Ajker Patrika

রাশিয়াকে বাদ দিয়ে শান্তি আলোচনা করছে সৌদি আরব

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, ১৬: ২১
রাশিয়াকে বাদ দিয়ে শান্তি আলোচনা করছে সৌদি আরব

সৌদি আরব ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী মাসের শুরুতে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ভারত-ব্রাজিলসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওয়াশিংটন ও ইউরোপ ইউক্রেনে শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনে জোরালো চেষ্টার মধ্যে এই উদ্যোগ নিল সৌদি আরব।

আলোচনায় কূটনীতিকদের মতে, আগামী ৫ ও ৬ আগস্টের বৈঠকে ৩০টি দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেদ্দায় আসবেন। এই বৈঠকে ইউক্রেনে শান্তি প্রসঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমর্থনের চেষ্টা করা হবে।

ইউক্রেন ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই উদ্যোগ চলতি বছরের শেষের দিকে শীর্ষ শান্তি সম্মেলনে পরিণত হতে পারে, যেখানে বিশ্বনেতারা যুদ্ধের সমাধানে যৌথ নীতিতে একমত হবেন। এসব নীতি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার কাঠামো তৈরি করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোনো পক্ষই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখল করতে পারেনি। যুদ্ধের এই অচলাবস্থাই আলোচনার সুযোগ এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

অনুষ্ঠিতব্য এই শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না রাশিয়া। ফলে এই বৈঠক আদৌ ফলপ্রসূ হবে কি না, সেই সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। 

জুনের শেষ দিকে কোপেনহেগেনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক সমাবেশ থেকে এই বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সমাবেশে ব্রাজিল, ভারত, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ নিয়েছিল। ইউক্রেন ও ইউরোপের কয়েকটি প্রধান দেশসহ মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও এতে অংশ নিয়েছিলেন। 

জেদ্দা বৈঠকের জন্য সৌদি আরব ও ইউক্রেন ইন্দোনেশিয়া, মিসর, মেক্সিকো, চিলি, জাম্বিয়াসহ ৩০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কতজন অংশগ্রহণ করবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কোপেনহেগেন আলোচনায় অংশ নেওয়া দেশগুলো অংশ নেবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, পোল্যান্ড ও ইইউ বৈঠকে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। এ বৈঠক আয়োজনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির মতে, সুলিভানও উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বছর হোয়াইট হাউস সৌদি আরবের বিরুদ্ধে তেলের দাম বাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তোলে। এর পরেই সৌদি আরব ইউক্রেন সংকটের কূটনীতিতে বৃহত্তর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে। দেশটি যুদ্ধবন্দীদের মুক্ত করতে সাহাজ্য করেছে এবং মে মাসে একটি আরব শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বাগত জানিয়েছে। 

পশ্চিমা কূটনীতিেকরা বলেছেন, চীনের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্যই সৌদি আরবকে এই শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। কারণ, মস্কোর সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। 

রিয়াদ ও বেইজিংয়ের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে চীন সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়তে মধ্যস্থতা করেছিল। এর কয়েক মাস আগে সৌদি আরব এক শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আতিথেয়তা দিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাক্টচেকার ও কনটেন্ট মডারেটরদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নতুন এ নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
নতুন এ নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে—এমন বিদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফ্যাক্টচেকিং, কনটেন্ট মডারেশন, ভুল তথ্য প্রতিরোধ বা অনলাইন নিরাপত্তায় কাজ করেছেন—এমন ব্যক্তিরা এই নীতির আওতায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ নির্দেশনার বিষয়ে প্রথমে বার্তা রয়টার্স ও পরে এনপিআরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ‘সুরক্ষিত মতপ্রকাশ’ (বাক্‌স্বাধীনতা) বা ফ্রি স্পিচ দমনে যারা ‘দায়ী বা জড়িত’—তাদের ভিসা আবেদন অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ভিসা আবেদনকারীদের অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে যাদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি, কনটেন্ট মডারেশন, ফ্যাক্টচেকিং, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি, অনলাইন নিরাপত্তার মতো কাজে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাবে।

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনকারীর লিংকডইন প্রোফাইলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদ প্রতিবেদনে তাঁদের কোনো লেখা বা প্রতিবেদন থাকলে সে সম্পর্কেও খোঁজ নিতে হবে।

যদি কোনো তথ্য পাওয়া যায় যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ‘আবেদনকারীকে ভিসার জন্য অযোগ্য’ ঘোষণা করবেন।

নতুন এই নির্দেশনা সবার আগে এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সাধারণত প্রযুক্তি খাতসহ উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশি কর্মীদের এই ভিসা দেওয়া হয়। যদিও নির্দেশনাটি শেষ পর্যন্ত সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমাদের মুখ বন্ধ করার মতো কাজ করবে, এমন কোনো কর্মকাণ্ড আমরা সমর্থন করি না। প্রেসিডেন্ট নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্যায়ভাবে সেন্সরশিপের শিকার হয়েছেন। তিনি চান না, আমেরিকার অন্য নাগরিকেরা এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।’

এর আগে গত মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছিলেন, ‘যারা আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।’

তবে অনেকেই বলছেন, ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির কাজকে ‘সেন্সরশিপ’ বলা হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।

ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান (বিপিও) পার্টনারহিরোর ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালিস গোগুয়েন হান্সবার্গার বলেন, ‘শিশু সুরক্ষা, অনলাইন প্রতারণা, জালিয়াতি, যৌন অপরাধ ঠেকানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটির আওতায় পড়ে। এটিকে সেন্সরশিপ হিসেবে দেখানো উদ্বেগজনক।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিল দাঙ্গার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পর থেকে ট্রাম্প নিয়মিতভাবেই প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে নতুন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসন সীমিত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাকিস্তানে দুই সাংবাদিক ও পিটিআই নেত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ নুরানি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী সিমাবিয়া তাহির। ছবি: ডন
পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ নুরানি ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী সিমাবিয়া তাহির। ছবি: ডন

পাকিস্তানের সাংবাদিক আহমেদ নুরানি ও জামিল ফারুকী এবং কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেত্রী সিমাবিয়া তাহিরকে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণার অভিযোগে হওয়া পৃথক মামলায় পলাতক ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ রোববার এক প্রতিবেদনে ডন জানিয়েছে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্বাস শাহ লিখিত আদেশে ওই তিনজনকে পলাতক ঘোষণা করেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

লিখিত আদেশে বলা হয়, আসামিদের আদালতে বারবার তলব করা হলেও তাঁরা হাজির হননি।

আদেশ অনুযায়ী, পাকিস্তানের ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনসিসিআইএ) সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্ত শেষ করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ ও সংশ্লিষ্ট ধারায় এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিবরণী) নথিভুক্ত করা হয় এ বছরের জুলাই ও আগস্টে।

আদালত আদেশে বলেছে, আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করে আসামিদের আদালতে হাজির নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তাঁরা বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্প জুনিয়রের মদদপুষ্ট কোম্পানির সঙ্গে পেন্টাগনের ৬২০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৯
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংস্থা ১৭৮৯–ক্যাপিটালের সমর্থনপুষ্ট বিরল মৃত্তিকা চুম্বক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভলকান এলিমেন্টস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে ৬২০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি নিশ্চিত করেছে। এই খবরটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

কোম্পানির বিবৃতি অনুসারে, এই চুক্তিটি মার্কিন সরকার ও রি-এলিমেন্ট টেকনোলজিসের সঙ্গে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের অংশীদারত্বের একটি অংশ। এই অংশীদারত্বের লক্ষ্য হলো চুম্বকের দেশীয় সরবরাহ বাড়ানো ও মজবুত করা।

ট্রাম্প জুনিয়র ২০২৪ সালে ১৭৮৯-ক্যাপিটালের অংশীদার হিসেবে যোগ দেন। ব্লুমবার্গের খবর অনুযায়ী, সংস্থাটি প্রায় তিন মাস আগে ভলকান এলিমেন্টসে বিনিয়োগ করে। এর আগে, আগস্ট মাসে কোম্পানিটি আলটিমিটার ক্যাপিটালের নেতৃত্বে ৬৫ মিলিয়ন ডলারের সিরিজ এ অর্থায়ন ঘোষণা করেছিল।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, এই সরকারি চুক্তিটি পেন্টাগনের স্ট্র্যাটেজিক ক্যাপিটাল অফিসের করা সর্ববৃহৎ চুক্তি। শুধু এই বছরেই ১৭৮৯-ক্যাপিটালের অন্তত চারটি কোম্পানি সরকারি চুক্তি পেয়েছে। সংস্থাটি স্পেসএক্স ও অ্যান্ডুরিলের মতো প্রতিষ্ঠানেরও এক সমর্থক, যারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে প্রযুক্তি বিক্রি করে চলেছে।

তবে, ভলকান এলিমেন্টস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে অস্বীকার করেছে, ট্রাম্প জুনিয়রের এই চুক্তি আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো রকম ভূমিকা ছিল না। ট্রাম্প জুনিয়রের এক মুখপাত্রও একই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য, ‘১৭৮৯-এর পোর্টফোলিও কোম্পানিগুলোর পক্ষে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তাঁর (ট্রাম্প জুনিয়রের) কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলেই অস্ত্র পরিত্যাগ করবে হামাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৯
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় হামাসের দুই যোদ্ধা। ছবি: এএফপি
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় হামাসের দুই যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।

খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে জড়িত। দখলদারত্ব মিটে গেলেই এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের হাতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্রের বিষয়টি এখনো বিভিন্ন উপগোষ্ঠী ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে এবং চুক্তিটি এখনো একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে।’

সাক্ষাৎকারকালে আল-হাইয়া এটাও উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারদের কিছু বন্দীর লাশের খোঁজে রোববার নতুন এলাকায় প্রবেশ করা হবে।’ অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সময় গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আল-হাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল ‘গাজায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যেন আমরা এখনো যুদ্ধের মধ্যে আছি।’

হামাসের এই নেতা বলেন, ‘গাজা ভূখণ্ডে যে পরিমাণ সাহায্য ঢুকছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি।’ স্মরণ রাখা দরকার, হামাস এর আগে অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকার করে একে একটি ‘রেডলাইন বা চূড়ান্ত সীমা’ বলে উল্লেখ করেছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপগোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণকেই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের একটি প্রধান শর্ত বলে জোর দিচ্ছে।

এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি সতর্ক করে বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি এক ‘নাজুক মুহূর্তে’ এসে পৌঁছেছে এবং স্থায়ী শান্তির দিকে দ্রুত অগ্রগতি না হলে এটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দোহা ফোরামে বক্তৃতাকালে কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থিতিশীলতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।

এই সতর্কবার্তা মিসর, কাতার, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির ভঙ্গুরতাও তুলে ধরে। যদিও এই যুদ্ধবিরতি প্রথমে লড়াই থামিয়েছিল, কিন্তু হামাসের নিরস্ত্রীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মতপার্থক্যের কারণে এর দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন থমকে গেছে।

নভেম্বরে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েল তার অবস্থান থেকে সরে আসবে এবং গাজা পরিচালিত হবে ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি অন্তর্বর্তী শাসনকাঠামোর মাধ্যমে। এই পরিকল্পনায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে।

তবে সেই কাঠামোর রূপরেখা এখনো অনিশ্চিত। তাত্ত্বিকভাবে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকার কথা থাকলেও অন্য সদস্যদের পরিচয় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। উপরন্তু খবর আছে যে আরব এবং মুসলিম দেশগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। কারণ, তাদের ভয়, এটি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-এবি পার্টি-রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জোট চূড়ান্ত, ঘোষণা বিকেলে

বিদেশে নেওয়ার অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া

নয়া নিরাপত্তা কৌশল: চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাদ, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের

পাকিস্তানি স্ত্রীকে করাচিতে ফেলে ভারতে দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি, স্বামীর বিচার চেয়ে মোদির কাছে আবেদন

আজকের রাশিফল: সন্ধ্যায় অচেনা নম্বর থেকে ‘দারুণ অফার’ আসবে, ইগনোর করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত