
তীব্র গরমে সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। হিট স্ট্রোকে কয়েকটি জেলায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকতে কী করণীয় সে বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দুজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে কিছু বিষয় পালন করতে হবে। রোদে বাইরে না যাওয়া, গেলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বের হতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে কারণ ঘামের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি, শরবত বা স্যালাইন পান করতে হবে।
বেশি সময় রোদে থাকলে হিট স্ট্রোক হতে পারে, তাই কর্মজীবীদের দুপুরের পরিবর্তে সকালে ও বিকেলে বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করেন ডা. বে-নজির আহমেদ। এ ছাড়া গরমে শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে থাকে, তাই তাঁদের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পরামর্শ হচ্ছে—শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা যেন নেহাত বাসা থেকে না বের না হয়। অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা বের হওয়ার সময় বোতলে যেন বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে পানি এবং ওরস্যালাইন প্রয়োজন মতো পান করতে হবে। গরমে আঁটসাঁট জামা কাপড় না পরে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
গরমের কারণে অনেক জটিলতা হতে পারে জানিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, গরমে মানুষ অবসন্ন বোধ করে। পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, মাথা ঘোরে, বমি বমি লাগে, চোখে ঝাপসা দেখে। অনেকে অসংলগ্ন কথা বলে।
রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর পানীয়র বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তীব্র গরমে অনেকে রাস্তার পাশে শরবত কিনে খায়। এটা খেতে আমরা একেবারেই মানা করি কারণ শরবতে ব্যবহৃত পানি নিরাপদ বা সুপেয় পানি না। এতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। যে বরফ ব্যবহার করা হয়, তা মানুষের খাওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সেটাও পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা নিম্নরূপ—
১. অত্যধিক তাপ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী, বয়োবৃদ্ধ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগাক্রান্ত যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি।
২. প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম। তারা তাপ থকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর নির্ভরশীল। এ জন্য শিশুদের ব্যাপারে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩. পরিবারের পূর্ণবয়স্ক সদস্য, শিশু, গর্ভবতী নারী, প্রৌঢ়/বৃদ্ধ এবং অন্যান্য রোগাক্রান্ত রোগীরা অত্যধিক তৃষ্ণা ও গরম বোধ করছে কিনা বা অতিরিক্ত ঘাম, বমি হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা মুখ আঠালো অনুভূত হওয়াসহ মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তাপাক্রান্ত হওয়ার আগে কী করতে হবে সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. প্রচণ্ড গরমের সময় শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না নেওয়া, তীব্র গরমে কাজ করার সময় নিয়মিত বিরতি নেওয়া, গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
৬. অতিরিক্ত তাপ পানিশূন্যতা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো মৃদু স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন—হৃদ্রোগ, কিডনির সমস্যা, পেশি ও স্নায়ুর বৈকল্য, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত তাপের গুরুতর উদ্যোগগুলোর জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে—কনফিউশন বা বিভ্রান্ত, শরীর অসাড় হয়ে পড়া, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বা শ্বাসক্রিয়ার হার বেড়ে যাওয়া ও খিঁচুনি হওয়া।
৮. তীব্র গরম থকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
৯. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতী পানিবাহী রোগ থকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
১০. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
১১. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তীব্র গরমে সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। হিট স্ট্রোকে কয়েকটি জেলায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকতে কী করণীয় সে বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দুজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে কিছু বিষয় পালন করতে হবে। রোদে বাইরে না যাওয়া, গেলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বের হতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে কারণ ঘামের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি, শরবত বা স্যালাইন পান করতে হবে।
বেশি সময় রোদে থাকলে হিট স্ট্রোক হতে পারে, তাই কর্মজীবীদের দুপুরের পরিবর্তে সকালে ও বিকেলে বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করেন ডা. বে-নজির আহমেদ। এ ছাড়া গরমে শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে থাকে, তাই তাঁদের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পরামর্শ হচ্ছে—শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা যেন নেহাত বাসা থেকে না বের না হয়। অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা বের হওয়ার সময় বোতলে যেন বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে পানি এবং ওরস্যালাইন প্রয়োজন মতো পান করতে হবে। গরমে আঁটসাঁট জামা কাপড় না পরে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
গরমের কারণে অনেক জটিলতা হতে পারে জানিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, গরমে মানুষ অবসন্ন বোধ করে। পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, মাথা ঘোরে, বমি বমি লাগে, চোখে ঝাপসা দেখে। অনেকে অসংলগ্ন কথা বলে।
রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর পানীয়র বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তীব্র গরমে অনেকে রাস্তার পাশে শরবত কিনে খায়। এটা খেতে আমরা একেবারেই মানা করি কারণ শরবতে ব্যবহৃত পানি নিরাপদ বা সুপেয় পানি না। এতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। যে বরফ ব্যবহার করা হয়, তা মানুষের খাওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সেটাও পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা নিম্নরূপ—
১. অত্যধিক তাপ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী, বয়োবৃদ্ধ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগাক্রান্ত যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি।
২. প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম। তারা তাপ থকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর নির্ভরশীল। এ জন্য শিশুদের ব্যাপারে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩. পরিবারের পূর্ণবয়স্ক সদস্য, শিশু, গর্ভবতী নারী, প্রৌঢ়/বৃদ্ধ এবং অন্যান্য রোগাক্রান্ত রোগীরা অত্যধিক তৃষ্ণা ও গরম বোধ করছে কিনা বা অতিরিক্ত ঘাম, বমি হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা মুখ আঠালো অনুভূত হওয়াসহ মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তাপাক্রান্ত হওয়ার আগে কী করতে হবে সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. প্রচণ্ড গরমের সময় শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না নেওয়া, তীব্র গরমে কাজ করার সময় নিয়মিত বিরতি নেওয়া, গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
৬. অতিরিক্ত তাপ পানিশূন্যতা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো মৃদু স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন—হৃদ্রোগ, কিডনির সমস্যা, পেশি ও স্নায়ুর বৈকল্য, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত তাপের গুরুতর উদ্যোগগুলোর জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে—কনফিউশন বা বিভ্রান্ত, শরীর অসাড় হয়ে পড়া, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বা শ্বাসক্রিয়ার হার বেড়ে যাওয়া ও খিঁচুনি হওয়া।
৮. তীব্র গরম থকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
৯. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতী পানিবাহী রোগ থকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
১০. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
১১. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তীব্র গরমে সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। হিট স্ট্রোকে কয়েকটি জেলায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকতে কী করণীয় সে বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দুজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে কিছু বিষয় পালন করতে হবে। রোদে বাইরে না যাওয়া, গেলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বের হতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে কারণ ঘামের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি, শরবত বা স্যালাইন পান করতে হবে।
বেশি সময় রোদে থাকলে হিট স্ট্রোক হতে পারে, তাই কর্মজীবীদের দুপুরের পরিবর্তে সকালে ও বিকেলে বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করেন ডা. বে-নজির আহমেদ। এ ছাড়া গরমে শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে থাকে, তাই তাঁদের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পরামর্শ হচ্ছে—শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা যেন নেহাত বাসা থেকে না বের না হয়। অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা বের হওয়ার সময় বোতলে যেন বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে পানি এবং ওরস্যালাইন প্রয়োজন মতো পান করতে হবে। গরমে আঁটসাঁট জামা কাপড় না পরে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
গরমের কারণে অনেক জটিলতা হতে পারে জানিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, গরমে মানুষ অবসন্ন বোধ করে। পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, মাথা ঘোরে, বমি বমি লাগে, চোখে ঝাপসা দেখে। অনেকে অসংলগ্ন কথা বলে।
রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর পানীয়র বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তীব্র গরমে অনেকে রাস্তার পাশে শরবত কিনে খায়। এটা খেতে আমরা একেবারেই মানা করি কারণ শরবতে ব্যবহৃত পানি নিরাপদ বা সুপেয় পানি না। এতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। যে বরফ ব্যবহার করা হয়, তা মানুষের খাওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সেটাও পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা নিম্নরূপ—
১. অত্যধিক তাপ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী, বয়োবৃদ্ধ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগাক্রান্ত যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি।
২. প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম। তারা তাপ থকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর নির্ভরশীল। এ জন্য শিশুদের ব্যাপারে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩. পরিবারের পূর্ণবয়স্ক সদস্য, শিশু, গর্ভবতী নারী, প্রৌঢ়/বৃদ্ধ এবং অন্যান্য রোগাক্রান্ত রোগীরা অত্যধিক তৃষ্ণা ও গরম বোধ করছে কিনা বা অতিরিক্ত ঘাম, বমি হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা মুখ আঠালো অনুভূত হওয়াসহ মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তাপাক্রান্ত হওয়ার আগে কী করতে হবে সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. প্রচণ্ড গরমের সময় শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না নেওয়া, তীব্র গরমে কাজ করার সময় নিয়মিত বিরতি নেওয়া, গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
৬. অতিরিক্ত তাপ পানিশূন্যতা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো মৃদু স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন—হৃদ্রোগ, কিডনির সমস্যা, পেশি ও স্নায়ুর বৈকল্য, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত তাপের গুরুতর উদ্যোগগুলোর জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে—কনফিউশন বা বিভ্রান্ত, শরীর অসাড় হয়ে পড়া, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বা শ্বাসক্রিয়ার হার বেড়ে যাওয়া ও খিঁচুনি হওয়া।
৮. তীব্র গরম থকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
৯. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতী পানিবাহী রোগ থকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
১০. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
১১. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

তীব্র গরমে সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। হিট স্ট্রোকে কয়েকটি জেলায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তীব্র এই গরমে সুস্থ থাকতে কী করণীয় সে বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দুজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ।
আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে কিছু বিষয় পালন করতে হবে। রোদে বাইরে না যাওয়া, গেলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বের হতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে কারণ ঘামের ফলে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে ডাবের পানি, শরবত বা স্যালাইন পান করতে হবে।
বেশি সময় রোদে থাকলে হিট স্ট্রোক হতে পারে, তাই কর্মজীবীদের দুপুরের পরিবর্তে সকালে ও বিকেলে বাইরে যাওয়ার অনুরোধ করেন ডা. বে-নজির আহমেদ। এ ছাড়া গরমে শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে থাকে, তাই তাঁদের বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তীব্র গরমে মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মারা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পরামর্শ হচ্ছে—শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগে যারা ভুগছেন তারা যেন নেহাত বাসা থেকে না বের না হয়। অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা বের হওয়ার সময় বোতলে যেন বিশুদ্ধ পানি নিয়ে যায়। কেননা তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে, পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে পানি এবং ওরস্যালাইন প্রয়োজন মতো পান করতে হবে। গরমে আঁটসাঁট জামা কাপড় না পরে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে হবে। যতটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলতে হবে।
গরমের কারণে অনেক জটিলতা হতে পারে জানিয়ে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, গরমে মানুষ অবসন্ন বোধ করে। পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়, মাথা ঘোরে, বমি বমি লাগে, চোখে ঝাপসা দেখে। অনেকে অসংলগ্ন কথা বলে।
রাস্তার পাশের অস্বাস্থ্যকর পানীয়র বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তীব্র গরমে অনেকে রাস্তার পাশে শরবত কিনে খায়। এটা খেতে আমরা একেবারেই মানা করি কারণ শরবতে ব্যবহৃত পানি নিরাপদ বা সুপেয় পানি না। এতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। যে বরফ ব্যবহার করা হয়, তা মানুষের খাওয়ার জন্য বানানো হয়নি। সেটাও পানিবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর পানীয়তে পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, হেপাটাইটিস, টাইফয়েড, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা নিম্নরূপ—
১. অত্যধিক তাপ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী, বয়োবৃদ্ধ এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগাক্রান্ত যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেশি।
২. প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কম। তারা তাপ থকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর নির্ভরশীল। এ জন্য শিশুদের ব্যাপারে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩. পরিবারের পূর্ণবয়স্ক সদস্য, শিশু, গর্ভবতী নারী, প্রৌঢ়/বৃদ্ধ এবং অন্যান্য রোগাক্রান্ত রোগীরা অত্যধিক তৃষ্ণা ও গরম বোধ করছে কিনা বা অতিরিক্ত ঘাম, বমি হওয়া, মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা মুখ আঠালো অনুভূত হওয়াসহ মাথাব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে যেমন—ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে, তাপাক্রান্ত হওয়ার আগে কী করতে হবে সে বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. প্রচণ্ড গরমের সময় শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না নেওয়া, তীব্র গরমে কাজ করার সময় নিয়মিত বিরতি নেওয়া, গর্ভবতী মা, শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
৬. অতিরিক্ত তাপ পানিশূন্যতা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো মৃদু স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন—হৃদ্রোগ, কিডনির সমস্যা, পেশি ও স্নায়ুর বৈকল্য, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত তাপের গুরুতর উদ্যোগগুলোর জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এর লক্ষণগুলো হচ্ছে—কনফিউশন বা বিভ্রান্ত, শরীর অসাড় হয়ে পড়া, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বা শ্বাসক্রিয়ার হার বেড়ে যাওয়া ও খিঁচুনি হওয়া।
৮. তীব্র গরম থকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।
৯. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতী পানিবাহী রোগ থকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।
১০. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।
১১. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪৪ মিনিট আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক। শীতকালীন ক্লান্তি দূর করতে এবং ঋতু পরিবর্তনের অসুস্থতা থেকে বাঁচতে খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার। এটি সহজে হজম হয়।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, খিচুড়ির প্রতিটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা চাল থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত শর্করা ও শক্তি। ডাল জোগায় প্রোটিন ও আঁশ, যা হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ঘি শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে এবং পুষ্টি শোষণে সহায়ক। হলুদে থাকা কারকিউমিন ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এবং আদা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর উষ্ণ রাখে। খিচুড়িতে সবজি যোগ করলে আঁশের মাত্রা বাড়ে। গোলমরিচ ও জিরার মতো মসলা বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে। এ ছাড়া সাবুদানার খিচুড়ি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কার্যকর।

চাল ও মুগ ডালের মিশেলে তৈরি এই খিচুড়ি যেমন সহজপাচ্য, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর বিশেষত্বের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে মসলায়। একেবারে হলুদ, লবণ, জিরা অথবা ধনেগুঁড়ার মতো সাধারণ কিছু মসলা দিয়ে এটি রান্না করা হয়। এটা রান্নার সময় মুগ ডালের সঙ্গে চালও ভেজে নিতে পারেন। এতে মুগ ডালের একটা ভিন্ন গন্ধ পাওয়া যাবে। হলুদের পরিবর্তে এতে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ মুগডাল।
উপকারিতা: শরীর উষ্ণ রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায়।

গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, আলু, টমেটো ইত্যাদি শীতের সবজি দিয়ে তৈরি রান্না করা সবজি খিচুড়ি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এর সঙ্গে শীতে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব শাক ও সবজি যোগ করতে হবে। সবজিগুলো ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
যে সবজিগুলো সেদ্ধ হতে বেশি সময় নেয়, সেগুলো আগে ভেজে নিন অথবা প্রেশার কুকারে দিন। এরপর তেল বা ঘিতে জিরা, তেজপাতা ও অন্যান্য মসলা দিয়ে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ভাজার পর সবজিগুলো হালকা ভেজে নিন। ভেজে রাখা সবজি, চাল, ডাল ও পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে বা হাঁড়িতে রান্না করুন। নরম খিচুড়ি চাইলে পানি বেশি দিতে পারেন। শেষ মুহূর্তে পালংসহ অন্য নরম শাক এতে যোগ করতে পারেন।
উপকারিতা: এটি অন্যান্য উপকারের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

ঠান্ডা পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এই খিচুড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। চাল, মাষকলাইয়ের ডাল এবং তিল এর প্রধান উপকরণ। রান্নার আগে চাল ও ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। তিল হালকা ভেজে গুঁড়া করে নেওয়া হয়। তিল থেকে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি ও খনিজ উপাদান শীতের দিনে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। জিরা, হিং, হলুদ এবং লাল মরিচ গুঁড়ার সুগন্ধি মিশ্রণ এতে অনন্য স্বাদ যোগ করে। খাঁটি ঘি অথবা তেল-মসলার ফোড়ন দিয়ে এটি রান্না করা হয়। প্রোটিন, চর্বি এবং মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাবার শীত জয়ের এক অমোঘ হাতিয়ার হতে পারে।
উপকারিতা: এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

সচরাচর খাওয়া হয় এমন কোনো খিচুড়ি খেতে না চাইলে রান্না করতে পারেন আমলকী খিচুড়ি। এটি কোনো সাধারণ খাবার নয়। এ খিচুড়ি রান্না করা হয় চাল, খোসা ছাড়ানো কালো মাষকলাইয়ের ডাল এবং তাজা আমলকী দিয়ে। নরম ধরনের এ খিচুড়ির স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে রান্নায় জিরা, হিং, হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো এতে রাজকীয় স্বাদ যোগ করবে। সবশেষে ঘি বা তেলের সুগন্ধি ফোড়ন এই খিচুড়িকে করে তোলে আরও সুস্বাদু। কেউ চাইলে এই খিচুড়ির পুষ্টিমান আরও বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক সবজি যোগ করতে পারেন। শীতের এই উৎসবের দিনগুলোতে শরীর সতেজ রাখতে এবং রসনা তৃপ্তিতে আমলকী খিচুড়ি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
উপকারিতা: এটি শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া শরীর ডিটক্সে সহায়তা করে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়, গ্যাস্ট্রিক কমায়, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক। শীতকালীন ক্লান্তি দূর করতে এবং ঋতু পরিবর্তনের অসুস্থতা থেকে বাঁচতে খিচুড়ি একটি আদর্শ খাবার। এটি সহজে হজম হয়।
পুষ্টিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী, খিচুড়ির প্রতিটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এতে থাকা চাল থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত শর্করা ও শক্তি। ডাল জোগায় প্রোটিন ও আঁশ, যা হজমে বিশেষভাবে সাহায্য করে। ঘি শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখতে এবং পুষ্টি শোষণে সহায়ক। হলুদে থাকা কারকিউমিন ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে এবং আদা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীর উষ্ণ রাখে। খিচুড়িতে সবজি যোগ করলে আঁশের মাত্রা বাড়ে। গোলমরিচ ও জিরার মতো মসলা বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে। এ ছাড়া সাবুদানার খিচুড়ি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে কার্যকর।

চাল ও মুগ ডালের মিশেলে তৈরি এই খিচুড়ি যেমন সহজপাচ্য, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর বিশেষত্বের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে মসলায়। একেবারে হলুদ, লবণ, জিরা অথবা ধনেগুঁড়ার মতো সাধারণ কিছু মসলা দিয়ে এটি রান্না করা হয়। এটা রান্নার সময় মুগ ডালের সঙ্গে চালও ভেজে নিতে পারেন। এতে মুগ ডালের একটা ভিন্ন গন্ধ পাওয়া যাবে। হলুদের পরিবর্তে এতে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ মুগডাল।
উপকারিতা: শরীর উষ্ণ রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগায়।

গাজর, মটরশুঁটি, ফুলকপি, আলু, টমেটো ইত্যাদি শীতের সবজি দিয়ে তৈরি রান্না করা সবজি খিচুড়ি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এর সঙ্গে শীতে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব শাক ও সবজি যোগ করতে হবে। সবজিগুলো ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে।
যে সবজিগুলো সেদ্ধ হতে বেশি সময় নেয়, সেগুলো আগে ভেজে নিন অথবা প্রেশার কুকারে দিন। এরপর তেল বা ঘিতে জিরা, তেজপাতা ও অন্যান্য মসলা দিয়ে পেঁয়াজ, আদা, রসুন ভাজার পর সবজিগুলো হালকা ভেজে নিন। ভেজে রাখা সবজি, চাল, ডাল ও পানি দিয়ে প্রেশার কুকারে বা হাঁড়িতে রান্না করুন। নরম খিচুড়ি চাইলে পানি বেশি দিতে পারেন। শেষ মুহূর্তে পালংসহ অন্য নরম শাক এতে যোগ করতে পারেন।
উপকারিতা: এটি অন্যান্য উপকারের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

ঠান্ডা পাহাড়ি অঞ্চলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এই খিচুড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়। চাল, মাষকলাইয়ের ডাল এবং তিল এর প্রধান উপকরণ। রান্নার আগে চাল ও ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়। তিল হালকা ভেজে গুঁড়া করে নেওয়া হয়। তিল থেকে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি ও খনিজ উপাদান শীতের দিনে শরীরের জন্য খুবই উপকারী। জিরা, হিং, হলুদ এবং লাল মরিচ গুঁড়ার সুগন্ধি মিশ্রণ এতে অনন্য স্বাদ যোগ করে। খাঁটি ঘি অথবা তেল-মসলার ফোড়ন দিয়ে এটি রান্না করা হয়। প্রোটিন, চর্বি এবং মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাবার শীত জয়ের এক অমোঘ হাতিয়ার হতে পারে।
উপকারিতা: এটি শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

সচরাচর খাওয়া হয় এমন কোনো খিচুড়ি খেতে না চাইলে রান্না করতে পারেন আমলকী খিচুড়ি। এটি কোনো সাধারণ খাবার নয়। এ খিচুড়ি রান্না করা হয় চাল, খোসা ছাড়ানো কালো মাষকলাইয়ের ডাল এবং তাজা আমলকী দিয়ে। নরম ধরনের এ খিচুড়ির স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে রান্নায় জিরা, হিং, হলুদ ও লাল মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো এতে রাজকীয় স্বাদ যোগ করবে। সবশেষে ঘি বা তেলের সুগন্ধি ফোড়ন এই খিচুড়িকে করে তোলে আরও সুস্বাদু। কেউ চাইলে এই খিচুড়ির পুষ্টিমান আরও বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক সবজি যোগ করতে পারেন। শীতের এই উৎসবের দিনগুলোতে শরীর সতেজ রাখতে এবং রসনা তৃপ্তিতে আমলকী খিচুড়ি হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।
উপকারিতা: এটি শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া শরীর ডিটক্সে সহায়তা করে, হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়, গ্যাস্ট্রিক কমায়, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সহায়ক।

চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপনে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকত
২০ এপ্রিল ২০২৪
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেআলমগীর আলম

তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
১. হজমশক্তি বৃদ্ধিতে: বদহজমের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতা দারুণ মুক্তি দিতে পারে। অন্যদিকে, লবঙ্গ এনজাইম নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
২. ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে: আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ বা ফোলা ভাব রোধে তেজপাতা ও লবঙ্গ লড়তে সাহায্য করে।
৩. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর সঙ্গে তেজপাতা যুক্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়, যা বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লু মৌসুমে সুরক্ষা দেয়।
৪. দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে: এই চা শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে হৃদ্রোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে পায়।
৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: লবঙ্গ তেল দাঁতের জন্য উপকারী হিসেবে স্বীকৃত। নিয়মিত লবঙ্গ চা পান করলে মাড়ি ও দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
উপকরণ সংগ্রহ করা এবং এই চা তৈরি করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ—
উপকরণ: ৩-৪টি শুকনো তেজপাতা, ৫-৬টি আস্ত লবঙ্গ এবং ৪ কাপ পানি। স্বাদ বাড়াতে মধু বা লেবু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রণালি: প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। তাতে তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ১৫ মিনিট মিশ্রণটি সেদ্ধ করার পর চুলা নিভিয়ে আরও ৫ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তেজপাতা ও লবঙ্গ ফেলে দিয়ে পানি আলাদা করে নিন। স্বাদ অনুযায়ী মধু কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এক কাপ এই চা-পান করা ভালো; বিশেষ করে খাবারের পর এটি পান করলে হজমশক্তি বাড়াতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
লেখক: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
১. হজমশক্তি বৃদ্ধিতে: বদহজমের সমস্যায় ভুগলে তেজপাতা দারুণ মুক্তি দিতে পারে। অন্যদিকে, লবঙ্গ এনজাইম নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমপ্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
২. ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে: আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে যাঁরা ভোগেন, তাঁদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশের প্রদাহ বা ফোলা ভাব রোধে তেজপাতা ও লবঙ্গ লড়তে সাহায্য করে।
৩. রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া
ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর সঙ্গে তেজপাতা যুক্ত হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়, যা বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লু মৌসুমে সুরক্ষা দেয়।
৪. দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে: এই চা শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে হৃদ্রোগ এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে পায়।
৫. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায়: লবঙ্গ তেল দাঁতের জন্য উপকারী হিসেবে স্বীকৃত। নিয়মিত লবঙ্গ চা পান করলে মাড়ি ও দাঁত সুস্থ রাখা সম্ভব।
উপকরণ সংগ্রহ করা এবং এই চা তৈরি করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ—
উপকরণ: ৩-৪টি শুকনো তেজপাতা, ৫-৬টি আস্ত লবঙ্গ এবং ৪ কাপ পানি। স্বাদ বাড়াতে মধু বা লেবু ব্যবহার করতে পারেন।
প্রণালি: প্রথমে একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। তাতে তেজপাতা ও লবঙ্গ দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। ১৫ মিনিট মিশ্রণটি সেদ্ধ করার পর চুলা নিভিয়ে আরও ৫ মিনিট পাত্রটি ঢেকে রেখে দিন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তেজপাতা ও লবঙ্গ ফেলে দিয়ে পানি আলাদা করে নিন। স্বাদ অনুযায়ী মধু কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এক কাপ এই চা-পান করা ভালো; বিশেষ করে খাবারের পর এটি পান করলে হজমশক্তি বাড়াতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
লেখক: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপনে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকত
২০ এপ্রিল ২০২৪
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪৪ মিনিট আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার এমন এক সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় রান্নাঘরে চলে যায় এবং খাবার খেতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র স্মৃতি থাকে না। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা করে। এক রাতে একাধিকবারও ঘুমের ঘোরে খাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের বিচিত্র রূপ
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঘুমের ঘোরে খাওয়ার সময় তিন ধরনের ঘটনা ঘটে।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া: আক্রান্ত হওয়া মানুষ সাধারণত ক্যান্ডি, চিপস অথবা কেকের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অস্বাভাবিক সংমিশ্রণের খাবার খাওয়া: অনেক সময় তারা অত্যন্ত অদ্ভুত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ তৈরি করে। যেমন সিগারেটে মাখন মাখিয়ে খাওয়া কিংবা অন্য কোনো অখাদ্য বস্তু খাওয়া।
দ্রুততম সময়ে খাবার খাওয়া: বিছানা থেকে রান্নাঘর হয়ে পুনরায় বিছানায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। ফলে তারা খুব দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলে।
ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব
এসআরইডির প্রভাব কেবল ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে আছে—
কেন এমন হয়
এসআরইডির নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ না থাকলেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন—
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিষণ্নতা বা ঘুমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে এটি হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে।
জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং অ্যালকোহল অথবা মাদক ত্যাগের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
এই রহস্যময় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা জরুরি। এর প্রতিকারে যা করা যেতে পারে—
সূত্র: সিএনএন হেলথ, এএসএসএম

ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার এমন এক সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে অবচেতন অবস্থায় রান্নাঘরে চলে যায় এবং খাবার খেতে শুরু করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র স্মৃতি থাকে না। সাধারণত এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি রাতেই এমনটা করে। এক রাতে একাধিকবারও ঘুমের ঘোরে খাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
খাদ্যাভ্যাসের বিচিত্র রূপ
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির খাওয়ার ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত ঘুমের ঘোরে খাওয়ার সময় তিন ধরনের ঘটনা ঘটে।
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া: আক্রান্ত হওয়া মানুষ সাধারণত ক্যান্ডি, চিপস অথবা কেকের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ে।
অস্বাভাবিক সংমিশ্রণের খাবার খাওয়া: অনেক সময় তারা অত্যন্ত অদ্ভুত ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের সংমিশ্রণ তৈরি করে। যেমন সিগারেটে মাখন মাখিয়ে খাওয়া কিংবা অন্য কোনো অখাদ্য বস্তু খাওয়া।
দ্রুততম সময়ে খাবার খাওয়া: বিছানা থেকে রান্নাঘর হয়ে পুনরায় বিছানায় ফিরে আসার পুরো প্রক্রিয়াটি মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে শেষ হতে পারে। ফলে তারা খুব দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলে।
ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাব
এসআরইডির প্রভাব কেবল ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দীর্ঘ মেয়াদে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এসব প্রভাবের মধ্যে আছে—
কেন এমন হয়
এসআরইডির নির্দিষ্ট কোনো একক কারণ না থাকলেও বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। যেমন—
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বিষণ্নতা বা ঘুমের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের প্রভাবে এটি হতে পারে।
অন্যান্য রোগ: রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে।
জীবনযাত্রা: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম এবং অ্যালকোহল অথবা মাদক ত্যাগের পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা
এই রহস্যময় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসা জরুরি। এর প্রতিকারে যা করা যেতে পারে—
সূত্র: সিএনএন হেলথ, এএসএসএম

চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপনে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকত
২০ এপ্রিল ২০২৪
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪৪ মিনিট আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়।
৩ ঘণ্টা আগেডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী

দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। কাশি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট এবং চিকিৎসাযোগ্য ছয়টি কারণ থাকে।
কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা
অ্যাজমার একটি বিশেষ ধরন এটি। এতে সাধারণ অ্যাজমার মতো শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বা সাঁ সাঁ শব্দ না-ও থাকতে পারে; বরং অবিরাম শুকনো কাশিই এর প্রধান এবং অন্যতম উপসর্গ হয়ে দেখা দেয়। এই ধরনের কাশি সাধারণত রাতে বেশি হয় এবং ধুলাবালি, ঠান্ডা বাতাস, ঘরবাড়ির অ্যালার্জেন, এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময় শীতের শুরুতেও উপসর্গ তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
উপসর্গ বারবার দেখা দিলে চিকিৎসক শ্বাসক্রিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারেন। স্পাইরোমেট্রি ফুসফুসের ক্ষমতা এবং বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ করে, যা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) মতো অবস্থা নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজন হলে রোগ নিয়ন্ত্রণে উপযোগী ইনহেলার সাময়িক ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। সঠিক সময়ে এ রোগ শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
পোস্টন্যাসাল ড্রিপ
নাক কিংবা সাইনাসে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি হলে তা ধীরে ধীরে গলার পেছন দিকে গড়িয়ে যায়। এই মিউকাস গলার সংবেদনশীল নার্ভগুলো উত্তেজিত করে। ফলে শুকনো ও বিরক্তিকর কাশি হয়। শোয়ার সময় মিউকাস গলায় জমে বলে এটি রাত ও ভোরে বেশি হয়। তবে ঘুম থেকে ওঠার পরও কাশি দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত হাঁচি-সর্দি, সাইনোসাইটিস, নাকের হাড় বাঁকা হওয়ার সমস্যা, নাক বন্ধ বা ধুলাবালিতে সংবেদনশীলতা যাঁদের আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশির অন্যতম প্রচলিত উৎস এই পোস্টন্যাসাল ড্রিপ।
জিইআরডি
পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরের দিকে উঠে এলে টক ঢেকুর, বুকজ্বালা, গলায় জ্বালাপোড়া এবং সঙ্গে ধারাবাহিক কাশি দেখা দিতে পারে। মসলাদার খাবার, ভাজাপোড়া, চকলেট, কফি, টক খাবার—এসব জিইআরডি বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও ঝুঁকির মাত্রা বাড়ায়। জিইআরডি নিয়ন্ত্রণে আনলে অনেক ক্ষেত্রে কাশি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ভাইরাল সংক্রমণের পর দীর্ঘস্থায়ী কাশি
অনেক সময় সর্দি-জ্বরের উপসর্গ সেরে গেলেও শ্বাসনালি কিছুদিন অতি সংবেদনশীল থাকে। এর ফলে কাশি স্থায়ী হতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই ধীরে ধীরে এর উপসর্গ কমে আসে। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা এবং আদা, লেবু, মধু, লবঙ্গ বা দারুচিনিযুক্ত গরম চা উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এসিই ইনহিবিটর শ্রেণির ওষুধ অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। নিয়মিত কাশির কারণ খুঁজেনা পেলে ওষুধের ইতিহাস পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসক বিকল্প ওষুধ বেছে নেন।
ধূমপান
দীর্ঘদিন ধূমপান, বিশেষত প্রতিদিন ২০টি সিগারেট বা ২০ বছর অথবা তার বেশি সময় ধরে ধূমপান ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এতে বছরের বিভিন্ন সময়ে ক্রনিক কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি গুরুতর অবস্থায় রূপ নিতে পারে। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মূল উপায়।
দীর্ঘস্থায়ী বা অবিরাম কাশি সব সময় গুরুতর রোগের লক্ষণ না হলেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। উপসর্গ যদি কয়েক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে কারণ নির্ণয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

দীর্ঘদিনের শুকনো কাশি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। অনেক সময় সাধারণ সর্দি-জ্বরের পরেও সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা কখনো মাসের পর মাস স্থায়ী হতে পারে এ ধরনের কাশি। ফলে দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ ও কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দেয়। কাশি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট এবং চিকিৎসাযোগ্য ছয়টি কারণ থাকে।
কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা
অ্যাজমার একটি বিশেষ ধরন এটি। এতে সাধারণ অ্যাজমার মতো শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বা সাঁ সাঁ শব্দ না-ও থাকতে পারে; বরং অবিরাম শুকনো কাশিই এর প্রধান এবং অন্যতম উপসর্গ হয়ে দেখা দেয়। এই ধরনের কাশি সাধারণত রাতে বেশি হয় এবং ধুলাবালি, ঠান্ডা বাতাস, ঘরবাড়ির অ্যালার্জেন, এমনকি ঋতু পরিবর্তনের সময় শীতের শুরুতেও উপসর্গ তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
উপসর্গ বারবার দেখা দিলে চিকিৎসক শ্বাসক্রিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করতে পারেন। স্পাইরোমেট্রি ফুসফুসের ক্ষমতা এবং বায়ুপ্রবাহ পরিমাপ করে, যা হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) মতো অবস্থা নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজন হলে রোগ নিয়ন্ত্রণে উপযোগী ইনহেলার সাময়িক ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। সঠিক সময়ে এ রোগ শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ করা গেলে দীর্ঘ মেয়াদে জটিলতার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
পোস্টন্যাসাল ড্রিপ
নাক কিংবা সাইনাসে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরি হলে তা ধীরে ধীরে গলার পেছন দিকে গড়িয়ে যায়। এই মিউকাস গলার সংবেদনশীল নার্ভগুলো উত্তেজিত করে। ফলে শুকনো ও বিরক্তিকর কাশি হয়। শোয়ার সময় মিউকাস গলায় জমে বলে এটি রাত ও ভোরে বেশি হয়। তবে ঘুম থেকে ওঠার পরও কাশি দেখা যায়। অ্যালার্জিজনিত হাঁচি-সর্দি, সাইনোসাইটিস, নাকের হাড় বাঁকা হওয়ার সমস্যা, নাক বন্ধ বা ধুলাবালিতে সংবেদনশীলতা যাঁদের আছে, তাঁদের এই সমস্যা বেশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশির অন্যতম প্রচলিত উৎস এই পোস্টন্যাসাল ড্রিপ।
জিইআরডি
পাকস্থলীর অ্যাসিড ওপরের দিকে উঠে এলে টক ঢেকুর, বুকজ্বালা, গলায় জ্বালাপোড়া এবং সঙ্গে ধারাবাহিক কাশি দেখা দিতে পারে। মসলাদার খাবার, ভাজাপোড়া, চকলেট, কফি, টক খাবার—এসব জিইআরডি বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান বা অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও ঝুঁকির মাত্রা বাড়ায়। জিইআরডি নিয়ন্ত্রণে আনলে অনেক ক্ষেত্রে কাশি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ভাইরাল সংক্রমণের পর দীর্ঘস্থায়ী কাশি
অনেক সময় সর্দি-জ্বরের উপসর্গ সেরে গেলেও শ্বাসনালি কিছুদিন অতি সংবেদনশীল থাকে। এর ফলে কাশি স্থায়ী হতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। সাধারণত বিশেষ চিকিৎসা ছাড়াই ধীরে ধীরে এর উপসর্গ কমে আসে। হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা এবং আদা, লেবু, মধু, লবঙ্গ বা দারুচিনিযুক্ত গরম চা উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এসিই ইনহিবিটর শ্রেণির ওষুধ অনেক রোগীর ক্ষেত্রে শুকনো কাশির কারণ হতে পারে। নিয়মিত কাশির কারণ খুঁজেনা পেলে ওষুধের ইতিহাস পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসক বিকল্প ওষুধ বেছে নেন।
ধূমপান
দীর্ঘদিন ধূমপান, বিশেষত প্রতিদিন ২০টি সিগারেট বা ২০ বছর অথবা তার বেশি সময় ধরে ধূমপান ক্রনিক ব্রংকাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। এতে বছরের বিভিন্ন সময়ে ক্রনিক কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি গুরুতর অবস্থায় রূপ নিতে পারে। ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মূল উপায়।
দীর্ঘস্থায়ী বা অবিরাম কাশি সব সময় গুরুতর রোগের লক্ষণ না হলেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। উপসর্গ যদি কয়েক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে কারণ নির্ণয় করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সহকারী অধ্যাপক (ইএনটি), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চলমান তাপপ্রবাহের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ। আজকের পত্রিকার সঙ্গে একান্ত আলাপনে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে তা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকত
২০ এপ্রিল ২০২৪
শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ধোঁয়া ওঠা এক বাটি খিচুড়ির চেয়ে আরামদায়ক আর কী হতে পারে। খিচুড়ি শুধু একটি খাবার নয়। শীতকাল মানে আরাম করে হরেক রকমের সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। এতে যেমন মন ভরে, তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর এ খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
৪৪ মিনিট আগে
তেজপাতা ও লবঙ্গ—উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী ও ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণাবলি, যা শরীরের ভেতরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তবে এই চা সাধারণত সবার জন্য নিরাপদ হলেও গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে
ঘুমের ঘোরে হাঁটার কথা আমরা অনেকে শুনেছি। কিন্তু ঘুমের ঘোরে খাওয়ার কথা কি শুনেছেন? চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় স্লিপ-রিলেটেড ইটিং ডিসঅর্ডার। এই উড়িয়ে দেওয়ার মতো ছোট ঘটনা একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে