ইশতিয়াক হাসান

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্য প্রাণী। এই মাসের গোড়ার দিকেই যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
৪ মে, শনিবার। শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় লাল মিয়া তাঁর জমিতে একটি বন্যপ্রাণী দেখতে পান। এ ধরনের প্রাণী আগে কখনো দেখেননি তিনি। নাকসহ শরীরের কিছু অংশ শূকরের মতো। আবার বেশ পার্থক্যও আছে। লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেন। তারপর সবাই মিলে ‘অদ্ভুত’ প্রাণীটিকে বেঁধে ফেলেন। সৌভাগ্যক্রমে এটিকে মেরে না ফেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেন তাঁরা। পরে জানা যায় এর আসল পরিচয়, এটি একটি হগ ব্যাজার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন হগ ব্যাজারটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে ছাড়েন।
তিন বছরেরও বেশি আগের একটি ঘটনায় ফিরে যাই। এবারের প্রাণীটির ভাগ্য অবশ্য হগ ব্যাজারটির তুলনায় অনেকই খারাপ ছিল। ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চিতনা গ্রাম। এক ব্যক্তি মারা গেলে কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরদিন সকালে অদ্ভুত চেহারার এক জন্তুকে সেই কবরের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখে এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল, লাশখেকো একটি জন্তুর খোঁজ মিলেছে।
ব্যস, আর যায় কোথায়! ওটাকে ধরে মহাসমারোহে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসী। এতটুকুই তথ্য জোগাড় করেছিলাম পত্রিকা থেকে। যদিও ওখানে প্রাণীটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল গন্ধগোকুল বা খাটাশ হিসেবে। তবে জন্তুটির লোমশ শরীর বলছিল অন্য কথা। দেখে একে বিন্টুরং বা ভামের মতোই মনে হচ্ছিল। পরে ছবি দেখে নিশ্চিত হই ওটা বিন্টুরংই।
কিন্তু শেরপুর শহরে হগ ব্যাজার কিংবা নাসিরনগরের গ্রামীণ বনে বিন্টুরং এল কীভাবে?
শুরুটা করছি হগ ব্যাজার দিয়ে। তার আগে একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। গায়ে-গতের শূূকরাকার ব্যাজাররা মাঝারি। দৈর্ঘ্য ২২-২৬ ইঞ্চি। লেজটা ৫-৬ ইঞ্চি। ওজন ৫-৮ কেজি। নাকটা শূকরের মতো হওয়ায় শূকরাকার ব্যাজার বা হগ ব্যাজার নাম পেয়েছে। তবে দেহের বিভিন্ন অংশ শূকর থেকে অনেকই আলাদা। গাট্টাগোট্টা শরীরে বাদামি লোম থাকে। গলা-মুখ সাদাটে, পিঠের ওপর লম্বা দুটো কালো দাগ। এদের চেহারার সঙ্গে হানি ব্যাজারদেরও বেশ মিল আছে। তবে কথা হলো, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এখন হানি ব্যাজার আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
আশার কথা, হগ ব্যাজার বা শূূকরাকার ব্যাজার বাংলাদেশের বনগুলোতে এখনো অল্পবিস্তর আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার বন-পাহাড়ে। ভাগ্যচক্রে দু-একজন পর্যটক এর দেখাও পেয়ে যান। এমনই একজন প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। হঠাৎ এদের একটার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সীতাকুণ্ডের বন-পাহাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়বকুণ্ড থেকে তীর্থদাম অগ্নিকুণ্ডে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে এক ঝিরিতে গা ভেজাচ্ছেলেন। আচমকা ওটাকে দেখেন। শূকরের মতো মুখ, লোমশ চামড়ার আশ্চর্য এই প্রাণী দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তাঁর। বেচারা আগে কখনো হগ ব্যাজারের কথা শোনেননি। চম্পট দেন ওখান থেকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এর আগেই কাঁপা কাঁপা হাতে দুর্দান্ত দুটি ছবি তুলে ফেলেন ওটার।
হগ ব্যাজাররা মোটামুটি সর্বভুক। ফলমূল, গাছের শিকড়, ছোট জন্তু, মাছ—কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই।
আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামের সূত্রে জানতে পারলাম, দিঘারপাড়ের পরেই বিল আছে। বিলের পর আবার আছে দুটি ইটভাটা। পৌরসভার মধ্যে পড়লেও জায়গাটির পরিবেশ গ্রামীণ। বিভিন্ন বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড় কিংবা গাছপালা আছে। বিলের কাছে বাড়ি-ঘর থাকলেও সেগুলোর চারপাশেও ঝোপঝাড় ও বেশ গাছপালা আছে। এদিকে এই এলাকা থেকে গারো পাহাড় বেশ দূরে। তাহলে আমরা অনুমান করতেই পারি, হগ ব্যাজারটি এখানকার স্থানীয় প্রাণী। হয়তো এ রকম আরও দু-চারটি এখনো সেখানে টিকে আছে।
এবার নাসিরনগরের ওই ভামকাণ্ডে চোখ বোলানো যাক আবার। ভামরা আমি যত দূর জানি সর্বভুক। ওটা যে আসলেই লাশ খেয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। যদিও গ্রামবাসী নিশ্চিত না হয়েই জন্তুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আমরা সত্যি জানি না, যে অপরাধে মারা হয়েছে, তা ওই জন্তুটা করেছে কি না।
কথা হলো, নাসিরনগরে তারা এল কীভাবে? নাসিরনগরের সবচেয়ে কাছের সংরক্ষিত বন সাতছড়ি। তা-ও ওখান থেকে একটি বিন্টুরং অতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে আসাটা স্বাভাবিক নয়! তবে খোঁজ-খবর নিয়ে যত দূর জানতে পেরেছি, নাসিরনগরে কিছু বাঁশ-বন আছে। আর এটা মোটামুটি জানা যে, ভালুকেরা বাঁশবনকে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পছন্দ করে। তাহলে সম্ভবত নাসিরনগরের বাঁশবাগানই ছিল এর আস্তানা। তবে কি সেখানে আরও আছে? নাকি শেষটাকেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছি!
এই নাসিরনগরের বাঁশবনের কথা ভাবতে গিয়েই মনে পড়ল আমার নানাবাড়ি পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরষপুরে প্রচুর বাঁশবন আছে। ওই সব বনের দু-চারটায় আমি ঘোরাফেরাও করেছি বেশ। তাহলে ওই সব বাঁশবাগানেও দু-চারটা বিন্টুরং আছে নাকি! এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটোরে একটা বাঁশভালুক দেখার খবর মিলেছিল।
এবার বিন্টুরং জন্তুটি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন এদের। লোমশ শরীর, গায়ের রং কালো, তবে পা চারটি খাটো। লোমশ লেজটা শুরুর দিকে চওড়া, তারপর ধীরে ধীরে একটু সরু হয়ে শেষ অংশে ভেতরের দিকে কুঁকড়ে গেছে। এই লেজ দিয়ে এরা শক্তভাবে গাছের ডাল বা অন্য যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। চোখ বড়, গোল কান ছোট। সর্বভুক জন্তুটি খুদে স্তন্যপায়ী জন্তু থেকে শুরু করে পাখি, মাছ, ফলমূল সবই খায়। ডুমুর প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে ওপরের দিকে। শাক-সবজি, লতাপাতায়ও আপত্তি নেই। তবে এর মড়াখেকো হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতির খবর খুব একটা জানা নেই।
এবার মেছো বিড়ালদের নিয়ে একটু আলাপ করি। বাংলাদেশের অনেক শহরের সীমানায় এমনকি খোদ ঢাকা শহরের পূর্বাচল এলাকায়ও মেছো বিড়াল এখনো অল্প সংখ্যায় হলো টিকে আছে। তেমনি ঢাকা শহরের সীমানায় অল্প-বিস্তর শিয়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুলও আছে এখনো। বিভিন্ন শহরে ও গ্রামের ঘর-বাড়ির কাছে ছোট বন কিংবা গাছপালা আছে এমন জায়গায় টিকে আছে বনবিড়াল, গন্ধেগোকুল, বাঘডাঁসের মতো প্রাণীরা।
একটা সময় গ্রামীণ বনে, শহরে মানুষের আশপাশে অনেক বন্যপ্রাণীই বিচরণ করত। তখন এত ঝামেলাও হতো না। মানুষ এদের সঙ্গে পরিচিতও ছিল। কিন্তু নগারায়ণের কারণে এসব বন্যপ্রাণী ক্রমেই পিছু হটেছে। অনেকগুলো মানুষের হাতে মারা পড়েছে। কিছু আবার বড় বনের দিকে সরে পড়েছে। তবে এত কিছুর পরও অল্প-বিস্তর বন্যপ্রাণী যে এখনো শহরে বা শহরতলি কিংবা মানুষের বাড়ি-ঘরের আশপাশে কালেভদ্রে দেখা যায়, এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কিন্তু কোনো বন্যপ্রাণীকে আশপাশে দেখলেই মেরে ফেলা তো একেবারেই উচিত নয়। তেমনি সাফারি পার্কে কিংবা কোনো বনে অবমুক্ত করাটাও কি খুব যুক্তিযুক্ত?
একটা জন্তুকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য জায়গায় সরানোটাও তো নিষ্ঠুরতা। আমাদের মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য সব করতে হবে? আমাদের আশপাশে কি বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না?
বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, হগ ব্যাজার যে শুধুই বনে থাকে ব্যাপারটি এমন নয়। গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে, শেরপুরে যেখানে একে পাওয়া যায়, তার আশপাশে হোমস্টেড ফরেস্ট বা গ্রামীণ বন আছে। লাগোয়া বিলও আছে। অচেনা প্রাণী শুধু খুব গহিন বনেই থাকে—এই চিন্তাধারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে কনফ্লিক্টিং।
‘অচেনা’ প্রাণী বাসার পেছনের বাঁশবনেও থাকতে পারে। হগ ব্যাজার একটু ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। বিল, বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বন—সবকিছু মিলিয়ে এই হগ ব্যাজার শেরপুরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলেই মনে হয়। হগ ব্যাজারদের কিন্তু কখনো কখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হলের আশপাশে ঘুরঘুর করতেও দেখা গেছে। এদিকে বাঁশভালুক নাসিরনগর বা আশপাশের এলাকার বাঁশবনে এখনো টিকে থাকা অসম্ভব নয়। বাঁশভালুক নিয়ে বাংলাদেশে সে অর্থে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে বাইরের গবেষণা বলছে, বাড়ির আশপাশের বাঁশবনেও এদের থাকা সম্ভব।
মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মেছো বিড়াল আর বনবিড়ালের কথাও আমাদের চিন্তা করা উচিত। শ্রীমঙ্গলে যেমন কোনো মেছো বিড়াল ধরা পড়লেই এদের বাইক্কার বিলের আশপাশে বা কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ বাইক্কার বিল একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। তেমনি প্রতিটি বনের ধারণক্ষমতা আছে। মেছো বিড়াল, বনবিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের আশপাশের এলাকায়ও থাকার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্কটল্যান্ডে যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওয়াইল্ড ক্যাটেরা; বাংলাদেশের বনবিড়াল, মেছো বিড়াল বা হগ ব্যাজারদের একই অবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কটল্যান্ডের একটি বনে কেবল ১২-১৪টি পিউর ওয়াইল্ড ক্যাট টিকে আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, হগ ব্যাজার-বাঁশভালুকের মতো প্রাণীরা নিজের বাসস্থান ছেড়ে খুব বেশি দূরে যায় না। কাজেই এসব প্রাণী যে এলাকায় ধরা পড়েছে, সেই এলাকারই হওয়ার কথা। হগ ব্যাজার শেরপুরে যেখানে ধরা পড়েছে, এর আশপাশে কোথাও থাকতেই পারে। দিনে মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, রাতে বের হয়। কাজেই এটা এত দিন মানুষের চোখে না পড়া অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোনো প্রাণী যে জায়গায় ধরা পড়ে, সেখানে তার বসবাসের পরিবেশ থাকলে ওই জায়গাটায় ছাড়াটাই উচিত। কিন্তু পরিবেশ না থাকলে অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় ছাড়তে হয়। না হলে আবার মানুষের হাতে ধরা পড়বে। আর আহত হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই সুস্থ করে ছাড়া উচিত। তা ছাড়া যেসব জায়গায় এসব প্রাণী বসবাসের পরিবেশ ছিল, একসময় সেখানে নতুন করে হেবিটেট তৈরি করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এসব ক্ষেত্রে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করাটাও জরুরি।
আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। এই দিনের চাওয়া—ভালো থাকুক দেশের বন্যপ্রাণী, আপন পরিবেশেই সুস্থ থাকুক এরা। আমরা মানুষ একটু উদার হলে এসব প্রাণীকে বোঝার চেষ্টা করলেই আমাদের আশপাশেও টিকে থাকতে পারে এরা।

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্য প্রাণী। এই মাসের গোড়ার দিকেই যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
৪ মে, শনিবার। শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় লাল মিয়া তাঁর জমিতে একটি বন্যপ্রাণী দেখতে পান। এ ধরনের প্রাণী আগে কখনো দেখেননি তিনি। নাকসহ শরীরের কিছু অংশ শূকরের মতো। আবার বেশ পার্থক্যও আছে। লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেন। তারপর সবাই মিলে ‘অদ্ভুত’ প্রাণীটিকে বেঁধে ফেলেন। সৌভাগ্যক্রমে এটিকে মেরে না ফেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেন তাঁরা। পরে জানা যায় এর আসল পরিচয়, এটি একটি হগ ব্যাজার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন হগ ব্যাজারটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে ছাড়েন।
তিন বছরেরও বেশি আগের একটি ঘটনায় ফিরে যাই। এবারের প্রাণীটির ভাগ্য অবশ্য হগ ব্যাজারটির তুলনায় অনেকই খারাপ ছিল। ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চিতনা গ্রাম। এক ব্যক্তি মারা গেলে কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরদিন সকালে অদ্ভুত চেহারার এক জন্তুকে সেই কবরের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখে এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল, লাশখেকো একটি জন্তুর খোঁজ মিলেছে।
ব্যস, আর যায় কোথায়! ওটাকে ধরে মহাসমারোহে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসী। এতটুকুই তথ্য জোগাড় করেছিলাম পত্রিকা থেকে। যদিও ওখানে প্রাণীটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল গন্ধগোকুল বা খাটাশ হিসেবে। তবে জন্তুটির লোমশ শরীর বলছিল অন্য কথা। দেখে একে বিন্টুরং বা ভামের মতোই মনে হচ্ছিল। পরে ছবি দেখে নিশ্চিত হই ওটা বিন্টুরংই।
কিন্তু শেরপুর শহরে হগ ব্যাজার কিংবা নাসিরনগরের গ্রামীণ বনে বিন্টুরং এল কীভাবে?
শুরুটা করছি হগ ব্যাজার দিয়ে। তার আগে একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। গায়ে-গতের শূূকরাকার ব্যাজাররা মাঝারি। দৈর্ঘ্য ২২-২৬ ইঞ্চি। লেজটা ৫-৬ ইঞ্চি। ওজন ৫-৮ কেজি। নাকটা শূকরের মতো হওয়ায় শূকরাকার ব্যাজার বা হগ ব্যাজার নাম পেয়েছে। তবে দেহের বিভিন্ন অংশ শূকর থেকে অনেকই আলাদা। গাট্টাগোট্টা শরীরে বাদামি লোম থাকে। গলা-মুখ সাদাটে, পিঠের ওপর লম্বা দুটো কালো দাগ। এদের চেহারার সঙ্গে হানি ব্যাজারদেরও বেশ মিল আছে। তবে কথা হলো, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এখন হানি ব্যাজার আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
আশার কথা, হগ ব্যাজার বা শূূকরাকার ব্যাজার বাংলাদেশের বনগুলোতে এখনো অল্পবিস্তর আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার বন-পাহাড়ে। ভাগ্যচক্রে দু-একজন পর্যটক এর দেখাও পেয়ে যান। এমনই একজন প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। হঠাৎ এদের একটার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সীতাকুণ্ডের বন-পাহাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়বকুণ্ড থেকে তীর্থদাম অগ্নিকুণ্ডে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে এক ঝিরিতে গা ভেজাচ্ছেলেন। আচমকা ওটাকে দেখেন। শূকরের মতো মুখ, লোমশ চামড়ার আশ্চর্য এই প্রাণী দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তাঁর। বেচারা আগে কখনো হগ ব্যাজারের কথা শোনেননি। চম্পট দেন ওখান থেকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এর আগেই কাঁপা কাঁপা হাতে দুর্দান্ত দুটি ছবি তুলে ফেলেন ওটার।
হগ ব্যাজাররা মোটামুটি সর্বভুক। ফলমূল, গাছের শিকড়, ছোট জন্তু, মাছ—কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই।
আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামের সূত্রে জানতে পারলাম, দিঘারপাড়ের পরেই বিল আছে। বিলের পর আবার আছে দুটি ইটভাটা। পৌরসভার মধ্যে পড়লেও জায়গাটির পরিবেশ গ্রামীণ। বিভিন্ন বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড় কিংবা গাছপালা আছে। বিলের কাছে বাড়ি-ঘর থাকলেও সেগুলোর চারপাশেও ঝোপঝাড় ও বেশ গাছপালা আছে। এদিকে এই এলাকা থেকে গারো পাহাড় বেশ দূরে। তাহলে আমরা অনুমান করতেই পারি, হগ ব্যাজারটি এখানকার স্থানীয় প্রাণী। হয়তো এ রকম আরও দু-চারটি এখনো সেখানে টিকে আছে।
এবার নাসিরনগরের ওই ভামকাণ্ডে চোখ বোলানো যাক আবার। ভামরা আমি যত দূর জানি সর্বভুক। ওটা যে আসলেই লাশ খেয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। যদিও গ্রামবাসী নিশ্চিত না হয়েই জন্তুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আমরা সত্যি জানি না, যে অপরাধে মারা হয়েছে, তা ওই জন্তুটা করেছে কি না।
কথা হলো, নাসিরনগরে তারা এল কীভাবে? নাসিরনগরের সবচেয়ে কাছের সংরক্ষিত বন সাতছড়ি। তা-ও ওখান থেকে একটি বিন্টুরং অতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে আসাটা স্বাভাবিক নয়! তবে খোঁজ-খবর নিয়ে যত দূর জানতে পেরেছি, নাসিরনগরে কিছু বাঁশ-বন আছে। আর এটা মোটামুটি জানা যে, ভালুকেরা বাঁশবনকে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পছন্দ করে। তাহলে সম্ভবত নাসিরনগরের বাঁশবাগানই ছিল এর আস্তানা। তবে কি সেখানে আরও আছে? নাকি শেষটাকেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছি!
এই নাসিরনগরের বাঁশবনের কথা ভাবতে গিয়েই মনে পড়ল আমার নানাবাড়ি পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরষপুরে প্রচুর বাঁশবন আছে। ওই সব বনের দু-চারটায় আমি ঘোরাফেরাও করেছি বেশ। তাহলে ওই সব বাঁশবাগানেও দু-চারটা বিন্টুরং আছে নাকি! এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটোরে একটা বাঁশভালুক দেখার খবর মিলেছিল।
এবার বিন্টুরং জন্তুটি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন এদের। লোমশ শরীর, গায়ের রং কালো, তবে পা চারটি খাটো। লোমশ লেজটা শুরুর দিকে চওড়া, তারপর ধীরে ধীরে একটু সরু হয়ে শেষ অংশে ভেতরের দিকে কুঁকড়ে গেছে। এই লেজ দিয়ে এরা শক্তভাবে গাছের ডাল বা অন্য যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। চোখ বড়, গোল কান ছোট। সর্বভুক জন্তুটি খুদে স্তন্যপায়ী জন্তু থেকে শুরু করে পাখি, মাছ, ফলমূল সবই খায়। ডুমুর প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে ওপরের দিকে। শাক-সবজি, লতাপাতায়ও আপত্তি নেই। তবে এর মড়াখেকো হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতির খবর খুব একটা জানা নেই।
এবার মেছো বিড়ালদের নিয়ে একটু আলাপ করি। বাংলাদেশের অনেক শহরের সীমানায় এমনকি খোদ ঢাকা শহরের পূর্বাচল এলাকায়ও মেছো বিড়াল এখনো অল্প সংখ্যায় হলো টিকে আছে। তেমনি ঢাকা শহরের সীমানায় অল্প-বিস্তর শিয়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুলও আছে এখনো। বিভিন্ন শহরে ও গ্রামের ঘর-বাড়ির কাছে ছোট বন কিংবা গাছপালা আছে এমন জায়গায় টিকে আছে বনবিড়াল, গন্ধেগোকুল, বাঘডাঁসের মতো প্রাণীরা।
একটা সময় গ্রামীণ বনে, শহরে মানুষের আশপাশে অনেক বন্যপ্রাণীই বিচরণ করত। তখন এত ঝামেলাও হতো না। মানুষ এদের সঙ্গে পরিচিতও ছিল। কিন্তু নগারায়ণের কারণে এসব বন্যপ্রাণী ক্রমেই পিছু হটেছে। অনেকগুলো মানুষের হাতে মারা পড়েছে। কিছু আবার বড় বনের দিকে সরে পড়েছে। তবে এত কিছুর পরও অল্প-বিস্তর বন্যপ্রাণী যে এখনো শহরে বা শহরতলি কিংবা মানুষের বাড়ি-ঘরের আশপাশে কালেভদ্রে দেখা যায়, এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কিন্তু কোনো বন্যপ্রাণীকে আশপাশে দেখলেই মেরে ফেলা তো একেবারেই উচিত নয়। তেমনি সাফারি পার্কে কিংবা কোনো বনে অবমুক্ত করাটাও কি খুব যুক্তিযুক্ত?
একটা জন্তুকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য জায়গায় সরানোটাও তো নিষ্ঠুরতা। আমাদের মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য সব করতে হবে? আমাদের আশপাশে কি বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না?
বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, হগ ব্যাজার যে শুধুই বনে থাকে ব্যাপারটি এমন নয়। গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে, শেরপুরে যেখানে একে পাওয়া যায়, তার আশপাশে হোমস্টেড ফরেস্ট বা গ্রামীণ বন আছে। লাগোয়া বিলও আছে। অচেনা প্রাণী শুধু খুব গহিন বনেই থাকে—এই চিন্তাধারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে কনফ্লিক্টিং।
‘অচেনা’ প্রাণী বাসার পেছনের বাঁশবনেও থাকতে পারে। হগ ব্যাজার একটু ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। বিল, বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বন—সবকিছু মিলিয়ে এই হগ ব্যাজার শেরপুরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলেই মনে হয়। হগ ব্যাজারদের কিন্তু কখনো কখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হলের আশপাশে ঘুরঘুর করতেও দেখা গেছে। এদিকে বাঁশভালুক নাসিরনগর বা আশপাশের এলাকার বাঁশবনে এখনো টিকে থাকা অসম্ভব নয়। বাঁশভালুক নিয়ে বাংলাদেশে সে অর্থে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে বাইরের গবেষণা বলছে, বাড়ির আশপাশের বাঁশবনেও এদের থাকা সম্ভব।
মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মেছো বিড়াল আর বনবিড়ালের কথাও আমাদের চিন্তা করা উচিত। শ্রীমঙ্গলে যেমন কোনো মেছো বিড়াল ধরা পড়লেই এদের বাইক্কার বিলের আশপাশে বা কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ বাইক্কার বিল একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। তেমনি প্রতিটি বনের ধারণক্ষমতা আছে। মেছো বিড়াল, বনবিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের আশপাশের এলাকায়ও থাকার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্কটল্যান্ডে যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওয়াইল্ড ক্যাটেরা; বাংলাদেশের বনবিড়াল, মেছো বিড়াল বা হগ ব্যাজারদের একই অবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কটল্যান্ডের একটি বনে কেবল ১২-১৪টি পিউর ওয়াইল্ড ক্যাট টিকে আছে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, হগ ব্যাজার-বাঁশভালুকের মতো প্রাণীরা নিজের বাসস্থান ছেড়ে খুব বেশি দূরে যায় না। কাজেই এসব প্রাণী যে এলাকায় ধরা পড়েছে, সেই এলাকারই হওয়ার কথা। হগ ব্যাজার শেরপুরে যেখানে ধরা পড়েছে, এর আশপাশে কোথাও থাকতেই পারে। দিনে মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, রাতে বের হয়। কাজেই এটা এত দিন মানুষের চোখে না পড়া অসম্ভব নয়।
তিনি বলেন, কোনো প্রাণী যে জায়গায় ধরা পড়ে, সেখানে তার বসবাসের পরিবেশ থাকলে ওই জায়গাটায় ছাড়াটাই উচিত। কিন্তু পরিবেশ না থাকলে অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় ছাড়তে হয়। না হলে আবার মানুষের হাতে ধরা পড়বে। আর আহত হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই সুস্থ করে ছাড়া উচিত। তা ছাড়া যেসব জায়গায় এসব প্রাণী বসবাসের পরিবেশ ছিল, একসময় সেখানে নতুন করে হেবিটেট তৈরি করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এসব ক্ষেত্রে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করাটাও জরুরি।
আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। এই দিনের চাওয়া—ভালো থাকুক দেশের বন্যপ্রাণী, আপন পরিবেশেই সুস্থ থাকুক এরা। আমরা মানুষ একটু উদার হলে এসব প্রাণীকে বোঝার চেষ্টা করলেই আমাদের আশপাশেও টিকে থাকতে পারে এরা।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্যপ্রাণী। গত ৪ মে যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
২২ মে ২০২৪
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্যপ্রাণী। গত ৪ মে যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
২২ মে ২০২৪
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্যপ্রাণী। গত ৪ মে যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
২২ মে ২০২৪
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্যপ্রাণী। গত ৪ মে যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।
২২ মে ২০২৪
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
২ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগে