
পশ্চিমা বিশ্বঘোষিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের চিঠি নিয়ে নেটদুনিয়া তোলপাড়। দুই দশক আগের ওই চিঠি একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করার পর সেটাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০২ সালে ওই চিঠির ইংরেজি ভার্সন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রথম প্রকাশিত হয়। কিন্তু কিন্তু টিকটক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের পর গার্ডিয়ান পুরো চিঠিটি ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি ওসামা বিন-লাদেনের সেই চিঠি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে, এই পেইজে ওসামা বিন-লাদেনের লেখা ‘লেটার টু দ্য আমেরিকান পিপল’— এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর রোববারে সাপ্তাহিক অবজারভার এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। একইদিনে আমরাও সেই চিঠির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু সেটি ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
সরিয়ে ফেলার কারণ হিসেবে বহুল প্রচলিত ও বস্তুনিষ্ঠতায় নির্ভরযোগ্য হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ‘আমাদের ওয়েবসাইটে যে প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়েছিল তা সম্প্রতি ‘প্রেক্ষাপট ছাড়া খণ্ডিতভাবে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই আমরা সেই চিঠি প্রত্যাহার করেছি।’ এই ঘোষণা সঙ্গে চিঠিটি নিয়ে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিংক শেয়ার করা হয়েছ।
পরে সেই লিংকে ক্লিক করার পর অন্য একটি পেইজে নিয়ে যায়। যেখানে গার্ডিয়ান ‘সশস্ত্র হতে ওসামার নতুন আহ্বান’—শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনের ওপরে সাবহেড আকারে লেখা রয়েছে, এই প্রতিবেদনটি ২০ বছরের বেশি পুরোনো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসামা বিন লাদেনের একটি নতুন বার্তা ব্রিটিশ ইসলামি চরমপন্থীদের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার আহ্বান জানিয়ে শহীদ হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ওসামা বিন-লাদেনের সেই চিঠিতে প্রায় ৪ হাজার শব্দ ছিল।
বিন-লাদেনের এই চিঠির পরপরই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার দেশজুড়ে ব্যাপক সতর্কতা জারি করে। সেই সতর্কতায় বলা হয়, ব্রিটেনে সন্ত্রাসী হামলা অনিবার্য। সে সময় ব্রিটিশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, ‘আমরা এমন এক শত্রুর মুখোমুখি হয়েছি যারা ব্রিটেনের পাশাপাশি বিদেশেও আমাদের আক্রমণ করবে...।’
ওই চিঠির পরপরই ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোর নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা আবারও বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সেই চিঠির দুই সপ্তাহ আগে বিন লাদেন একটি অডিও ক্যাসেটে একটি বার্তা প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলো ধরে নেয় বিন-লাদেন জীবিত রয়েছেন এবং তিনি একটি বড় ধরনের হামলার পূর্বাভাস দিয়েছেন এর মাধ্যমে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার অন টেররের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল ব্রিটেন। বিশ্লেষকেরা সে সময় মনে করেছিলেন, ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যেকোন সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে জঙ্গিরা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ করতে উৎসাহিত হবে।
অনূদিত চিঠিটি মূলত আরবি ভাষায় পোস্ট করা হয়েছিল সৌদি আরবের একটি ওয়েবসাইটে যা আল-কায়েদা বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হতো। চিঠিটি প্রকাশের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটিশ উগ্রপন্থীরা চিঠিটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে। চিঠিটি যুক্তরাজ্ভিত্তিক সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী মোহাম্মদ আল-মাসারির কাছ থেকে একটি মেইল থেকে কয়েকশ গ্রাহককে পাঠানো হয়েছিল।
সেই চিঠিতে বিন-লাদেন পশ্চিমের প্রতি সরাসরি হুমকি জারি করেন। তিনি সেই চিঠিতে বলেন, ‘যারা আমাদের গ্রাম ও শহরগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে, আমরা তাদের গ্রাম এবং শহরগুলোকে ধ্বংস করতে যাচ্ছি। যারা আমাদের ভাগ্য চুরি করে, আমাদের অবশ্যই তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবে। যারা আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করবে, আমরা তাদের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করব।’ বিন-লাদেনের চিঠির বেশিরভাগ অংশজুড়েই পশ্চিমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অভিযোগ উত্থাপন করেন।

পশ্চিমা বিশ্বঘোষিত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেনের চিঠি নিয়ে নেটদুনিয়া তোলপাড়। দুই দশক আগের ওই চিঠি একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশ করার পর সেটাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০২ সালে ওই চিঠির ইংরেজি ভার্সন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানে প্রথম প্রকাশিত হয়। কিন্তু কিন্তু টিকটক পোস্ট ঘিরে বিতর্কের পর গার্ডিয়ান পুরো চিঠিটি ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি ওসামা বিন-লাদেনের সেই চিঠি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে, এই পেইজে ওসামা বিন-লাদেনের লেখা ‘লেটার টু দ্য আমেরিকান পিপল’— এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর রোববারে সাপ্তাহিক অবজারভার এই বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। একইদিনে আমরাও সেই চিঠির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু সেটি ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
সরিয়ে ফেলার কারণ হিসেবে বহুল প্রচলিত ও বস্তুনিষ্ঠতায় নির্ভরযোগ্য হিসেবে পরিচিত সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ‘আমাদের ওয়েবসাইটে যে প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয়েছিল তা সম্প্রতি ‘প্রেক্ষাপট ছাড়া খণ্ডিতভাবে’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই আমরা সেই চিঠি প্রত্যাহার করেছি।’ এই ঘোষণা সঙ্গে চিঠিটি নিয়ে ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিংক শেয়ার করা হয়েছ।
পরে সেই লিংকে ক্লিক করার পর অন্য একটি পেইজে নিয়ে যায়। যেখানে গার্ডিয়ান ‘সশস্ত্র হতে ওসামার নতুন আহ্বান’—শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনের ওপরে সাবহেড আকারে লেখা রয়েছে, এই প্রতিবেদনটি ২০ বছরের বেশি পুরোনো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওসামা বিন লাদেনের একটি নতুন বার্তা ব্রিটিশ ইসলামি চরমপন্থীদের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার আহ্বান জানিয়ে শহীদ হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ওসামা বিন-লাদেনের সেই চিঠিতে প্রায় ৪ হাজার শব্দ ছিল।
বিন-লাদেনের এই চিঠির পরপরই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার দেশজুড়ে ব্যাপক সতর্কতা জারি করে। সেই সতর্কতায় বলা হয়, ব্রিটেনে সন্ত্রাসী হামলা অনিবার্য। সে সময় ব্রিটিশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, ‘আমরা এমন এক শত্রুর মুখোমুখি হয়েছি যারা ব্রিটেনের পাশাপাশি বিদেশেও আমাদের আক্রমণ করবে...।’
ওই চিঠির পরপরই ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোর নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা আবারও বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছে বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। সেই চিঠির দুই সপ্তাহ আগে বিন লাদেন একটি অডিও ক্যাসেটে একটি বার্তা প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলো ধরে নেয় বিন-লাদেন জীবিত রয়েছেন এবং তিনি একটি বড় ধরনের হামলার পূর্বাভাস দিয়েছেন এর মাধ্যমে। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার অন টেররের সবচেয়ে বড় মিত্র ছিল ব্রিটেন। বিশ্লেষকেরা সে সময় মনে করেছিলেন, ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে যেকোন সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে জঙ্গিরা প্রতিশোধমূলক আক্রমণ করতে উৎসাহিত হবে।
অনূদিত চিঠিটি মূলত আরবি ভাষায় পোস্ট করা হয়েছিল সৌদি আরবের একটি ওয়েবসাইটে যা আল-কায়েদা বার্তা প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হতো। চিঠিটি প্রকাশের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটিশ উগ্রপন্থীরা চিঠিটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে। চিঠিটি যুক্তরাজ্ভিত্তিক সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী মোহাম্মদ আল-মাসারির কাছ থেকে একটি মেইল থেকে কয়েকশ গ্রাহককে পাঠানো হয়েছিল।
সেই চিঠিতে বিন-লাদেন পশ্চিমের প্রতি সরাসরি হুমকি জারি করেন। তিনি সেই চিঠিতে বলেন, ‘যারা আমাদের গ্রাম ও শহরগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করবে, আমরা তাদের গ্রাম এবং শহরগুলোকে ধ্বংস করতে যাচ্ছি। যারা আমাদের ভাগ্য চুরি করে, আমাদের অবশ্যই তাদের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবে। যারা আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করবে, আমরা তাদের বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করব।’ বিন-লাদেনের চিঠির বেশিরভাগ অংশজুড়েই পশ্চিমের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অভিযোগ উত্থাপন করেন।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৮ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে