
প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার, এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণীর রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার পুব সীমানার দুর্গম এক অরণ্যে দুই অনাথ আমুর বাঘশাবককে মুক্ত করে দিয়েছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচানো। আমুর টাইগার, যাকে সাইবেরিয়ান টাইগারও বলা হয়, এখনো বিপন্ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঘ। কিন্তু সেই দিন বিজ্ঞানীরা নিজেদের অজান্তেই আশ্চর্য একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, অসাধারণ এক প্রেমের গল্পের সূচনা।
শাবক দুটি বরিস ও স্ভেতলায়া, তাদের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মা-বাবাকে হারায়। তখন তাদের বয়স মাত্র তিন থেকে পাঁচ মাস। আমুর বাঘদের প্রধান ঘাঁটি শাখোতে-অ্যালিন পর্বতমালা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় । বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠার পর ১৮ মাস বয়সে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করেই তাদের আলাদা করে দিয়েছিলেন। বরিস ও স্ভেতলায়াকে পরস্পর থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে আমুর অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো যায়।
কিন্তু মুক্তির এক বছরেরও বেশি সময় পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটল। বরিস প্রায় ১২০ মাইল (১৯৩ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে একদম সোজাসুজি স্ভেতলায়ার কাছে হাজির হয়ে যায়। যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্য এ পথের দিশা দেখিয়েছিল।
আর বাঘ দুটির এই দেখা হওয়ার ছয় মাস পর কয়েকটি শাবকের জন্ম দেয় স্ভেতলায়া।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে।
এটি ছিল বড় বিড়াল অর্থাৎ, বিগ ক্যাট প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে এক ঐতিহাসিক সফলতা। স্পেনের আইবেরিয়ান লিংকস পুনর্বাসন প্রকল্প সফল হলেও এত দিন বড় বিড়ালদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু জার্নাল অব ওয়াইল্ডলাইফে গত মাসে অর্থাৎ, নভেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরিস ও স্ভেতলায়ার এই গল্পটি বাঘ প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাশিয়ায় বর্তমানে আনুমানিক ৪৮৫ থেকে ৭৫০টি সাইবেরিয়ান বা আমুর বাঘ রয়েছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, রাশিয়া-চীন সীমান্তের প্রি-আমুর অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আরও কয়েক শ বাঘের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বরিস ও স্ভেতলায়ার মিলনই এই প্রকল্পের একমাত্র সফলতা তা নয়। এর আগে এক শিকারি বরফের ঢিবিতে একটি মেয়ে বাঘ শাবককে খুঁজে পান। তার নাম রাখা হয়েছিল জোলুশকা—রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘সিনড্রেলা’। পরবর্তীতে সংরক্ষণবাদীরা জোলুশকাকে অরণ্যে ফিরিয়ে দেন।
কিছুদিন পর ক্যামেরা ট্র্যাপে একটি পুরুষ বাঘের দেখা মেলে ঠিক সেই এলাকাতেই, যেখানে জোলুশকাকে ছাড়া হয়েছিল। বিশাল সেই এলাকায় এমন মিলন ছিল প্রায় অলৌকিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান বাঘ বিশেষজ্ঞ ডেল মিকুয়েল মজা করে বলেন, ‘সিনড্রেলার রাজকুমার ঠিক সময়ে হাজির হয়েছিল, আর তারা সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল।’ জোলুশকা ও সেই পুরুষ বাঘের সংসারেও জন্ম নিয়েছিল শাবক, যেগুলো ছিল ১৯৭০-এর দশকের পর সেই অঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্রথম বাঘশাবক।
এটি শুধু একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ শক্তি আর ভালোবাসার অনন্য রূপেরও গল্প। সাইবেরিয়ার হিমশীতল পাহাড়ের বুকে বরিস, স্ভেতলায়া আর জোলুশকার কাহিনি যেন বলে যায়—প্রকৃতিতে সবকিছুরই জায়গা আছে, শুধু দরকার একটু যত্ন আর সময়।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ১৩টি অনাথ সাইবেরিয়ান বাঘশাবককে বন্দী অবস্থায় লালন-পালন করছিলেন, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এই শাবকেরা মানুষের কোনো ছোঁয়া পায়নি। কারণ তাদের শিখতে হবে বন্যজীবনের কঠিন বাস্তবতা—শিকার করা, টিকে থাকা।

তাই বিজ্ঞানীরা শাবকদের ক্রমশ পরিচয় করিয়ে দিলেন জীবন্ত শিকারের সঙ্গে। ছোট শাবকগুলো শিখতে শুরু করল শিকার করার কৌশল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বন্য প্রকৃতিতে ছাড়ার সময়টাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তকাল বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এ সময় খাদ্যের প্রাচুর্য থাকে।
তবে একটি পুরুষ বাঘ এই স্বাধীনতার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনে গিয়ে গৃহপালিত পশুর ওপর আক্রমণ চালায়—এক রাতে একটি খোঁয়াড়ে ঢুকে ১৩টি ছাগল মেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাকে আবার ধরে এনে একটি চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু বাকি ১২টি বাঘশাবক সফলতার সঙ্গে বন্যজীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল। তারা প্রমাণ করল, বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তারা বন্য শিকারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং প্রকৃত বন্য বাঘের মতোই টিকে থাকতে পারে।
প্রি-আমুর অঞ্চলে যখন বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, তখন রাশিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দলটির বড় স্বপ্ন—এই অঞ্চলের বাঘগুলো একদিন সীমান্ত পেরিয়ে চীনের বাঘদের সঙ্গেও মিলিত হবে। ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা হলো পুরো এলাকাটি সংযুক্ত করা।’ বলেন বিগ কেট প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক লুক হান্টার, ‘এখানে অনেক এলাকা রয়েছে, যেগুলো বাঘের জন্য পুনরায় উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।’
এশিয়াজুড়ে সম্ভাব্য বাঘের আবাসস্থলের এলাকা বিশাল। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হলেও সেখান থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে।
এই সফল প্রকল্প তাই বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, তরুণ শাবকদের একটি আধাবন্দী পরিবেশে লালন-পালন করে তাদের শিকার শেখানো এবং পরে বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।’ বললেন রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত সেভার্তসভ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের প্রাক্তন পরিচালক ভিয়াচেস্লাভ ভি রোজনোভ। তিনি প্রকৃতিতে বাঘ পুনঃস্থাপন প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল এশিয়ার বিশাল অংশে বাঘ ফিরিয়ে আনার একটি নতুন পথ দেখায়। এসব অঞ্চলে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু বাঘ হারিয়ে গেছে।’
বরিস ও স্ভেতলায়া প্রায় অসম্ভব প্রেমের মতোই, রাশিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তি।
‘জাতীয়তা আর রাজনীতি পেরিয়ে একসঙ্গে কাজ করলে সত্যিই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’ বলেন প্রকল্পের প্রধান বাঘ বিজ্ঞানী ডেল মিকুয়েল, ‘কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, এটি তার একটি অনন্য উদাহরণ।’
এই গল্প শুধু বাঘ পুনর্বাসনের সাফল্যের নয়, বরং প্রকৃতি আর মানুষের একসঙ্গে পথ চলার গল্পও।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার, এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণীর রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
২০১৪ সালে রাশিয়ার পুব সীমানার দুর্গম এক অরণ্যে দুই অনাথ আমুর বাঘশাবককে মুক্ত করে দিয়েছিলেন রুশ বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য ছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে বাঁচানো। আমুর টাইগার, যাকে সাইবেরিয়ান টাইগারও বলা হয়, এখনো বিপন্ন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের বাঘ। কিন্তু সেই দিন বিজ্ঞানীরা নিজেদের অজান্তেই আশ্চর্য একটি কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, অসাধারণ এক প্রেমের গল্পের সূচনা।
শাবক দুটি বরিস ও স্ভেতলায়া, তাদের জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মা-বাবাকে হারায়। তখন তাদের বয়স মাত্র তিন থেকে পাঁচ মাস। আমুর বাঘদের প্রধান ঘাঁটি শাখোতে-অ্যালিন পর্বতমালা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় । বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠার পর ১৮ মাস বয়সে তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানীরা ইচ্ছা করেই তাদের আলাদা করে দিয়েছিলেন। বরিস ও স্ভেতলায়াকে পরস্পর থেকে ১০০ মাইলেরও বেশি দূরে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে আমুর অঞ্চলে বাঘের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো যায়।
কিন্তু মুক্তির এক বছরেরও বেশি সময় পর আশ্চর্য এক ঘটনা ঘটল। বরিস প্রায় ১২০ মাইল (১৯৩ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে একদম সোজাসুজি স্ভেতলায়ার কাছে হাজির হয়ে যায়। যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্য এ পথের দিশা দেখিয়েছিল।
আর বাঘ দুটির এই দেখা হওয়ার ছয় মাস পর কয়েকটি শাবকের জন্ম দেয় স্ভেতলায়া।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে।
এটি ছিল বড় বিড়াল অর্থাৎ, বিগ ক্যাট প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে এক ঐতিহাসিক সফলতা। স্পেনের আইবেরিয়ান লিংকস পুনর্বাসন প্রকল্প সফল হলেও এত দিন বড় বিড়ালদের ক্ষেত্রে এটি প্রায় অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু জার্নাল অব ওয়াইল্ডলাইফে গত মাসে অর্থাৎ, নভেম্বরে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরিস ও স্ভেতলায়ার এই গল্পটি বাঘ প্রকৃতিতে পুনঃস্থাপনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।
রাশিয়ায় বর্তমানে আনুমানিক ৪৮৫ থেকে ৭৫০টি সাইবেরিয়ান বা আমুর বাঘ রয়েছে। কিন্তু গবেষকদের মতে, রাশিয়া-চীন সীমান্তের প্রি-আমুর অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আরও কয়েক শ বাঘের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বরিস ও স্ভেতলায়ার মিলনই এই প্রকল্পের একমাত্র সফলতা তা নয়। এর আগে এক শিকারি বরফের ঢিবিতে একটি মেয়ে বাঘ শাবককে খুঁজে পান। তার নাম রাখা হয়েছিল জোলুশকা—রুশ ভাষায় যার অর্থ ‘সিনড্রেলা’। পরবর্তীতে সংরক্ষণবাদীরা জোলুশকাকে অরণ্যে ফিরিয়ে দেন।
কিছুদিন পর ক্যামেরা ট্র্যাপে একটি পুরুষ বাঘের দেখা মেলে ঠিক সেই এলাকাতেই, যেখানে জোলুশকাকে ছাড়া হয়েছিল। বিশাল সেই এলাকায় এমন মিলন ছিল প্রায় অলৌকিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার প্রধান বাঘ বিশেষজ্ঞ ডেল মিকুয়েল মজা করে বলেন, ‘সিনড্রেলার রাজকুমার ঠিক সময়ে হাজির হয়েছিল, আর তারা সুখে-শান্তিতে জীবন কাটাতে লাগল।’ জোলুশকা ও সেই পুরুষ বাঘের সংসারেও জন্ম নিয়েছিল শাবক, যেগুলো ছিল ১৯৭০-এর দশকের পর সেই অঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্রথম বাঘশাবক।
এটি শুধু একটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পের নয়, বরং প্রকৃতির অসাধারণ শক্তি আর ভালোবাসার অনন্য রূপেরও গল্প। সাইবেরিয়ার হিমশীতল পাহাড়ের বুকে বরিস, স্ভেতলায়া আর জোলুশকার কাহিনি যেন বলে যায়—প্রকৃতিতে সবকিছুরই জায়গা আছে, শুধু দরকার একটু যত্ন আর সময়।
রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা যখন ১৩টি অনাথ সাইবেরিয়ান বাঘশাবককে বন্দী অবস্থায় লালন-পালন করছিলেন, তখন তাদের সামনে ছিল এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়ার আগে নিশ্চিত করতে হবে, এই শাবকেরা মানুষের কোনো ছোঁয়া পায়নি। কারণ তাদের শিখতে হবে বন্যজীবনের কঠিন বাস্তবতা—শিকার করা, টিকে থাকা।

তাই বিজ্ঞানীরা শাবকদের ক্রমশ পরিচয় করিয়ে দিলেন জীবন্ত শিকারের সঙ্গে। ছোট শাবকগুলো শিখতে শুরু করল শিকার করার কৌশল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বন্য প্রকৃতিতে ছাড়ার সময়টাও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বসন্তকাল বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এ সময় খাদ্যের প্রাচুর্য থাকে।
তবে একটি পুরুষ বাঘ এই স্বাধীনতার পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিল। সে চীনে গিয়ে গৃহপালিত পশুর ওপর আক্রমণ চালায়—এক রাতে একটি খোঁয়াড়ে ঢুকে ১৩টি ছাগল মেরে ফেলে। শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা তাকে আবার ধরে এনে একটি চিড়িয়াখানার প্রজনন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
কিন্তু বাকি ১২টি বাঘশাবক সফলতার সঙ্গে বন্যজীবনে ফিরে যেতে পেরেছিল। তারা প্রমাণ করল, বন্দী অবস্থায় বেড়ে ওঠা সত্ত্বেও তারা বন্য শিকারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং প্রকৃত বন্য বাঘের মতোই টিকে থাকতে পারে।
প্রি-আমুর অঞ্চলে যখন বাঘের সংখ্যা বাড়ছে, তখন রাশিয়ান-আমেরিকান বিজ্ঞানীদের দলটির বড় স্বপ্ন—এই অঞ্চলের বাঘগুলো একদিন সীমান্ত পেরিয়ে চীনের বাঘদের সঙ্গেও মিলিত হবে। ‘আমাদের মহাপরিকল্পনা হলো পুরো এলাকাটি সংযুক্ত করা।’ বলেন বিগ কেট প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক লুক হান্টার, ‘এখানে অনেক এলাকা রয়েছে, যেগুলো বাঘের জন্য পুনরায় উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।’
এশিয়াজুড়ে সম্ভাব্য বাঘের আবাসস্থলের এলাকা বিশাল। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বাঘের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হলেও সেখান থেকে বাঘ হারিয়ে গেছে।
এই সফল প্রকল্প তাই বড় সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। ‘এই ফলাফল প্রমাণ করে, তরুণ শাবকদের একটি আধাবন্দী পরিবেশে লালন-পালন করে তাদের শিকার শেখানো এবং পরে বন্য প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব।’ বললেন রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সের অধীনে পরিচালিত সেভার্তসভ ইনস্টিটিউট অব ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনের প্রাক্তন পরিচালক ভিয়াচেস্লাভ ভি রোজনোভ। তিনি প্রকৃতিতে বাঘ পুনঃস্থাপন প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন।
তিনি বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল এশিয়ার বিশাল অংশে বাঘ ফিরিয়ে আনার একটি নতুন পথ দেখায়। এসব অঞ্চলে এখনো উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে, কিন্তু বাঘ হারিয়ে গেছে।’
বরিস ও স্ভেতলায়া প্রায় অসম্ভব প্রেমের মতোই, রাশিয়ান ও আমেরিকান বিজ্ঞানীদের এই যৌথ প্রচেষ্টা প্রমাণ করেছে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার শক্তি।
‘জাতীয়তা আর রাজনীতি পেরিয়ে একসঙ্গে কাজ করলে সত্যিই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব।’ বলেন প্রকল্পের প্রধান বাঘ বিজ্ঞানী ডেল মিকুয়েল, ‘কীভাবে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করা যায়, এটি তার একটি অনন্য উদাহরণ।’
এই গল্প শুধু বাঘ পুনর্বাসনের সাফল্যের নয়, বরং প্রকৃতি আর মানুষের একসঙ্গে পথ চলার গল্পও।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

প্রিয় মানুষটির জন্য বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলে যাওয়ার অনেক নজির পাওয়া যায়। তবে তাই বলে বন্যপ্রাণী রাজ্যে এমন কাণ্ড নিশ্চয় আপনি আশা করবেন না। তবে এমনই এক কাণ্ড করেছে সাইবেরিয়ার এক বাঘ। সঙ্গীর খোঁজে সে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাড়ি দেয় ২০০ কিলোমিটার পথ।
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে