতার তালিকা, জ্যোতিষীয় রুটিন—সবই আজ তাঁদের পরিচয়ের অংশ এবং তাঁরা এটি গর্বের সঙ্গে করছেন।
এআইচালিত জ্যোতিষশাস্ত্রীয় অ্যাপ অ্যাস্ট্রো শিওর এআইয়ের প্রধান নির্বাহী ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই—এটি কেবল ফিরে আসছে না, এটি সম্ভবত পরবর্তী ফোমো (FOMO-Fear Of Missing Out)। মানুষ আর জিজ্ঞাসা করবে না, আপনি সপ্তাহান্তে বাইরে গিয়েছিলেন কি না। তারা জিজ্ঞাসা করবে, আপনি আপনার কর্মফল ঠিক করেছেন কি না।’
মিশ্রের মতে, মিলেনিয়ালরা একসময় উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আধ্যাত্মিকতাকে চাপা দিয়েছিলেন। কিন্তু জেন-জি এই ইঁদুর দৌড় থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের পথ তৈরি করছেন। তাঁদের কাছে মানসিক শান্তির অগ্রাধিকার বেশি। মিলেনিয়াল ও তাঁদের বাবা-মা পারিবারিক আঘাত নিয়ে কখনো কথা বলেননি, কিন্তু জেন-জিরা এখন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইউভেট ডিসাও এতে একমত। তিনি বলেন, জেন-জিরা ধর্মের ক্ষমতা ও সমস্যা বোঝেন। তাঁরা এটিকে অন্ধভাবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা তা-ই করেন, যা তাঁদের শান্তি দেয়। তাঁর মতে, এই প্রজন্ম আধুনিক বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই করে ভারতীয় ঐতিহ্যকে গ্রহণ করছেন।
জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ বলেন, এই প্রজন্ম ধর্মকে নতুন করে সাজাচ্ছে—ট্র্যাডিশন মাইনাস ডগমা। তাঁরা প্রাচীন বিজ্ঞানের ডিজিটাল পুনরুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমনকি মিলেনিয়ালরাও এখন এই পথে ফিরতে শুরু করেছেন। এটি কেবল ভারতেই নয়, পশ্চিমা বিশ্বও বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে আসক্ত হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করলে বোঝা যাবে, জ্যোতিষশাস্ত্র কতটা ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন জ্যোতিষ মিম, রাশিচক্রভিত্তিক রিল, সেলিব্রিটিদের রাশিফল—সবই ভাইরাল। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (ইনস্টাগ্রামে তাঁর পৌনে ৩ কোটি ফলোয়ার) বা অনিরুদ্ধাচার্য মহারাজ ওরফে পুকি বাবার (ইনস্টাগ্রামে ৩৬ লাখ ফলোয়ার) মতো আধ্যাত্মিক গুরুরাও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁদের কর্মকাণ্ড শেয়ার করে এই আলোচনার অংশ হচ্ছেন। তাঁরা জেন-জি ও অন্যান্য তরুণ প্রজন্মকে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলছেন।

ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘বিরাট কোহলি, আনুশকা শর্মা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক তারকা দুয়া লিপাও প্রকাশ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁদের বিশ্বাসের কথা বলছেন। বিষয়টি আধ্যাত্মিকতাকে আবার জনপ্রিয় করে তুলছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যা আছে এবং আপনার তারকারা যা অনুসরণ করেন, তা অবশ্যই কুল, তাই না?’
সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, আজকের তরুণেরা জ্যোতিষশাস্ত্র ও আধ্যাত্মিকতাকে তাঁদের সম্পর্ক, অর্থ, স্বাস্থ্য ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে গাইড করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। অনেকের কাছে জ্যোতিষীরাই তাঁদের প্রধান উপদেষ্টা। একসময় যা কুসংস্কার হিসেবে দেখা হতো, তা এখন জেন-জিদের সেল্ফ-কেয়ার রুটিনের অংশ। কেউ নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করছেন চন্দ্রচক্র অনুযায়ী, কেউ আবার ঘড়ি কিনছেন জ্যোতিষ দেখে।
এনডিটিভি

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার সমান।
গুরুগাঁওভিত্তিক সংখ্যাতত্ত্ব জ্যোতিষ সংস্থা নুম্রো ভানির জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ এস কুমার এই পরিবর্তনের সরাসরি সাক্ষী। তিনি প্রতি মাসে ১০০ জনেরও বেশি ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দেন, যাঁদের বেশির ভাগের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তবে তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী ক্লায়েন্ট মাত্র আট বছর বয়সী! তিনি জানান, এই জেন-জিদের মধ্যে থেকে অনেক কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সম্পর্ক বা আত্মপরিচয়-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসছেন।
সিদ্ধার্থ এস কুমার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক এসেছিলেন তাঁর কাছে। যুবক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কেন এখানে? আমার জীবনের উদ্দেশ্য কী?’ সিদ্ধার্থ বলেন, ওই ছেলে যখন দেখলেন তাঁর জন্মছকে ভ্রমণ, শিক্ষা ও দর্শনের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, তখন তিনি আর চোখের জল আটকাতে পারেননি। তিনি ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ের কথাও বলেন। ওই মেয়ের অল্প দিনের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। সে সিদ্ধার্থের কাছে জানতে চেয়েছিল, ‘কেন সে মানুষের প্রতি এত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে?’
সম্পর্ক, কর্মজীবন বা জীবন নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকা মানুষের এমন গল্পগুলো একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরে—তরুণ ভারতীয়রা তাঁদের ভেতরের বিশৃঙ্খলা ও মানসিক বাধাগুলো বুঝতে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকছেন। প্রায়শই এটিকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর প্রযুক্তি, এআই ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব বিষয়ে পরামর্শ পাওয়াও সহজ হচ্ছে দিন দিন।
নুম্রো ভানির ২০২৪ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ তরুণ ভারতীয় প্রতিদিন জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় অন্তর্দৃষ্টি খোঁজেন। প্রায় ৮৮ শতাংশ সপ্তাহে অন্তত একবার রাশিফল পড়ে এবং ৭৫ শতাংশ তাদের হৃদয়সংক্রান্ত ব্যাপারে জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে।
তবে ট্র্যাডিশনাল জ্যোতিষশাস্ত্রের বাইরে এখন ডিজিটাল জ্যোতিষশাস্ত্রের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। অ্যাস্ট্রো টক ও অ্যাস্ট্রো ভেদের মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যক্তিগত রাশিফল ও ম্যাচ-মেকিংয়ের মতো পরিষেবা দিচ্ছে। অনলাইন জ্যোতিষশাস্ত্রের বাজার ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৪ শতাংশ হারে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি) ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে—২০২১ সালেই অনলাইনে এসব বিষয়ে পরামর্শের হার ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে।
এমনকি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও জেন-জিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সমাপ্ত কুম্ভমেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এবং তাঁদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল তরুণ ভারতীয়। এর মাধ্যমে ভারতের আধ্যাত্মিক অর্থনীতিও বিকশিত হচ্ছে। এটি এখন কেবল মন্দির পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এতে ভার্চুয়াল পূজা, অনলাইন তীর্থযাত্রা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় পরামর্শের মতো ডিজিটাল পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বাজারের মূল্য ২০২৩ সালে ৫৮ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকা) ছিল এবং এটি বার্ষিক প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্র কেন আবার জনপ্রিয় হচ্ছে?
মিলেনিয়ালরা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা থেকে দূরে ছিলেন। তাঁরা কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, দীর্ঘ সময় কাজ করতে ও নীরবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু জেনারেশন জেড বা জেন-জিরা উল্টো পথে হাঁটছেন—পুজোর ধূপকাঠি, রত্নপাথর, কৃতজ্ঞতার তালিকা, জ্যোতিষীয় রুটিন—সবই আজ তাঁদের পরিচয়ের অংশ এবং তাঁরা এটি গর্বের সঙ্গে করছেন।
এআইচালিত জ্যোতিষশাস্ত্রীয় অ্যাপ অ্যাস্ট্রো শিওর এআইয়ের প্রধান নির্বাহী ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই—এটি কেবল ফিরে আসছে না, এটি সম্ভবত পরবর্তী ফোমো (FOMO-Fear Of Missing Out)। মানুষ আর জিজ্ঞাসা করবে না, আপনি সপ্তাহান্তে বাইরে গিয়েছিলেন কি না। তারা জিজ্ঞাসা করবে, আপনি আপনার কর্মফল ঠিক করেছেন কি না।’
মিশ্রের মতে, মিলেনিয়ালরা একসময় উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আধ্যাত্মিকতাকে চাপা দিয়েছিলেন। কিন্তু জেন-জি এই ইঁদুর দৌড় থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের পথ তৈরি করছেন। তাঁদের কাছে মানসিক শান্তির অগ্রাধিকার বেশি। মিলেনিয়াল ও তাঁদের বাবা-মা পারিবারিক আঘাত নিয়ে কখনো কথা বলেননি, কিন্তু জেন-জিরা এখন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইউভেট ডিসাও এতে একমত। তিনি বলেন, জেন-জিরা ধর্মের ক্ষমতা ও সমস্যা বোঝেন। তাঁরা এটিকে অন্ধভাবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা তা-ই করেন, যা তাঁদের শান্তি দেয়। তাঁর মতে, এই প্রজন্ম আধুনিক বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই করে ভারতীয় ঐতিহ্যকে গ্রহণ করছেন।
জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ বলেন, এই প্রজন্ম ধর্মকে নতুন করে সাজাচ্ছে—ট্র্যাডিশন মাইনাস ডগমা। তাঁরা প্রাচীন বিজ্ঞানের ডিজিটাল পুনরুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমনকি মিলেনিয়ালরাও এখন এই পথে ফিরতে শুরু করেছেন। এটি কেবল ভারতেই নয়, পশ্চিমা বিশ্বও বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে আসক্ত হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করলে বোঝা যাবে, জ্যোতিষশাস্ত্র কতটা ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন জ্যোতিষ মিম, রাশিচক্রভিত্তিক রিল, সেলিব্রিটিদের রাশিফল—সবই ভাইরাল। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (ইনস্টাগ্রামে তাঁর পৌনে ৩ কোটি ফলোয়ার) বা অনিরুদ্ধাচার্য মহারাজ ওরফে পুকি বাবার (ইনস্টাগ্রামে ৩৬ লাখ ফলোয়ার) মতো আধ্যাত্মিক গুরুরাও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁদের কর্মকাণ্ড শেয়ার করে এই আলোচনার অংশ হচ্ছেন। তাঁরা জেন-জি ও অন্যান্য তরুণ প্রজন্মকে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলছেন।

ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘বিরাট কোহলি, আনুশকা শর্মা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক তারকা দুয়া লিপাও প্রকাশ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁদের বিশ্বাসের কথা বলছেন। বিষয়টি আধ্যাত্মিকতাকে আবার জনপ্রিয় করে তুলছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যা আছে এবং আপনার তারকারা যা অনুসরণ করেন, তা অবশ্যই কুল, তাই না?’
সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, আজকের তরুণেরা জ্যোতিষশাস্ত্র ও আধ্যাত্মিকতাকে তাঁদের সম্পর্ক, অর্থ, স্বাস্থ্য ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে গাইড করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। অনেকের কাছে জ্যোতিষীরাই তাঁদের প্রধান উপদেষ্টা। একসময় যা কুসংস্কার হিসেবে দেখা হতো, তা এখন জেন-জিদের সেল্ফ-কেয়ার রুটিনের অংশ। কেউ নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করছেন চন্দ্রচক্র অনুযায়ী, কেউ আবার ঘড়ি কিনছেন জ্যোতিষ দেখে।

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার সমান।
গুরুগাঁওভিত্তিক সংখ্যাতত্ত্ব জ্যোতিষ সংস্থা নুম্রো ভানির জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ এস কুমার এই পরিবর্তনের সরাসরি সাক্ষী। তিনি প্রতি মাসে ১০০ জনেরও বেশি ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দেন, যাঁদের বেশির ভাগের বয়স ২৪ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তবে তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী ক্লায়েন্ট মাত্র আট বছর বয়সী! তিনি জানান, এই জেন-জিদের মধ্যে থেকে অনেক কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সম্পর্ক বা আত্মপরিচয়-সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে আসছেন।
সিদ্ধার্থ এস কুমার একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ২৫ বছর বয়সী এক যুবক এসেছিলেন তাঁর কাছে। যুবক তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কেন এখানে? আমার জীবনের উদ্দেশ্য কী?’ সিদ্ধার্থ বলেন, ওই ছেলে যখন দেখলেন তাঁর জন্মছকে ভ্রমণ, শিক্ষা ও দর্শনের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, তখন তিনি আর চোখের জল আটকাতে পারেননি। তিনি ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ের কথাও বলেন। ওই মেয়ের অল্প দিনের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠ একটি সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। সে সিদ্ধার্থের কাছে জানতে চেয়েছিল, ‘কেন সে মানুষের প্রতি এত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে?’
সম্পর্ক, কর্মজীবন বা জীবন নিয়ে বিভ্রান্তিতে থাকা মানুষের এমন গল্পগুলো একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে তুলে ধরে—তরুণ ভারতীয়রা তাঁদের ভেতরের বিশৃঙ্খলা ও মানসিক বাধাগুলো বুঝতে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকছেন। প্রায়শই এটিকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করছেন। আর প্রযুক্তি, এআই ও সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে এসব বিষয়ে পরামর্শ পাওয়াও সহজ হচ্ছে দিন দিন।
নুম্রো ভানির ২০২৪ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ তরুণ ভারতীয় প্রতিদিন জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় অন্তর্দৃষ্টি খোঁজেন। প্রায় ৮৮ শতাংশ সপ্তাহে অন্তত একবার রাশিফল পড়ে এবং ৭৫ শতাংশ তাদের হৃদয়সংক্রান্ত ব্যাপারে জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে।
তবে ট্র্যাডিশনাল জ্যোতিষশাস্ত্রের বাইরে এখন ডিজিটাল জ্যোতিষশাস্ত্রের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। অ্যাস্ট্রো টক ও অ্যাস্ট্রো ভেদের মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যক্তিগত রাশিফল ও ম্যাচ-মেকিংয়ের মতো পরিষেবা দিচ্ছে। অনলাইন জ্যোতিষশাস্ত্রের বাজার ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১৪ শতাংশ হারে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি রুপি) ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারি এই প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে—২০২১ সালেই অনলাইনে এসব বিষয়ে পরামর্শের হার ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে।
এমনকি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও জেন-জিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি সমাপ্ত কুম্ভমেলায় ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এবং তাঁদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল তরুণ ভারতীয়। এর মাধ্যমে ভারতের আধ্যাত্মিক অর্থনীতিও বিকশিত হচ্ছে। এটি এখন কেবল মন্দির পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এতে ভার্চুয়াল পূজা, অনলাইন তীর্থযাত্রা এবং জ্যোতিষশাস্ত্রীয় পরামর্শের মতো ডিজিটাল পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বাজারের মূল্য ২০২৩ সালে ৫৮ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকা) ছিল এবং এটি বার্ষিক প্রায় ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে।

ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্র কেন আবার জনপ্রিয় হচ্ছে?
মিলেনিয়ালরা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা থেকে দূরে ছিলেন। তাঁরা কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে, দীর্ঘ সময় কাজ করতে ও নীরবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবিলা করতে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু জেনারেশন জেড বা জেন-জিরা উল্টো পথে হাঁটছেন—পুজোর ধূপকাঠি, রত্নপাথর, কৃতজ্ঞতার তালিকা, জ্যোতিষীয় রুটিন—সবই আজ তাঁদের পরিচয়ের অংশ এবং তাঁরা এটি গর্বের সঙ্গে করছেন।
এআইচালিত জ্যোতিষশাস্ত্রীয় অ্যাপ অ্যাস্ট্রো শিওর এআইয়ের প্রধান নির্বাহী ও সহপ্রতিষ্ঠাতা ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই—এটি কেবল ফিরে আসছে না, এটি সম্ভবত পরবর্তী ফোমো (FOMO-Fear Of Missing Out)। মানুষ আর জিজ্ঞাসা করবে না, আপনি সপ্তাহান্তে বাইরে গিয়েছিলেন কি না। তারা জিজ্ঞাসা করবে, আপনি আপনার কর্মফল ঠিক করেছেন কি না।’
মিশ্রের মতে, মিলেনিয়ালরা একসময় উচ্চাকাঙ্ক্ষায় আধ্যাত্মিকতাকে চাপা দিয়েছিলেন। কিন্তু জেন-জি এই ইঁদুর দৌড় থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁরা নিজেদের পথ তৈরি করছেন। তাঁদের কাছে মানসিক শান্তির অগ্রাধিকার বেশি। মিলেনিয়াল ও তাঁদের বাবা-মা পারিবারিক আঘাত নিয়ে কখনো কথা বলেননি, কিন্তু জেন-জিরা এখন এসব বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইউভেট ডিসাও এতে একমত। তিনি বলেন, জেন-জিরা ধর্মের ক্ষমতা ও সমস্যা বোঝেন। তাঁরা এটিকে অন্ধভাবে গ্রহণ করেন না। তাঁরা তা-ই করেন, যা তাঁদের শান্তি দেয়। তাঁর মতে, এই প্রজন্ম আধুনিক বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই করে ভারতীয় ঐতিহ্যকে গ্রহণ করছেন।
জ্যোতিষী সিদ্ধার্থ বলেন, এই প্রজন্ম ধর্মকে নতুন করে সাজাচ্ছে—ট্র্যাডিশন মাইনাস ডগমা। তাঁরা প্রাচীন বিজ্ঞানের ডিজিটাল পুনরুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমনকি মিলেনিয়ালরাও এখন এই পথে ফিরতে শুরু করেছেন। এটি কেবল ভারতেই নয়, পশ্চিমা বিশ্বও বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে আসক্ত হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করলে বোঝা যাবে, জ্যোতিষশাস্ত্র কতটা ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন জ্যোতিষ মিম, রাশিচক্রভিত্তিক রিল, সেলিব্রিটিদের রাশিফল—সবই ভাইরাল। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (ইনস্টাগ্রামে তাঁর পৌনে ৩ কোটি ফলোয়ার) বা অনিরুদ্ধাচার্য মহারাজ ওরফে পুকি বাবার (ইনস্টাগ্রামে ৩৬ লাখ ফলোয়ার) মতো আধ্যাত্মিক গুরুরাও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁদের কর্মকাণ্ড শেয়ার করে এই আলোচনার অংশ হচ্ছেন। তাঁরা জেন-জি ও অন্যান্য তরুণ প্রজন্মকে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলছেন।

ভানিয়া মিশ্র বলেন, ‘বিরাট কোহলি, আনুশকা শর্মা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক তারকা দুয়া লিপাও প্রকাশ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁদের বিশ্বাসের কথা বলছেন। বিষয়টি আধ্যাত্মিকতাকে আবার জনপ্রিয় করে তুলছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় যা আছে এবং আপনার তারকারা যা অনুসরণ করেন, তা অবশ্যই কুল, তাই না?’
সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, আজকের তরুণেরা জ্যোতিষশাস্ত্র ও আধ্যাত্মিকতাকে তাঁদের সম্পর্ক, অর্থ, স্বাস্থ্য ও জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে গাইড করার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। অনেকের কাছে জ্যোতিষীরাই তাঁদের প্রধান উপদেষ্টা। একসময় যা কুসংস্কার হিসেবে দেখা হতো, তা এখন জেন-জিদের সেল্ফ-কেয়ার রুটিনের অংশ। কেউ নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করছেন চন্দ্রচক্র অনুযায়ী, কেউ আবার ঘড়ি কিনছেন জ্যোতিষ দেখে।

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১১ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়। বেকারত্ব, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসে। ‘আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনে তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ায় একের পর এক পতন ঘটে দীর্ঘদিনের শাসকদের। দেড় দশক পর ক্ষমতাচ্যুত সেই নেতারা এখন কোথায়, কেমন আছেন, জেনে নেওয়া যাক—
জিনে আল আবিদিন বেন আলি (তিউনিসিয়া)
একসময় তিউনিসিয়ার নিরাপত্তা প্রধান ছিলেন বেন আলি। পরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এবং একপর্যায়ে নিজেকে আজীবনের জন্য প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তাঁর ২৩ বছরের শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও দুর্নীতি, বৈষম্য ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চরমে পৌঁছেছিল।
প্রকাশ্য দিবালোকে শরীরে পেট্রল ঢেলে বুয়াজিজির আত্মহত্যার পর টানা বিক্ষোভ সীমা ছাড়িয়ে গেলে ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি তিউনিসিয়া থেকে সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলি। পরে তিউনিসিয়ার আদালত তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে সেই সাজা কখনো কার্যকর হয়নি। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে নির্বাসনে থাকা অবস্থায়ই তাঁর মৃত্যু হয়।
হোসনি মুবারক (মিসর)
১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩০ বছর মিসরের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দেশটির সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান হোসনি মুবারক। জরুরি আইন, রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি মিসরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের ১৮ দিনের মাথায় পদত্যাগে বাধ্য হন মুবারক। বিক্ষোভকারীদের হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে প্রথমে যাবজ্জীবন দেওয়া হলেও পরে সেই রায় বাতিল হয়। দুর্নীতির মামলায় কিছু সময় আটক থাকার পর ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান। ২০২০ সালে রাজধানী কায়রোতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলি আবদুল্লাহ সালেহ (ইয়েমেন)
১৯৭৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৩ বছর ইয়েমেন শাসন করেছেন আলি আবদুল্লাহ সালেহ। দেশটির জটিল উপজাতীয় ও সামরিক রাজনীতির দক্ষ খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। আরব বসন্তের ঢেউ লাগে ইয়েমেনেও। ২০১১ সালে বিক্ষোভের পর ক্ষমতা ছাড়লেও তিনি হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে জোট বাঁধেন এবং ২০১৪ সালে সানা দখলে সহায়তা করেন। পরে সেই জোট ভেঙে গেলে ২০১৭ সালে হুতি বাহিনীর হাতেই তিনি নিহত হন।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি (লিবিয়া)
১৯৬৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ৪২ বছর লিবিয়া শাসন করেন গাদ্দাফি। তেলের সম্পদ দিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। ২০১১ সালে লিবিয়ার বেনগাজিতে বিক্ষোভ শুরু হলে তা দ্রুত গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। ন্যাটোর বিমান হামলা ও বিদ্রোহীদের অগ্রযাত্রায় সেই বছরের আগস্টেই রাজধানী ত্রিপোলির পতন ঘটে। অক্টোবরে নিজ শহর সির্তে বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ে গাদ্দাফি নিহত হন।
বাশার আল আসাদ (সিরিয়া)
২০০০ সালে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসা বাশার আল আসাদ তাঁর পিতা হাফেজ আল আসাদের উত্তরসূরি। ২০১১ সালে দেশটির কিশোরদের লেখা সরকারবিরোধী গ্রাফিতি থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরে তা ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের আকস্মিক অভিযানে দামেস্কের পতন ঘটে। আসাদ পরিবার রাশিয়ায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে এখন নির্বাসিত জীবন-যাপন করছে।
আরব বসন্ত শাসকদের পতন ঘটালেও বহু দেশে গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও শান্তির স্বপ্ন এখনো অধরাই গেছে।
আল-জাজিরা অবলম্বনে

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে...
০৭ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১১ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গোপনে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল মজুতের দেশ ভেনেজুয়েলার সরকারি ব্যয়ের বড় অংশই তেল রপ্তানির আয়ের ওপর নির্ভর করে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ-এর ওপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বৈধ পথে দেশটির তেল রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকার বিকল্প পথ হিসেবে গড়ে তোলে এক গোপন নৌবহর—যা ‘ঘোস্ট ফ্লিট’ বা ‘ভুতুড়ে নৌবহর’ নামে পরিচিত।

ট্যাংকারট্র্যাকার্স ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ভেনেজুয়েলার জলসীমায় বা দেশটির দিকে অগ্রসরমাণ প্রায় ৮০টি জাহাজের মধ্যে ৩০ টির বেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায়। ট্রাম্প এই জাহাজগুলোকেই টার্গেট করে ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নৌ অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি অর্ধেকেরও বেশি কমে গিয়েছিল। তবে ছয় বছর পর আবার তা বেড়ে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেছে। এটি ১৯৯৮ সালের সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ব্যারেলের তুলনায় অনেক কম হলেও ধীরে ধীরে রপ্তানি পুনরুদ্ধার প্রমাণ করে—মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।
ভেনেজুয়েলা একা নয়; রাশিয়া ও ইরানও একই কৌশল ব্যবহার করছে। এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের হিসাব অনুযায়ী—বিশ্বে প্রতি পাঁচটি তেলবাহী জাহাজের একটি কোনো না কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহনে জড়িত।
এই ভুতুড়ে জাহাজগুলো সাধারণত ঘনঘন নাম ও পতাকা বদলায়, স্বয়ংক্রিয় পরিচয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ রাখে কিংবা পুরোনো স্ক্র্যাপ করা জাহাজের পরিচয় ব্যবহার করে—যেগুলোকে বলা হয় ‘জম্বি শিপ’। অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জলসীমার মধ্যেই জাহাজ থেকে জাহাজে তেল স্থানান্তর করে তেলের প্রকৃত উৎস আড়াল করা হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী নৌ উপস্থিতি, বিশেষ করে ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড বিমানবাহী রণতরীর নেতৃত্বে ক্যারিবীয় অঞ্চলে অভিযান, এই গোপন তেল বাণিজ্যের পথ সংকুচিত করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ভেনেজুয়েলার ‘ঘোস্ট ফ্লিট’-নির্ভর তেল রপ্তানি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে...
০৭ জুলাই ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১১ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত থাকলে ভারত চুপ থাকবে না এবং উচিত শিক্ষা দেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত বলেন, ‘গত এক বছর ধরে বাংলাদেশে বারবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশে যুক্ত করার আলোচনা চলছে। কিন্তু ভারত একটি বিশাল দেশ, পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি। বাংলাদেশ কীভাবে এমন চিন্তা করতে পারে?’
হিমন্ত আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটি অংশের মধ্যে ‘খারাপ মানসিকতা’ কাজ করছে এবং ‘তাদের এত বেশি সাহায্য করা উচিত নয়’।
হিমন্ত বলেন, ‘তাদের খুব বেশি সাহায্য করা উচিত নয়। তারা যদি ভারতের প্রতি এমন আচরণ করে, তাহলে আমরা যে চুপ করে থাকব না—সেই শিক্ষা দেওয়া দরকার।’
এর আগে গত সোমবার এক সমাবেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা আমার দেশের সার্বভৌমত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা আমার দেশের সম্ভাবনাকে বিশ্বাস করে না, যারা ভোটাধিকারকে বিশ্বাস করে না, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, যারা এই দেশের সন্তানদেরকে বিশ্বাস করে না, আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন, স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’
চলতি বছরের শুরুতে ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ করিডরকে লক্ষ্য করে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যাঁরা নিয়মিত ভারতের চিকেনস নেক করিডর নিয়ে হুমকি দেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত—বাংলাদেশেরও দুটি চিকেনস নেক রয়েছে, যা আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমটি হলো, ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তর বাংলাদেশ করিডর, যা দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম গারো পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে কোনো বিঘ্ন ঘটলে পুরো রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়টি হলো, মাত্র ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম করিডর, যা দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ভারতের চিকেনস নেকের চেয়েও ছোট এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী ও রাজনৈতিক রাজধানীর মধ্যে একমাত্র সংযোগস্থল।
হিমন্ত আরও দাবি করেন, সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ ইতিমধ্যে ভারতের শক্তিমত্তা প্রমাণ করেছে। তাঁর ভাষায়, বাংলাদেশকে ভারত আক্রমণ করার আগে ১৪ বার পুনর্জন্ম নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ এবং ভারতের সঙ্গে এর তুলনা করা যায় না।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনো পথ নেই। আমরাই সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।’

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে...
০৭ জুলাই ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে।
১১ ঘণ্টা আগেসিএনএন প্রতিবেদন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

চীনের জনবহুল এলাকা থেকে শত শত মাইল দূরে, দুর্গম হিমালয় অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত নদীর তীব্র বাঁকে গড়ে উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রায় ১৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বিশাল প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পরিমাণে ছাড়িয়ে যাবে বিশ্বের যে কোনো জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে। কিন্তু প্রকল্পটি যতটা উচ্চাভিলাষী, ততটাই বিতর্কিত। কারণ এটি ঘিরে রয়েছে ব্যাপক গোপনীয়তা, পরিবেশগত ঝুঁকি এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং তিব্বতে এক বিরল সফরে গিয়ে প্রকল্পটি ‘দৃঢ় ও কার্যকরভাবে’ এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিব্বত এমন এক অঞ্চল, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করছে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নাঞ্চলে নির্মাণাধীন ওই প্রকল্প প্রকৌশলগত দিক থেকে হবে অতুলনীয়, তবে একই সঙ্গে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ!
এই নদী হিমালয়ের বরফগলা জলধারার অংশ এবং এটিকে বলা হয় ‘এশিয়ার জলভাণ্ডার’। এখানে নদীটি মাত্র ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ২ হাজার মিটার ঢালুতে নেমে এসেছে। এই বিপুল উচ্চতা-পতন কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ কেটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে চীন। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে বছরে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, যা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় থ্রি গর্জেস ড্যামের উৎপাদনের প্রায় তিন গুণ।
চীন যুক্তি দিয়েছে—এই প্রকল্প কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়ক হবে। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির যুগে এটি দেশটির জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করবে। তবে এতে বড় ধরনের পরিবেশগত ঝুঁকি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই অঞ্চলের বিরল বনভূমি, জীববৈচিত্র্য এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা।
তবে এই উদ্বেগের ব্যাপ্তি আরও বিশাল। কারণ এটির প্রভাব নিয়ে বড় উদ্বেগ রয়েছে চীনের সীমান্তের বাইরেও। ইয়ারলুং সাংপো নদীই ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং পরে এটি বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে। এই নদীর ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষ—মাছ ধরা, কৃষিকাজ ও জীবিকার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ, পলিবাহিত ব্যবস্থা ও জলজ প্রতিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা এখনো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
ভারতের গণমাধ্যম ইতিমধ্যেই প্রকল্পটিকে সম্ভাব্য ‘পানি বোমা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। কারণ এটি চীন-ভারত বিতর্কিত সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু সতর্ক করে বলেছেন, চীন চাইলে পানি আটকে বা হঠাৎ ছেড়ে দিয়ে অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করতে পারে। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

তবে বেইজিং এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দশকের পর দশক গবেষণা করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর জন্য প্রকৌশল নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষায় পূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পটি নিম্নপ্রবাহের দেশগুলোর (ভারত ও বাংলাদেশ) ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য বিনিময় করা হবে।
তবু বাস্তবে প্রকল্পের নকশা ও কার্যপ্রণালি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে। উন্মুক্ত উৎস, স্যাটেলাইট চিত্র ও গবেষণা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি হবে বাঁধ, জলাধার ও পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গের একটি জটিল নেটওয়ার্ক—যার বিস্তৃতি প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পাঁচটি ধাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হলেও, কোন এলাকায় কত জমি ডুবে যাবে বা কত মানুষ স্থানচ্যুত হবে, তা স্পষ্ট নয়।
এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ। ভূমিধস, বরফগলা হ্রদের বিস্ফোরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে অবকাঠামোর জন্য বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা প্রকৌশলীরা দক্ষ হলেও, হিমালয়ের মতো জটিল ভূপ্রাকৃতিক অঞ্চলে এত বড় প্রকল্পের ঝুঁকি এড়ানো প্রায় অসম্ভব।
এদিকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে ইতিমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। মনপা ও লহোবা নামে দুটি ক্ষুদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষদের বসতভিটা ছেড়ে নতুন এলাকায় যেতে হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে—‘স্থানান্তরের জন্য কৃতজ্ঞ’ লেখা ব্যানারসহ ট্রাকে করে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, এই প্রকল্প চীনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জ্বালানি উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক হলেও, এর সামাজিক, পরিবেশগত ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বচ্ছতা ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা ছাড়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে শুধু বিদ্যুৎ নয়—নতুন সংঘাতও উৎপাদন করতে পারে।

সম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে...
০৭ জুলাই ২০২৫
১৫ বছর আগে আজকের এই দিনটিতেই (২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর) তিউনিসিয়ার তরুণ এক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা মোহাম্মদ বুয়াজিজি পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে আত্মাহুতি দেন। তাঁর এই মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত আরব বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিস্ফোরণ ঘটায়।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যকার উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াত করা তেলবাহী জাহাজ ঠেকাতে নৌ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য মূলত ভেনেজুয়েলার তথাকথিত ‘ঘোস্ট শিপ’ বা ভুতুড়ে জাহাজগুলো—যেগুলোর মাধ্যমে দেশটি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে ‘আলাদা’ করে দিতে জাতীয় cপার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর হুমকির জবাব দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশে কিছু রাজনীতিকের ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ অব্যাহত...
১১ ঘণ্টা আগে