আলমগীর আলম

আমাদের শরীরের গঠনে প্রোটিন একটি বিশেষ উপাদান। রোগের সঙ্গে লড়াই করে শরীরে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এটি। সেই সঙ্গে পেশি ও হাড়ের বিকাশে এবং অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে মস্তিষ্ক সচল রাখে। কিন্তু এই প্রোটিন যদি প্রস্রাবের সঙ্গে মাত্রার অতিরিক্ত বের হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে জটিল সমস্যা তৈরি হতে যাচ্ছে।
আকুপ্রেশার দিয়ে এই জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা এখন স্বীকার করছে যে এই সমস্যায় আকুপ্রেশার বেশ কার্যকর। নিয়মিত ট্রায়াল করে গবেষণা করা হয়েছে বিষয়টির।
প্রস্রাবে উচ্চ প্রোটিনের উপস্থিতি কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। যখন আমাদের কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন প্রোটিন প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে বের হতে পারে। এ কারণে এ অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে প্রোটিনুরিয়া বা অ্যালবুমিনুরিয়া। প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি নির্দেশ করে আমাদের কিডনির অবস্থা কতটা খারাপ।
প্রস্রাবে প্রোটিন গেলে যা ঘটতে পারে
প্রোটিনুরিয়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা ক্রনিক কিডনি ডিজিসের (সিকেডি) সতর্কবার্তা দেয়। তবে সিকেডি থাকলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রোটিনেও এটি হতে পারে। সিকেডির কারণে কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনির সমস্যা হতে পারে। তবে শুধু প্রোটিনুরিয়া থেকে কিডনি সমস্যা নাও হতে পারে।
প্রোটিনুরিয়ার সাধারণ কারণ
এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের প্রোটিন পরীক্ষা প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে। এতে কিডনি রক্ষার জন্য সতর্ক হওয়া সম্ভব।
প্রস্রাবে প্রোটিনের লক্ষণ
কিডনি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা প্রোটিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে প্রস্রাবে এর কোনো উপসর্গ দেখা দেবে না। কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং প্রস্রাবে প্রচুর প্রোটিন থাকলে প্রোটিনুরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
প্রস্রাবে প্রোটিন উপস্থিতির সঠিক কারণ নির্ণয় প্রোটিনুরিয়া চিকিৎসার প্রথম ধাপ। প্রতিটি কারণের জন্য বিভিন্ন প্রতিকার প্রয়োজন। রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির পরীক্ষা, ক্রিয়েটিনিন ও ইজিএফআর–গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট (প্রতি মিনিটে আপনার কিডনি কতটা রক্ত ফিল্টার করে তা পরিমাপ করে) পরীক্ষা করা জরুরি। তাতে জানা যাবে যে কিডনি কত ভাগ কাজ করছে।
আকুপ্রেশার
ছবিতে দেওয়া পায়ের গোড়ালির ওপর থেকে টাকনু পর্যন্ত রেখা দেওয়া পয়েন্টে হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে পুরো দাগের জায়গায় চাপ দিতে হবে। চাপ মোটামুটি একটু জোরে হবে। যাঁদের সমস্যা আছে, তাঁরা এই পয়েন্টগুলোতে ব্যথা অনুভব করবেন। ছবিতে পয়েন্ট করে দেখানো টি৬, টি৭ এবং টি৩ নামে আকুপ্রেশার পয়েন্টগুলোতে কম করে হলেও ১০০ বার করে চাপ দিতে হবে। দুই পায়েই একই স্থানে চাপদিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা খাওয়ার আগে এবং রাতে শোয়ার আগে অথবা খাবারের এক ঘণ্টা পরে আকুপ্রেশার করতে হবে। সপ্তাহে ছয় দিন আকুপ্রেশার করতে হবে।
আকুপ্রেশার এক মাস করার পর প্রোটিনুরিয়া টেস্ট করাতে হবে। তাতে যদি আগের চেয়ে প্রোটিন লিকেজ কমে, তাহলে এই পদ্ধতি
চালিয়ে যেতে হবে তিন মাস। এতে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আকুপ্রেশারের সঙ্গে ওষুধের সম্পর্ক নেই। আপনি যদি কোনো ওষুধ খেয়ে থাকেন সেটা খাবেন। এই সমস্যায় খাদ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি।
পরামর্শ দিয়েছন: আলমগীর আলম খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

আমাদের শরীরের গঠনে প্রোটিন একটি বিশেষ উপাদান। রোগের সঙ্গে লড়াই করে শরীরে ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এটি। সেই সঙ্গে পেশি ও হাড়ের বিকাশে এবং অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে মস্তিষ্ক সচল রাখে। কিন্তু এই প্রোটিন যদি প্রস্রাবের সঙ্গে মাত্রার অতিরিক্ত বের হয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে জটিল সমস্যা তৈরি হতে যাচ্ছে।
আকুপ্রেশার দিয়ে এই জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা এখন স্বীকার করছে যে এই সমস্যায় আকুপ্রেশার বেশ কার্যকর। নিয়মিত ট্রায়াল করে গবেষণা করা হয়েছে বিষয়টির।
প্রস্রাবে উচ্চ প্রোটিনের উপস্থিতি কিডনির সমস্যাসহ বিভিন্ন অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে। যখন আমাদের কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন প্রোটিন প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে বের হতে পারে। এ কারণে এ অবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে প্রোটিনুরিয়া বা অ্যালবুমিনুরিয়া। প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি নির্দেশ করে আমাদের কিডনির অবস্থা কতটা খারাপ।
প্রস্রাবে প্রোটিন গেলে যা ঘটতে পারে
প্রোটিনুরিয়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বা ক্রনিক কিডনি ডিজিসের (সিকেডি) সতর্কবার্তা দেয়। তবে সিকেডি থাকলে প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রোটিনেও এটি হতে পারে। সিকেডির কারণে কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণেও কিডনির সমস্যা হতে পারে। তবে শুধু প্রোটিনুরিয়া থেকে কিডনি সমস্যা নাও হতে পারে।
প্রোটিনুরিয়ার সাধারণ কারণ
এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের প্রোটিন পরীক্ষা প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগ শনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে। এতে কিডনি রক্ষার জন্য সতর্ক হওয়া সম্ভব।
প্রস্রাবে প্রোটিনের লক্ষণ
কিডনি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা প্রোটিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলে প্রস্রাবে এর কোনো উপসর্গ দেখা দেবে না। কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং প্রস্রাবে প্রচুর প্রোটিন থাকলে প্রোটিনুরিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
প্রস্রাবে প্রোটিন উপস্থিতির সঠিক কারণ নির্ণয় প্রোটিনুরিয়া চিকিৎসার প্রথম ধাপ। প্রতিটি কারণের জন্য বিভিন্ন প্রতিকার প্রয়োজন। রোগীর ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির পরীক্ষা, ক্রিয়েটিনিন ও ইজিএফআর–গ্লোমেরুলার ফিল্টারেশন রেট (প্রতি মিনিটে আপনার কিডনি কতটা রক্ত ফিল্টার করে তা পরিমাপ করে) পরীক্ষা করা জরুরি। তাতে জানা যাবে যে কিডনি কত ভাগ কাজ করছে।
আকুপ্রেশার
ছবিতে দেওয়া পায়ের গোড়ালির ওপর থেকে টাকনু পর্যন্ত রেখা দেওয়া পয়েন্টে হাতের বুড়ো আঙুল দিয়ে পুরো দাগের জায়গায় চাপ দিতে হবে। চাপ মোটামুটি একটু জোরে হবে। যাঁদের সমস্যা আছে, তাঁরা এই পয়েন্টগুলোতে ব্যথা অনুভব করবেন। ছবিতে পয়েন্ট করে দেখানো টি৬, টি৭ এবং টি৩ নামে আকুপ্রেশার পয়েন্টগুলোতে কম করে হলেও ১০০ বার করে চাপ দিতে হবে। দুই পায়েই একই স্থানে চাপদিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা খাওয়ার আগে এবং রাতে শোয়ার আগে অথবা খাবারের এক ঘণ্টা পরে আকুপ্রেশার করতে হবে। সপ্তাহে ছয় দিন আকুপ্রেশার করতে হবে।
আকুপ্রেশার এক মাস করার পর প্রোটিনুরিয়া টেস্ট করাতে হবে। তাতে যদি আগের চেয়ে প্রোটিন লিকেজ কমে, তাহলে এই পদ্ধতি
চালিয়ে যেতে হবে তিন মাস। এতে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আকুপ্রেশারের সঙ্গে ওষুধের সম্পর্ক নেই। আপনি যদি কোনো ওষুধ খেয়ে থাকেন সেটা খাবেন। এই সমস্যায় খাদ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি।
পরামর্শ দিয়েছন: আলমগীর আলম খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
৩ দিন আগে
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৫ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৫ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৫ দিন আগে