Ajker Patrika

‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী’ ২০ বছর আগের গান যেভাবে ভাইরাল, অর্থ জানেন কি

আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ১৭
ভাইরাল মিউজিক ভিডিওর একটি দৃশ্যে বিভূতি বিশ্বল। ছবি: স্ক্রিনশট
ভাইরাল মিউজিক ভিডিওর একটি দৃশ্যে বিভূতি বিশ্বল। ছবি: স্ক্রিনশট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা। হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা সব ধরনের ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এই গান! এমনকি পিকনিকে বা পার্টিতেও লাউডস্পিকারে বাজানো হচ্ছে।

এই গানের ইতিহাস কী, কোন ভাষার গান, আর এর কথার অর্থই বা কী?
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা যায়, এটি আসলে উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সংগীত শিল্পী ও গীতিকার প্রয়াত সত্যনারায়ণ অধিকারীর গাওয়া। উড়িষ্যার (বর্তমান ওডিশা) কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা এই গান। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও–র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক তিনি। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।

২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির প্রথম মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানভঞ্জন নায়ক।

মিউজিক ভিডিওতে এক দরিদ্র তরুণ কৃষক ও তাঁর প্রেমিকার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর প্রেমিক তাঁর উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন। সেই তরুণ কৃষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিভূতি বিশ্বল।

২০ বছর পর ভাইরাল এই উড়িয়া গান বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোটি ভিউয়ের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উড়িষ্যার সম্বলপুর থেকে গানটি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। মূলত নতুন বছরের শুরুতেই ভাইরাল হয়ে গেছে এই ‘ছিঃ ছিঃ রে ননী...’।

উড়িয়া ভাষার গানটির বাংলা অর্থ:

ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই।

বাংলা: ধন (সম্পদ) দেখলি মেয়ে কিন্তু মনকে চিনলি না।

সোনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনিষো চিনলু নাই।

বাংলা: সোনাদানা চিনলি কিন্তু মানুষ চিনলি না।

ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাঁজে উঠি গলু।

বাংলা: আমার কাছে ধন (সম্পদ) নেই বলে,, মেয়ে তার সঙ্গে চলে গেলি।

ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারিলু।

বাংলা: ধন সম্পদ আছে কিন্তু মন নেই তার, তুই জানতে পারলি না।

গোটে দিনো মিশা যগি দেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।

বাংলা: একটা দিন ও অপেক্ষা করলি নাহি, কতো বড়ো কান্ড করে দিলি

মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।

বাংলা: আমি বেড়াতে গিয়ে এসে দখি আমায় কেমনে ভুলে গেলি।

ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ।

বাংলা: ছিঃ ছিঃ ছিঃ মেয়ে ছিঃ ছিঃ ছিঃ

জানা যায়, এই মিউজিক ভিডিওর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিভূতি বিশ্বাল উড়িষ্যার সম্বলপুরের গোবিন্দটোলার বাসিন্দা। বিভূতি একজন নিবেদিতপ্রাণ মঞ্চশিল্পী। থিয়েটারে তাঁর দক্ষতা, প্রধান এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। আকাশবাণী সম্বলপুরের সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী পার্টটাইম আর্ট টিচার হিসেবেও কাজ করেন।

গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বিভূতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিচালক মনভঞ্জন নায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এক থিয়েটারের মাধ্যমে। বিভূতির গ্রাম্য চেহারা এবং সহজাত অভিনয় দক্ষতা দেখে পরিচালক তাঁকে এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যদিও এর আগে কখনও মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় বা নাচ করেননি তিনি। তবুও নির্মাতারা তাঁর ওপর ভরসা করেছিলেন।

পরিচালক মনভঞ্জন নায়ক জানিয়েছেন, গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল এই গানের ওপর একটি ভিডিও তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তখনই এই গল্পটি তৈরি করেন নায়ক। গল্পটি এক দরিদ্র যুবককে ঘিরে, যাকে প্রেমিকার পরিবার আর্থিক অবস্থার কারণে প্রত্যাখ্যান করে। কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া যুবক যখন ফেরেন, তখন জানতে পারেন প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে গানটি গেয়ে ওঠে যুবক।

পরিচালক মনভঞ্জন স্বীকার করেছেন, গানটির মান নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এর এমন সাড়া জাগানো সাফল্য হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। ২০ বছর পর এই গানের পুনর্জন্ম যেন এ গানের সৃষ্টিকর্তাদের জন্য এক অভাবনীয় উপহার।

এই মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছিল পিটাপালি এবং জামদারপালি গ্রামে। প্রথমে গানটি সামান্য সাড়া পেলেও দ্রুতই হারিয়ে যায়। এখন সেই গানই ইতিহাস গড়ছে!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘রাক্ষস’-এর গল্প বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে সুস্মিতাকে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’

প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’

ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।

২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’

রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।

টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় দুই কনসার্টে গাইলেন আতিফ আসলাম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।

গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।

আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।

এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।

এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি: ‘সাবা’সহ মুক্তির তালিকায় যেসব সিনেমা-সিরিজ

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
মিসেস দেশপান্ডে সিরিজে মাধুরী। ছবি: সংগৃহীত
মিসেস দেশপান্ডে সিরিজে মাধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবা (বাংলা সিনেমা)

  • মুক্তি: হইচই (১৯ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মেহজাবীন চৌধুরী, মোস্তফা মনওয়ার, রোকেয়া প্রাচী
  • গল্পসংক্ষেপ: মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সাবা। বাবা গত হয়েছে। মা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মেয়ে সাবা। পরিবার আর মায়ের সেবায় নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে উঠতে পারেনি সাবা। অর্থের টানাটানিতে দিনরাত এক করে মাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা তার।

রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১৯ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী, রাধিকা আপ্তে, চিত্রাঙ্গদা সিং
  • গল্পসংক্ষেপ: ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া ক্রাইম থ্রিলার ‘রাত আকেলি হ্যায়’ সিনেমার সিকুয়েল এটি। ইন্সপেক্টর জটিল যাদব এবার ফিরছে নতুন মামলা নিয়ে। কানপুরের ধনী ও প্রভাবশালী বানসাল পরিবারে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পড়ে জটিল যাদবের ওপর। ঘটনার অন্তরালের লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচন করে সে।

মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)

  • মুক্তি: জিওহটস্টার (১৯ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মাধুরী দীক্ষিত, প্রিয়াংশু চ্যাটার্জি, সিদ্ধার্থ চান্দেকর
  • গল্পসংক্ষেপ: ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায় তৈরি এ সিরিজে মাধুরীকে দেখা যাবে একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৫ বছর সাজা হয় মিসেস দেশপান্ডের। তার খুন করার ধরন কপি করছে আরেকজন। তাকে ধরতে পুলিশ সহায়তা নেয় মিসেস দেশপান্ডের।

এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১৮ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: লিলি কুপার, ফিলিপাইন লেরয়-বিউলিউ, অ্যাশলে পার্ক
  • গল্পসংক্ষেপ: চতুর্থ সিজনে এমিলি কুপারের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অনেক কিছু অমীমাংসিত ছিল। সেসব প্রশ্ন ও কৌতূহল নিয়েই শুরু হচ্ছে পঞ্চম সিজন। এবার শুধু প্যারিসে নয়, এমিলির জার্নি বিস্তৃত হবে রোম শহরেও।

থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (১৬ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: আয়ুষ্মান খুরানা, রাশমিকা মান্দানা, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী
  • গল্পসংক্ষেপ: ভৌতিক গল্পের এ সিনেমার শুরুতে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে গিয়ে বিপদে পড়ে অলোক নামের এক সাংবাদিক। পথ ভুলে পৌঁছায় এমন এক ডেরায়, যেখানে অতিপ্রাকৃত শক্তির বাস। সেখানেই অলোকের দেখা হয় মানুষরূপী এ প্রেতাত্মার সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের সিনেমা

আজ থেকে হল মাতাবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’

বিনোদন ডেস্ক
আজ থেকে হল মাতাবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’

অ্যাভাটার সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তি পেয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। প্রথম পর্বের মতো এটি নিয়েও দর্শকদের উন্মাদনা ছিল অবাক করার মতো। আয় করেছিল ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তিন বছর ধরে দর্শকের কৌতূহল অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্ব নিয়ে। সেই অপেক্ষা ফুরাল এত দিনে। আজ ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও আজ থেকে দেখা যাবে সিনেমাটি।

অ্যাভাটারের তৃতীয় পর্বে নতুন অনেক কিছু যুক্ত করেছেন জেমস ক্যামেরন। এসেছে নতুন গোষ্ঠী, নতুন চরিত্র। ভিলেন হিসেবে দেখা যাবে ভারাং নামের একটি চরিত্রকে। অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সংযোজন বলা হচ্ছে এ চরিত্রকে। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন ‘গেম অব থ্রোনস’খ্যাত অভিনেত্রী ওনা চ্যাপলিন। জানা গেছে, ভারাং হলো অ্যাশ পিপল গোত্রের নেত্রী, আগ্নেয়গিরিতে যে গোত্রের বসবাস। যারা অবিশ্বাস্য কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছে। এ কারণে ভারাং অনেক কঠোর। নিজের জাতির জন্য সে যেকোনো কিছু করতে পারে।

নির্মাতা জানিয়েছেন, প্যান্ডোরার ভিন্ন এক দিক উঠে এসেছে অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশে। নাভি জাতি মানেই ভালো, আর মানুষ জাতি মানেই খারাপ—এই সরল অঙ্কের বাইরে তিনি যেতে চেয়েছেন এই পর্বে। জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘এ পর্বের কেন্দ্রে থাকবে অ্যাশ জাতি। নাভি জাতিকে ভিন্ন এক দিক থেকে দেখিয়েছি। কারণ, আগের পর্বগুলোতে শুধু তাদের ভালো দিকই দেখিয়েছি। আর নেতিবাচক চরিত্রে দেখিয়েছি মানুষ জাতিকে। অ্যাভাটার থ্রিতে চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টে যাবে।’

দ্য ওয়ে অব ওয়াটারের ঘটনার পরপরই শুরু হয় ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশের গল্প। জ্যাক সুলি (স্যাম ওয়ার্থিংটন) ও নিতিরি (জো সালদানা) বড় সন্তানের মৃত্যুশোক সামলাতে সামলাতে নতুন বিপদের মুখে পড়ে। অ্যাশ উপজাতির নেতা ভারাং পুরোনো শত্রুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাভিদের ওপর আক্রমণ চালায়। পরিবার, জনগোষ্ঠী ও গ্রহ রক্ষার লড়াই—এটাই রয়েছে কাহিনির কেন্দ্রে।

হলিউডের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভিজ্যুয়ালের দিক থেকে আগের দুই পর্বকে ছাড়িয়ে গেছে ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ। বিশেষ করে শেষ ৩০ মিনিটের যুদ্ধের দৃশ্যে গ্রাফিকস দর্শকদের নিয়ে যাবে অন্য জগতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত