Ajker Patrika

‘হাওয়া’ বইছে কত জোরে?

তন্ময় পাল
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ১৭: ১৬
‘হাওয়া’ বইছে কত জোরে?

প্রচারণার প্রাক কাল থেকে ‘হাওয়া’ বইছে প্রবল। সিনেমাটির গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ মন নাচিয়েছে। মুক্তির আগেই মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শকের আকাঙ্ক্ষাও তৈরি হয়েছে বেশ। ব্যতিক্রম ছিল না এই অভাজনের ক্ষেত্রেও। বলতে পারেন প্রবল উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে রাতভর জেগে অনলাইনে টিকিট কাটা হয়। সিনেমার আনুষ্ঠানিক মুক্তির দিনই সকালের শো দেখা হলো। হলে ঢোকার আগে থেকেই উৎকণ্ঠা কাজ করছিল। প্রশ্ন জাগতেই পারে, একজন দর্শক হয়ে কেন উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার কথা বলছি? সেই উত্তর আসবে, তবে তার আগে হাওয়া সিনেমা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।

‘হাওয়া’ যে স্থলের নয়, জলের গল্প—তা আর নতুন করে বলার মতো কিছু নয়। আটজন জেলে আর একটি নৌকা গভীর সমুদ্রে যাত্রা করে মাছ ধরার উদ্দেশে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জালে উঠে আসে জলজ্যান্ত মেয়ে। পালটে যায় ট্রলারের পরিস্থিতি ও মানুষগুলোর হাবভাব। সমুদ্রের আরও গভীরে এগোতে থাকে মাছ ধরার ট্রলার, এগোয় হাওয়ার গল্প। হাস্যরস, গান, অবিশ্বাস আর অলৌকিকতায় পরিসমাপ্তি হয় হাওয়ার।

পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। নাটক বা টেলিফিল্মে বারবার চিরাচরিত নিয়ম ভেঙেছেন তিনি। তৈরি করেছেন নিজের ঘরানা। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রেও সেটির ব্যতিক্রম ঘটেনি। দর্শক খুব সহজেই অন্যান্য বাংলা সিনেমা থেকে হাওয়াকে আলাদা করতে পারবেন। হাওয়া সিনেমাটির কাহিনিকে যেভাবে দৃশ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তাতে দর্শকের মনযোগ অন্যদিকে যাওয়ার সুযোগ কম। নির্দেশক তাঁর পরিপক্ব হাতে সুতো গেঁথেছেন এই সিনেমার। যেহেতু সিনেমাটি জলের গল্প, তাই জলের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না তাঁর। সিনেমা নির্মাণের এই প্রতিবন্ধকতা তিনি উতরে গেছেন বেশ কৌশলের সঙ্গে। একটি ট্রলারে চিত্রায়িত চলচ্চিত্রটির প্রতিটি ফ্রেম ধরা হয়েছে চমকপ্রদভাবে।

হাওয়া চলচ্চিত্রটির সবচেয়ে বড় শক্তি এর অভিনয়শিল্পীরা। চঞ্চল চৌধুরী বরাবরের মতোই নতুন রূপে নিজেকে হাজির করেছেন হাওয়ায়। বলা যায় চান মাঝি চরিত্রের চঞ্চল চৌধুরী একাই ধরেছেন হাওয়ার পাল। তাঁর সঙ্গে দুর্দান্ত সংগত দিয়েছেন সুমন আনোয়ার। গত কয়েক বছরে অভিনয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। হাওয়া সিনেমার পর এই সুনাম আরও ছড়াবে বলেই বিশ্বাস।

‘হাওয়া’ সিনেমার পোস্টারশরিফুল রাজ বাংলা সিনেমার নতুন আবিষ্কার। যে কোনো চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরার ক্ষমতা আছে এই অভিনেতার, অভিনয় সাবলীল। একমাত্র নারী ‘গুলতি’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজিফা তুষি। গভীর সমুদ্রে নোঙর করে যেভাবে আটকে থাকে জাহাজ, তেমনই রহস্যময় এই চরিত্রটির চোখে যেন আটকে পড়ে সবাই। ওদিকে নাসির উদ্দিনের অভিনয় নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। অভিনয়ের ম্যাচে ইয়র্কারেও তিনি ছক্কা মারেন। শুধু নাসির উদ্দিনকে দেখার জন্য হলেও দর্শকদের হলে যাওয়া উচিত। সোহেল মন্ডল বড় একটা সময় ধরে দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন। পার্কেস চরিত্রে রিজভী রিজু পুরোটা সময় ছিলেন প্রাণবন্ত।

‘হাওয়া’ সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফি এক কথায় অপূর্ব। পুরো সিনেমাটি এক নৌকায় শুট  করা হলেও, একঘেয়েমি লাগে না মোটেও। বরং দৃশ্য গ্রহণের ভিন্নতা, আলোর ব্যবহার পুরোটা সময় স্ক্রিনে চোখ রাখতে বাধ্য করে। চিত্রগ্রাহক কামরুল হাসান খসরু তাঁর ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে বঙ্গোপসাগরকে দেখিয়েছেন। সিনেমাটির চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি এর এডিটিং, কালার গ্রেডিং ও ভিএফএক্সের কাজও দুর্দান্ত লেগেছে।

‘হাওয়া’ দেখে প্রাপ্তির তালিকা বেশ লম্বা। তবে ছোট ছোট অপ্রাপ্তিও রয়ে গেছে। হিসাব মেলাতে গেলে সেসব হয়তো খুচরা পয়সার মতোই। তবে খুচরারও নিশ্চয়ই মূল্য আছে। সমালোচনায় বলা যায়, ছবিটির একটি সংলাপও মাথায় গেঁথে যেতে পারেনি। গল্পের প্লট পয়েন্টগুলোতে পৌঁছানোর আগে আরও একটু ড্রামা তৈরি করা যেত। একমাত্র নারী চরিত্রের অভিনয়ে বৈচিত্র্য আসতেই পারত। শুধু সুন্দর চোখে তাকিয়ে থাকাই কি সব? আবার সিনেমার চরিত্রদের পেছনের গল্প জানা যায় স্বল্প পরিসরে। হয়তো নির্দেশক স্থলে পা রাখতে চাননি বলে খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে গেছেন বিষয়টি।

শুরুতে উত্তেজনা আর উৎকণ্ঠার কথা বলছিলাম। ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি যে তুমুল প্রত্যাশা সৃষ্টি করে হলে এসেছে, সেটি সিনেমা দেখার পর দর্শকের মধ্যে কতটুকু থাকে—সেটাই এখন দেখার বিষয়। নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন ডার্ক থ্রিলার জঁনরা নিয়ে কাজ করেছেন ছবিটিতে। এ ধরনের জঁনরা দর্শক হিসেবে আমরা কতটুকু নিতে প্রস্তুত, সেটাও আলোচনার বিষয়। ‘হাওয়া’য় বয়ে আসবে বাংলা সিনেমার সুদিন—এমন আলাপে আমাদের আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে অনেকগুণ। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, সিনেমাটি দেখার আগে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা বাসায় রেখে হলে যাবেন দয়া করে। কারণ প্রত্যাশার চাপে পিষ্ট হওয়ার চেয়ে একটি ভালো চলচ্চিত্র উপভোগ করা বরং প্রকৃষ্ট।

দুই ঘণ্টার এই ছবিটি দেখার পর কিছুটা সময় হলেও আপনি সমুদ্রে ভেসে বেড়াবেন, এটা হলফ করে বলা যায়। সিনেমাটি শেষ হওয়ার পর কিছুটা কি বিষণ্নতা পেয়ে বসে? হয়তোবা। তবে তাতে ‘হাওয়া’র জোর কমে না। বরং তা হয়ে ওঠে আরও প্রবল!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গান-আড্ডায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর ৭০ বছর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।
শহীদ মাহমুদ জঙ্গী।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। আশি-নব্বইয়ের দশকে যাঁরা ব্যান্ডের গান শুনেছেন, তাঁরা নামটির সঙ্গে বেশি পরিচিত। সোলস, রেনেসাঁ, এলআরবি ছাড়াও তিনি গান লিখেছেন একক অনেক শিল্পীর জন্য। তিনি লিখেছেন ‘হৃদয় কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, ‘আজ যে শিশু পৃথিবীর আলোয় এসেছে’, ‘আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘যতীন স্যারের ক্লাসে’, ‘তৃতীয় বিশ্ব’, ‘সময় যেন কাটে না’র মতো কালজয়ী অনেক গান। লিখছেন এখনো। আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ হবে শহীদ মাহমুদের ৭০ বছর। গান ও আড্ডায় এই গীতিকবির সাত দশকের জীবন পরিক্রমা উদ্‌যাপন করতে আয়োজন করা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের। ১২ ডিসেম্বর ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে আজব কারখানা।

ধানমন্ডির রাশান হাউসে বিকেল ৫টায় শুরু হবে আয়োজন। সূচনা বক্তব্য এবং গীতিকারকে নিয়ে অতিথিদের স্মৃতিচারণার পর মোড়ক উন্মোচন করা হবে ‘আপন আলোয় শহীদ মাহমুদ জঙ্গী: গানে গানে সত্তর’ নামের স্মৃতিচারণা গ্রন্থের। জয় শাহরিয়ারের সম্পাদনায় এই গ্রন্থে গীতিকারকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন নকীব খান, সামিনা চৌধুরী, ফয়সাল সিদ্দিকী বগি, ফোয়াদ নাসের বাবু, কুমার বিশ্বজিৎ, পিলু খান, নাসিম আলী খান, পার্থ বড়ুয়া, লিটন অধিকারী রিন্টু, গোলাম মোরশেদ, বাপ্পী খানসহ অনেকে। এতে উঠে এসেছে গীতিকারের জীবনের নানা ঘটনা।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা গান শোনাবেন রফিকুল আলম, নাসিম আলী খান, বাপ্পা মজুমদার, পান্থ কানাই, সুমন কল্যাণ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাশ, ব্যান্ড সোলস, রেনেসাঁসহ অনেকে।

উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন নকীব খান, পার্থ বড়ুয়া, পিলু খান, জয় শাহরিয়ার, শামীম আহমেদ, এনাম এলাহী টন্টি, সুমন কল্যাণ, শাকিল খান, হাসান আসাদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রন্ধনশিল্পীকে নিয়ে সিনেমা

পর্দায় টমি মিয়া হবেন সাজ্জাদ হোসেন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
টমি মিয়ার লুকে সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
টমি মিয়ার লুকে সাজ্জাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ১০ বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে যান টমি মিয়া। ছাত্রাবস্থায় একটি রেস্তোরাঁয় থালা-বাসন ধোয়ার কাজ দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু। সে সময় সিদ্ধান্ত নেন রান্নাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ। বাংলাদেশের রন্ধনশিল্পীদের নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা, সিলেটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে টমি মিয়াস হসপিটালিটি ইনস্টিটিউট থেকে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক মানের শেফ। এবার এই রন্ধনশিল্পীর জীবনী আসছে বড় পর্দায়। ‘সিটিএম’ নামের এই বায়োপিক পরিচালনা করবেন মনিরুজ্জামান মনির।

আগামী বছর টমি মিয়া এমবিইর সহযোগিতায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘টমি মিয়াস ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড ২০২৬’। অক্টোবর মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দেশের একঝাঁক জনপ্রিয় তারকা। গতকাল এ উপলক্ষে এফডিসিতে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের। সেখানেই নিজের বায়োপিকের ঘোষণা দেন টমি মিয়া।

পর্দায় টমি মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন সাজ্জাদ হোসেন। অভিনয়ে আসার আগে যিনি নিজেও কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। ২০০৭ সালে টমি মিয়াস ইনস্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট থেকে ট্রেনিং করেন সাজ্জাদ। এরপর লন্ডনের রেস্টুরেন্টে কাজ করেছেন শেফ হিসেবে। পরবর্তী সময়ে অভিনয়ের টানে চলে আসেন দেশে।

সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘২০০৭ সালে কোর্স করার সময় টমি ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এই পরিচয় তাঁর জীবনী নিয়ে সিনেমা করতে কাজে লাগবে আমার। এ ছাড়া শেফ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় পর্দায় তাঁর চরিত্রটি উপস্থাপন করা একটু সহজ হবে আমার জন্য।’

সাজ্জাদ আরও বলেন, ‘এটি বায়োপিক হলেও সুন্দর একটি গল্প আছে, প্রেম আছে, ট্র্যাজেডি আছে। সব মিলিয়ে দর্শকের জন্য উপভোগ্য একটি সিনেমা হবে। চেষ্টা করব পর্দায় পরিপূর্ণভাবে নিজেকে টমি মিয়া হিসেবে উপস্থাপন করতে। ইতিমধ্যে টমি ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলা শুরু করেছি।’

‘এমআরনাইন’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক সাজ্জাদের। এরপর অভিনয় করেছেন ‘মোনা: জ্বীন-২’, ‘মেঘনা কন্যা’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সাজ্জাদ অভিনীত ‘প্রেম পুরাণ’ সিনেমাটি।

জানা গেছে, লন্ডনে বড় একটি অংশের শুটিং হবে সিটিএম সিনেমার। টমি মিয়ার সঙ্গে সহপ্রযোজনায় থাকবেন বাংলাদেশ ও লন্ডনের কয়েকজন। নতুন বছরের শুরুতে মহরত অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে এই সিনেমার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়ার কারণ জানালেন মিশা সওদাগর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মিশা সওদাগর। ছবি: সংগৃহীত
মিশা সওদাগর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শোবিজ জগতের অনেক তারকা পাড়ি জমিয়েছেন দেশের বাইরে। স্থায়ী হয়েছেন সেখানে। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে দেশে এসে কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে তারকাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে। অমিত হাসান, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, মাহিয়া মাহি, সাজু খাদেমসহ বর্তমান সময়ের অনেক শিল্পী রয়েছেন এ তালিকায়। শিল্পীদের বিদেশে যাওয়া নিয়ে কথা বললেন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সভাপতি অভিনেতা মিশা সওদাগর। জানালেন কাজ কমে যাওয়ার কারণেই শিল্পীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

মিশা সওদাগরের পরিবারের সদস্যরাও স্থায়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি নিজেও বছরের অর্ধেক সময় কাটান মার্কিন মুলুকে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে শিল্পীদের বিদেশে স্থায়ী হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেন এই অভিনেতা। তাঁর মতে, দেশে কাজ থাকলে শিল্পীদের বিদেশে যেতে হতো না।

মিশা বলেন, ‘কাজ না থাকলে শিল্পীদের কী আর করার আছে। একসময় এক দিনে চার-পাঁচটি সিনেমার কাজ করেছি। সকাল ৭টায় শুরু করেছি, সেটা চলেছে রাত ২টা পর্যন্ত। এখন সেই এফডিসি প্রায় বন্ধ। যে শিল্পীরা দেশের বাইরে গেছে, তাদের কি কারও মন চাইছিল দেশ ছেড়ে যেতে? আমার বন্ধু অমিত হাসান কত সিনেমার নায়ক, সেও বাইরে চলে গেছে। এ ছাড়া মৌসুমী, ইমন, আলেকজান্ডার বো গেছে। অনেকেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশ ছেড়েছে। মাহিয়া মাহিও যুক্তরাষ্ট্রে আছে। আমার কথাই যদি বলি, অভিনয় ছাড়া আমি তো কিছু পারি না। যাঁরা গেছে তাদেরকে দোষ দেওয়া যাবে না। কাজ যদি থাকত তাহলে তো তারা এখানেই কাজ করত।’

মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘আমাদের শিল্পীদের কাজ থাকুক না থাকুক, অনেক কিছু মেইনটেইন করতে হয়। চেহারায় একটা গেটআপ রাখতে হয়, একটা গাড়ি রাখতে হয়, একটা ভালো মোবাইল ব্যবহার করতে হয়, ভালো পোশাক পরতে হয়, ড্রয়িংরুম সাজিয়ে রাখতে হয়। তা ছাড়া আমরা কাজ করি পরিবারের জন্য। পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার জন্য। কিন্তু কাজই যদি না থাকে, ইনকাম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে একজন শিল্পী কী করবে? শিল্পীদের সেক্রিফাইসগুলো সবাই বুঝবে না। ওইখানে (বিদেশে) গেলে অন্তত কাজ করে পরিবার নিয়ে সারভাইভ করতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুরোনো অপরাধ সামনে আসায় অভিনয় ছাড়লেন কোরিয়ান তারকা

বিনোদন ডেস্ক
জো জিন উং। ছবি: সংগৃহীত
জো জিন উং। ছবি: সংগৃহীত

দুই দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেন কোরিয়ান অভিনেতা জো জিন উং। প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত তাঁর কিছু অপরাধের খবর সামনে আসায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কের জেরে অভিনয় থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন জো জিন উং। কিশোর বয়সের ওই অপরাধের জন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিনেতা।

মঞ্চনাটক দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন জো জিন উং। ২০০৪ সালে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হাইস্কুল’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ। ‘দ্য হ্যান্ডমেইডেন’, ‘দ্য শেরিফ ইন টাউন’, ‘দ্য স্পাই গন নর্থ’, ‘বিলিভার’, ‘ইনটিমেট স্ট্রেঞ্জার’, ‘ব্ল্যাক মানি’সহ অনেক আলোচিত সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া দেখা দিয়েছেন ‘ডিপ রুটেড ট্রি’, ‘বিয়ন্ড দ্য ক্লাউডস’, ‘সিগন্যাল’, ‘দ্য গুড ব্যাড মাদার’সহ অনেক সিরিয়ালে। কোরিয়ান সিনেমা ও কে-ড্রামার এই জনপ্রিয় অভিনেতাকে এবার বিতর্কের জেরে অভিনয় ছাড়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলো।

সম্প্রতি একটি কোরিয়ান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, হাইস্কুলে পড়ার সময় গাড়ি চুরির দায়ে জো জিন উংকে একবার কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে যেতে হয়েছিল। এ ছাড়া ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো অপরাধেও জড়িয়েছিলেন তিনি। ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হাইস্কুল সিনেমার শুটিং চলাকালে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। স্থগিত করা হয়েছিল তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স। অভিনেতার এসব পুরোনো অপরাধের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর নতুন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় জো জিন উংকে। অন্য সব অভিযোগ মেনে নিলেও ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিনেতা। সেই সঙ্গে নাবালক অবস্থায় ঘটা এসব অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

এক বিবৃতিতে জো জিন উং বলেন, ‘অতীতের এসব ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আপনাদের সব সমালোচনা মাথা পেতে নিলাম। সেই সঙ্গে আমার অভিনয় ক্যারিয়ারকে এখানেই বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।’

বিতর্কের জেরে এরই মধ্যে ‘ওয়ার অন ক্রাইম’ ডকুমেন্টারি সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে জো জিন উংকে। এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। প্রথম পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল গত ৩০ নভেম্বর। নতুন পর্বে আর শোনা যাবে না তাঁর কণ্ঠ। জো জিন উং অভিনীত আলোচিত সিরিজ ‘সিগন্যাল ২’ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সিরিজটির শুটিং শেষ হলেও এতে তাঁর উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

প্রবল সমালোচনার মধ্যেও জো জিন উংয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। তাঁদের মতে, কিশোর বয়সে ঘটা অপরাধের জন্য ওই সময়ই শাস্তি পেয়েছিলেন জো জিন উং। তাহলে এত বছর পর কেন নতুন করে তাঁকে হেনস্তা করা হবে! বরং একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার অন্ধকার অতীত টেনে আনায় মিডিয়ার সমালোচনা করছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

১০ ঘণ্টা পর বিটিআরসির অবরোধ তুলে নিলেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা

দিনে ১৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি, ভারতের চাষিদের মুখে হাসি ফেরাল বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে রাশিয়ার উচ্ছ্বাস

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত