Ajker Patrika

চিতা বাঘ আর চিতা এক নয়

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৯: ০৫
চিতা বাঘ আর চিতা এক নয়

অনেকেই চিতা আর চিতা বাঘ নিয়ে ধন্দে পড়ে যান। দুটি যে আলাদা প্রাণী এটিও জানেন না কেউ কেউ। এমনকি কোনো কোনো বইয়ে ডাঙার দ্রুততম জন্তু হিসেবে চিতা বাঘের ছবি ছেপে দেওয়া হয় অবলীলায়।

দুটোরই লম্বা লেজ, অনেকটা একই রকম গায়ের রং ও ফোঁটা বিভ্রান্ত করে মানুষকে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলেই এদের অনেক পার্থক্য দৃশ্যমান হয়ে উঠবে আপনার সামনে। তেমনি আচরণসহ নানা বিষয়ে আছে পার্থক্য।

নানান ধরনের পার্থক্য
চিতার ইংরেজি নাম চিতা (cheetah) ও অপরদিকে চিতা বাঘের ইংরেজি নাম লেপার্ড। তবে ভারতীয় উপমহাদেশে হান্টিং লেপার্ড নামেও বেশ পরিচিতি পায়। এর কারণ, একসময় ভারতীয় অভিজাতরা চিতা পোষ মানিয়ে তা দিয়ে অ্যান্টিলোপ শিকার করতেন। ওই চিতারা মায়ের থেকে আগেই অ্যান্টিলোপ শিকারের বিদ্যা শিখে আসত। স্থলভাগের দ্রুততম প্রাণী কিন্তু চিতা বাঘ নয়, চিতা।

দুটি প্রাণীর মুখমণ্ডলেও পার্থক্য আছে। চিতার নাকের দুই ধার বরাবর চোখ থেকে চোয়াল পর্যন্ত গাঢ় কালো দাগ আছে। চিতা বাঘের এমন কোনো দাগ নেই। চিতার মুখ গোলাকার ও দাঁত ছোট। চিতাবাঘের মুখ একটু লম্বাটে, চোয়াল শক্তিশালী।

চিতার উচ্চতা চিতা বাঘের চেয়ে বেশি। তবে চিতা বাঘের স্বাস্থ্য চিতার তুলনায় ভালো অর্থাৎ ভারী গড়ন এদের। অপর দিকে দ্রুতগতি সম্পন্ন প্রাণী হওয়ায় চিতার শরীর যে একটু পলকা ধরনের এটা বুঝতেই পারছেন।

পাঁচটি বিগ ক্যাট বা বড় বিড়ালের একটি চিতা বাঘ। তবে চিতাকে সাধারণত বিগ ক্যাটের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না। কারণ এরা প্যান্থারা গণের অন্তর্ভুক্ত নয়। চিতার গর্জন করার অক্ষমতাও একে বড় বিড়ালদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না করার পক্ষে যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়।

চিতা ও চিতা বাঘ দুটি প্রাণীরই হলুদ শরীরের কালো ফোঁটা থাকে। তবে এই ফোঁটা বা দাগ একেবারেই আলাদা। চিতা বাঘ আর চিতা দুটোর চামড়ার বেলায় হলদে-বাদামি জমিনে কালো ফোঁটা আছে। তবে একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন চিতাবাঘের কালো ফোঁটাগুলো মাঝখানে হলুদ রেখে অনেকটা বলয়ের রূপ নিলেও চিতার বেলায় মাঝখানের হলুদ চিহ্ন ছাড়া কেবলই কালো ফোঁটা।

দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের এক চিড়িয়াখানায় চিতা।চিতা বাঘের নখ বিড়ালের মতো। তবে এই ধারালো নখ থাবার আড়ালে ঢুকিয়ে থাকে। শিকার ধরার সময় নখ বার করে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু, চিতার নখ অনেকটা কুকুরের মতো। তা বাইরের দিকে বের করাই থাকে। চিতার গাছে চড়তে না পারার অন্যতম কারণ হলো নখের এই গড়ন। এই নখের কারণে পায়ের ছাপ থেকে দুটি প্রাণীকে আলাদা করা যায়।

চিতা সাধারণত দিনের আলোতেই শিকার করে। রাতে কম দেখতে পায়। তবে চিতাবাঘ রাতেই শিকার ধরতে পছন্দ করে। এদের চোখের কোষ ওই সময়ই বেশি সংবেদনশীল। অবশ্য পরিস্থিতির অদল-বদল মানে কখনো চিতাকে রাতে ও চিতা বাঘকে দিনেও শিকার করতে দেখা যায়। চোখের কথা বললে, চিতার চোখ হলুদাভ বাদামি এবং চিতা বাঘের চোখ সবজে নীল।

এদিকে চিতাকে সাধারণত খোলামেলা জায়গা অর্থাৎ সাভানা এলাকায় বিচরণ করতে দেখা যায়, অপর দিকে চিতা বাঘের সাধারণ একটু গভীর জঙ্গল পছন্দ।

চিতার নাকের গর্ত চিতা বাঘের চেয়ে বড়। এটি প্রচণ্ড গতিতে দৌড়ানোর সময় তাদের শ্বাস নিতে সহায়তা করে। তাদের ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড এবং অন্যান্য বিভিন্ন অঙ্গ একই কারণে তাদের আকারের তুলনায় বড়।

ঘণ্টায় ৭৫ মাইল বেগে দৌড়ানোর সময়, চিতার চওড়া, চ্যাপ্টা লেজ তাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাদের পেছনের পা সামনের পায়ের চেয়ে বড়, যা তাদের গতি তিন সেকেন্ডের মধ্যে ঘণ্টায় ৬৪ মাইলে নিয়ে যায়। যদিও চিতা সর্বোচ্চ গতি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের শিকার ধরতে হবে।

চিতাদের তুলনায় অনেক কম গতি সম্পন্ন চিতা বাঘেরা। এদের পেছনের পায়ের তুলনায় সামনের পা বড় থাকে। যা তাদের সামনের ভারী অংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ফলে শিকারের ওপর নিজের ভর চাপিয়ে দিতে পারে। তাদের গতির যে অভাব তারা তা পুষিয়ে দেয় গাছে আরোহণের দক্ষতা এবং নিজের চেয়ে ভারী শিকারকে গাছে টেনে তোলার সক্ষমতার মাধ্যমে।

শ্রীলঙ্কার এক জাতীয় উদ্যানের গাছে চিতা বাঘ।চিতা বাঘ তাদের শিকারকে কব্জায় আনতে, এর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পরাস্থ করার জন্য প্রচণ্ড শক্তি ব্যবহার করে। তাদের শিকারকে বলা যেতে পারে ‘অনুসরণ’ ও ঝাঁকুনি’ পদ্ধতি। অতর্কিতে আক্রমণ করে শিকার করে এরা। তারা চিতার চেয়ে বড় শিকার ধরতে সক্ষম।

চিতা বাঘ এমনকি একটি গাছের ডাল-পাতার আড়াল থেকেও শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। চিতা বাঘের মতো, চিতাও শুরুতে শিকারের কাছাকাছি যায়। তারপর দ্রুতগতিতে তাড়া করে। উভয়েই তাদের ঘাড়ে কামড় দিয়ে শিকারকে হত্যা করে। যদিও চিতা তাদের শিকারকে মারতে করতে কয়েক মিনিট সময় নিতে পারে।

চিতা এবং চিতাবাঘ উভয়ই সুযোগসন্ধানী শিকারি। চিতা ছোট থেকে মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী শিকার করতে পছন্দ করে। প্রধানত ইমপালা এবং স্প্রিংবকের মতো ছোট আকারের অ্যান্টিলোপ শিকার করে। চিতা বাঘ বেশ বড় আকার প্রাণীও শিকার করতে সক্ষম। এর মধ্যে এমনকি নিজের দ্বিগুণ আকারের বড় জাতের হরিণও আছে। অবশ্য ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এমনকি মওকা মতো পেলে পাখি শিকার করতে দেখা যায় দুটি জন্তুকেই।

চিতা আছে কোথায়
সম্প্রতি ভারতে আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া থেকে চিতা আনা নিয়ে বেশ আলোড়ন উঠেছে। দুই দফায় মোট ২০টি প্রাপ্ত বয়স্ক চিতা আনা হয় সেখান থেকে। এগুলো ছাড়া হয় মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। মজার ঘটনা এ অরণ্যে চিতা বাঘও আছে। তবে কুনো জাতীয় উদ্যানে আনার পর বিভিন্ন সময় চিতারা বাচ্চাও দিয়েছে। তবে এখানে বেশ কয়েকটি প্রাপ্ত বয়স্ক ও বাচ্চা চিতা মারা যাওয়ায় এই প্রকল্পটি নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে। বর্তমানের কুনোতে ২১টি চিতা আছে। এর মধ্যে ছয়টি মদ্দা, আটটি মাদি ও সাতটি বাচ্চা।

তবে কথা হলো এরা আফ্রিকান চিতা। এশীয় চিতা এখন আছে কেবল পৃথিবীর একটি দেশে, সেটি ইরান। ভারতেও এক সময় এশীয় চিতাদের চমৎকার বিচরণক্ষেত্র ছিল। 

ভারত থেকে এশীয় চিতা বিলুপ্ত হওয়ার একটা বড় কারণ বন্য চিতা ধরা। অপর কারণ, বন্দী অবস্থায় এদের বংশ বৃদ্ধি না হওয়া। ১৬১৩ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর প্রথম কোনো পোষা চিতার বাচ্চা দেওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন তার ‘তুজাক-ই-জাহাঙ্গিরি’ বইয়ে।

অ্যান্টিলোপ ধরতে চিতা পোষ মানানোর প্রথম রেকর্ড পাওয়া যায় কালিকিনির রাজার রাজসভার বারো শতকের বিবরণীতে। মধ্যযুগে ভারতজুড়ে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে স্পোর্টটি। চিতার সাহায্যে কৃষ্ণসার মৃগ শিকারের ধুম পড়ে যায় ওই সময়।

বাদশাহ আকবর তাঁর শাসনামলে আনুমানিক ৯ হাজার চিতা বন্দী করেন। বন্য চিতা ধরার হারটা আঠারো শতকের কোনো এক সময়ে একেবারে চূড়ায় পৌঁছে যায়। জঙ্গল থেকে চিতা ধরে আনতে আনতে সেখানে এদের সংখ্যা একেবারে কমে যায় বিংশ শতকের গোড়ার দিকে। অ্যান্টিলোপ শিকারের খেলাটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভারতীয় রাজারা ১৯১৮-৪৫ সালের মধ্যে আফ্রিকা থেকে চিতা আনার খবর মেলে।

পাঁচটি বিগ ক্যাট বা বড় বিড়ালের একটি চিতা বাঘ। শ্রীলঙ্কার একটি অরণ্যের দৃশ্য।পরিবেশবাদী ঐতিহাসিক মহেশ রানগর্জন ‘জার্নাল অব মুম্বাই ন্যাচারাল হিস্ট্রি’র ১৯৯৮ সালের সংখ্যায় লেখেন, ১৮৭১ সালে প্রাপ্তবয়স্ক ও বাচ্চা চিতা জীবন্ত উদ্ধারের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। উপমহাদেশে চিতার ভাগ্য নির্ধারণে কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে কাজ করে এই ঘোষণা।

যতদূর জানা যায় ভারতের শেষ তিনটি চিতা শিকার করেন সারগুজার মহারাজা, ১৯৪৮ সালে। তবে ১৯৫১ সালে ছত্তিশগড়ের উত্তর-পশ্চিমে একটি মাদি চিতা দেখার রেকর্ড আছে। ১৯৫১-৫২ সালের দিকেই ভারত থেকে চিতাকে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে এরপরও চিতা দেখার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য মেলে, ১৯৬৭ ও ১৯৬৮ সালে মধ্যপ্রদেশের করিয়া এবং সারগুজার জঙ্গলে, তারপর ১৯৭৫-এ হাজারিবাগ জেলার দান্তো কালান গ্রামে।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে ওডিশার সিমলাপালের জঙ্গলে চিতা দেখার দাবি করেন টাইগার প্রজেক্টের দুজন কর্মকর্তা। তবে গবেষকেরা এই দাবিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তাঁদের ধারণা, অ্যালবিনো চিতাবাঘকেই চিতার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে কি চিতা ছিল
১৯৩৫ সালে বোম্বাই ন্যাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটির এক জার্নালে চিতার এলাকা হিসেবে বাংলা থেকে মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও রাজপুতানা (বর্তমান রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের আংশিক) এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে ডেকানের (দক্ষিণের ভারতের বড় একটি অংশ ডেকান মালভূমির অংশ) কথা বলা হয়েছে। এর কোনোটির সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা নেই। সে হিসেবে ধরে নেওয়া যায় বাংলাদেশের সীমানায় পড়া কোনো এলাকায় নিকট অতীতে অন্তত এই জন্তুটি ছিল না।

ফ্রান্সের এক চিড়িয়াখানায় দৌড়াচ্ছে চিতা।একসময় এশীয় চিতা ছিল মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং আরব উপদ্বীপে। পাকিস্তানে বেলুচিস্তানে ১৯৯০-এর দশকেও ছিল, শেষটি মারা পড়ে ১৯৯৭ সালে চাগাইয়ে। কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান থেকেও ১৯৮০ সালের পরে বিদায় নেয়। তবে ২০১৪ সালে হঠাৎই তুর্কমিনিস্তানের বাধিজ স্টেট ন্যাশনাল পার্কে একটা চিতার দেখা মেলে। হয়তো ওটা ইরান থেকে এসেছে।

ইরানের চিতা
এবার এশীয় চিতার একমাত্র আবাসস্থল ইরানের দিকে নজর দেওয়া যাক। ইরানের বিস্তৃত মালভূমিতে এখন ৫০টির কম চিতা টিকে আছে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া এদের টিকিয়ে রাখা অসম্ভব। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কয়েকটি এলাকায় থাকলেও তুরান আর মিয়ানদাশতের আশপাশে বাস করা চিতাগুলোই শেষ আশার আলো হিসেবে টিমটিম করে জ্বলছে।

গত ১৫ বছরে চিতার সংখ্যা দুনিয়াজুড়ে শতকরা ৫৩ ভাগ কমেছে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। বিচরণের এলাকার ৯১ ভাগই হারিয়েছে চিতারা। ইরানের ওই চিতাসহ গোটা পৃথিবীতে এখন সাকল্যে ৭ হাজার ১০০ চিতা আছে। আফ্রিকান চিতারা মহাদেশের অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া এই ছয়টি দেশে আটকে গেছে।

ইরানের একটি পার্কে এশীয় চিতা।চিতা না থাকলেও চিতা বাঘ আছে বাংলাদেশে
একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের বিচরণ। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। সিলেট বিভাগের চা বাগানগুলোতেও মহানন্দে চষে বেড়াত তারা। তবে এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না বাংলাদেশের বনাঞ্চলে আর বুনো চিতা বাঘ আছে। কিন্তু শত বিপদ মাথায় নিয়ে এখনো এ দেশের প্রকৃতিতে সত্যি আছে এই প্রাণীটি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বন-পাহাড়ে এখনো হঠাৎ হঠাৎ মেলে চিতার খবর। শিকারিদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে এখনো টিকে আছে ওরা। ‘ডিটেকটিং দ্য স্পট: আ রিভিউ অন ল্যাপার্ড অকারেন্সেস ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি কাজ করেছেন মুনতাসির আকাশ, স্কট ট্রেগারস, তানিয়া জাকির, শাহরিয়ার সিজার রহমান, ফাতেমা-তুজ-জোহরা খালেক মিলা ও অনিমেষ ঘোষ। চিতা বাঘ নিয়ে বাংলাদেশে এমন গবেষণা এটাই প্রথম। সেখান থেকেও জানা যায় বাংলাদেশে চিতা বাঘদের সাম্প্রতিক বিচরণের নানা খবর। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চিতা বাঘ দেখার পাঁচটি ও কক্সবাজার অঞ্চলে চিতা বাঘ দেখার নিশ্চিত দুটি তথ্যের কথা বলা হয়েছে।

সুপ্রিয় চাকমা, শাহরিয়ার সিজার রহমানদের গবেষণা, ক্যামেরা ট্র্যাপও নিশ্চিত করছে, এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত কয়েকটি এলাকায় চিতা বাঘের আলাদা বসতি আছে। যদিও কোনোখানেই সংখ্যাটি বেশি নয়। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সুপ্রিয় চাকমা যে গবেষণা করেছিলেন, তার ফলাফল নিশ্চিত করে বান্দরবানের সাঙ্গু এবং রাঙামাটির কাসালং এবং রাইংখং সংরক্ষিত অরণ্যে চিতা বাঘের উপস্থিতি।

২০১৮ সালে পঞ্চগড়ে আসা চিতা বাঘটি বাঁচার জন্য একটি ঝোপে আশ্রয় নিয়েছিল। চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছিল উৎসুক জনতা।বাংলাদেশের বনে এমনকি কালো চিতাও দেখা গেছে। শরীরে মেলানিনের আধিক্যে যেসব চিতাবাঘের গায়ের রং কালো হয়, তারাই পরিচিত কালো চিতা বা ব্ল্যাক প্যান্থার নামে। তবে এরা আলাদা কোনো প্রজাতি নয়। বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ খসরু চৌধুরী কালো চিতা দেখেছিলেন প্রায় তিন যুগ আগে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায়। ২০১১ সালে বড় মোদক যাওয়ার সময় আমাদের মারমা গাইড আংসু মারমার কাছ থেকে জানতে পারলাম, ১৯৯০ সালের দিকে রেমাক্রি এলাকায় একটা কালো চিতা ফাঁদ পেতে মেরেছিল শিকারিরা।

সিলেট বিভাগের কোনো কোনো অরণ্যেও এদের দেখা যাওয়ার কথা শোনা যায় কখনো কখনো। এক সময় বাংলাদেশের উত্তরের জেলা গুলিতে এদের চমৎকার বসতি ছিল। এখনো রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে এদের আনাগোনার খবর মিলছে নিয়মিত বিরতিতেই। বেশির ভাগের ধারণা সীমান্তের ওপার থেকেই আসে এরা। তবে এখানে এলেই সাধারণত মানুষের পিটুনিতে মরতে হয় প্রাণীটিকে। উত্তরের জেলাগুলিতে এমন করুণ পরিণতির শিকার হওয়ার পরও আশার কথা, পূর্বপুরুষের পুরোনো আস্তানাকে এখনো একেবারে ভুলে যায়নি নয়া জমানার চিতা বাঘেরা। এখন জরুরি মানুষের সঙ্গে এদের সংঘাতটা এড়ানো।

চিতা আর চিতা বাঘের পার্থক্য বলতে গিয়ে দুটি প্রাণী নিয়েই বিস্তর আলোচনা হয়ে গেল। আর এটা পরিষ্কার যে দুটো প্রাণীই আছে খুব বিপদে। আর সেটা আমাদের মানুষদের কারণেই। কাজেই আমাদের উচিত এদের রক্ষা করা। না হলে আরও অনেক সুন্দর প্রাণীর মতো এরাও এক সময় হারিয়ে যাবে পৃথিবী থেকে।

তথ্য সূত্র: দ্য হিন্দু, বিবিসি ওয়াইল্ডলাইফ ম্যাগাজিন, উইকিপিডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের দাপট আজও থাকবে, পড়বে ঘন কুয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ শীত আরও বাড়বে, কাটছে না কুয়াশার চাদর

  • তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশে।
  • কুয়াশায় ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ।
  • ঠান্ডা-কুয়াশায় বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪১
দেশজুড়ে বইছে তীব্র শীত। কনকনে ঠান্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় আগুন পোহাচ্ছেন মাঝিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দেশজুড়ে বইছে তীব্র শীত। কনকনে ঠান্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় আগুন পোহাচ্ছেন মাঝিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।

এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।

টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।

গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।

ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।

সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।

ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।

মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতে কাঁপছে সারা দেশ, রাতে তাপমাত্রা আরও কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যশোরে টানা দুইদিন সূর্যের দেখা নেই। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে টানা দুইদিন সূর্যের দেখা নেই। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় শীত আরও বেড়েছে, পড়বে ঘন কুয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

খালেদা জিয়ার জানাজা কাল, দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত