Ajker Patrika

বন্যায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব, সতর্ক থাকবেন যেভাবে

ইশতিয়াক হাসান
বন্যায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব, সতর্ক থাকবেন যেভাবে

ফেনী, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ ১১টি জেলায় ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে এবার। কিছু কিছু জায়গায় পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো পানিবন্দী বহু মানুষ। বন্যায় মানুষকে যে সমস্যাগুলোতে পড়তে হয় তার মধ্যে প্রথমেই আসে বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়া, খাবার সংকট, রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলি। তবে এর পাশাপাশি বন্যার কারণে আরও কিছু সংকটে পড়তে হয় মানুষকে। এর একটি হলো সাপের উপদ্রব। 

বন্যার সময় মানুষের ঘর-বাড়িতে আশ্রয় নেয় অনেক সাপ। তাই সতর্ক না থাকলে সাপের কামড় খাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। যেমন সাম্প্রতিক সময়ে বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকাতে  সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। বন্যায় সাপের উপদ্রবের কারণ, এ সংক্রান্ত কিছু পরিসংখ্যানের পাশাপাশি এ বিষয়ে কী কী সতর্কতা নেওয়া উচিত তাই থাকছে লেখাটিতে।

কিছু পরিসংখ্যান
শুরুতে বরং দেশের বন্যা উপদ্রুত দুটি জেলায় সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু পরিসংখ্যান দেওয়া যাক। 

দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও গত কয়েক দিন বরং অবনতি হয়েছে লক্ষ্মীপুরের বন্যা পরিস্থিতির। এখানে সাপের কামড় খাওয়া রোগীর সংখ্যাও কম নয়। গত ১৫ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ১৫ দিনে সাপের কামড় খেয়ে ৭৮ জন চিকিৎসা নিয়েছেন শুধু লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে। এদের ১২ জন এখনো চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহমদ কবির।

এদিকে নোয়াখালীতে গত কিছু দিন বন্যা পরিস্থিতি বেশ খারাপ হলেও অন্তত দুই মাস আগে থেকেই এখানকার কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।  এ মাসের অর্থাৎ আগস্টের ১ তারিখ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত শুধু নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সাপের কামড় খেয়ে ৩৫৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দীন। এদের মধ্যে ৭ জন বিষধর সাপের কামড় খান। দুজন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

কেন সাপের কামড় খাওয়ার ঝুঁকি বেশি এখন
খেত-খামারসহ নিচু জায়গায় ঝোপ-জঙ্গলে অনেক সাপ বাস করে। এসব জায়গার মাটির গর্ত, গাছের গুঁড়ির গর্তের পাশাপাশি বাড়ির পুরোনো প্রাচীরের কোনো গর্তেও থাকতে পারে সাপের আস্তানা। বন্যায় এসব সাপের বাসস্থান তলিয়ে যায়। এদিকে মানুষের বসতি তুলনামূলক উঁচু জায়গায় থাকে। আর নিজের আবাসস্থল তলিয়ে যাওয়ার কারণে সাপ অনেকটা বাধ্য হয়েই নতুন আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের বসতঘরে ঢুকে পড়ে। তখন একটু অসতর্ক হলেই মানুষ সাপের কামড় খায়। এদিকে এ সময় পানিতে স্রোত থাকলে সাপ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। 

আবার বন্যার পানি যখন কমতে থাকে ওই সময়টাও বেশ বিপজ্জনক। কারণ তখন সাপ নিজের মূল আবাস বা গর্তে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাবধান হলে বিষধর এই সরীসৃপের কামড় খাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

সাপের কামড় এড়াতে সতর্কতা
বন্যার সময় সাপের কামড়ের ব্যাপারে সাধারণ যে সব সতর্কতা থাকে তা মানা মুশকিল। তবে এর মধ্যেও অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। শুধু তাই নয়, মশারি ভালোভাবে গুঁজে নিতে হবে। তাহলে সাপ ভেতরে ঢুকতে পারবে না। 
শুধু ঘর-বাড়ি নয় বন্যার সময় আশ্রয়কেন্দ্রেও সতর্কতা নেওয়া জরুরি। দুই তলা কিংবা তিনতলায় থাকলেও সাবধানতা মানতে হবে। কারণ সেখানেও আশ্রয় নেওয়া অসম্ভব নয় সাপের পক্ষে।
পানিতে হাঁটার সময় হাতে একটা লাঠি রাখতে পারেন।
ঘরে ব্যবহারের সব জিনিস যেমন পাতিল, জগ, পট, বালতি এসবে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে।
জুতো পড়ার সময় সাবধানতা জরুরি। কারণ এর ভেতরে সাপও আশ্রয় নিতে পারে।
তেমনি শুকনো জায়গায় কাঠ বা কোনো জ্বালানি থাকলে এগুলোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এগুলোর মধ্যে সাপ আশ্রয় নেওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
এ ছাড়া ঘরে ছোট বাচ্চা থাকলে তাকেও সতর্কভাবে রাখতে হবে।

বন্যার পানিতে হাঁটা-চলার সময়ও সতর্কতা জরুরি। ছবি: আজকের পত্রিকাবিশেষজ্ঞরা কী বলেন
দীর্ঘদিন সাপ নিয়ে গবেষণা করছেন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও লেখক সরওয়ার পাঠান। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন মানুষের মতো সাপও বিপদে। এ সময় নির্বিষ ও বিষধর সব ধরনের সাপ মানুষের বাড়িতে উঠে আসতে পারে। গোখরো, কাল কেউটে, রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া আছে এসব বিষধর সাপের তালিকায়। আতঙ্কিত না হয়ে এখন প্রয়োজন সতর্কতা। ঘুমানোর সময় পাশে টর্চ বা আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। তেমনি অন্ধকারে হাঁটার সময়ও সঙ্গে টর্চ রাখতে হবে।

পানিতে চলার সময় সতর্কতা থাকতে হবে। সাপ সাঁতার কাটলে পুরো শরীর দেখা যায়। তখন সতর্ক থাকা সহজ। স্থির থাকলেও ঘাড়-মাথা দেখা যায়। ঘরে সাপ ঢোকার সময় হালকা সাঁতার কাটে। ওই সময়ও এদের দেহের ওপরের অংশ দেখে সতর্ক হতে পারবেন।

এদিকে এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান মনিরুল খান বলেন, ব্লিচিং পাউডার অপছন্দ করে সাপসহ অনেক প্রাণীই। এটি ছিটিয়ে দিলে কিছুটা হলেও কাজ হতে পারে। তবে এখন সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো সতর্ক থাকা। আর সতর্ক থাকার পরও যদি কোনো কারণে সাপে কাটে তাহলে ওঝার কাছে না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

এ লেখাটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার নোয়াখালী ও  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৬
আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন তথ্য বলছে, আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি উষ্ণ হয়েছে পৃথিবী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।

গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।

তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দূষণ বাড়ছে বাতাসে, যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।

আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত