মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মামুন মিয়ার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে হাতের কেটে যাওয়া ধমনি ও শিরা জোড়া লাগাতে তাৎক্ষণিক রক্তনালির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে ওই সুবিধা ছিল না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যখন তাঁকে আনা হয়, ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে ১০ ঘণ্টার বেশি। এর আগেই হাতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, মরে যায় পেশির কোষ। চিকিৎসকের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মাংসপেশিতে পচন ধরায় ট্রাক্টরচালক মামুনের ডান হাত কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়।
শুধু মামুন নয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অন্তত ৩০ জন হাত অথবা পা হারিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকের ধমনি বা শিরা কেটে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁদের অনেকের জীবন বাঁচাতেও হাত বা পা কেটে ফেলতে হচ্ছে। অথচ সময়মতো অস্ত্রোপচার করে রক্তনালি জোড়া লাগানো গেলে তাঁদের অঙ্গহানি হতো না। তবে ১৮ কোটি মানুষের দেশে রক্তনালির শল্যচিকিৎসক বা ভাসকুলার সার্জন মাত্র ৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনই রাজধানী ও সাভারে। রক্তনালির জরুরি অস্ত্রোপচারের সুবিধা আছে মাত্র একটি হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় ভাসকুলার সার্জনের সংখ্যা খুবই কম। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক বাড়ানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে ভাসকুলার সার্জনদের পদ সৃষ্টির বিষয়টিও রাখা হয়েছে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে বেশিসংখ্যক চিকিৎসক ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
দেশে প্রতিবছর দুর্ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। তাদের অনেকের ধমনি ও শিরা কেটে যায়। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, কিডনি ও হৃদ্রোগীদেরও কখনো কখনো রক্তনালির চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়। তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে দুই কোটির বেশি ডায়াবেটিস রোগী, প্রায় আড়াই কোটি বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগী এবং হৃদ্রোগী রয়েছে। হার্টে ব্লকের মতো রক্তনালিও ব্লক হয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন বলছে, শরীরে ধমনি (আটারি), রক্তনালি, শিরা (ভেইন) ও রক্ত বহনকারী ক্ষুদ্র কৈশিকনালির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে ভাসকুলার রোগ বলে। ধমনি ও শিরার মাধ্যমে পা বা হাতে রক্ত সঞ্চালন হয়। কোনো কারণে ধমনি বা শিরা ছিঁড়ে বা কেটে গেলে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ছয় ঘণ্টার বেশি রক্ত সঞ্চালন না হলে সেখানের কোষগুলো মরে গিয়ে মাংসে পচন ধরে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী এলসেভিয়ারে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মৃত্যুর ৩২ শতাংশই হচ্ছে কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদ্রোগ ও রক্তনালির রোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি)। এসব রোগে বিশ্বে বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
ভাসকুলার সার্জনরা বলছেন, দুর্ঘটনা বা গুলিতে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই অস্ত্রোপচার করে রক্তনালিগুলোর সংযোগ করতে হবে। এতে দেরি হলে বা রক্তনালি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর জখম হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়। বয়স, জীবনাচার, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনি রোগীসহ যেকোনো মানুষের রক্তনালিতে রোগ বা ব্লক হতে পারে।
রক্তনালির শল্যচিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটি (বিভিএস) বলছে, দেশে কত সংখ্যক মানুষের ভাসকুলার চিকিৎসা প্রয়োজন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে মোট রোগীর ৫ শতাংশের কম এই সেবা পাচ্ছে। সারা দেশে যে ৫৩ জন ভাসকুলার সার্জন আছেন, তাঁদের সিংহভাগই সম্মিলিতভাবে কার্ডিয়াক, থোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারিতে ডিগ্রিধারী। স্বতন্ত্রভাবে ভাসকুলার সার্জারিতে ডিগ্রিধারীর সংখ্যা খুব কম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মো. সাইফ উল্লাহ খান বলেন, ভাসকুলার সার্জারির চিকিৎসার প্রসার বাড়াতে বিশেষজ্ঞ সার্জন তৈরি করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সারা দেশে সরকারিভাবে পদ সৃষ্টি করতে হবে। দেশে অন্তত হাজারের বেশি ভাসকুলার সার্জন প্রয়োজন। কিন্তু আছেন মাত্র ৫৩ জন।
দেশে ভাসকুলার সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ তৈরির প্রতিষ্ঠানও তেমন নেই। ভাসকুলার সার্জারিতে মাস্টার্স অব সার্জারি (এমএস) ডিগ্রি চালুই হয়েছে সাত বছর আগে। বছরে এ ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আটজন। এ ছাড়া বছরে কার্ডিওভাসকুলার (হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালি) সার্জারিতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে এফসিপিএস নিচ্ছেন অন্তত ১৫ চিকিৎসক। তাঁরা প্রশিক্ষণ নেন বিএসএমএমইউ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রির্সাচ ইনস্টিটিউট, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট (এনআইসিভিডি), বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বিএসএমএমইউর তথ্য অনুযায়ী, একবিংশ শতাব্দীর আগে দেশে আলাদাভাবে ভাসকুলার সার্জারি চিকিৎসা তেমন ছিল না। তখন পর্যন্ত দুজন কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ছিলেন। ২০০০ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভাসকুলার সার্জারি শাখা ও ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ খোলা হয়। বিএসএমএমইউতে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ খোলা হয় ২০০৪ সালে। বিএসএমএমইউতে ২০১৭ সালে এবং হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ২০২৩ সালে ভাসকুলার সার্জারিতে মাস্টার্স অব সার্জারির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বিভিন্ন সূত্র বলেছে, দেশে ভাসকুলার সার্জারির জরুরি বিভাগ রয়েছে শুধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। দেশে থাকা ৫৩ জন ভাসকুলার সার্জনের মধ্যে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ২৭ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুটি পদের বিপরীতে একজন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে দুজনের বিপরীতে একজন, ঢাকার সিএমএইচে একজন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনটি পদের বিপরীতে একজন, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন এবং বিএসএমএমইউতে ৯টি পদের বিপরীতে চারজন রয়েছেন। নিটোরে দুটি পদ থাকলেও বর্তমানে শূন্য। বেসরকারি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়জন সার্জন রয়েছেন। রাজধানীর প্রথম সারির কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাসকুলার সার্জারির চিকিৎসা দেওয়া হলেও এগুলোর নিজস্ব সার্জন নেই। ফলে ভাসকুলার সার্জারির মূল ভরসা এখনো জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটির মহাসচিব, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, ভাসকুলার চিকিৎসার পুরোটাই বর্তমানে রাজধানীকেন্দ্রিক। তাই জরুরি মুহূর্তে অস্ত্রোপচারের সুবিধার জন্য সারা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় ভাসকুলার চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারণ, শুধু সময়ের অভাবে অনেক রোগীর জীবন বাঁচাতে হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থোপেডিক সার্জারির সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে সমন্বিতভাবে ভাসকুলার সার্জারির সুবিধাও থাকতে হবে। কারণ, দুর্ঘটনায় হাত-পা ভাঙলে ও জখম হলে রক্তনালি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন ক্ষেত্রে সমন্বিত অস্ত্রোপচার না করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচাতে হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ কেটে না ফেললে পরবর্তী সময়ে রোগীর শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি হয়। এতে মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ও বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান মুহম্মদ বাশার বলেন, ‘কার্ডিওভাসকুলারে যাঁরা ডিগ্রি নিচ্ছেন, তাঁরা কার্ডিয়াক সার্জারিতেই বেশি গুরুত্ব দেন। দেশে অনেক ভাসকুলার সার্জন প্রয়োজন। আমরা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। একই সঙ্গে দেশের বিভাগীয় সরকারি মেডিকেল কলেজে ভাসকুলার সার্জারির পূর্ণাঙ্গ সেটআপ করার প্রস্তাব করেছি।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মামুন মিয়ার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে হাতের কেটে যাওয়া ধমনি ও শিরা জোড়া লাগাতে তাৎক্ষণিক রক্তনালির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে ওই সুবিধা ছিল না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যখন তাঁকে আনা হয়, ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে ১০ ঘণ্টার বেশি। এর আগেই হাতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, মরে যায় পেশির কোষ। চিকিৎসকের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মাংসপেশিতে পচন ধরায় ট্রাক্টরচালক মামুনের ডান হাত কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়।
শুধু মামুন নয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অন্তত ৩০ জন হাত অথবা পা হারিয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকের ধমনি বা শিরা কেটে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁদের অনেকের জীবন বাঁচাতেও হাত বা পা কেটে ফেলতে হচ্ছে। অথচ সময়মতো অস্ত্রোপচার করে রক্তনালি জোড়া লাগানো গেলে তাঁদের অঙ্গহানি হতো না। তবে ১৮ কোটি মানুষের দেশে রক্তনালির শল্যচিকিৎসক বা ভাসকুলার সার্জন মাত্র ৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনই রাজধানী ও সাভারে। রক্তনালির জরুরি অস্ত্রোপচারের সুবিধা আছে মাত্র একটি হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় ভাসকুলার সার্জনের সংখ্যা খুবই কম। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় চিকিৎসক বাড়ানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে ভাসকুলার সার্জনদের পদ সৃষ্টির বিষয়টিও রাখা হয়েছে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে বেশিসংখ্যক চিকিৎসক ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।
দেশে প্রতিবছর দুর্ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়। তাদের অনেকের ধমনি ও শিরা কেটে যায়। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, কিডনি ও হৃদ্রোগীদেরও কখনো কখনো রক্তনালির চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়। তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে দুই কোটির বেশি ডায়াবেটিস রোগী, প্রায় আড়াই কোটি বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগী এবং হৃদ্রোগী রয়েছে। হার্টে ব্লকের মতো রক্তনালিও ব্লক হয়ে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়েল স্কুল অব মেডিসিন বলছে, শরীরে ধমনি (আটারি), রক্তনালি, শিরা (ভেইন) ও রক্ত বহনকারী ক্ষুদ্র কৈশিকনালির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াকে ভাসকুলার রোগ বলে। ধমনি ও শিরার মাধ্যমে পা বা হাতে রক্ত সঞ্চালন হয়। কোনো কারণে ধমনি বা শিরা ছিঁড়ে বা কেটে গেলে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। ছয় ঘণ্টার বেশি রক্ত সঞ্চালন না হলে সেখানের কোষগুলো মরে গিয়ে মাংসে পচন ধরে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী এলসেভিয়ারে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মৃত্যুর ৩২ শতাংশই হচ্ছে কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদ্রোগ ও রক্তনালির রোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি)। এসব রোগে বিশ্বে বছরে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
ভাসকুলার সার্জনরা বলছেন, দুর্ঘটনা বা গুলিতে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই অস্ত্রোপচার করে রক্তনালিগুলোর সংযোগ করতে হবে। এতে দেরি হলে বা রক্তনালি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর জখম হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়। বয়স, জীবনাচার, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনি রোগীসহ যেকোনো মানুষের রক্তনালিতে রোগ বা ব্লক হতে পারে।
রক্তনালির শল্যচিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটি (বিভিএস) বলছে, দেশে কত সংখ্যক মানুষের ভাসকুলার চিকিৎসা প্রয়োজন, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে মোট রোগীর ৫ শতাংশের কম এই সেবা পাচ্ছে। সারা দেশে যে ৫৩ জন ভাসকুলার সার্জন আছেন, তাঁদের সিংহভাগই সম্মিলিতভাবে কার্ডিয়াক, থোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারিতে ডিগ্রিধারী। স্বতন্ত্রভাবে ভাসকুলার সার্জারিতে ডিগ্রিধারীর সংখ্যা খুব কম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মো. সাইফ উল্লাহ খান বলেন, ভাসকুলার সার্জারির চিকিৎসার প্রসার বাড়াতে বিশেষজ্ঞ সার্জন তৈরি করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সারা দেশে সরকারিভাবে পদ সৃষ্টি করতে হবে। দেশে অন্তত হাজারের বেশি ভাসকুলার সার্জন প্রয়োজন। কিন্তু আছেন মাত্র ৫৩ জন।
দেশে ভাসকুলার সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ তৈরির প্রতিষ্ঠানও তেমন নেই। ভাসকুলার সার্জারিতে মাস্টার্স অব সার্জারি (এমএস) ডিগ্রি চালুই হয়েছে সাত বছর আগে। বছরে এ ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আটজন। এ ছাড়া বছরে কার্ডিওভাসকুলার (হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালি) সার্জারিতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে এফসিপিএস নিচ্ছেন অন্তত ১৫ চিকিৎসক। তাঁরা প্রশিক্ষণ নেন বিএসএমএমইউ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রির্সাচ ইনস্টিটিউট, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট (এনআইসিভিডি), বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বিএসএমএমইউর তথ্য অনুযায়ী, একবিংশ শতাব্দীর আগে দেশে আলাদাভাবে ভাসকুলার সার্জারি চিকিৎসা তেমন ছিল না। তখন পর্যন্ত দুজন কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ছিলেন। ২০০০ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভাসকুলার সার্জারি শাখা ও ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ খোলা হয়। বিএসএমএমইউতে পূর্ণাঙ্গ বিভাগ খোলা হয় ২০০৪ সালে। বিএসএমএমইউতে ২০১৭ সালে এবং হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ২০২৩ সালে ভাসকুলার সার্জারিতে মাস্টার্স অব সার্জারির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বিভিন্ন সূত্র বলেছে, দেশে ভাসকুলার সার্জারির জরুরি বিভাগ রয়েছে শুধু জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। দেশে থাকা ৫৩ জন ভাসকুলার সার্জনের মধ্যে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ২৭ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুটি পদের বিপরীতে একজন, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে দুজনের বিপরীতে একজন, ঢাকার সিএমএইচে একজন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনটি পদের বিপরীতে একজন, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে একজন এবং বিএসএমএমইউতে ৯টি পদের বিপরীতে চারজন রয়েছেন। নিটোরে দুটি পদ থাকলেও বর্তমানে শূন্য। বেসরকারি ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়জন সার্জন রয়েছেন। রাজধানীর প্রথম সারির কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভাসকুলার সার্জারির চিকিৎসা দেওয়া হলেও এগুলোর নিজস্ব সার্জন নেই। ফলে ভাসকুলার সার্জারির মূল ভরসা এখনো জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটির মহাসচিব, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, ভাসকুলার চিকিৎসার পুরোটাই বর্তমানে রাজধানীকেন্দ্রিক। তাই জরুরি মুহূর্তে অস্ত্রোপচারের সুবিধার জন্য সারা দেশের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোয় ভাসকুলার চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কারণ, শুধু সময়ের অভাবে অনেক রোগীর জীবন বাঁচাতে হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থোপেডিক সার্জারির সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে সমন্বিতভাবে ভাসকুলার সার্জারির সুবিধাও থাকতে হবে। কারণ, দুর্ঘটনায় হাত-পা ভাঙলে ও জখম হলে রক্তনালি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন ক্ষেত্রে সমন্বিত অস্ত্রোপচার না করা গেলে রোগীর জীবন বাঁচাতে হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়। কারণ, ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ কেটে না ফেললে পরবর্তী সময়ে রোগীর শারীরিক বিভিন্ন ক্ষতি হয়। এতে মৃত্যুঝুঁকিও থাকে।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের প্রধান ও বাংলাদেশ ভাসকুলার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান মুহম্মদ বাশার বলেন, ‘কার্ডিওভাসকুলারে যাঁরা ডিগ্রি নিচ্ছেন, তাঁরা কার্ডিয়াক সার্জারিতেই বেশি গুরুত্ব দেন। দেশে অনেক ভাসকুলার সার্জন প্রয়োজন। আমরা হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। একই সঙ্গে দেশের বিভাগীয় সরকারি মেডিকেল কলেজে ভাসকুলার সার্জারির পূর্ণাঙ্গ সেটআপ করার প্রস্তাব করেছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মামুন মিয়ার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে হাতের কেটে যাওয়া ধমনি ও শিরা জোড়া লাগাতে তাৎক্ষণিক রক্তনালির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে ওই সুবিধা ছিল না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মামুন মিয়ার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে হাতের কেটে যাওয়া ধমনি ও শিরা জোড়া লাগাতে তাৎক্ষণিক রক্তনালির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে ওই সুবিধা ছিল না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মামুন মিয়ার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে হাতের কেটে যাওয়া ধমনি ও শিরা জোড়া লাগাতে তাৎক্ষণিক রক্তনালির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে ওই সুবিধা ছিল না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মামুন মিয়ার ডান হাত কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে হাতের কেটে যাওয়া ধমনি ও শিরা জোড়া লাগাতে তাৎক্ষণিক রক্তনালির অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন থাকলেও স্থানীয় কোনো হাসপাতালে ওই সুবিধা ছিল না। রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (
১২ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
২ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে