আব্দুর রহমান

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ যত বাড়ছে, ভয়াবহ কিছু পরিবেশগত বিপর্যয় তত দ্রুত মানবজাতির দিকে ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এরই মধ্যে ৫টি ভয়াবহ বিপর্যয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। আমাদের সামনে বিপর্যয়গুলো যেকোনো সময় প্রকট প্রভাব নিয়ে হাজির হতে পারে।
২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা প্রাক্-শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখা না গেলে আরও তিনটি বিপর্যয় অতি দ্রুতগতিতে আঘাত হানবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।
এসব পরিবর্তন রোখা সম্ভব না হলে আগামী শতকগুলোতে যেসব বিপর্যয় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তা ঠেকানো সম্ভব হবে না। এসব বিপর্যয় মানুষ ও প্রকৃতির এমন ক্ষতি করবে যে তা কোনোভাবেই সংশোধন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের টিম লেনটন বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে এবং এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, যা মানবজাতি আগে কখনো দেখেনি।’
টিপিং পয়েন্ট হলো এমন এক অবস্থা, যে ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় প্রকাশিত হওয়ার আগে ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয়।
টিম লেনটন বলছেন, পৃথিবী এখন যে টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে, সেগুলো এমন হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, যা মানবেতিহাসে কখনো দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ‘ডমিনো ইফেক্ট’ চালু করে দিতে পারে। এর ফলে পুরো পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। এর সামাজিক প্রভাব হিসেবে গণবাস্তুচ্যুতি দেখা দিতে পারে অর্থাৎ দুর্যোগের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হতে পারে। দেশে দেশে রাজনৈতিক ও আর্থিক বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে।
বিপর্যয়কর হিসেবে চিহ্নিত এই টিপিং পয়েন্টের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল বরফের গলে পড়া। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকে বায়ুপ্রবাহের চক্র ধ্বংস হওয়ার মতো বিষয়ও আছে।
তীব্র তাপপ্রবাহ বা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের মতো জলবায়ুর পরিবর্তনগুলো যেমন গ্রিনহাউস ইফেক্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়, উল্লিখিত পরিবর্তনগুলো সেভাবে ঘটে না। এই পরিবর্তনগুলো হঠাৎই ঘটে যায়। তাই এ ধরনের জলবায়ুগত পরিবর্তন আমাদের গ্রহব্যবস্থাকে হুট করেই চিরদিনের জন্য পাল্টে দিতে পারে।
ঠিক কখন এই বিপর্যয়গুলো ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে তাঁরা একটি বিষয় নিশ্চিত যে শিগগির আরও তিনটি বিপর্যয় এই তালিকায় যুক্ত হবে। সম্ভাব্য এই তিন বিপর্যয়ের একটি হলো—কিছু কিছু অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ ও নিচু এলাকার তৃণভূমি মরে যেতে পারে; পাশাপাশি বোরিয়াল ফরেস্ট নামে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাছাকাছি যে বনাঞ্চল আছে, তা-ও মরে যেতে পারে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেজোস আর্থ ফান্ডের অর্থায়নে ২ শতাধিক বিজ্ঞানীর একটি দল এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, উল্লিখিত সম্ভাব্য বিপর্যয়গুলোর কোনো একটি ঘটে গেলেই পৃথিবী আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং আমাদের আবহাওয়ার প্রবণতা চিরদিনের জন্য বদলে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘টিপিং ক্যাসকেড’ বা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে আমাদের বাস্তুতন্ত্র দৃঢ়ভাবে যুক্ত। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কোনো কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফস্তর গলে যায়, তাহলে আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভার টার্নিং সার্কুলেশন নামে আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে পানি প্রবাহের যে চক্র রয়েছে, তা বদলে যেতে পারে। এই স্রোত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আটলান্টিকের আশপাশের উপসাগরগুলোর পানিতে উত্তাপ সরবরাহ করে। ফলে পৃথিবীতে এল নিনোর অবস্থান আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনটা হলে খরা, তীব্র দাবদাহ ইত্যাদি তাপসংক্রান্ত বিপর্যয় বেড়ে যাবে।
জার্মানির পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক সিনা লরিয়ানি বলেন, ‘অনিশ্চয়তা থাকার পরও টিপিং পয়েন্ট ঝুঁকিগুলো আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর হয়ে দেখা দিতে পারে এবং বিষয়টি কোনোভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকির সর্বশেষ সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ফলে ধরিত্রী ব্যবস্থায় মৌলিক ও আকস্মিক কিছু পরিবর্তন সাধিত হতে পারে। এর ফলে সামনের এক শ বা হাজার বছরের জন্য আমাদের ধরিত্রী ব্যবস্থায় অপরিহার্য অংশগুলোর ভাগ্য অপরিবর্তনীয়ভাবে বদলে যেতে পারে।’
আন্তর্দেশীয় জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুর বিষয়টি অস্পষ্ট, কিন্তু পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকিগুলো থেকে উদ্ভূত বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে।
তবে পর্যালোচনায় কিছু আশার কথাও বলা হয়েছে, যেমন জলবায়ুগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি অনেক বাড়ছে। এই পরিবর্তনগুলো সহজে সম্ভব হতো না। কিন্তু বিপদ সামনে চলে আসায় তা দ্রুততর হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ যত বাড়ছে, ভয়াবহ কিছু পরিবেশগত বিপর্যয় তত দ্রুত মানবজাতির দিকে ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এরই মধ্যে ৫টি ভয়াবহ বিপর্যয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। আমাদের সামনে বিপর্যয়গুলো যেকোনো সময় প্রকট প্রভাব নিয়ে হাজির হতে পারে।
২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা প্রাক্-শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখা না গেলে আরও তিনটি বিপর্যয় অতি দ্রুতগতিতে আঘাত হানবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।
এসব পরিবর্তন রোখা সম্ভব না হলে আগামী শতকগুলোতে যেসব বিপর্যয় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তা ঠেকানো সম্ভব হবে না। এসব বিপর্যয় মানুষ ও প্রকৃতির এমন ক্ষতি করবে যে তা কোনোভাবেই সংশোধন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের টিম লেনটন বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে এবং এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, যা মানবজাতি আগে কখনো দেখেনি।’
টিপিং পয়েন্ট হলো এমন এক অবস্থা, যে ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় প্রকাশিত হওয়ার আগে ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয়।
টিম লেনটন বলছেন, পৃথিবী এখন যে টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে, সেগুলো এমন হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, যা মানবেতিহাসে কখনো দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ‘ডমিনো ইফেক্ট’ চালু করে দিতে পারে। এর ফলে পুরো পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। এর সামাজিক প্রভাব হিসেবে গণবাস্তুচ্যুতি দেখা দিতে পারে অর্থাৎ দুর্যোগের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হতে পারে। দেশে দেশে রাজনৈতিক ও আর্থিক বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে।
বিপর্যয়কর হিসেবে চিহ্নিত এই টিপিং পয়েন্টের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল বরফের গলে পড়া। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকে বায়ুপ্রবাহের চক্র ধ্বংস হওয়ার মতো বিষয়ও আছে।
তীব্র তাপপ্রবাহ বা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের মতো জলবায়ুর পরিবর্তনগুলো যেমন গ্রিনহাউস ইফেক্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়, উল্লিখিত পরিবর্তনগুলো সেভাবে ঘটে না। এই পরিবর্তনগুলো হঠাৎই ঘটে যায়। তাই এ ধরনের জলবায়ুগত পরিবর্তন আমাদের গ্রহব্যবস্থাকে হুট করেই চিরদিনের জন্য পাল্টে দিতে পারে।
ঠিক কখন এই বিপর্যয়গুলো ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে তাঁরা একটি বিষয় নিশ্চিত যে শিগগির আরও তিনটি বিপর্যয় এই তালিকায় যুক্ত হবে। সম্ভাব্য এই তিন বিপর্যয়ের একটি হলো—কিছু কিছু অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ ও নিচু এলাকার তৃণভূমি মরে যেতে পারে; পাশাপাশি বোরিয়াল ফরেস্ট নামে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাছাকাছি যে বনাঞ্চল আছে, তা-ও মরে যেতে পারে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেজোস আর্থ ফান্ডের অর্থায়নে ২ শতাধিক বিজ্ঞানীর একটি দল এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, উল্লিখিত সম্ভাব্য বিপর্যয়গুলোর কোনো একটি ঘটে গেলেই পৃথিবী আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং আমাদের আবহাওয়ার প্রবণতা চিরদিনের জন্য বদলে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘টিপিং ক্যাসকেড’ বা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে আমাদের বাস্তুতন্ত্র দৃঢ়ভাবে যুক্ত। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কোনো কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফস্তর গলে যায়, তাহলে আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভার টার্নিং সার্কুলেশন নামে আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে পানি প্রবাহের যে চক্র রয়েছে, তা বদলে যেতে পারে। এই স্রোত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আটলান্টিকের আশপাশের উপসাগরগুলোর পানিতে উত্তাপ সরবরাহ করে। ফলে পৃথিবীতে এল নিনোর অবস্থান আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনটা হলে খরা, তীব্র দাবদাহ ইত্যাদি তাপসংক্রান্ত বিপর্যয় বেড়ে যাবে।
জার্মানির পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক সিনা লরিয়ানি বলেন, ‘অনিশ্চয়তা থাকার পরও টিপিং পয়েন্ট ঝুঁকিগুলো আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর হয়ে দেখা দিতে পারে এবং বিষয়টি কোনোভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকির সর্বশেষ সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ফলে ধরিত্রী ব্যবস্থায় মৌলিক ও আকস্মিক কিছু পরিবর্তন সাধিত হতে পারে। এর ফলে সামনের এক শ বা হাজার বছরের জন্য আমাদের ধরিত্রী ব্যবস্থায় অপরিহার্য অংশগুলোর ভাগ্য অপরিবর্তনীয়ভাবে বদলে যেতে পারে।’
আন্তর্দেশীয় জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুর বিষয়টি অস্পষ্ট, কিন্তু পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকিগুলো থেকে উদ্ভূত বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে।
তবে পর্যালোচনায় কিছু আশার কথাও বলা হয়েছে, যেমন জলবায়ুগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি অনেক বাড়ছে। এই পরিবর্তনগুলো সহজে সম্ভব হতো না। কিন্তু বিপদ সামনে চলে আসায় তা দ্রুততর হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আব্দুর রহমান

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ যত বাড়ছে, ভয়াবহ কিছু পরিবেশগত বিপর্যয় তত দ্রুত মানবজাতির দিকে ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এরই মধ্যে ৫টি ভয়াবহ বিপর্যয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। আমাদের সামনে বিপর্যয়গুলো যেকোনো সময় প্রকট প্রভাব নিয়ে হাজির হতে পারে।
২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা প্রাক্-শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখা না গেলে আরও তিনটি বিপর্যয় অতি দ্রুতগতিতে আঘাত হানবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।
এসব পরিবর্তন রোখা সম্ভব না হলে আগামী শতকগুলোতে যেসব বিপর্যয় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তা ঠেকানো সম্ভব হবে না। এসব বিপর্যয় মানুষ ও প্রকৃতির এমন ক্ষতি করবে যে তা কোনোভাবেই সংশোধন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের টিম লেনটন বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে এবং এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, যা মানবজাতি আগে কখনো দেখেনি।’
টিপিং পয়েন্ট হলো এমন এক অবস্থা, যে ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় প্রকাশিত হওয়ার আগে ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয়।
টিম লেনটন বলছেন, পৃথিবী এখন যে টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে, সেগুলো এমন হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, যা মানবেতিহাসে কখনো দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ‘ডমিনো ইফেক্ট’ চালু করে দিতে পারে। এর ফলে পুরো পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। এর সামাজিক প্রভাব হিসেবে গণবাস্তুচ্যুতি দেখা দিতে পারে অর্থাৎ দুর্যোগের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হতে পারে। দেশে দেশে রাজনৈতিক ও আর্থিক বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে।
বিপর্যয়কর হিসেবে চিহ্নিত এই টিপিং পয়েন্টের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল বরফের গলে পড়া। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকে বায়ুপ্রবাহের চক্র ধ্বংস হওয়ার মতো বিষয়ও আছে।
তীব্র তাপপ্রবাহ বা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের মতো জলবায়ুর পরিবর্তনগুলো যেমন গ্রিনহাউস ইফেক্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়, উল্লিখিত পরিবর্তনগুলো সেভাবে ঘটে না। এই পরিবর্তনগুলো হঠাৎই ঘটে যায়। তাই এ ধরনের জলবায়ুগত পরিবর্তন আমাদের গ্রহব্যবস্থাকে হুট করেই চিরদিনের জন্য পাল্টে দিতে পারে।
ঠিক কখন এই বিপর্যয়গুলো ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে তাঁরা একটি বিষয় নিশ্চিত যে শিগগির আরও তিনটি বিপর্যয় এই তালিকায় যুক্ত হবে। সম্ভাব্য এই তিন বিপর্যয়ের একটি হলো—কিছু কিছু অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ ও নিচু এলাকার তৃণভূমি মরে যেতে পারে; পাশাপাশি বোরিয়াল ফরেস্ট নামে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাছাকাছি যে বনাঞ্চল আছে, তা-ও মরে যেতে পারে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেজোস আর্থ ফান্ডের অর্থায়নে ২ শতাধিক বিজ্ঞানীর একটি দল এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, উল্লিখিত সম্ভাব্য বিপর্যয়গুলোর কোনো একটি ঘটে গেলেই পৃথিবী আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং আমাদের আবহাওয়ার প্রবণতা চিরদিনের জন্য বদলে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘টিপিং ক্যাসকেড’ বা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে আমাদের বাস্তুতন্ত্র দৃঢ়ভাবে যুক্ত। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কোনো কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফস্তর গলে যায়, তাহলে আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভার টার্নিং সার্কুলেশন নামে আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে পানি প্রবাহের যে চক্র রয়েছে, তা বদলে যেতে পারে। এই স্রোত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আটলান্টিকের আশপাশের উপসাগরগুলোর পানিতে উত্তাপ সরবরাহ করে। ফলে পৃথিবীতে এল নিনোর অবস্থান আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনটা হলে খরা, তীব্র দাবদাহ ইত্যাদি তাপসংক্রান্ত বিপর্যয় বেড়ে যাবে।
জার্মানির পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক সিনা লরিয়ানি বলেন, ‘অনিশ্চয়তা থাকার পরও টিপিং পয়েন্ট ঝুঁকিগুলো আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর হয়ে দেখা দিতে পারে এবং বিষয়টি কোনোভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকির সর্বশেষ সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ফলে ধরিত্রী ব্যবস্থায় মৌলিক ও আকস্মিক কিছু পরিবর্তন সাধিত হতে পারে। এর ফলে সামনের এক শ বা হাজার বছরের জন্য আমাদের ধরিত্রী ব্যবস্থায় অপরিহার্য অংশগুলোর ভাগ্য অপরিবর্তনীয়ভাবে বদলে যেতে পারে।’
আন্তর্দেশীয় জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুর বিষয়টি অস্পষ্ট, কিন্তু পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকিগুলো থেকে উদ্ভূত বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে।
তবে পর্যালোচনায় কিছু আশার কথাও বলা হয়েছে, যেমন জলবায়ুগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি অনেক বাড়ছে। এই পরিবর্তনগুলো সহজে সম্ভব হতো না। কিন্তু বিপদ সামনে চলে আসায় তা দ্রুততর হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বনের পরিমাণ যত বাড়ছে, ভয়াবহ কিছু পরিবেশগত বিপর্যয় তত দ্রুত মানবজাতির দিকে ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, এরই মধ্যে ৫টি ভয়াবহ বিপর্যয় আমাদের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। আমাদের সামনে বিপর্যয়গুলো যেকোনো সময় প্রকট প্রভাব নিয়ে হাজির হতে পারে।
২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা প্রাক্-শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখা না গেলে আরও তিনটি বিপর্যয় অতি দ্রুতগতিতে আঘাত হানবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন।
এসব পরিবর্তন রোখা সম্ভব না হলে আগামী শতকগুলোতে যেসব বিপর্যয় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তা ঠেকানো সম্ভব হবে না। এসব বিপর্যয় মানুষ ও প্রকৃতির এমন ক্ষতি করবে যে তা কোনোভাবেই সংশোধন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের গ্লোবাল সিস্টেম ইনস্টিটিউটের টিম লেনটন বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে এবং এমন সব লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে, যা মানবজাতি আগে কখনো দেখেনি।’
টিপিং পয়েন্ট হলো এমন এক অবস্থা, যে ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় প্রকাশিত হওয়ার আগে ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয়।
টিম লেনটন বলছেন, পৃথিবী এখন যে টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুতে রয়েছে, সেগুলো এমন হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, যা মানবেতিহাসে কখনো দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে ‘ডমিনো ইফেক্ট’ চালু করে দিতে পারে। এর ফলে পুরো পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। এর সামাজিক প্রভাব হিসেবে গণবাস্তুচ্যুতি দেখা দিতে পারে অর্থাৎ দুর্যোগের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হতে পারে। দেশে দেশে রাজনৈতিক ও আর্থিক বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে।
বিপর্যয়কর হিসেবে চিহ্নিত এই টিপিং পয়েন্টের লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল বরফের গলে পড়া। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকে বায়ুপ্রবাহের চক্র ধ্বংস হওয়ার মতো বিষয়ও আছে।
তীব্র তাপপ্রবাহ বা ব্যাপক বৃষ্টিপাতের মতো জলবায়ুর পরিবর্তনগুলো যেমন গ্রিনহাউস ইফেক্টের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়, উল্লিখিত পরিবর্তনগুলো সেভাবে ঘটে না। এই পরিবর্তনগুলো হঠাৎই ঘটে যায়। তাই এ ধরনের জলবায়ুগত পরিবর্তন আমাদের গ্রহব্যবস্থাকে হুট করেই চিরদিনের জন্য পাল্টে দিতে পারে।
ঠিক কখন এই বিপর্যয়গুলো ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ আছে। তবে তাঁরা একটি বিষয় নিশ্চিত যে শিগগির আরও তিনটি বিপর্যয় এই তালিকায় যুক্ত হবে। সম্ভাব্য এই তিন বিপর্যয়ের একটি হলো—কিছু কিছু অঞ্চলে ম্যানগ্রোভ ও নিচু এলাকার তৃণভূমি মরে যেতে পারে; পাশাপাশি বোরিয়াল ফরেস্ট নামে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাছাকাছি যে বনাঞ্চল আছে, তা-ও মরে যেতে পারে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেজোস আর্থ ফান্ডের অর্থায়নে ২ শতাধিক বিজ্ঞানীর একটি দল এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁরা বলছেন, উল্লিখিত সম্ভাব্য বিপর্যয়গুলোর কোনো একটি ঘটে গেলেই পৃথিবী আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এবং আমাদের আবহাওয়ার প্রবণতা চিরদিনের জন্য বদলে যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ‘টিপিং ক্যাসকেড’ বা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে আমাদের বাস্তুতন্ত্র দৃঢ়ভাবে যুক্ত। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কোনো কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফস্তর গলে যায়, তাহলে আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভার টার্নিং সার্কুলেশন নামে আটলান্টিক মহাসাগরের উত্তর অংশ থেকে দক্ষিণ অংশে পানি প্রবাহের যে চক্র রয়েছে, তা বদলে যেতে পারে। এই স্রোত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আটলান্টিকের আশপাশের উপসাগরগুলোর পানিতে উত্তাপ সরবরাহ করে। ফলে পৃথিবীতে এল নিনোর অবস্থান আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনটা হলে খরা, তীব্র দাবদাহ ইত্যাদি তাপসংক্রান্ত বিপর্যয় বেড়ে যাবে।
জার্মানির পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক সিনা লরিয়ানি বলেন, ‘অনিশ্চয়তা থাকার পরও টিপিং পয়েন্ট ঝুঁকিগুলো আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়কর হয়ে দেখা দিতে পারে এবং বিষয়টি কোনোভাবেই হেলাফেলা করার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকির সর্বশেষ সীমা পেরিয়ে যাওয়ার ফলে ধরিত্রী ব্যবস্থায় মৌলিক ও আকস্মিক কিছু পরিবর্তন সাধিত হতে পারে। এর ফলে সামনের এক শ বা হাজার বছরের জন্য আমাদের ধরিত্রী ব্যবস্থায় অপরিহার্য অংশগুলোর ভাগ্য অপরিবর্তনীয়ভাবে বদলে যেতে পারে।’
আন্তর্দেশীয় জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত টিপিং পয়েন্ট বা লক্ষণবিন্দুর বিষয়টি অস্পষ্ট, কিন্তু পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকিগুলো থেকে উদ্ভূত বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে।
তবে পর্যালোচনায় কিছু আশার কথাও বলা হয়েছে, যেমন জলবায়ুগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা যত ঘনিয়ে আসছে, ততই পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি অনেক বাড়ছে। এই পরিবর্তনগুলো সহজে সম্ভব হতো না। কিন্তু বিপদ সামনে চলে আসায় তা দ্রুততর হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।
ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।
ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

টিপিং পয়েন্টের ঝুঁকি বা বিভিন্ন লক্ষণের যেগুলোকে বিজ্ঞানীরা বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল যে বরফের স্তর রয়েছে, তা ধসে পড়তে পারে। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকের বায়ুমণ্ডল
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

টিপিং পয়েন্টের ঝুঁকি বা বিভিন্ন লক্ষণের যেগুলোকে বিজ্ঞানীরা বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল যে বরফের স্তর রয়েছে, তা ধসে পড়তে পারে। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকের বায়ুমণ্ডল
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

টিপিং পয়েন্টের ঝুঁকি বা বিভিন্ন লক্ষণের যেগুলোকে বিজ্ঞানীরা বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল যে বরফের স্তর রয়েছে, তা ধসে পড়তে পারে। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকের বায়ুমণ্ডল
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টিপিং পয়েন্টের ঝুঁকি বা বিভিন্ন লক্ষণের যেগুলোকে বিজ্ঞানীরা বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোর মধ্যে গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকে বিশাল যে বরফের স্তর রয়েছে, তা ধসে পড়তে পারে। এ ছাড়া পার্মাফ্রস্টের ব্যাপক গলন, কোরাল রিফের মৃত্যু, সাগরের পানি উষ্ণ হয়ে যাওয়া এবং উত্তর আটলান্টিকের বায়ুমণ্ডল
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে