
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় খনি শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বড় বড় প্রতিষ্ঠান সোনা উত্তোলনের পর পরিত্যক্ত খনিগুলো খোলা রেখে যায়। সেখানে সোনার টুকরা খোঁজার জন্য তাঁরা প্রবেশ করেছিলেন। ঠিক এই সময়ই খনির চারপাশের মাটি ধসে পড়ে।
এই ঘটনায় নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ৪৮ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, একটি শিল্প ইউনিয়নের প্রধান রয়টার্সকে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ৪৩।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, কিছু মানুষ পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীর পিঠে তাঁর শিশু ছিল।
মালি বিশ্বের বৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ। তবে দেশটিতে খনি দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কারণ বেশির ভাগ খনন কার্যক্রম অনিয়ন্ত্রিত এবং শ্রমিকেরা সোনা খোঁজার জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
এক বছর আগে একটি খনিতে সুড়ঙ্গ ধসে পড়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিল। গত জানুয়ারির শেষ দিকে আরেকটি খনিতে বন্যার কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার মালির যে পরিত্যক্ত খনিতে এ ঘটনা ঘটে, সেটি পরিচালনা করত চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, মালি সরকারের অনুমোদনে চীন দেশটির খনিশিল্প উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় খনি শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বড় বড় প্রতিষ্ঠান সোনা উত্তোলনের পর পরিত্যক্ত খনিগুলো খোলা রেখে যায়। সেখানে সোনার টুকরা খোঁজার জন্য তাঁরা প্রবেশ করেছিলেন। ঠিক এই সময়ই খনির চারপাশের মাটি ধসে পড়ে।
এই ঘটনায় নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ৪৮ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, একটি শিল্প ইউনিয়নের প্রধান রয়টার্সকে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ৪৩।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, কিছু মানুষ পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীর পিঠে তাঁর শিশু ছিল।
মালি বিশ্বের বৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ। তবে দেশটিতে খনি দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কারণ বেশির ভাগ খনন কার্যক্রম অনিয়ন্ত্রিত এবং শ্রমিকেরা সোনা খোঁজার জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
এক বছর আগে একটি খনিতে সুড়ঙ্গ ধসে পড়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিল। গত জানুয়ারির শেষ দিকে আরেকটি খনিতে বন্যার কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার মালির যে পরিত্যক্ত খনিতে এ ঘটনা ঘটে, সেটি পরিচালনা করত চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, মালি সরকারের অনুমোদনে চীন দেশটির খনিশিল্প উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় খনি শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বড় বড় প্রতিষ্ঠান সোনা উত্তোলনের পর পরিত্যক্ত খনিগুলো খোলা রেখে যায়। সেখানে সোনার টুকরা খোঁজার জন্য তাঁরা প্রবেশ করেছিলেন। ঠিক এই সময়ই খনির চারপাশের মাটি ধসে পড়ে।
এই ঘটনায় নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ৪৮ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, একটি শিল্প ইউনিয়নের প্রধান রয়টার্সকে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ৪৩।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, কিছু মানুষ পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীর পিঠে তাঁর শিশু ছিল।
মালি বিশ্বের বৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ। তবে দেশটিতে খনি দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কারণ বেশির ভাগ খনন কার্যক্রম অনিয়ন্ত্রিত এবং শ্রমিকেরা সোনা খোঁজার জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
এক বছর আগে একটি খনিতে সুড়ঙ্গ ধসে পড়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিল। গত জানুয়ারির শেষ দিকে আরেকটি খনিতে বন্যার কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার মালির যে পরিত্যক্ত খনিতে এ ঘটনা ঘটে, সেটি পরিচালনা করত চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, মালি সরকারের অনুমোদনে চীন দেশটির খনিশিল্প উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় খনি শ্রমিক ইউনিয়নের এক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বড় বড় প্রতিষ্ঠান সোনা উত্তোলনের পর পরিত্যক্ত খনিগুলো খোলা রেখে যায়। সেখানে সোনার টুকরা খোঁজার জন্য তাঁরা প্রবেশ করেছিলেন। ঠিক এই সময়ই খনির চারপাশের মাটি ধসে পড়ে।
এই ঘটনায় নিহতের সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ৪৮ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, একটি শিল্প ইউনিয়নের প্রধান রয়টার্সকে বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ৪৩।
