Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ আবার শুরু করেছি’

পেয়ার আহমেদ

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) উপাচার্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর কথাগুলো শুনেছেন ইলিয়াস শান্ত

ইলিয়াস শান্ত
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩: ০৭

প্রশ্ন: দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় বন্ধের পর গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কেমন দেখছেন?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি ইউজিসির পরামর্শে ক্লাস শুরু করার ব্যবস্থা করেছি। আমাকে একসঙ্গে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি একটি বিভাগের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেছি। সেখানে আমি শিক্ষার্থীদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি দেখেছি। শিক্ষকেরাও নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে আসছেন। আশা করছি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে পুরো ক্যাম্পাস।

প্রশ্ন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় ৬২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরে সেটা শুনেছি বাতিল হয়ে গেছে। ওই জায়গায় আর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি কেন হলো?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমি অধিগ্রহণ-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় এসেছে। পত্রিকা মারফত যত দূর জেনেছি, জমির দলিল এবং প্রাক্কলন মূল্য নিয়ে আইনি জটিলতা ছিল। পরে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জমির অধিগ্রহণ সরকার বাতিল করেছে।

প্রশ্ন: তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদন পেয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নিজ জেলায় হলেও চাঁবিপ্রবি কেন বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারেনি?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, দক্ষ জনবল, স্থায়ী অবকাঠামো, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল নেই। এখানে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি।

প্রশ্ন: এখন চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস আর কত দূর?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাটা সত্যিকার অর্থেই হতাশার বিষয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই স্থানীয় সরকার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। সরকারি এবং স্থানীয় পর্যায়ে সহযোগিতা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে।

প্রশ্ন: নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আপনি কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ কবে শুরু হতে পারে?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: জেলা প্রশাসক সূত্রে জানতে পেরেছি, পূর্বের জমি অধিগ্রহণ বাতিল হয়েছে, বিধায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমির প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে দ্রুত জমি দেখার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেছেন, দ্রুততম সময়ে জমি অধিগ্রহণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনে নিজে জমি দেখতে যাবেন। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতায় দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব।

campus-1

প্রশ্ন: আবাসিক হল তো পরে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তো স্থায়ী কোনো অ্যাকাডেমিক ভবনই নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা কীভাবে জীবন ধারণ করছেন?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: স্থায়ী অবকাঠামো না থাকাতে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় জানতে পেরেছি, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন বাসায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে মেস করে অবাসনের ব্যবস্থা করেছে। তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে শিক্ষার্থীদের আবাসনের বিষয়টিও মাথায় রেখে পদক্ষেপ নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী হলের চাহিদা তৈরি করে ইউজিসিতে পাঠিয়েছি।

প্রশ্ন: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। চাঁবিপ্রবি ভর্তি নিয়ে কী ভাবছে?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবি কি গুচ্ছে থাকবে? আমরা দেখেছি, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা লাঘব করেছে। শিক্ষার্থীদের অর্থ সাশ্রয় করছে। যদিও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কিছু অসুবিধাও রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসি এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করব। আমরাও শুনেছি, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা আমাদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনি বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে আপনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপনা করেছেন। গণিত নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

পেয়ার আহমেদ
পেয়ার আহমেদ

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: গণিত নিয়ে আমার ভাবনায় প্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো, গণিতের ভীতি দূর করা। গণিতকে প্রান্তিক পর্যায়ে সহজ বিষয় হিসেবে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতানুগতিক ধারায় গণিত শিক্ষা না দিয়ে গণিতকে সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যারা গণিত শেখায়, তারা অনেকেই গণিত বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেনি। গণিত শেখানোর জন্য গণিত বিষয়ের শিক্ষকই নিয়োগ দিতে হবে। গণিতকে বাস্তবজীবনে এমনভাবে উপযোগী করতে হবে, যাতে একজন দিনমজুর, রিকশাওয়ালাও গণিতকে বাস্তবজীবনে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রশ্ন: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে আপনার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আপনি বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার প্রকাশিত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনো প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে রয়েছে। চতুর্থ বর্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্টে কাজ করে। আমরা রিসার্চে আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য গবেষণার ওপর সেমিনারের আয়োজন করব। রিসার্চ কনফারেন্স আয়োজন করব। গবেষণায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আমি ফান্ডের ব্যবস্থা করব। শিক্ষকেরা যাতে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগী হতে পারেন, এ জন্য তাঁদের প্রয়োজনীয় গবেষণা ভাতার ব্যবস্থা করব। শিক্ষকদের পাঠদান এবং গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করব। যাতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের ভালো মানের গবেষণায় যুক্ত করতে পারেন।

প্রশ্ন: চাঁবিপ্রবির সামগ্রিক উন্নয়নে আপনার কী পরিকল্পনা রয়েছে?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কারিকুলাম আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট হবে আন্তর্জাতিক মানের। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাঁবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে সামনের দিকে নিয়ে আসাই আমার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চাই। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি কার লোনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মন খুলে কথা বলার মতো কোনো শিক্ষক পান না। অনেক শিক্ষার্থী হতাশায় ভোগেন। শেষ পরিণতি হিসেবে অনেকে হতাশা থেকে আত্মহননের পথ বেছে নেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুসম্পর্ক নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

অধ্যাপক পেয়ার আহমেদ: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হওয়া উচিত সহযোগিতাপূর্ণ। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই জ্ঞান তৈরি এবং বিতরণে একে অপরকে সহযোগিতা করবেন। আমি ইতিমধ্যে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব সচেতন হওয়া পরামর্শ দিয়েছি। সবাই নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে বন্ধুসুলভ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক হবে মধুর। যেখানে শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষাজীবনে শিক্ষককে পাবেন একজন প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে। আমি শিক্ষকদের বলেছি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের দিকে মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বলেছি, শিক্ষকের কাছ থেকে বৈশ্বিক মানের জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করতে। মান্ধাতার আমলের শিক্ষা প্রদান এবং গ্রহণের দিন শেষ হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা হতে হবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত এবং স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, আসনপ্রতি লড়বেন ৪০ জন

  জবি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আজ ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা সময়ব্যাপী চলবে।

‎‘সি’ ইউনিটে মোট ৫২০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২০ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসেবে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন প্রায় ৪০ জন ভর্তিচ্ছু।

‎এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও ঢাকার বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭২ নম্বর থাকবে এমসিকিউ থেকে এবং বাকি ১৮ নম্বর নির্ধারিত হবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ভিত্তিতে। পরীক্ষায় ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে।

বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার আরও তিনটি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাইরে কোনো কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।‎

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) এবং ২৬ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎উল্লেখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং কলা ও আইন অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা কাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৪২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ হাজার ৮৯১টি আসনের বিপরীতে এ বছর ১ লাখ ১৪ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকার বাইরে যে সাতটি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে, সেগুলো হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

একই দিন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করে ঢাকায় স্থানান্তর করেছেন, তাঁদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুবিধার্থে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার জন্য এরই মধ্যে মিরপুর ও ফার্মগেট এলাকায় তিনটি অতিরিক্ত কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমআইএসটি থেকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিরাপদ ও সুবিধাজনক করতে মেট্রোরেলের সময় ব্যবধান কমানো হয়েছে। এদিন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত মেট্রোরেল চলাচল করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে এমআইএসটি কর্তৃপক্ষ তাদের স্থাপত্য বিভাগের দ্বিতীয় পর্বের আগামীকালের পরীক্ষাটি এক দিন পিছিয়ে রোববার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করার ব্যবস্থা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উপকেন্দ্রে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

খুলনা প্রতিনিধি
খুবি উপকেন্দ্রে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুবি উপকেন্দ্রে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) উপকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন ৩ হাজার ৯৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ শতাংশ।

পরীক্ষা চলাকালে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম পরীক্ষাকেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুমসমূহ পরিদর্শন করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত, ভর্তি পরীক্ষার ফোকাল পয়েন্ট ও এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া কন্ট্রোল রুম ও পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিনপ্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘প্রশ্ন ফাঁসের’ অভিযোগ ওঠার পর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের’ গুঞ্জনের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘হিসাব সহকারী’ পদের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই নিয়োগ পরীক্ষা আজ শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

আজ শুক্রবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানা যায়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিতের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন হিসাব সহকারী পদে অনুষ্ঠেয় ২৬ ডিসেম্বর বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সময়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো। স্থগিত কা পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

জানা গেছে, দুপুরের দিকে এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা। এমনকি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।

ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ফেসবুকে দিয়ে মোহাম্মদ সৌরভ নামের একজন লেখেন, প্রশ্ন ফাঁস! প্রাথমিকের ‘হিসাব সহকারী’ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস। বিকেলে এ প্রশ্নেই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র বণ্টনে অব্যবস্থাপনার কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত