
রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কি না—তা স্পষ্ট নয়। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সূত্র দুটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ক্রেমলিনের শর্তগুলো বেশ বিস্তৃত এবং পূর্বে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মতোই।
এর আগে, রাশিয়া দাবি করেছিল—ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না, দেশটিতে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে অবশ্যই যুদ্ধের ‘মূল কারণসমূহ’ সমাধান করতে হবে। এর মধ্যে একটি মূল কারণ হলো—ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পুতিনের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন যে, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন কি না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেনে নেবেন।
পুতিন এই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত এবং এর বিস্তারিত শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকের আশঙ্কা, সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারেন।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত দুই দশকে রাশিয়া এ ধরনের অনেক দাবি উত্থাপন করেছে এবং এর কিছু দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, ২০২১ সালের শেষ ও ২০২২ সালের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মস্কো এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সে সময় কয়েক হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছিল, আক্রমণের নির্দেশের অপেক্ষায়।
রাশিয়া তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করা। বাইডেন প্রশাসন কিছু শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও, যুদ্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনা করা একটি খসড়া চুক্তি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি। ওই আলোচনায় রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্র হতে হবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর ওপর রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে চলমান আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করছে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি পৃথক আলোচনায় যুক্ত—একটি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়ে, অন্যটি ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির বিষয়ে। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসে সিএনএনকে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আলোচনাগুলো ছিল ‘যুক্তিসংগত ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ এবং তা ‘শান্তি চুক্তির পথপ্রদর্শক হতে পারে।’
কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলোগ সম্প্রতি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ইস্তাম্বুল চুক্তিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সম্পূর্ণ নতুন কিছু তৈরি করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার এসব দাবি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি গঠনের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং পশ্চিমা সমর্থকদের সঙ্গেও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতেই করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে—যা পশ্চিমাদের ইউরোপে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি তৈরির সক্ষমতাকে সীমিত করবে এবং সম্ভবত পুতিনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।’ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা স্টেন্ট বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো মোটেও পরিবর্তিত হয়নি। আমি মনে করি, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি বা অর্থবহ যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসন আসন্ন বলে মনে করা হয়েছিল। তা প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রেমলিনের তিনটি দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
এই দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিষিদ্ধ করা, ইউরোপ বা রাশিয়ার সীমানার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিষিদ্ধ করা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ককেশাস ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক ও পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা কোরি শাকে বলেন, ‘এগুলো সেই পুরোনো রুশ দাবি, যা ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম দেখে ইউরোপীয়রা শুধু ভয় পাচ্ছে যে আমরা তাদের পরিত্যাগ করছি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে আমরা শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কি না—তা স্পষ্ট নয়। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সূত্র দুটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ক্রেমলিনের শর্তগুলো বেশ বিস্তৃত এবং পূর্বে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মতোই।
এর আগে, রাশিয়া দাবি করেছিল—ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না, দেশটিতে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে অবশ্যই যুদ্ধের ‘মূল কারণসমূহ’ সমাধান করতে হবে। এর মধ্যে একটি মূল কারণ হলো—ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পুতিনের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন যে, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন কি না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেনে নেবেন।
পুতিন এই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত এবং এর বিস্তারিত শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকের আশঙ্কা, সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারেন।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত দুই দশকে রাশিয়া এ ধরনের অনেক দাবি উত্থাপন করেছে এবং এর কিছু দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, ২০২১ সালের শেষ ও ২০২২ সালের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মস্কো এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সে সময় কয়েক হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছিল, আক্রমণের নির্দেশের অপেক্ষায়।
রাশিয়া তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করা। বাইডেন প্রশাসন কিছু শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও, যুদ্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনা করা একটি খসড়া চুক্তি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি। ওই আলোচনায় রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্র হতে হবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর ওপর রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে চলমান আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করছে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি পৃথক আলোচনায় যুক্ত—একটি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়ে, অন্যটি ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির বিষয়ে। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসে সিএনএনকে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আলোচনাগুলো ছিল ‘যুক্তিসংগত ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ এবং তা ‘শান্তি চুক্তির পথপ্রদর্শক হতে পারে।’
কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলোগ সম্প্রতি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ইস্তাম্বুল চুক্তিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সম্পূর্ণ নতুন কিছু তৈরি করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার এসব দাবি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি গঠনের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং পশ্চিমা সমর্থকদের সঙ্গেও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতেই করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে—যা পশ্চিমাদের ইউরোপে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি তৈরির সক্ষমতাকে সীমিত করবে এবং সম্ভবত পুতিনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।’ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা স্টেন্ট বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো মোটেও পরিবর্তিত হয়নি। আমি মনে করি, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি বা অর্থবহ যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসন আসন্ন বলে মনে করা হয়েছিল। তা প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রেমলিনের তিনটি দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
এই দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিষিদ্ধ করা, ইউরোপ বা রাশিয়ার সীমানার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিষিদ্ধ করা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ককেশাস ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক ও পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা কোরি শাকে বলেন, ‘এগুলো সেই পুরোনো রুশ দাবি, যা ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম দেখে ইউরোপীয়রা শুধু ভয় পাচ্ছে যে আমরা তাদের পরিত্যাগ করছি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে আমরা শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কি না—তা স্পষ্ট নয়। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সূত্র দুটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ক্রেমলিনের শর্তগুলো বেশ বিস্তৃত এবং পূর্বে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মতোই।
এর আগে, রাশিয়া দাবি করেছিল—ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না, দেশটিতে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে অবশ্যই যুদ্ধের ‘মূল কারণসমূহ’ সমাধান করতে হবে। এর মধ্যে একটি মূল কারণ হলো—ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পুতিনের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন যে, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন কি না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেনে নেবেন।
পুতিন এই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত এবং এর বিস্তারিত শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকের আশঙ্কা, সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারেন।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত দুই দশকে রাশিয়া এ ধরনের অনেক দাবি উত্থাপন করেছে এবং এর কিছু দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, ২০২১ সালের শেষ ও ২০২২ সালের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মস্কো এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সে সময় কয়েক হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছিল, আক্রমণের নির্দেশের অপেক্ষায়।
রাশিয়া তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করা। বাইডেন প্রশাসন কিছু শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও, যুদ্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনা করা একটি খসড়া চুক্তি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি। ওই আলোচনায় রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্র হতে হবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর ওপর রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে চলমান আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করছে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি পৃথক আলোচনায় যুক্ত—একটি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়ে, অন্যটি ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির বিষয়ে। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসে সিএনএনকে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আলোচনাগুলো ছিল ‘যুক্তিসংগত ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ এবং তা ‘শান্তি চুক্তির পথপ্রদর্শক হতে পারে।’
কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলোগ সম্প্রতি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ইস্তাম্বুল চুক্তিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সম্পূর্ণ নতুন কিছু তৈরি করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার এসব দাবি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি গঠনের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং পশ্চিমা সমর্থকদের সঙ্গেও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতেই করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে—যা পশ্চিমাদের ইউরোপে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি তৈরির সক্ষমতাকে সীমিত করবে এবং সম্ভবত পুতিনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।’ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা স্টেন্ট বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো মোটেও পরিবর্তিত হয়নি। আমি মনে করি, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি বা অর্থবহ যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসন আসন্ন বলে মনে করা হয়েছিল। তা প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রেমলিনের তিনটি দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
এই দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিষিদ্ধ করা, ইউরোপ বা রাশিয়ার সীমানার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিষিদ্ধ করা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ককেশাস ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক ও পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা কোরি শাকে বলেন, ‘এগুলো সেই পুরোনো রুশ দাবি, যা ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম দেখে ইউরোপীয়রা শুধু ভয় পাচ্ছে যে আমরা তাদের পরিত্যাগ করছি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে আমরা শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি কি না—তা স্পষ্ট নয়। ওই দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত তিন সপ্তাহে রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা সরাসরি ও ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সূত্র দুটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, ক্রেমলিনের শর্তগুলো বেশ বিস্তৃত এবং পূর্বে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছে উপস্থাপিত দাবিগুলোর মতোই।
এর আগে, রাশিয়া দাবি করেছিল—ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না, দেশটিতে কোনো বিদেশি সেনা মোতায়েন করা যাবে না এবং ক্রিমিয়া ও আরও চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে অবশ্যই যুদ্ধের ‘মূল কারণসমূহ’ সমাধান করতে হবে। এর মধ্যে একটি মূল কারণ হলো—ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারণ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পুতিনের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছেন যে, তিনি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন কি না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি এটিকে শান্তি আলোচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মেনে নেবেন।
পুতিন এই সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত এবং এর বিস্তারিত শর্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কিছু মার্কিন কর্মকর্তা, আইনপ্রণেতা ও বিশ্লেষকের আশঙ্কা, সাবেক কেজিবি কর্মকর্তা পুতিন এই যুদ্ধবিরতিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও ইউরোপের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং আলোচনাকে ব্যাহত করতে পারেন।
কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতিকে একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত দুই দশকে রাশিয়া এ ধরনের অনেক দাবি উত্থাপন করেছে এবং এর কিছু দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, ২০২১ সালের শেষ ও ২০২২ সালের শুরুতে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মস্কো এসব শর্ত নিয়ে আলোচনা করেছিল। সে সময় কয়েক হাজার রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছিল, আক্রমণের নির্দেশের অপেক্ষায়।
রাশিয়া তখন যে দাবি করেছিল, তার মধ্যে ছিল পূর্ব ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক কার্যক্রম সীমিত করা। বাইডেন প্রশাসন কিছু শর্ত প্রত্যাখ্যান করলেও, যুদ্ধ ঠেকানোর প্রচেষ্টায় কয়েকটি বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালায়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে ২০২২ সালে ইস্তাম্বুলে আলোচনা করা একটি খসড়া চুক্তি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেই চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়নি। ওই আলোচনায় রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাষ্ট্র হতে হবে। এ ছাড়া, ইউক্রেনকে সহায়তার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর ওপর রাশিয়া ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে চলমান আলোচনা কীভাবে পরিচালনা করছে, সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুটি পৃথক আলোচনায় যুক্ত—একটি মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়ে, অন্যটি ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির বিষয়ে। তবে প্রশাসনের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত মাসে সিএনএনকে তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল আলোচনাগুলো ছিল ‘যুক্তিসংগত ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ এবং তা ‘শান্তি চুক্তির পথপ্রদর্শক হতে পারে।’
কিন্তু ট্রাম্পের শীর্ষ ইউক্রেন ও রাশিয়া বিষয়ক দূত জেনারেল (অব.) কিথ কেলোগ সম্প্রতি কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি ইস্তাম্বুল চুক্তিকে আলোচনার ভিত্তি হিসেবে দেখেন না। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের সম্পূর্ণ নতুন কিছু তৈরি করতে হবে।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, রাশিয়ার এসব দাবি শুধু ইউক্রেনের সঙ্গে চুক্তি গঠনের উদ্দেশ্যেই নয়, বরং পশ্চিমা সমর্থকদের সঙ্গেও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করতেই করা হচ্ছে। গত দুই দশক ধরে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একই ধরনের দাবি জানিয়ে আসছে—যা পশ্চিমাদের ইউরোপে শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি তৈরির সক্ষমতাকে সীমিত করবে এবং সম্ভবত পুতিনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ করে দেবে।
মার্কিন থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার পক্ষ থেকে ছাড় দেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।’ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক বিভাগের প্রধান বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করা স্টেন্ট বলেন, ‘তাদের দাবিগুলো মোটেও পরিবর্তিত হয়নি। আমি মনে করি, তারা প্রকৃতপক্ষে শান্তি বা অর্থবহ যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী, রাশিয়ার আগ্রাসন আসন্ন বলে মনে করা হয়েছিল। তা প্রতিহত করতে বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্রেমলিনের তিনটি দাবির বিষয়ে আলোচনায় বসেছিলেন।
এই দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—ন্যাটোর নতুন সদস্য দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিষিদ্ধ করা, ইউরোপ বা রাশিয়ার সীমানার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিষিদ্ধ করা এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে ককেশাস ও মধ্য এশিয়া পর্যন্ত মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি অধ্যয়ন বিভাগের পরিচালক ও পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা কোরি শাকে বলেন, ‘এগুলো সেই পুরোনো রুশ দাবি, যা ১৯৪৫ সাল থেকেই চলে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যক্রম দেখে ইউরোপীয়রা শুধু ভয় পাচ্ছে যে আমরা তাদের পরিত্যাগ করছি, বরং তারা আশঙ্কা করছে যে আমরা শত্রুপক্ষের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে একটি ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ লিপ্ত রয়েছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বর্তমান সংঘাতকে কেবল সামরিক নয়; বরং একটি সর্বাত্মক অবরোধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘ইরাক যুদ্ধের সময় পরিস্থিতি পরিষ্কার ছিল—তারা যদি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ত, আমরাও পাল্টা জবাব দিতাম। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধ অনেক বেশি সূক্ষ্ম। তারা আমাদের প্রতিটি দিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলছে; আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি করছে।’
তিনি জানান, একদিকে ইরানকে বিশ্ববাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেশে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট তাঁর সাক্ষাৎকারে ২০২৫ সালের জুন মাসের ১২ দিনের যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় (ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান) হামলা চালিয়েছিল। সে সময় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা নিহত হন।
পেজেশকিয়ান দাবি করেন, জুনের সংঘাতের পর ইরান এখন সামরিক সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় দিক থেকেই আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘যদি তারা আবার হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখায়, তবে এবার জবাব হবে আরও কঠোর।’
পেজেশকিয়ানের এই কড়া বার্তা এমন একসময়ে এল যখন মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের নীতি ফিরিয়ে এনেছেন।
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে পরবর্তী সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা।
সাক্ষাৎকার শেষে পেজেশকিয়ান দেশের মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অংশগ্রহণ এবং অভ্যন্তরীণ সংহতি থাকলে বিশ্বের কোনো শক্তিই ইরানকে পরাজিত করতে পারবে না।

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে রাশিয়ায় বিলিয়নিয়ার বা ধনকুবেরদের সংখ্যা সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিনের গত ২৫ বছরের শাসনামলে রাশিয়ার এই প্রভাবশালী বিত্তবান গোষ্ঠী, যারা অলিগার্ক নামে পরিচিত, তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রভাব প্রায় পুরোটাই হারিয়েছে তারা।
বিষয়টি রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ স্বস্তির। কারণ, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এই অতি ধনী গোষ্ঠীটিকে পুতিনের প্রতিপক্ষ বানাতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং পুতিনের ‘পুরস্কার ও শাস্তির’ নীতি তাদের একপ্রকার নীরব সমর্থকে পরিণত করেছে।
শাস্তির এই কড়াকড়ি ঠিক কীভাবে কাজ করে, তা সাবেক ব্যাংকিং বিলিয়নিয়ার ওলেগ তিনকভ খুব ভালো করেই জানেন।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ বলে সমালোচনা করার ঠিক পরদিনই ক্রেমলিন থেকে তাঁর ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তিনকভকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যদি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা না হয়, তাহলে তৎকালীন রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক তিনকভ ব্যাংককে জাতীয়করণ করা হবে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনকভ বলেন, ‘আমি দাম নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাইনি। অনেকটা জিম্মি হয়ে থাকার মতো অবস্থা, যা অফার করা হবে, তা-ই নিতে হবে। দর-কষাকষির কোনো উপায় ছিল না।’
এর এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্লাদিমির পোতানিনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকটি কিনে নেয়।
উল্লেখ্য, পোতানিন বর্তমানে রাশিয়ার পঞ্চম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। রুশ যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিনের জন্য নিকেল সরবরাহ করেন তিনি।
তিনকভের দাবি অনুযায়ী, ব্যাংকটিকে তার প্রকৃত মূল্যের মাত্র ৩ শতাংশ দামে বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। শেষপর্যন্ত তিনকভ তাঁর প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারান এবং রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হন।
পুতিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে পরিস্থিতি এমনটা ছিল না। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার উদীয়মান পুঁজিবাদের সুযোগ নিয়ে এবং বড় বড় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মালিকানা কুক্ষিগত করে একদল মানুষ অবিশ্বাস্য সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন।
রাজনৈতিক অস্থিরতার সেই সময়ে এই সম্পদ তাঁদের হাতে বিপুল ক্ষমতা ও প্রভাব এনে দেয়, যার ফলে তাঁরা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান।
রাশিয়ার সেই সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী অলিগার্ক বোরিস বেরেজোভস্কি দাবি করেছিলেন, ২০০০ সালে পুতিনকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন তিনি।
তবে এর কয়েক বছর পরেই তিনি এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ২০১২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি তাঁর (পুতিন) মধ্যে সেই লোভী স্বৈরশাসক ও জবরদখলকারীকে দেখতে পাইনি, যিনি কিনা স্বাধীনতাকে পদদলিত করবেন এবং রাশিয়ার উন্নয়ন থামিয়ে দেবেন।’
বেরেজোভস্কি হয়তো নিজের ভূমিকার কথা একটু বাড়িয়েই বলেছিলেন। তবে রাশিয়ার অলিগার্করা যে একসময় ক্ষমতার শীর্ষপর্যায়ে প্রভাব খাটানোর ক্ষমতা রাখতেন, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
এই ক্ষমাপ্রার্থনার ঠিক এক বছর পরেই যুক্তরাজ্যে নির্বাসনে থাকা অবস্থায় রহস্যজনকভাবে বেরেজোভস্কির মরদেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার অলিগার্ক বা ধনকুবেরদের রাজনৈতিক দাপটেরও চূড়ান্ত অবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের শর্ত হিসেবে একটি দাবি-দাওয়ার তালিকা দিয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তির বরাতে এই তথ্য জানা গেছে। মস্কো এই তালিকায় কী কী অন্তর্ভুক্ত করেছে বা শর্তগুলো মেনে নেওয়ার আগেই তারা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আল
১৩ মার্চ ২০২৫
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৩ ঘণ্টা আগে
পেজেশকিয়ান সতর্ক করে বলেন, এই যুদ্ধ আশির দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও অনেক বেশি জটিল এবং কঠিন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমারা ইরানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করছে।
৪ ঘণ্টা আগে