Ajker Patrika

পৃথিবীর বিস্ময়কর ৫ স্কুল

আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ৩৪
পৃথিবীর বিস্ময়কর  ৫  স্কুল

১. নিজ নিয়মের স্কুল
স্কুলে যদি পরীক্ষার কোনো চল না থাকত, ক্লাসে বাড়ির কাজ দেওয়ার কথা যদি ভুলে যেতেন শিক্ষক; কিংবা সব নিয়মই যদি নিজের মতো করে চলত! এমন স্কুল তো আর হওয়ার নয়, তাই না? কিন্তু এমন একটি স্কুল আছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিন কাউন্টিতে। ২০০৪ সালে ‘আমার স্কুল, আমার নিয়ম’ নীতিতে গড়ে তোলা হয় ব্রুকলিন ফ্রি স্কুলটি। এখানে নিজের পছন্দমতো সৃজনশীল কায়দায় পড়ালেখার সুযোগ পায় ৪ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা। সেখানে ইচ্ছেমতো খেলা যাবে, ভয় নেই টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখে বকা শোনার, মন চাইলে বেড়াতে বা রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়াতেও থাকবে না কারোর বারণ। বরং সুযোগ রয়েছে সেসব কাজে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনার, আর তার বদলে কেবল ঘুমোতে চাইলেও শাস্তি নেই মোটেই। সাপ্তাহিক সভা, ভর্তি ও স্কুল পরিচালনার সব কায়দাও ঠিক করে স্কুলপড়ুয়ারাই। নিয়ামকের কাজ করেন শিক্ষকেরা। 

২. নৌকা স্কুল 
সবকিছুই আসলে বিদেশে থাকে না। আমাদের দেশেও থাকে কিছু উদাহরণ। প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এ দেশ। অন্য অনেক অঞ্চলের মতো চলনবিল এলাকা বন্যায় ডুবে যায় প্রতিবছর। বন্যাপ্রবণ এ অঞ্চলের শিশুদের স্কুল যাওয়া হয়ে পড়ে অনিশ্চিত। সেই জটিলতা সুরাহায় চলনবিল এলাকার শিশুদের জন্য ভাসমান নৌকা স্কুল গড়ে তুলেছে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সিধুলাই স্বনির্ভর সংস্থা। ২০০২ সালে গড়ে তোলা এই স্কুলের প্রতিটি নৌকায় রয়েছে পাঠাগার, কম্পিউটার, ইন্টারনেট-সুবিধা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সৌর প্যানেল। বাড়ি থেকে স্কুল বা স্কুল শেষে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় এ নৌকাগুলো দিয়েই। দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতে অসাধারণ এই ভূমিকার জন্য জাতিসংঘের ফান্ডস অ্যান্ড প্রোগ্রামস থেকে উদ্ভাবনী বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছে এই ভাসমান স্কুলের ধারণাটি। নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের মোট ৮টি দেশে পরিচালিত হচ্ছে এ ধরনের স্কুল।

৩. জাদুকরি স্কুল
জাদুর স্কুল শুনেই হ্যারি পটারের কথা মনে পড়ছে? সে রকম মোটেও নয় এ স্কুল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের সেলাম শহরে আছে বাস্তব এ জাদুর স্কুল। প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টানদের সমালোচনার মুখে পড়ে শিকাগোর রোজভিল থেকে ক্যাম্পাস বদল করে এখানে আসে স্কুলটি। ১৬৯২ ও তার পরের বছরজুড়ে জাদুবিদ্যার দায়ে ২০০ জনের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল সেলাম শহরে। জাদুকর সম্প্রদায় ও ডাইনিবান্ধব হওয়ার জন্য মূলত এ জায়গা ক্যাম্পাস হিসেবে বেছে নেওয়া। এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও অনলাইনে জাদুবিদ্যা শেখার সুযোগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

৪. গুহা স্কুল
স্কুল মানেই উঁচু দালানকোঠার সাজানো শ্রেণিকক্ষের ভেতর বসে পড়ালেখা করা। কিন্তু সে ধারণা ভেঙে দিয়েছিল চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মিয়াও গ্রাম। পাহাড়ি ও দরিদ্র সেই জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না। তবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রাকৃতিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও বেশ জরুরি, এ কথা বুঝতে দেরি হয়নি মিয়াও গ্রামের অসহায় লোকজনের। ফলে ১৯৮৪ সালে নিজেদের উদ্যোগেই গুহার মধ্যে একটি স্কুল গড়ে তোলে তারা। নাম দেয় ডংঝং মিড-কেভ প্রাইমারি স্কুল। ৮ জন শিক্ষক ও ১৮৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর পথচলা শুরু। সেখানে ছিল কাঠ দিয়ে তৈরি শ্রেণিকক্ষ। ছিল বাস্কেটবল কোর্টসহ হরেক রকম খেলাধুলার সুযোগ। নিজেদের বিকশিত করার লড়াইয়ে এতটাই সচেতন হয়ে উঠেছিল মিয়াও গ্রামের মানুষেরা যে যাতায়াতে রোজ ছয় ঘণ্টা লাগলেও তোয়াক্কা করেনি তারা। তবে ২০১১ সালে চীন সরকার বন্ধ করে দেয় স্কুলটি।

৫. পাতাল স্কুল
যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার এক সত্যিকারের কাহিনি এটি। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আঁটলেন এক গোপন ফন্দি। জন এফ কেনেডির সেই ফন্দি ছিল আদতে যুদ্ধের সময় মানুষের জন্য মাটির নিচে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্র। নিউ মেক্সিকোর আর্টেসিয়ায় গড়ে তোলা সেই আশ্রয়কেন্দ্রই রূপায়িত হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড বা পাতাল স্কুল হিসেবে। অ্যাবো এলিমেন্টারি স্কুল অ্যান্ড ফল আউট শেল্টার নামে তাকে চেনে সবাই। স্কুলটি ভারী স্টিলের বড় তিনটি দরজার ভেতর সুরক্ষিত। একেকটি দরজার ওজন ৮০০ কিলোগ্রাম করে। ১৯৬২ সালে গড়ে তোলা সেই স্কুলের ছাদে আছে খেলার মাঠ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন

ক্যাম্পাস ডেস্ক 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫৮
শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা: ছবি সংগৃহীত
শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা: ছবি সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন দিনে ৫ পরীক্ষা বিপাকে শিক্ষার্থীরা

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর
  • একই দিন এমআইএসটির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটেরও পরীক্ষা আছে
  • ২৬ ডিসেম্বর হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা
  • অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

তিন দিনের ব্যবধানে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, একই সময়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পড়ায় অনেকে বাধ্য হয়ে একটি বা একাধিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ হারাতে পারেন।

জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায়। একই দিনে সকালে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েরও ভর্তি পরীক্ষা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলেছে, ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এটি বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষা না হলেও একই দিনে এমআইএসটির ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা থাকায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সকালে এমআইএসটির পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেকের পক্ষেই কঠিন হবে। এই দিনে এমআইএসটির আর্কিটেকচার বিভাগের বিকেলের শিফটে যাঁদের পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

এর আগের দিন ২৬ ডিসেম্বর হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা। এই দিনে বাংলাদেশ অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগেও ভর্তি পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষাই বিজ্ঞান বিভাগের হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পরপর দুই দিনে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ছাড়া ২৮ ডিসেম্বর হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-জেইউ ভর্তি পরীক্ষা। এতে বিজ্ঞান বিভাগের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, টানা তিন দিন পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা তাঁদের ওপর বাড়তি মানসিক ও শারীরিক চাপ সৃষ্টি করবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘একই দিনে একাধিক ভর্তি পরীক্ষা কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আগে থেকে নির্ধারিত ছিল, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক বলেন, ‘অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ে আমাদের তেমন সমস্যা নেই। শুধু এমআইএসটির পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা কাজ করেছি।’

উল্লেখ্য, জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণার কারণে ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষ ২৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টায় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘোষিত নতুন সময়সূচি অনুযায়ী বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ইউনিটের ঢাকার বাইরের যেসব পরীক্ষার্থীর আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর ঢাকায় অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আছে এবং যাদের পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে, সেসব শিক্ষার্থী আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

অনলাইন আবেদনের সঙ্গে অবশ্যই এইচএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের কপি আপলোড করতে হবে।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ

জাবি প্রতিনিধি 
আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ৯টায় পরীক্ষায় বসেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ‘সি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) পরীক্ষা দিয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলো।

এবার সাত ইউনিটের ১ হাজার ৮৪২টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষার্থী। এতে একটি আসনের জন্য ১১৯ শিক্ষার্থী লড়াই করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তি পরীক্ষায় সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলমকে সভাপতি করে ৪৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫০ জন পুলিশ, ৬০ জন আনসার, ট্রাফিক পুলিশ এবং গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। যেকোনো ধরনের জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিকেল টিম মোতায়েন থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত