Ajker Patrika

মানুষের আশপাশের বন্য প্রাণীদের কি বেঁচে থাকার অধিকার নেই

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ১৫: ৩৭
মানুষের আশপাশের বন্য প্রাণীদের কি বেঁচে থাকার অধিকার নেই

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্য প্রাণী। এই মাসের গোড়ার দিকেই যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।

৪ মে, শনিবার। শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় লাল মিয়া তাঁর জমিতে একটি বন্যপ্রাণী দেখতে পান। এ ধরনের প্রাণী আগে কখনো দেখেননি তিনি। নাকসহ শরীরের কিছু অংশ শূকরের মতো। আবার বেশ পার্থক্যও আছে। লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেন। তারপর সবাই মিলে ‘অদ্ভুত’ প্রাণীটিকে বেঁধে ফেলেন। সৌভাগ্যক্রমে এটিকে মেরে না ফেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেন তাঁরা। পরে জানা যায় এর আসল পরিচয়, এটি একটি হগ ব্যাজার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন হগ ব্যাজারটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে ছাড়েন।

তিন বছরেরও বেশি আগের একটি ঘটনায় ফিরে যাই। এবারের প্রাণীটির ভাগ্য অবশ্য হগ ব্যাজারটির তুলনায় অনেকই খারাপ ছিল। ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চিতনা গ্রাম। এক ব্যক্তি মারা গেলে কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরদিন সকালে অদ্ভুত চেহারার এক জন্তুকে সেই কবরের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখে এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল, লাশখেকো একটি জন্তুর খোঁজ মিলেছে।

ব্যস, আর যায় কোথায়! ওটাকে ধরে মহাসমারোহে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসী। এতটুকুই তথ্য জোগাড় করেছিলাম পত্রিকা থেকে। যদিও ওখানে প্রাণীটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল গন্ধগোকুল বা খাটাশ হিসেবে। তবে জন্তুটির লোমশ শরীর বলছিল অন্য কথা। দেখে একে বিন্টুরং বা ভামের মতোই মনে হচ্ছিল। পরে ছবি দেখে নিশ্চিত হই ওটা বিন্টুরংই। 

কিন্তু শেরপুর শহরে হগ ব্যাজার কিংবা নাসিরনগরের গ্রামীণ বনে বিন্টুরং এল কীভাবে?

শুরুটা করছি হগ ব্যাজার দিয়ে। তার আগে একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। গায়ে-গতের শূূকরাকার ব্যাজাররা মাঝারি। দৈর্ঘ্য ২২-২৬ ইঞ্চি। লেজটা ৫-৬ ইঞ্চি। ওজন ৫-৮ কেজি। নাকটা শূকরের মতো হওয়ায় শূকরাকার ব্যাজার বা হগ ব্যাজার নাম পেয়েছে। তবে দেহের বিভিন্ন অংশ শূকর থেকে অনেকই আলাদা। গাট্টাগোট্টা শরীরে বাদামি লোম থাকে। গলা-মুখ সাদাটে, পিঠের ওপর লম্বা দুটো কালো দাগ। এদের চেহারার সঙ্গে হানি ব্যাজারদেরও বেশ মিল আছে। তবে কথা হলো, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এখন হানি ব্যাজার আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

আশার কথা, হগ ব্যাজার বা শূূকরাকার ব্যাজার বাংলাদেশের বনগুলোতে এখনো অল্পবিস্তর আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার বন-পাহাড়ে। ভাগ্যচক্রে দু-একজন পর্যটক এর দেখাও পেয়ে যান। এমনই একজন প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। হঠাৎ এদের একটার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সীতাকুণ্ডের বন-পাহাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়বকুণ্ড থেকে তীর্থদাম অগ্নিকুণ্ডে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে এক ঝিরিতে গা ভেজাচ্ছেলেন। আচমকা ওটাকে দেখেন। শূকরের মতো মুখ, লোমশ চামড়ার আশ্চর্য এই প্রাণী দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তাঁর। বেচারা আগে কখনো হগ ব্যাজারের কথা শোনেননি। চম্পট দেন ওখান থেকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এর আগেই কাঁপা কাঁপা হাতে দুর্দান্ত দুটি ছবি তুলে ফেলেন ওটার। 

হগ ব্যাজাররা মোটামুটি সর্বভুক। ফলমূল, গাছের শিকড়, ছোট জন্তু, মাছ—কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই। 

আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামের সূত্রে জানতে পারলাম, দিঘারপাড়ের পরেই বিল আছে। বিলের পর আবার আছে দুটি ইটভাটা। পৌরসভার মধ্যে পড়লেও জায়গাটির পরিবেশ গ্রামীণ। বিভিন্ন বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড় কিংবা গাছপালা আছে। বিলের কাছে বাড়ি-ঘর থাকলেও সেগুলোর চারপাশেও ঝোপঝাড় ও বেশ গাছপালা আছে। এদিকে এই এলাকা থেকে গারো পাহাড় বেশ দূরে। তাহলে আমরা অনুমান করতেই পারি, হগ ব্যাজারটি এখানকার স্থানীয় প্রাণী। হয়তো এ রকম আরও দু-চারটি এখনো সেখানে টিকে আছে।

এবার নাসিরনগরের ওই ভামকাণ্ডে চোখ বোলানো যাক আবার। ভামরা আমি যত দূর জানি সর্বভুক। ওটা যে আসলেই লাশ খেয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। যদিও গ্রামবাসী নিশ্চিত না হয়েই জন্তুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আমরা সত্যি জানি না, যে অপরাধে মারা হয়েছে, তা ওই জন্তুটা করেছে কি না।

কথা হলো, নাসিরনগরে তারা এল কীভাবে? নাসিরনগরের সবচেয়ে কাছের সংরক্ষিত বন সাতছড়ি। তা-ও ওখান থেকে একটি বিন্টুরং অতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে আসাটা স্বাভাবিক নয়! তবে খোঁজ-খবর নিয়ে যত দূর জানতে পেরেছি, নাসিরনগরে কিছু বাঁশ-বন আছে। আর এটা মোটামুটি জানা যে, ভালুকেরা বাঁশবনকে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পছন্দ করে। তাহলে সম্ভবত নাসিরনগরের বাঁশবাগানই ছিল এর আস্তানা। তবে কি সেখানে আরও আছে? নাকি শেষটাকেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছি! 

এই নাসিরনগরের বাঁশবনের কথা ভাবতে গিয়েই মনে পড়ল আমার নানাবাড়ি পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরষপুরে প্রচুর বাঁশবন আছে। ওই সব বনের দু-চারটায় আমি ঘোরাফেরাও করেছি বেশ। তাহলে ওই সব বাঁশবাগানেও দু-চারটা বিন্টুরং আছে নাকি! এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটোরে একটা বাঁশভালুক দেখার খবর মিলেছিল। 

শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে এই হগ ব্যাজারটি। ছবি: সংগৃহীতএবার বিন্টুরং জন্তুটি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন এদের। লোমশ শরীর, গায়ের রং কালো, তবে পা চারটি খাটো। লোমশ লেজটা শুরুর দিকে চওড়া, তারপর ধীরে ধীরে একটু সরু হয়ে শেষ অংশে ভেতরের দিকে কুঁকড়ে গেছে। এই লেজ দিয়ে এরা শক্তভাবে গাছের ডাল বা অন্য যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। চোখ বড়, গোল কান ছোট। সর্বভুক জন্তুটি খুদে স্তন্যপায়ী জন্তু থেকে শুরু করে পাখি, মাছ, ফলমূল সবই খায়। ডুমুর প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে ওপরের দিকে। শাক-সবজি, লতাপাতায়ও আপত্তি নেই। তবে এর মড়াখেকো হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতির খবর খুব একটা জানা নেই।

এবার মেছো বিড়ালদের নিয়ে একটু আলাপ করি। বাংলাদেশের অনেক শহরের সীমানায় এমনকি খোদ ঢাকা শহরের পূর্বাচল এলাকায়ও মেছো বিড়াল এখনো অল্প সংখ্যায় হলো টিকে আছে। তেমনি ঢাকা শহরের সীমানায় অল্প-বিস্তর শিয়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুলও আছে এখনো। বিভিন্ন শহরে ও গ্রামের ঘর-বাড়ির কাছে ছোট বন কিংবা গাছপালা আছে এমন জায়গায় টিকে আছে বনবিড়াল, গন্ধেগোকুল, বাঘডাঁসের মতো প্রাণীরা। 

একটা সময় গ্রামীণ বনে, শহরে মানুষের আশপাশে অনেক বন্যপ্রাণীই বিচরণ করত। তখন এত ঝামেলাও হতো না। মানুষ এদের সঙ্গে পরিচিতও ছিল। কিন্তু নগারায়ণের কারণে এসব বন্যপ্রাণী ক্রমেই পিছু হটেছে। অনেকগুলো মানুষের হাতে মারা পড়েছে। কিছু আবার বড় বনের দিকে সরে পড়েছে। তবে এত কিছুর পরও অল্প-বিস্তর বন্যপ্রাণী যে এখনো শহরে বা শহরতলি কিংবা মানুষের বাড়ি-ঘরের আশপাশে কালেভদ্রে দেখা যায়, এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কিন্তু কোনো বন্যপ্রাণীকে আশপাশে দেখলেই মেরে ফেলা তো একেবারেই উচিত নয়। তেমনি সাফারি পার্কে কিংবা কোনো বনে অবমুক্ত করাটাও কি খুব যুক্তিযুক্ত?

একটা জন্তুকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য জায়গায় সরানোটাও তো নিষ্ঠুরতা। আমাদের মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য সব করতে হবে? আমাদের আশপাশে কি বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না?

বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, হগ ব্যাজার যে শুধুই বনে থাকে ব্যাপারটি এমন নয়। গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে, শেরপুরে যেখানে একে পাওয়া যায়, তার আশপাশে হোমস্টেড ফরেস্ট বা গ্রামীণ বন আছে। লাগোয়া বিলও আছে। অচেনা প্রাণী শুধু খুব গহিন বনেই থাকে—এই চিন্তাধারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে কনফ্লিক্টিং। 

‘অচেনা’ প্রাণী বাসার পেছনের বাঁশবনেও থাকতে পারে। হগ ব্যাজার একটু ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। বিল, বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বন—সবকিছু মিলিয়ে এই হগ ব্যাজার শেরপুরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলেই মনে হয়। হগ ব্যাজারদের কিন্তু কখনো কখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হলের আশপাশে ঘুরঘুর করতেও দেখা গেছে। এদিকে বাঁশভালুক নাসিরনগর বা আশপাশের এলাকার বাঁশবনে এখনো টিকে থাকা অসম্ভব নয়। বাঁশভালুক নিয়ে বাংলাদেশে সে অর্থে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে বাইরের গবেষণা বলছে, বাড়ির আশপাশের বাঁশবনেও এদের থাকা সম্ভব। 

মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মেছো বিড়াল আর বনবিড়ালের কথাও আমাদের চিন্তা করা উচিত। শ্রীমঙ্গলে যেমন কোনো মেছো বিড়াল ধরা পড়লেই এদের বাইক্কার বিলের আশপাশে বা কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ বাইক্কার বিল একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। তেমনি প্রতিটি বনের ধারণক্ষমতা আছে। মেছো বিড়াল, বনবিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের আশপাশের এলাকায়ও থাকার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্কটল্যান্ডে যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওয়াইল্ড ক্যাটেরা; বাংলাদেশের বনবিড়াল, মেছো বিড়াল বা হগ ব্যাজারদের একই অবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কটল্যান্ডের একটি বনে কেবল ১২-১৪টি পিউর ওয়াইল্ড ক্যাট টিকে আছে।’

বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন বাঁশভালুকদের। ছবি: উইকিপিডিয়াজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, হগ ব্যাজার-বাঁশভালুকের মতো প্রাণীরা নিজের বাসস্থান ছেড়ে খুব বেশি দূরে যায় না। কাজেই এসব প্রাণী যে এলাকায় ধরা পড়েছে, সেই এলাকারই হওয়ার কথা। হগ ব্যাজার শেরপুরে যেখানে ধরা পড়েছে, এর আশপাশে কোথাও থাকতেই পারে। দিনে মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, রাতে বের হয়। কাজেই এটা এত দিন মানুষের চোখে না পড়া অসম্ভব নয়। 

তিনি বলেন, কোনো প্রাণী যে জায়গায় ধরা পড়ে, সেখানে তার বসবাসের পরিবেশ থাকলে ওই জায়গাটায় ছাড়াটাই উচিত। কিন্তু পরিবেশ না থাকলে অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় ছাড়তে হয়। না হলে আবার মানুষের হাতে ধরা পড়বে। আর আহত হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই সুস্থ করে ছাড়া উচিত। তা ছাড়া যেসব জায়গায় এসব প্রাণী বসবাসের পরিবেশ ছিল, একসময় সেখানে নতুন করে হেবিটেট তৈরি করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এসব ক্ষেত্রে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করাটাও জরুরি।

আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। এই দিনের চাওয়া—ভালো থাকুক দেশের বন্যপ্রাণী, আপন পরিবেশেই সুস্থ থাকুক এরা। আমরা মানুষ একটু উদার হলে এসব প্রাণীকে বোঝার চেষ্টা করলেই আমাদের আশপাশেও টিকে থাকতে পারে এরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ

  • ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মধ্যে আছে বাংলাদেশও
  • অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে কোটি কোটি মানুষ
  • ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ১০ শতাংশের সমপরিমাণ
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।

বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।

গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।

দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্‌করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।

প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত