মাহবুব এ রহমান

যাঁর হাত ধরে ক্যাম্পাসের হালচাল উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে, তিনিই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উল্লেখযোগ্য একটি ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তিনি আবার সাংবাদিক। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, টিউটোরিয়াল, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন—সবকিছুই অন্য শিক্ষার্থীর মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার পূর্ণ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে করছেন সাংবাদিকতার মতো একটা কঠিন কাজও। এটা কিন্তু খুব একটা হালকা ব্যাপার নয়। সাংবাদিকতা এমন একটা পেশা, যেখানে ভুল করার সুযোগ সীমিত। তাই ক্যাম্পাস সাংবাদিককে পূর্ণকালীন সাংবাদিক থেকে কম করে দেখার সুযোগ নেই। বড় ক্যাম্পাসগুলোতে একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকের ব্যস্ততা কিন্তু পূর্ণকালীন সাংবাদিকের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তাই তো পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা যাঁরা চালিয়ে যেতে পারেন, তাঁরা এগিয়ে থাকবেন অন্যদের থেকে—এটাই স্বাভাবিক।
এক্সট্রা কারিকুলাম
একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার পরে তাঁর সামনে উন্মুক্ত হয় অবারিত সুযোগ। এক মুক্ত জ্ঞানের আঙিনা। স্কুল-কলেজের সীমাবদ্ধ গণ্ডি পেরিয়ে মেলে মুক্ত আকাশে ডানা মেলার সুযোগ। সৃজনশীল ও দূরদর্শী শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিজেদের মেলে ধরতে অংশ নেন নানা এক্সট্রা কারিকুলামে, যা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে বেশ সহায়ক হয়। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা একটা চমৎকার এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটি। তাই ক্যাম্পাসে অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলামে অংশ নেওয়ার মতো আগ্রহী শিক্ষার্থী নিজেকে যুক্ত করতে পারেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায়।
তৈরি হয় কথা বলার দক্ষতা
আমরা অনেকেই পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে অনেক কথা বলতে পারি। কিন্তু বেশি মানুষের সামনে কথা বলা বা নিজেকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বেশ দ্বিধায় পড়ে যাই। অনেক জড়তা কাজ করে। একজন সাংবাদিককে প্রতিনিয়ত মিশতে হয় মানুষের সঙ্গে। তাদের কথা শোনার পাশাপাশি বলতেও হয়। এভাবে করে তৈরি হয় কথা বলার দক্ষতা। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও ওয়েব পোর্টালে প্রতিনিধি নিয়োগ দিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টিভি চ্যানেলগুলো তাদের ওয়েব পোর্টালের প্রতিনিধিও দিত। কিন্তু ইদানীং দেশের কিছু বেসরকারি নিউজ চ্যানেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি দিচ্ছে। যারা ক্যাম্পাসের খবরাখবর তুলে ধরছেন টিভি চ্যানেলে। পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন তৈরির পাশাপাশি করছেন লাইভও। এরই ফাঁকে একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক শিখছেন প্রমিত উচ্চারণে কথা বলার দক্ষতা। হয়ে উঠছেন বাকপটু।
মানিয়ে চলার চমকপ্রদ মনোভাব
সাংবাদিকতা এমন একটা কাজ, যেখানে অন্তর্মুখিতার সুযোগ কম। নানা শ্রেণির, নানা পেশার মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, চলতে হয়, কথা বলতে হয়। সর্বোপরি মানুষকে পড়তে-জানতে হয়। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক এসবের বাইরে নন। তাঁকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা মনমানসিকতার, নানা চিন্তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিশতে হয়। নিজের চিন্তার বিপরীত মানুষের সঙ্গেও সময় কাটাতে হয়। ক্যাম্পাসে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। সংবাদ যখন কোনো পক্ষের বিপরীতে যায়, তখন তারা সাংবাদিকের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
এটা হতে পারে কোনো ছাত্রসংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা কোনো শিক্ষক দ্বারাও। তাতে কিন্তু একজন প্রকৃত ক্যাম্পাস সাংবাদিক দমে যান না। এমন ধাক্কা সামলে তিনি বরং পাক্কা হয়ে ওঠেন। এসব ঝড় সামলে তাঁর মধ্যে তৈরি হয় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার চমকপ্রদ মনোভাব।
বাস্তবভিত্তিক চিন্তা ও বোধের বিকাশ
একজন সাংবাদিকের দেখার চোখ আর দশজন সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন। সাদা চোখে যা দেখা যায়, তা সব সময় সত্য হয় না। সাংবাদিকদের অনেক ঘটনার পেছনের ঘটনা তুলে আনতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হয় বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা যাঁরা করেন, তাঁদের ক্যাম্পাসকে দেখার চোখ ভিন্ন। ধরা যাক, ক্যাম্পাসে কোনো একটা ইস্যুতে একটা আন্দোলন চলছে। হতে পারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট অথবা কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের। একজন সাংবাদিক আন্দোলনের ‘ভাষা’ দেখে বুঝতে পারেন এই আন্দোলনের হিডেন মিনিং। অন্য শিক্ষার্থীরা হয়তো সাধারণভাবে আন্দোলনই দেখেন। কিন্তু সব সময় তা হয় না, যা সাংবাদিকেরা বুঝতে পারেন। সাংবাদিকদের সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসকে মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়। ক্যাম্পাসের কোথা কী হচ্ছে, খোঁজ রাখতে হয়। কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় মুখোমুখি হতে হয় কঠিন পরিস্থিতির। সেগুলোকে কাটিয়েও উঠতে হয় সততা ও কৌশল দিয়ে। অনেক বাস্তবতা উন্মোচিত হয় সাংবাদিকদের সামনে, যা তাঁদের বাস্তবভিত্তিক চিন্তা ও বোধের বিকাশে সহায়তা করে।
নেটওয়ার্কিংয়ে চমৎকার সুযোগ
ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করতে গেলে সম্পর্ক তৈরি হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা মানুষের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ নানা পর্ষদের মানুষ চেনেন একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিককে। প্রশাসনিক পদের ব্যক্তিরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা শিক্ষক-স্কলারদের সঙ্গেও গড়ে ওঠে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সম্পর্ক। অর্থাৎ চমৎকার একটা নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি হয়। সেসব সম্পর্ক পথচলায় নানাভাবে সহযোগিতা করে। শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, ক্যাম্পাসের বাইরে এমনকি পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও এই নেটওয়ার্কিং দারুণভাবে কাজে লাগে।
বাড়ে সাংগঠনিক দক্ষতা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকদের আছে বিভিন্ন সংগঠন, যেমন—সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটি—এমন ভিন্ন ভিন্ন নামে আছে সাংবাদিক সংগঠন। কোনো ক্যাম্পাসে একটা আবার কোনো ক্যাম্পাসে একাধিক। এসব সংগঠনের সদস্য থেকে শুরু করে নেতৃত্ব যাঁরা দেন, তাঁরা সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজ করেন সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকের সাংগঠনিক চর্চার ফলে বাড়ে সাংগঠনিক দক্ষতা, তৈরি হয় নেতৃত্বগুণ।
লেখক: সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

যাঁর হাত ধরে ক্যাম্পাসের হালচাল উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে, তিনিই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উল্লেখযোগ্য একটি ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তিনি আবার সাংবাদিক। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা, টিউটোরিয়াল, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন—সবকিছুই অন্য শিক্ষার্থীর মতোই চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার পূর্ণ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে করছেন সাংবাদিকতার মতো একটা কঠিন কাজও। এটা কিন্তু খুব একটা হালকা ব্যাপার নয়। সাংবাদিকতা এমন একটা পেশা, যেখানে ভুল করার সুযোগ সীমিত। তাই ক্যাম্পাস সাংবাদিককে পূর্ণকালীন সাংবাদিক থেকে কম করে দেখার সুযোগ নেই। বড় ক্যাম্পাসগুলোতে একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকের ব্যস্ততা কিন্তু পূর্ণকালীন সাংবাদিকের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তাই তো পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা যাঁরা চালিয়ে যেতে পারেন, তাঁরা এগিয়ে থাকবেন অন্যদের থেকে—এটাই স্বাভাবিক।
এক্সট্রা কারিকুলাম
একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখার পরে তাঁর সামনে উন্মুক্ত হয় অবারিত সুযোগ। এক মুক্ত জ্ঞানের আঙিনা। স্কুল-কলেজের সীমাবদ্ধ গণ্ডি পেরিয়ে মেলে মুক্ত আকাশে ডানা মেলার সুযোগ। সৃজনশীল ও দূরদর্শী শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিজেদের মেলে ধরতে অংশ নেন নানা এক্সট্রা কারিকুলামে, যা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে বেশ সহায়ক হয়। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা একটা চমৎকার এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটি। তাই ক্যাম্পাসে অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলামে অংশ নেওয়ার মতো আগ্রহী শিক্ষার্থী নিজেকে যুক্ত করতে পারেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায়।
তৈরি হয় কথা বলার দক্ষতা
আমরা অনেকেই পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে অনেক কথা বলতে পারি। কিন্তু বেশি মানুষের সামনে কথা বলা বা নিজেকে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বেশ দ্বিধায় পড়ে যাই। অনেক জড়তা কাজ করে। একজন সাংবাদিককে প্রতিনিয়ত মিশতে হয় মানুষের সঙ্গে। তাদের কথা শোনার পাশাপাশি বলতেও হয়। এভাবে করে তৈরি হয় কথা বলার দক্ষতা। একটা সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও ওয়েব পোর্টালে প্রতিনিধি নিয়োগ দিত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে টিভি চ্যানেলগুলো তাদের ওয়েব পোর্টালের প্রতিনিধিও দিত। কিন্তু ইদানীং দেশের কিছু বেসরকারি নিউজ চ্যানেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি দিচ্ছে। যারা ক্যাম্পাসের খবরাখবর তুলে ধরছেন টিভি চ্যানেলে। পূর্ণাঙ্গ মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন তৈরির পাশাপাশি করছেন লাইভও। এরই ফাঁকে একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক শিখছেন প্রমিত উচ্চারণে কথা বলার দক্ষতা। হয়ে উঠছেন বাকপটু।
মানিয়ে চলার চমকপ্রদ মনোভাব
সাংবাদিকতা এমন একটা কাজ, যেখানে অন্তর্মুখিতার সুযোগ কম। নানা শ্রেণির, নানা পেশার মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়, চলতে হয়, কথা বলতে হয়। সর্বোপরি মানুষকে পড়তে-জানতে হয়। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক এসবের বাইরে নন। তাঁকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা মনমানসিকতার, নানা চিন্তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিশতে হয়। নিজের চিন্তার বিপরীত মানুষের সঙ্গেও সময় কাটাতে হয়। ক্যাম্পাসে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। সংবাদ যখন কোনো পক্ষের বিপরীতে যায়, তখন তারা সাংবাদিকের ওপর চাপ প্রয়োগ করে।
এটা হতে পারে কোনো ছাত্রসংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা কোনো শিক্ষক দ্বারাও। তাতে কিন্তু একজন প্রকৃত ক্যাম্পাস সাংবাদিক দমে যান না। এমন ধাক্কা সামলে তিনি বরং পাক্কা হয়ে ওঠেন। এসব ঝড় সামলে তাঁর মধ্যে তৈরি হয় যেকোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে চলার চমকপ্রদ মনোভাব।
বাস্তবভিত্তিক চিন্তা ও বোধের বিকাশ
একজন সাংবাদিকের দেখার চোখ আর দশজন সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্ন। সাদা চোখে যা দেখা যায়, তা সব সময় সত্য হয় না। সাংবাদিকদের অনেক ঘটনার পেছনের ঘটনা তুলে আনতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হয় বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা যাঁরা করেন, তাঁদের ক্যাম্পাসকে দেখার চোখ ভিন্ন। ধরা যাক, ক্যাম্পাসে কোনো একটা ইস্যুতে একটা আন্দোলন চলছে। হতে পারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট অথবা কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের। একজন সাংবাদিক আন্দোলনের ‘ভাষা’ দেখে বুঝতে পারেন এই আন্দোলনের হিডেন মিনিং। অন্য শিক্ষার্থীরা হয়তো সাধারণভাবে আন্দোলনই দেখেন। কিন্তু সব সময় তা হয় না, যা সাংবাদিকেরা বুঝতে পারেন। সাংবাদিকদের সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসকে মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়। ক্যাম্পাসের কোথা কী হচ্ছে, খোঁজ রাখতে হয়। কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় মুখোমুখি হতে হয় কঠিন পরিস্থিতির। সেগুলোকে কাটিয়েও উঠতে হয় সততা ও কৌশল দিয়ে। অনেক বাস্তবতা উন্মোচিত হয় সাংবাদিকদের সামনে, যা তাঁদের বাস্তবভিত্তিক চিন্তা ও বোধের বিকাশে সহায়তা করে।
নেটওয়ার্কিংয়ে চমৎকার সুযোগ
ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করতে গেলে সম্পর্ক তৈরি হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা মানুষের সঙ্গে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ নানা পর্ষদের মানুষ চেনেন একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিককে। প্রশাসনিক পদের ব্যক্তিরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা শিক্ষক-স্কলারদের সঙ্গেও গড়ে ওঠে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সম্পর্ক। অর্থাৎ চমৎকার একটা নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি হয়। সেসব সম্পর্ক পথচলায় নানাভাবে সহযোগিতা করে। শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, ক্যাম্পাসের বাইরে এমনকি পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও এই নেটওয়ার্কিং দারুণভাবে কাজে লাগে।
বাড়ে সাংগঠনিক দক্ষতা
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকদের আছে বিভিন্ন সংগঠন, যেমন—সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটি—এমন ভিন্ন ভিন্ন নামে আছে সাংবাদিক সংগঠন। কোনো ক্যাম্পাসে একটা আবার কোনো ক্যাম্পাসে একাধিক। এসব সংগঠনের সদস্য থেকে শুরু করে নেতৃত্ব যাঁরা দেন, তাঁরা সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজ করেন সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে। একজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকের সাংগঠনিক চর্চার ফলে বাড়ে সাংগঠনিক দক্ষতা, তৈরি হয় নেতৃত্বগুণ।
লেখক: সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

যাঁর হাত ধরে ক্যাম্পাসের হালচাল উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে, তিনিই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উল্লেখযোগ্য একটি ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯ এপ্রিল ২০২৩
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

যাঁর হাত ধরে ক্যাম্পাসের হালচাল উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে, তিনিই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উল্লেখযোগ্য একটি ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯ এপ্রিল ২০২৩
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৯ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

যাঁর হাত ধরে ক্যাম্পাসের হালচাল উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে, তিনিই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উল্লেখযোগ্য একটি ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯ এপ্রিল ২০২৩
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

যাঁর হাত ধরে ক্যাম্পাসের হালচাল উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে, তিনিই ক্যাম্পাস সাংবাদিক। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উল্লেখযোগ্য একটি ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাস পুরোনো। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯ এপ্রিল ২০২৩
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১৯ ঘণ্টা আগে