স্থানীয় পুলিশের একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, কিছু মানুষ পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন নারীর পিঠে তাঁর শিশু ছিল।
মালি বিশ্বের বৃহৎ সোনা উৎপাদনকারী দেশ। তবে দেশটিতে খনি দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কারণ বেশির ভাগ খনন কার্যক্রম অনিয়ন্ত্রিত এবং শ্রমিকেরা সোনা খোঁজার জন্য অনিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
এক বছর আগে একটি খনিতে সুড়ঙ্গ ধসে পড়ে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছিল। গত জানুয়ারির শেষ দিকে আরেকটি খনিতে বন্যার কারণে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল শনিবার মালির যে পরিত্যক্ত খনিতে এ ঘটনা ঘটে, সেটি পরিচালনা করত চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি, মালি সরকারের অনুমোদনে চীন দেশটির খনিশিল্প উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
১১ মিনিট আগে
রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরেই বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্প বলেছেন, বিবিসি তাঁর মানহানি করেছে এবং বাণিজ্যিক আইন ভেঙেছে। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃত করেছে।
গত মাসে এই বিষয়ে বিবিসি ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। তারা স্বীকার করে যে, ভিডিও সম্পাদনার কারণে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার ডাক দিয়েছিলেন। তবে বিবিসি মানহানির অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দিতে অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্যে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রের জন্য তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিবিসি তাঁর মুখের কথাই পাল্টে দিয়েছে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা ক্যাপিটলে যাবেন এবং সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থন জানাবেন। প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আমরা লড়াই করি। আমরা চরমভাবে লড়াই করি।’
কিন্তু প্যানোরমা অনুষ্ঠানে এই দুই বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেখানো হয়। এতে মনে হয়েছে, ট্রাম্প একই সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়া এবং লড়াইয়ের কথা বলছেন। নভেম্বরে বিবিসির এক অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস হয়। সেখানে এই সম্পাদনার কড়া সমালোচনা করা হয়। এর পর বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন।
মামলা হওয়ার আগে বিবিসির আইনজীবীরা ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব দেন। তাঁরা বলেন, এই সম্পাদনার পেছনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। তাঁরা আরও দাবি করেন, তথ্যচিত্র প্রচারের পরই ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হওয়ায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করার অধিকার তাদের ছিল না এবং তারা সেটি করেনি। তথ্যচিত্রটি বিবিসি আইপ্লেয়ারে থাকলেও তা শুধু যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য সীমিত ছিল। তবে ট্রাম্পের মামলায় বলা হয়েছে, বিবিসি তৃতীয় পক্ষের কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, যাদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাইরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হতে পারে। এ নিয়ে বিবিসি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কেউই মন্তব্য করেনি।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে বা ব্রিটবক্স নামের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্যচিত্রটি দেখতে পেরেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর ফ্লোরিডায় ভিপিএন ব্যবহারের হার বেড়ে যায়। এতে বোঝা যায়, অনেক মানুষ তথ্যচিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরেই বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা মামলায় ট্রাম্প বলেছেন, বিবিসি তাঁর মানহানি করেছে এবং বাণিজ্যিক আইন ভেঙেছে। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ও বিদ্বেষপূর্ণভাবে ট্রাম্পের ভাষণ বিকৃত করেছে।
গত মাসে এই বিষয়ে বিবিসি ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছিল। তারা স্বীকার করে যে, ভিডিও সম্পাদনার কারণে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যেন ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার ডাক দিয়েছিলেন। তবে বিবিসি মানহানির অভিযোগ মানতে রাজি হয়নি এবং ক্ষতিপূরণও দিতে অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের আগে যুক্তরাজ্যে প্রচারিত এই তথ্যচিত্রের জন্য তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিবিসি তাঁর মুখের কথাই পাল্টে দিয়েছে।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা ক্যাপিটলে যাবেন এবং সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের সমর্থন জানাবেন। প্রায় ৫০ মিনিট পর তিনি বলেন, ‘আমরা লড়াই করি। আমরা চরমভাবে লড়াই করি।’
কিন্তু প্যানোরমা অনুষ্ঠানে এই দুই বক্তব্য একসঙ্গে জুড়ে দেখানো হয়। এতে মনে হয়েছে, ট্রাম্প একই সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়া এবং লড়াইয়ের কথা বলছেন। নভেম্বরে বিবিসির এক অভ্যন্তরীণ নথি ফাঁস হয়। সেখানে এই সম্পাদনার কড়া সমালোচনা করা হয়। এর পর বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেন।
মামলা হওয়ার আগে বিবিসির আইনজীবীরা ট্রাম্পের অভিযোগের জবাব দেন। তাঁরা বলেন, এই সম্পাদনার পেছনে কোনো বিদ্বেষ ছিল না। তাঁরা আরও দাবি করেন, তথ্যচিত্র প্রচারের পরই ট্রাম্প আবার নির্বাচিত হওয়ায় তার কোনো ক্ষতি হয়নি।
বিবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্যানোরমা অনুষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার করার অধিকার তাদের ছিল না এবং তারা সেটি করেনি। তথ্যচিত্রটি বিবিসি আইপ্লেয়ারে থাকলেও তা শুধু যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য সীমিত ছিল। তবে ট্রাম্পের মামলায় বলা হয়েছে, বিবিসি তৃতীয় পক্ষের কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, যাদের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের বাইরে তথ্যচিত্রটি দেখানো হতে পারে। এ নিয়ে বিবিসি বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কেউই মন্তব্য করেনি।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার মানুষ ভিপিএন ব্যবহার করে বা ব্রিটবক্স নামের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তথ্যচিত্রটি দেখতে পেরেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তথ্যচিত্রটি প্রচারের পর ফ্লোরিডায় ভিপিএন ব্যবহারের হার বেড়ে যায়। এতে বোঝা যায়, অনেক মানুষ তথ্যচিত্রটি দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ কার্যক্রম কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। দখলদার বাহিনী বিগত এক বছরে অঞ্চলটিতে ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এ সপ্তাহে আরও ২৫টি বাড়ি ভাঙার পরিকল্পনা করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থীশিবিরে ২৫টি আবাসিক ভবন ভেঙে দেবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নূর শামস তুলকারেম গভর্নরেটের অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের গভর্নর আবদুল্লাহ কামিল গতকাল সোমবার এএফপিকে জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাকটিভিটিজ ইন দ্য টেরিটরিজ-সিওজিএটি তাঁকে এই পরিকল্পিত ধ্বংসের বিষয়ে অবহিত করেছে।
নূর শামসের কাছেই অবস্থিত তুলকারেম ক্যাম্পের কমিটির প্রধান ফয়সাল সালামা বলেন, এই ধ্বংসের নির্দেশে প্রায় ১০০টি পরিবারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসরায়েল গত জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ শুরু করে। তাদের দাবি—এই অভিযান উত্তর-পশ্চিম তীরের শরণার্থীশিবিরগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যার যুদ্ধে যে ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছিল, পশ্চিম তীরজুড়ে ভূখণ্ড দখল ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একই ধরনের অনেক কৌশল ব্যবহার করছে।
রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ফিলিস্তিনিদের ‘খাঁচায় পুরে ফেলার’ এবং পশ্চিম তীরের মানচিত্রে পরিবর্তন আনার একটি প্রচেষ্টা। সোমবার নূর শামসের কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা তাদের ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানের সামনে একটি বিক্ষোভ করে। তারা ধ্বংসের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং তাদের বাড়িতে ফেরার অধিকার দাবি করে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান রুহি ফাত্তুহ বলেছেন, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিগত নির্মূল এবং অবিরাম জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির’ অংশ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির হলোকাস্ট এবং গণহত্যা অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ওমের বারতোভ বলেছেন, ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ‘মানবেতর’ করে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একধরনের সামাজিক মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা ১৯৩০-এর দশকে জার্মানিতে ইহুদি জনসংখ্যার ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল। অর্থাৎ আপনার (ফিলিস্তিনি জনগণ, ইসরায়েলি ইহুদি জনগণ এবং অন্যপক্ষের মানুষের সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে কোনো যোগাযোগই রাখতে পারছে না এবং তারা যেন অস্তিত্বহীন, সেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে।’
শিবিরের বাসিন্দা আয়েশা দামার চার তলা পারিবারিক বাড়িও ভেঙে দেওয়া হবে। এই বাড়িতে প্রায় ৩০ জন লোক থাকত। তিনি এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি নিজেকে একা অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘যেদিন এটা ঘটে (ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়), সেদিন কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি বা আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেনি।’
শিবিরের আরেক বাসিন্দা সিহাম হামায়েদ বলেন, ‘আমার ভাইদের সবগুলো বাড়িঘর ধ্বংস করা হবে। আর আমার সবাই এরই মধ্যে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।’ পশ্চিম তীরের অন্যান্য শরণার্থীশিবিরের মতো নূর শামসও ১৯৪৮ সালের নাকবার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় বর্তমান ইসরায়েলি ভূখণ্ড থেকে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অবৈধ কার্যক্রম কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। দখলদার বাহিনী বিগত এক বছরে অঞ্চলটিতে ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এ সপ্তাহে আরও ২৫টি বাড়ি ভাঙার পরিকল্পনা করছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরের নূর শামস শরণার্থীশিবিরে ২৫টি আবাসিক ভবন ভেঙে দেবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। নূর শামস তুলকারেম গভর্নরেটের অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের গভর্নর আবদুল্লাহ কামিল গতকাল সোমবার এএফপিকে জানান, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কো-অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাকটিভিটিজ ইন দ্য টেরিটরিজ-সিওজিএটি তাঁকে এই পরিকল্পিত ধ্বংসের বিষয়ে অবহিত করেছে।
নূর শামসের কাছেই অবস্থিত তুলকারেম ক্যাম্পের কমিটির প্রধান ফয়সাল সালামা বলেন, এই ধ্বংসের নির্দেশে প্রায় ১০০টি পরিবারের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসরায়েল গত জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘অপারেশন আয়রন ওয়াল’ শুরু করে। তাদের দাবি—এই অভিযান উত্তর-পশ্চিম তীরের শরণার্থীশিবিরগুলোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যার যুদ্ধে যে ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছিল, পশ্চিম তীরজুড়ে ভূখণ্ড দখল ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একই ধরনের অনেক কৌশল ব্যবহার করছে।
রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ফিলিস্তিনিদের ‘খাঁচায় পুরে ফেলার’ এবং পশ্চিম তীরের মানচিত্রে পরিবর্তন আনার একটি প্রচেষ্টা। সোমবার নূর শামসের কয়েক ডজন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা তাদের ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া ইসরায়েলি সামরিক সাঁজোয়া যানের সামনে একটি বিক্ষোভ করে। তারা ধ্বংসের আদেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় এবং তাদের বাড়িতে ফেরার অধিকার দাবি করে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান রুহি ফাত্তুহ বলেছেন, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিগত নির্মূল এবং অবিরাম জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির’ অংশ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির হলোকাস্ট এবং গণহত্যা অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ওমের বারতোভ বলেছেন, ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ‘মানবেতর’ করে তুলছে।
তিনি বলেন, ‘এটি একধরনের সামাজিক মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা ১৯৩০-এর দশকে জার্মানিতে ইহুদি জনসংখ্যার ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল। অর্থাৎ আপনার (ফিলিস্তিনি জনগণ, ইসরায়েলি ইহুদি জনগণ এবং অন্যপক্ষের মানুষের সঙ্গে ক্রমবর্ধমানভাবে কোনো যোগাযোগই রাখতে পারছে না এবং তারা যেন অস্তিত্বহীন, সেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে।’
শিবিরের বাসিন্দা আয়েশা দামার চার তলা পারিবারিক বাড়িও ভেঙে দেওয়া হবে। এই বাড়িতে প্রায় ৩০ জন লোক থাকত। তিনি এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি নিজেকে একা অনুভব করছেন। তিনি বলেন, ‘যেদিন এটা ঘটে (ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়), সেদিন কেউ আমাদের খোঁজ নেয়নি বা আমাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেনি।’
শিবিরের আরেক বাসিন্দা সিহাম হামায়েদ বলেন, ‘আমার ভাইদের সবগুলো বাড়িঘর ধ্বংস করা হবে। আর আমার সবাই এরই মধ্যে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি।’ পশ্চিম তীরের অন্যান্য শরণার্থীশিবিরের মতো নূর শামসও ১৯৪৮ সালের নাকবার পর প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় বর্তমান ইসরায়েলি ভূখণ্ড থেকে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
১১ মিনিট আগে
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’
On Vijay Diwas, we remember the brave soldiers whose courage and sacrifice ensured India had a historic victory in 1971. Their steadfast resolve and selfless service protected our nation and etched a moment of pride in our history. This day stands as a salute to their valour and…
— Narendra Modi (@narendramodi) December 16, 2025
অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’
ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’
On Vijay Diwas, we remember the brave soldiers whose courage and sacrifice ensured India had a historic victory in 1971. Their steadfast resolve and selfless service protected our nation and etched a moment of pride in our history. This day stands as a salute to their valour and…
— Narendra Modi (@narendramodi) December 16, 2025
অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’
ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।
বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
১১ মিনিট আগে
রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। তবে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন—তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে ‘খুব দীর্ঘ এবং খুব ভালো আলোচনা’ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাচ্ছি। তারাও এটি (যুদ্ধ) শেষ করতে চান।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি এবং আমার মনে হয়—আমরা এখন আগের চেয়ে, যেকোনো সময়ের চেয়ে, কাছাকাছি আছি এবং আমরা কী করতে পারি তা দেখব।’ এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন—মার্কিন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ ছিল।
বার্লিনে দুই দিন ধরে চলা এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন স্টিভ উইটকফ। এতে অংশ নেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতারা অংশ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসানের জন্য কিয়েভের ওপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মস্কোর কাছে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার পর এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, তারা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইউরোপ-নেতৃত্বাধীন একটি ‘বহুজাতিক বাহিনী’ও অন্তর্ভুক্ত।
তারা বলেন, এই বাহিনীর কাজের মধ্যে ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কাজ করা’ এবং ইউক্রেনের বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা, এর আকাশ সুরক্ষিত করা এবং নিরাপদ সমুদ্রকে সমর্থন করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর শান্তিকালীন সদস্য সংখ্যা ৮ লাখে থাকা উচিত। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এই প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলোকে ‘আর্টিকেল ৫-এর মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা ন্যাটোর আর্টিকেল ৫-এর পারস্পরিক প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির একটি ইঙ্গিত।
ইউক্রেন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, দৃঢ় পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে তারা ন্যাটো জোটে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে প্রস্তুত। বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অধীনে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিয়েভের জন্য দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তাগুলোর একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। তিনি যোগ করেন, যেকোনো নিশ্চয়তার মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমন নিশ্চয়তাগুলোর কী রূপ হতে পারে সে সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সমর্থনযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ২০১৪ এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে পারেনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস বলেছেন, বার্লিন আলোচনায় ওয়াশিংটন ‘উল্লেখযোগ্য’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আইনি ও বস্তুগত নিশ্চয়তার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে বার্লিনে যা টেবিলে রেখেছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একটি সত্যিকারের শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তবে যোগ করেন, আঞ্চলিক ব্যবস্থা এখনো একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর মতে, ‘আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনো কিন্তু বা যদি নেই।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে খুব কাছাকাছি’ এসে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন ও ইউরোপীয় নেতারা জার্মানির বার্লিনে এই বিষয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। তবে কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য মতপার্থক্য রয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন—তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর নেতাদের সঙ্গে ‘খুব দীর্ঘ এবং খুব ভালো আলোচনা’ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে দারুণ সমর্থন পাচ্ছি। তারাও এটি (যুদ্ধ) শেষ করতে চান।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি এবং আমার মনে হয়—আমরা এখন আগের চেয়ে, যেকোনো সময়ের চেয়ে, কাছাকাছি আছি এবং আমরা কী করতে পারি তা দেখব।’ এর আগে, জেলেনস্কি বলেছিলেন—মার্কিন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা কঠিন হলেও ফলপ্রসূ ছিল।
বার্লিনে দুই দিন ধরে চলা এই উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দেন স্টিভ উইটকফ। এতে অংশ নেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতারা অংশ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের অন্যতম এই ভয়াবহ সংঘাতের অবসানের জন্য কিয়েভের ওপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মস্কোর কাছে ছাড় দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপ বাড়ার মধ্যেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার পর এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, তারা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ প্রদানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইউরোপ-নেতৃত্বাধীন একটি ‘বহুজাতিক বাহিনী’ও অন্তর্ভুক্ত।
তারা বলেন, এই বাহিনীর কাজের মধ্যে ‘ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কাজ করা’ এবং ইউক্রেনের বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা, এর আকাশ সুরক্ষিত করা এবং নিরাপদ সমুদ্রকে সমর্থন করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর শান্তিকালীন সদস্য সংখ্যা ৮ লাখে থাকা উচিত। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এই প্রস্তাবিত সুরক্ষাগুলোকে ‘আর্টিকেল ৫-এর মতো’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, যা ন্যাটোর আর্টিকেল ৫-এর পারস্পরিক প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির একটি ইঙ্গিত।
ইউক্রেন এর আগে ইঙ্গিত দিয়েছিল, দৃঢ় পশ্চিমা নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে তারা ন্যাটো জোটে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে প্রস্তুত। বার্লিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জেলেনস্কি বলেন, সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির অধীনে আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিয়েভের জন্য দেওয়া নিরাপত্তা নিশ্চয়তাগুলোর একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। তিনি যোগ করেন, যেকোনো নিশ্চয়তার মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এমন নিশ্চয়তাগুলোর কী রূপ হতে পারে সে সম্পর্কে সতর্ক ছিলেন। ইউক্রেন ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সমর্থনযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেয়েছিল, কিন্তু সেগুলি ২০১৪ এবং ২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণ থামাতে পারেনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস বলেছেন, বার্লিন আলোচনায় ওয়াশিংটন ‘উল্লেখযোগ্য’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আইনি ও বস্তুগত নিশ্চয়তার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে বার্লিনে যা টেবিলে রেখেছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একটি সত্যিকারের শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে।’ তবে যোগ করেন, আঞ্চলিক ব্যবস্থা এখনো একটি কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর মতে, ‘আঞ্চলিক ছাড়ের বিষয়ে কেবল ইউক্রেনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনো কিন্তু বা যদি নেই।’

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে একটি পরিত্যক্ত সোনার খনি ধসে প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার মালির পশ্চিমাঞ্চলের সোনাসমৃদ্ধ কায়েস অঞ্চলের কেনিয়েবা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছেন। অভিযোগ, বিবিসির একটি প্যানোরমা তথ্যচিত্রে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে তাঁর ভাষণের একটি অংশ ভুলভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। এতে তাঁর বক্তব্যের অর্থ বদলে গেছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
১১ মিনিট আগে
রামাল্লা থেকে আল জাজিরার নূর ওদেহ বলেন, ‘এটি এক বৃহত্তর অভিযানের অংশ, যা প্রায় এক বছর ধরে চলছে। এই অভিযানে তিনটি শরণার্থীশিবিরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং গত এক বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০টি বাড়ি হয় ধ্বংস করা হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।
২ ঘণ্টা আগে