Ajker Patrika

মানুষের আশপাশের বন্য প্রাণীদের কি বেঁচে থাকার অধিকার নেই

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ২২ মে ২০২৪, ১৫: ৩৭
মানুষের আশপাশের বন্য প্রাণীদের কি বেঁচে থাকার অধিকার নেই

এখনো আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামে তো বটেই, শহরাঞ্চলেও টিকে আছে কোনো কোনো বন্য প্রাণী। এই মাসের গোড়ার দিকেই যেমন শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে একটি হগ ব্যাজার। আমাদের আশপাশে থাকা এসব প্রাণীরও তো বেঁচে থাকার অধিকার আছে আপন পরিবেশে। এদের নিয়ে আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসের আয়োজন।

৪ মে, শনিবার। শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লায় লাল মিয়া তাঁর জমিতে একটি বন্যপ্রাণী দেখতে পান। এ ধরনের প্রাণী আগে কখনো দেখেননি তিনি। নাকসহ শরীরের কিছু অংশ শূকরের মতো। আবার বেশ পার্থক্যও আছে। লাল মিয়া আশপাশের লোকজনকে ডাক দেন। তারপর সবাই মিলে ‘অদ্ভুত’ প্রাণীটিকে বেঁধে ফেলেন। সৌভাগ্যক্রমে এটিকে মেরে না ফেলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দেন তাঁরা। পরে জানা যায় এর আসল পরিচয়, এটি একটি হগ ব্যাজার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের লোকজন হগ ব্যাজারটিকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বনে ছাড়েন।

তিন বছরেরও বেশি আগের একটি ঘটনায় ফিরে যাই। এবারের প্রাণীটির ভাগ্য অবশ্য হগ ব্যাজারটির তুলনায় অনেকই খারাপ ছিল। ফেব্রুয়ারি, ২০২১। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চিতনা গ্রাম। এক ব্যক্তি মারা গেলে কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরদিন সকালে অদ্ভুত চেহারার এক জন্তুকে সেই কবরের আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখে এলাকাবাসী। কিছুক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ল, লাশখেকো একটি জন্তুর খোঁজ মিলেছে।

ব্যস, আর যায় কোথায়! ওটাকে ধরে মহাসমারোহে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসী। এতটুকুই তথ্য জোগাড় করেছিলাম পত্রিকা থেকে। যদিও ওখানে প্রাণীটিকে উল্লেখ করা হয়েছিল গন্ধগোকুল বা খাটাশ হিসেবে। তবে জন্তুটির লোমশ শরীর বলছিল অন্য কথা। দেখে একে বিন্টুরং বা ভামের মতোই মনে হচ্ছিল। পরে ছবি দেখে নিশ্চিত হই ওটা বিন্টুরংই। 

কিন্তু শেরপুর শহরে হগ ব্যাজার কিংবা নাসিরনগরের গ্রামীণ বনে বিন্টুরং এল কীভাবে?

শুরুটা করছি হগ ব্যাজার দিয়ে। তার আগে একটু বর্ণনা দেওয়া যাক। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। গায়ে-গতের শূূকরাকার ব্যাজাররা মাঝারি। দৈর্ঘ্য ২২-২৬ ইঞ্চি। লেজটা ৫-৬ ইঞ্চি। ওজন ৫-৮ কেজি। নাকটা শূকরের মতো হওয়ায় শূকরাকার ব্যাজার বা হগ ব্যাজার নাম পেয়েছে। তবে দেহের বিভিন্ন অংশ শূকর থেকে অনেকই আলাদা। গাট্টাগোট্টা শরীরে বাদামি লোম থাকে। গলা-মুখ সাদাটে, পিঠের ওপর লম্বা দুটো কালো দাগ। এদের চেহারার সঙ্গে হানি ব্যাজারদেরও বেশ মিল আছে। তবে কথা হলো, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এখন হানি ব্যাজার আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

আশার কথা, হগ ব্যাজার বা শূূকরাকার ব্যাজার বাংলাদেশের বনগুলোতে এখনো অল্পবিস্তর আছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলার বন-পাহাড়ে। ভাগ্যচক্রে দু-একজন পর্যটক এর দেখাও পেয়ে যান। এমনই একজন প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম। হঠাৎ এদের একটার মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে। সীতাকুণ্ডের বন-পাহাড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়বকুণ্ড থেকে তীর্থদাম অগ্নিকুণ্ডে যাচ্ছিলেন। একপর্যায়ে সঙ্গীদের থেকে আলাদা হয়ে এক ঝিরিতে গা ভেজাচ্ছেলেন। আচমকা ওটাকে দেখেন। শূকরের মতো মুখ, লোমশ চামড়ার আশ্চর্য এই প্রাণী দেখে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় তাঁর। বেচারা আগে কখনো হগ ব্যাজারের কথা শোনেননি। চম্পট দেন ওখান থেকে। তবে সৌভাগ্যক্রমে এর আগেই কাঁপা কাঁপা হাতে দুর্দান্ত দুটি ছবি তুলে ফেলেন ওটার। 

হগ ব্যাজাররা মোটামুটি সর্বভুক। ফলমূল, গাছের শিকড়, ছোট জন্তু, মাছ—কোনো কিছুতেই আপত্তি নেই। 

আজকের পত্রিকার শেরপুর প্রতিনিধি জুবাইদুল ইসলামের সূত্রে জানতে পারলাম, দিঘারপাড়ের পরেই বিল আছে। বিলের পর আবার আছে দুটি ইটভাটা। পৌরসভার মধ্যে পড়লেও জায়গাটির পরিবেশ গ্রামীণ। বিভিন্ন বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড়, বাঁশঝাড় কিংবা গাছপালা আছে। বিলের কাছে বাড়ি-ঘর থাকলেও সেগুলোর চারপাশেও ঝোপঝাড় ও বেশ গাছপালা আছে। এদিকে এই এলাকা থেকে গারো পাহাড় বেশ দূরে। তাহলে আমরা অনুমান করতেই পারি, হগ ব্যাজারটি এখানকার স্থানীয় প্রাণী। হয়তো এ রকম আরও দু-চারটি এখনো সেখানে টিকে আছে।

এবার নাসিরনগরের ওই ভামকাণ্ডে চোখ বোলানো যাক আবার। ভামরা আমি যত দূর জানি সর্বভুক। ওটা যে আসলেই লাশ খেয়েছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। যদিও গ্রামবাসী নিশ্চিত না হয়েই জন্তুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আমরা সত্যি জানি না, যে অপরাধে মারা হয়েছে, তা ওই জন্তুটা করেছে কি না।

কথা হলো, নাসিরনগরে তারা এল কীভাবে? নাসিরনগরের সবচেয়ে কাছের সংরক্ষিত বন সাতছড়ি। তা-ও ওখান থেকে একটি বিন্টুরং অতটা পথ পাড়ি দিয়ে সেখানে আসাটা স্বাভাবিক নয়! তবে খোঁজ-খবর নিয়ে যত দূর জানতে পেরেছি, নাসিরনগরে কিছু বাঁশ-বন আছে। আর এটা মোটামুটি জানা যে, ভালুকেরা বাঁশবনকে থাকার জায়গা হিসেবে বেশ পছন্দ করে। তাহলে সম্ভবত নাসিরনগরের বাঁশবাগানই ছিল এর আস্তানা। তবে কি সেখানে আরও আছে? নাকি শেষটাকেই আমরা দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়েছি! 

এই নাসিরনগরের বাঁশবনের কথা ভাবতে গিয়েই মনে পড়ল আমার নানাবাড়ি পাশে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হরষপুরে প্রচুর বাঁশবন আছে। ওই সব বনের দু-চারটায় আমি ঘোরাফেরাও করেছি বেশ। তাহলে ওই সব বাঁশবাগানেও দু-চারটা বিন্টুরং আছে নাকি! এখানে একটি তথ্য জানিয়ে রাখা যায়, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নাটোরে একটা বাঁশভালুক দেখার খবর মিলেছিল। 

শেরপুর পৌর শহরের ভেতরেই ধরা পড়ে এই হগ ব্যাজারটি। ছবি: সংগৃহীতএবার বিন্টুরং জন্তুটি সম্পর্কে কয়েকটি কথা বলি। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন এদের। লোমশ শরীর, গায়ের রং কালো, তবে পা চারটি খাটো। লোমশ লেজটা শুরুর দিকে চওড়া, তারপর ধীরে ধীরে একটু সরু হয়ে শেষ অংশে ভেতরের দিকে কুঁকড়ে গেছে। এই লেজ দিয়ে এরা শক্তভাবে গাছের ডাল বা অন্য যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরতে পারে। চোখ বড়, গোল কান ছোট। সর্বভুক জন্তুটি খুদে স্তন্যপায়ী জন্তু থেকে শুরু করে পাখি, মাছ, ফলমূল সবই খায়। ডুমুর প্রিয় খাবারের তালিকায় থাকে ওপরের দিকে। শাক-সবজি, লতাপাতায়ও আপত্তি নেই। তবে এর মড়াখেকো হিসেবে তেমন কোনো পরিচিতির খবর খুব একটা জানা নেই।

এবার মেছো বিড়ালদের নিয়ে একটু আলাপ করি। বাংলাদেশের অনেক শহরের সীমানায় এমনকি খোদ ঢাকা শহরের পূর্বাচল এলাকায়ও মেছো বিড়াল এখনো অল্প সংখ্যায় হলো টিকে আছে। তেমনি ঢাকা শহরের সীমানায় অল্প-বিস্তর শিয়াল, বনবিড়াল, গন্ধগোকুলও আছে এখনো। বিভিন্ন শহরে ও গ্রামের ঘর-বাড়ির কাছে ছোট বন কিংবা গাছপালা আছে এমন জায়গায় টিকে আছে বনবিড়াল, গন্ধেগোকুল, বাঘডাঁসের মতো প্রাণীরা। 

একটা সময় গ্রামীণ বনে, শহরে মানুষের আশপাশে অনেক বন্যপ্রাণীই বিচরণ করত। তখন এত ঝামেলাও হতো না। মানুষ এদের সঙ্গে পরিচিতও ছিল। কিন্তু নগারায়ণের কারণে এসব বন্যপ্রাণী ক্রমেই পিছু হটেছে। অনেকগুলো মানুষের হাতে মারা পড়েছে। কিছু আবার বড় বনের দিকে সরে পড়েছে। তবে এত কিছুর পরও অল্প-বিস্তর বন্যপ্রাণী যে এখনো শহরে বা শহরতলি কিংবা মানুষের বাড়ি-ঘরের আশপাশে কালেভদ্রে দেখা যায়, এটি আমাদের সৌভাগ্যই বলতে হবে। কিন্তু কোনো বন্যপ্রাণীকে আশপাশে দেখলেই মেরে ফেলা তো একেবারেই উচিত নয়। তেমনি সাফারি পার্কে কিংবা কোনো বনে অবমুক্ত করাটাও কি খুব যুক্তিযুক্ত?

একটা জন্তুকে তার স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে অন্য জায়গায় সরানোটাও তো নিষ্ঠুরতা। আমাদের মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য সব করতে হবে? আমাদের আশপাশে কি বন্যপ্রাণী থাকতে পারে না?

বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির আকাশের সঙ্গে কথা হয় এ বিষয়ে। তিনি বলেন, হগ ব্যাজার যে শুধুই বনে থাকে ব্যাপারটি এমন নয়। গুগল আর্থে দেখা যাচ্ছে, শেরপুরে যেখানে একে পাওয়া যায়, তার আশপাশে হোমস্টেড ফরেস্ট বা গ্রামীণ বন আছে। লাগোয়া বিলও আছে। অচেনা প্রাণী শুধু খুব গহিন বনেই থাকে—এই চিন্তাধারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে কনফ্লিক্টিং। 

‘অচেনা’ প্রাণী বাসার পেছনের বাঁশবনেও থাকতে পারে। হগ ব্যাজার একটু ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গা পছন্দ করে। বিল, বাড়ির পাশে ঝোপঝাড় ও গ্রামীণ বন—সবকিছু মিলিয়ে এই হগ ব্যাজার শেরপুরে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা বলেই মনে হয়। হগ ব্যাজারদের কিন্তু কখনো কখনো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হলের আশপাশে ঘুরঘুর করতেও দেখা গেছে। এদিকে বাঁশভালুক নাসিরনগর বা আশপাশের এলাকার বাঁশবনে এখনো টিকে থাকা অসম্ভব নয়। বাঁশভালুক নিয়ে বাংলাদেশে সে অর্থে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে বাইরের গবেষণা বলছে, বাড়ির আশপাশের বাঁশবনেও এদের থাকা সম্ভব। 

মুনতাসির আকাশ বলেন, ‘মেছো বিড়াল আর বনবিড়ালের কথাও আমাদের চিন্তা করা উচিত। শ্রীমঙ্গলে যেমন কোনো মেছো বিড়াল ধরা পড়লেই এদের বাইক্কার বিলের আশপাশে বা কোনো বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ বাইক্কার বিল একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। তেমনি প্রতিটি বনের ধারণক্ষমতা আছে। মেছো বিড়াল, বনবিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের আশপাশের এলাকায়ও থাকার সুযোগ দিতে হবে। না হলে স্কটল্যান্ডে যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওয়াইল্ড ক্যাটেরা; বাংলাদেশের বনবিড়াল, মেছো বিড়াল বা হগ ব্যাজারদের একই অবস্থা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্কটল্যান্ডের একটি বনে কেবল ১২-১৪টি পিউর ওয়াইল্ড ক্যাট টিকে আছে।’

বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জঙ্গলে পাবেন বাঁশভালুকদের। ছবি: উইকিপিডিয়াজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিরুল খান বলেন, হগ ব্যাজার-বাঁশভালুকের মতো প্রাণীরা নিজের বাসস্থান ছেড়ে খুব বেশি দূরে যায় না। কাজেই এসব প্রাণী যে এলাকায় ধরা পড়েছে, সেই এলাকারই হওয়ার কথা। হগ ব্যাজার শেরপুরে যেখানে ধরা পড়েছে, এর আশপাশে কোথাও থাকতেই পারে। দিনে মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে, রাতে বের হয়। কাজেই এটা এত দিন মানুষের চোখে না পড়া অসম্ভব নয়। 

তিনি বলেন, কোনো প্রাণী যে জায়গায় ধরা পড়ে, সেখানে তার বসবাসের পরিবেশ থাকলে ওই জায়গাটায় ছাড়াটাই উচিত। কিন্তু পরিবেশ না থাকলে অন্য কোনো উপযুক্ত জায়গায় ছাড়তে হয়। না হলে আবার মানুষের হাতে ধরা পড়বে। আর আহত হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই সুস্থ করে ছাড়া উচিত। তা ছাড়া যেসব জায়গায় এসব প্রাণী বসবাসের পরিবেশ ছিল, একসময় সেখানে নতুন করে হেবিটেট তৈরি করতে হবে। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এসব ক্ষেত্রে মানুষকে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করাটাও জরুরি।

আজ ২২ মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস। এই দিনের চাওয়া—ভালো থাকুক দেশের বন্যপ্রাণী, আপন পরিবেশেই সুস্থ থাকুক এরা। আমরা মানুষ একটু উদার হলে এসব প্রাণীকে বোঝার চেষ্টা করলেই আমাদের আশপাশেও টিকে থাকতে পারে এরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় আজ ছুটির দিনে আবহাওয়া কেমন থাকবে জানা গেল পূর্বাভাসে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২১ নভেম্বরের পর ভূমিকম্পে কতবার কাঁপল বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৬
নরসিংদীতে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের মাটিতে গতকাল ফাটলের নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নরসিংদীতে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের মাটিতে গতকাল ফাটলের নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।

আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।

এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।

কতবার ভূকম্পন হলো

তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।

গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

রাজধানীর পুরান ঢাকায় বংশাল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবনের ক্ষতির আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকায় বংশাল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবনের ক্ষতির আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।

হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’

আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।

২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।

ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে দিল্লিকে হারিয়ে শীর্ষে ঢাকা, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসে যা করতে হবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা আজও ১৭ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৫
আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।

এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত