Ajker Patrika

গানের কারণে ব্যাংকের চাকরি হারান বয়াতি, ‘সেই গানই নেই’

মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৭: ২০
গানের কারণে ব্যাংকের চাকরি হারান বয়াতি, ‘সেই গানই নেই’

মানুষের সঙ্গে সংগীতের সম্পর্ক যেমন হৃদয়ের, তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে সংগীতের সম্পর্কও নিবিড়। এই যে জলে নৌকার বয়ে চলার শব্দ; এই বয়ে চলার মধ্যে রয়েছে সংগীতের সুর, তাল ও লয়। প্রকৃতির কাছে মনকে সঁপে দিলে খুঁজে পাওয়া যাবে সংগীতের মায়ার খেলা। 

নদীমাতৃক এই দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, বাউল, মুর্শিদি, জারি, সারি গান হলো সংস্কৃতির অংশ। এই গানে রয়েছে গ্রামবাংলার কথা। এমন একসময় ছিল, যখন এলাকাভেদে গ্রামগঞ্জে শোনা যেত এই গান। 

শাহ আবদুল করিমের ‘গ্রামের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান’ গানের একটি অংশ হলো–
‘হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইতো
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান
আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম’…

সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। নৌকার ওপরের গান। এই গান এককভাবে গাওয়া হয় না। নৌকায় কয়েকজন মিলে এই গান করতে হয়। শ্রাবণ থেকে কার্তিক মাস হলো সারি গানের সময়।

সাইদুর রহমান বয়াতি ও তাঁর গানের দল। ছবি: সংগৃহীতগানের সাধক সাইদুর রহমান বয়াতি। মানিকগঞ্জের কোনো এক গ্রামে এই বয়াতির শৈশব কেটেছে। তিনি মানিকগঞ্জের এক কিংবদন্তি। জন্মেছিলেন ১৯৩২ সালে। ৯০ বছর বয়সেও তিনি ভরাট কণ্ঠে জারি, সারি ও বাউল গান শোনান। লোকসংগীতে অবদানের জন্য শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি নেপথ্য গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পান।

এই সাধক তাঁর বাজানের (বাবা) কাছ থেকে দোতারা, সারিন্দা বাজিয়ে শেখেন গান। সময়টা ছিল ব্রিটিশ আমল। এরপর তিনি পাকিস্তান আমলে আর স্বাধীন বাংলাদেশে গান করেন। ১৫ বছর বয়স থেকে গান লেখা শুরু করেন তিনি। ছোটবেলা থেকে গান তাঁকে অদ্ভুতভাবে কাছে টানত। এ পর্যন্ত আধ্যাত্মিক গানের ধারায় জারি, সারি, ভাটিয়ালি, বাউল, মারফতি, কবিগান, মুর্শিদি, গাজির গানসহ অনেক গান লিখেছেন। 

সাইদুর রহমান বয়াতির একবার ব্যাংকে চাকরি হলো। সে সময় দেশে এল রূপবান গান। তিনি ছিলেন গানের মানুষ। ব্যাংকের হিসাবের খাতায় লিখলেন ‘সাগরপাড়ের নাইয়া’ গানের কয়েকটা লাইন। সে কারণে চাকরি হারান তিনি। 

দীর্ঘসময় ধরে সারি গান করছেন সাইদুর রহমান বয়াতি। তিনি বলেন, ‘সারি গানের মর্মকথা হলো এই যে আমাদের দেহ, এটা হলো একটা নৌকা। আর যে কাঠের নৌকায় আমরা উঠি, তা হলো মানবতরি। পানিকে বলা হয় মা গঙ্গা। সেই গঙ্গাতে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। এ জন্য সারি গানের শুরুতে বলা হয় ‘মা গঙ্গির নামে কইরা সার, নৌকা ধরি ভব পার দেয়, নৌকা ছাড়িল ছাড়িল রে’। সারি গান একেক এলাকায় একেক সুরের হয়। তবে মানিকগঞ্জের সারি গানের সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকার সারি গানের কিছুটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

সাইদুর রহমান বয়াতি। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীতযাঁরা গান করেন, তাঁদের বলা হয় গায়ক বা বয়াতি। গানের অর্থ হলো জ্ঞান লাভ করা। সাইদুর রহমান বয়াতি মনে করেন, ‘এখন নৌকা নাই, পানি নাই, নাই আগের দিনের মতো শৌখিন মানুষ। তাই সারি গানও নাই। এখন কেউ আর আগের মতো দল বেঁধে সারি গান করেন না। পাকিস্তান আমলে আমাকে সারি গান গাওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সারি গান হলো সারিবদ্ধ গান। সারি গান কয়েক প্রকারের হয়। তার মধ্যে এক প্রকারের সারি গান হলো সারি বাঁধা। মানে সিরিয়াল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬ …। এর মধ্যে যদি বলি ১, ৫, ৩, ২—তাহলে তো সারিবদ্ধ হলো না।’

‘সারি গানের নৌকার নাম খান্জী নৌকা। এখন আর এই নৌকা দেখা যায় না। এই নৌকা মালিকের ঘাট থেকে মেলা বা বাজারের উদ্দেশে ছাড়ার আগে আমার কমপক্ষে ছয়জন মানুষের সারি দেওয়া লাগব। সামনের দুজন গায়ক। তাঁদের মধ্যে প্রধান একজন থাকেন। যেমন আমি। আর দোহার লাগব আরও চারজন। সারি গানে বাদ্যযন্ত্র থাকে বামা আর খঞ্জনি। আর কোনো বাদ্যযন্ত্র লাগে না। প্রথম যে গানটা আমাকে ওঠাতে হয়, সেটা হলো, “সাজাইয়া দেও মা তোমার গোপালরে। তোমার গোপাল যদি না যায় গোষ্ঠে, আমরা যাব না। গোপাল সাজাই দাও মা”।

‘এটা প্রথম গান। এই গান গাইলে পরে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা আবার গাইব “একা আসলা বড় নগরীতে, মাগো ভাগ্যবতী। একা আসলা বড় নগরীতে।” এরপর নৌকা কিছু দূর গেলে গাইব “নৌকা ছাড়িল, ছাড়িল রে। সোনার তরণি রণে ছাড়িল রে”। আরও কিছু দূর গেলে গাইব “উজান ছাড়িল, ছাড়িল রে। খোপের কবুতরগুইলা ছাড়িল ছাড়িল রে”। এভাবে নৌকা চলতে থাকল। তারপর আরও দূরে গেলে গাইব “যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া, সাত বন্ধুরে। যাও তোমরা কানাই ডিঙা বাইয়া”। এভাবে সারিবদ্ধভাবে সারি গান চলতে থাকে। এরপর নৌকা যখন মেলা বা বাজারে গিয়ে পৌঁছায়, তখন “সাম্পান আইসাছে কদমতলে, ও ললিতে। সাম্পান আইসাছে কদমতলে। কীসে আমার রান্ধাবাড়া, কিসের হলুদ বাটা। আরে দুই নয়নের জলে আমার ভাইসা চলে পাতা। ও ললিতে সাম্পান আইসাছে কদমতলে”—এই গান গাইব। 

বাংলা একাডেমির মঞ্চে সাইদুর রহমান বয়াতি ও তাঁর গানের দল। ছবি: সংগৃহীত‘এরপর বাইচের সময় আমরা যারা সারি গান করি, তারা নৌকা থেকে নেবে যাব। শুধু নৌকার মাঝিরা তখন নৌকায় উঠে বাইচে অংশগ্রহণ করবে। নৌকাবাইচ শেষ হলে জেতা না-জেতা সেটা তাদের ভাগ্যের বিষয়। এরপর আবার সারি গান দিয়ে শুরু হয় ফেরার পালা। শুরুতে করা হয় “মার কথা মনে পড়েছে এখন ভাইরে, চল এখন ঘরে ফিরে যাই”। ফেরার পথে কিছু দূর গিয়ে গাইব “দুধে–ভাত মাখাইয়া মা বসে আছে পথে, শোনো ভাইয়ে, চল যাই মার কোলে গিয়ে দুধ-ভাত খাই”। এ রকম গাইতে গাইতে যখন মালিকের ঘাটে নৌকা নিয়ে ফিরি, তখন গাইতে থাকি “তোমার গোপাল আনইয়া দিলাম জননী, তোমার গোপাল বুইঝা নাও ঘরে”। এখানে সারি গানের সমাপ্তি ঘটে। এরপর যে যার বাড়িতে ফিরে যায়।’

গানের সাধক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার কাছে অনেক সারি গান আছে, যা বাংলাদেশে আর কারও কাছে নাই। গান হলো দেশের সংস্কৃতি। সংস্কৃতি যদি হারিয়ে যায়, সে দেশের অঙ্গহানি হয়। বর্তমান সরকারের উচিত এসব গানের রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমি মনে করি, আমি মরে যাওয়ার পর সারি গান এ দেশে থাকবে না। এখন তেমন কেউ জানেই না, সারি গান কী। ছোট একটা ঘটনা বলি, কোনো এক বছর ঢাকা থেকে ফোন দিল আমারে; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গান গাওয়ার জন্য আমাকে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি এক বয়াতি সারি গান বলে যা শুনাইল, তা সারি গানের মধ্যে পড়ে না। তিনি গাইলেন “নাও ছাড়িয়া দে, পাল উড়াইয়া দে”। এগুলো হলো সায়রের গান। আমি বললাম এগুলো সারি গান না। আমি সারি গান গাইতে পারব। তবে তার জন্য আমার কমপক্ষে চারজন লোক মানে দোহার লাগবে। কিন্তু পরে আমাকে আর সেখানে গাইতে দিল না। আমরা আর সারি গান শুনাইতে পারলাম না।’

লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপে সোনার বাংলা সার্কাস

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মিশন: ইম্পসিবল’সহ এসেছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: শাকিব খান, দর্শনা বণিক
  • মুক্তি: আইস্ক্রিন (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ছোটবেলায় প্রথমের (শাকিব) মা-বাবা খুন হয় সন্ত্রাসীদের হাতে। বড় হয়ে প্রথম হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। কিছুরই অভাব নেই তার। তবে সে খুব একা। তার সঙ্গে দেখা হয় রূপকথার (দর্শনা)। তার প্রেমে পড়ে প্রথম। বিয়েও করে। তবু তার জীবনে স্থিরতা আসে না।

বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)

  • অভিনয়: তুষার চৌধুরী, মিরান্দা দাস, সুধির রায়
  • মুক্তি: বঙ্গ (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: উত্তরবঙ্গের এক নিভৃত গ্রামে কানাই আর কোয়েলের নিষ্পাপ প্রেমের গল্প বিহান। ক্রাউড ফান্ডে সিনেমাটি বানিয়েছেন সৌরভ সাহা।

মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: টম ক্রুজ, হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং র‍্যামস
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো ইথান হান্টের যাত্রা। এ পর্বের পর আর এই চরিত্রে দেখা যাবে না টম ক্রুজকে। ১৯৯৬ সালে মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে যে জার্নি শুরু হয়েছিল টমের, ২০২৫ সালে দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো সেই সফর। এ সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য লড়াই করে ইথান হান্ট ও তার টিম।

জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: জর্জ ক্লুনি, অ্যাডাম স্যান্ডলার
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৫ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: এক জনপ্রিয় অভিনেতা (ক্লুনি) এবং তার ম্যানেজারের (স্যান্ডলার) মধ্যকার বন্ধুত্বের গল্প। কয়েক দশক ধরে ক্যারিয়ারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পর জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধি হয় অভিনেতার। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গী হয় ম্যানেজার। এই যাত্রা অভিনেতাকে যেন নতুন জীবন দেয়।

দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

  • অভিনয়: তিরাদন সুপাপুনপিনিও, পাচারা চিরাথিভাত, আচিয়ারা
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: থাইল্যান্ডের এই ক্রাইম সিরিজের দ্বিতীয় পর্বেও তিন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের গল্প দেখা যাবে। একটি বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করে তারা। দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় রাজনীতি তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তৈরি হয় দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত