
রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
আর রোবট নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে, সেটাই হচ্ছে রোবোটিকস। আর মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্সের সমন্বিত একটি শাখা, যা মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিকসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে।
পড়ার যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৮ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে ১২.৫ (লিখিত ও এমসিকিউ মিলে) নম্বর করে পেতে হয়।
এ ছাড়া মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ওই বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভর্তির সুযোগ পেলেও অন্য বিভাগ কিংবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক ও প্রাইভেট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত ও ভাইভা) মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড ফিজিকস, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৩.২৫ (৪-এর মধ্যে) সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে।
কোথায় পড়া যায়
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েটের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারনেট অব থিংকস অ্যান্ড রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ-সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
বেসরকারিভাবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড অটোমেশন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিকস টেকনোলজি বিভাগে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বয়সীদের রোবোটিকস শিক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুল অব রোবোটিকস।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বাংলাদেশে অনেকগুলো অটোমেটেড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যেগুলো চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশের নিজস্ব কোনো এক্সপার্ট নেই। ফলে সেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশ থেকে মিলিয়ন ডলার খরচ করে এক্সপার্ট আনতে হয়, যা দেশের ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোনো এক্সপার্ট থাকলে অনেক খরচ কমে যেত এবং দেশের মুদ্রা দেশেই থাকত।
তাই এই সেক্টরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে এই বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে রোবোটিকসের গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে গার্মেন্টস ও প্রোডাকশন সেক্টরে রোবোটিকসের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। এমনকি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যে হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে, সেখানে বিশ্বের নামীদামি কোম্পানিগুলো জায়গা করে নেবে। সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা অগ্রাধিকার পাবে।
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
এই আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভাগ বাংলাদেশের মেধাবী প্রজন্মকে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করবে; যা দেশে প্রযুক্তিসম্বৃদ্ধ গার্মেন্টস সেক্টর, পাওয়ার সেক্টর, নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি উৎপাদন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রোবোটিকসের বিভিন্ন প্রযুক্তি, যেমন অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল কিংবা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল ইত্যাদির মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান ও আরোহণ করা যাবে।
এভাবে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে রোবোটিকসের ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তাই রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়ন, অগ্নিকাণ্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। কারণ রোবোটিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোডাকশন বাড়াতে না পারলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ব। ফলে মুখ থুবড়ে পড়বে আমাদের এক্সপোর্ট খাত।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স–এই তিনটি সাবজেক্টের সমন্বয়ে মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি গঠিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ তিনটি বিষয়ের ওপর সমন্বিত কোর্সগুলো পড়ানো হয়। কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে অ্যানালাইসিস করে, নিজের মতো করে সার্কিট ডিজাইন করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিজিটাল লজিক সার্কিট থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে দক্ষভাবে কন্ট্রোল করার জন্য যতটুকু ইলেকট্রনিক জ্ঞানের প্রয়োজন তা সবই পড়ানো হয়। মেকানিক্যাল সিস্টেম নিয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সলিড মেকানিকস, ফ্লুয়িড মেকানিকস, মেকানিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইব্রিড ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসের ওপর বিস্তারিত কোর্স রয়েছে। ইলেকট্রনিকস ও মেকানিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। এ ক্ষেত্রে বেসিক প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং’ বিভাগে পড়ানো হয়। বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রোল সিস্টেম, যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোপ্রসেসর, পিএলসি, সিএনসি নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের কন্ট্রোল সিস্টেমে দক্ষ বানাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম, যেমন পিআইডি অ্যালগরিদম, ডেরিভেটিভ অ্যালগরিদম, ইন্টিগ্রাল অ্যালগরিদম এখানে শেখানো হয়। রোবটের দর্শন ও ইন্টারেকশন ক্ষমতা তৈরির জন্য রোবট ভিশন, ইন্টারনেট অব থিংকস, হিউম্যান রোবট ইন্টারেকশন ও ইমেইজ প্রসেসিং কোর্স পড়ানো হয়, যা একটি রোবট ইমেজিং সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ, সরবরাহ, কন্ডিশনিং, রূপান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যায়। রোবটের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সিমুলেশন করার জন্য ম্যাটল্যাব, সলিড ওয়ার্ক, এনসিস, রোবট অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করানো হয়। রোবটকে প্রোগ্রামের বাইরে নিজে নিজে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম বানাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিং লার্নিং ও ডিপ লার্নিং বিস্তারিত পড়ানো হয়। এ ছাড়া হাতে-কলমে কাজ করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা। রোবোটিকস ল্যাবে হেক্সা রোবট, অহনি ভি৫, নাও রোবট, রোভার ভি৫, থ্রিডি প্রিন্টার, ই-পাক রোবট, ড্রোনসহ অনেক ধরনের ম্যানুপেলেটর রয়েছে। অটোমেশন নিয়ে কাজ করার জন্য মেকাট্রনিকস ল্যাবে রয়েছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সিএনসি মিলিং মেশিন, প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডুলার সিস্টেম ও লেজার কাটার মেশিন।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র অর্থ খরচ করে এ রকম একটি ব্যয়বহুল বিভাগে পড়াশোনা করা যায়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্ষেত্রবিশেষে খুবই রিজনেবল খরচে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে যাচ্ছে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকসের বিশাল দুয়ার। কারণ ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকসের ওপর বেশ কাজ হচ্ছে। সে জন্য এই সাবজেক্টে পড়ে দেশের বাইরে ভালো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া খুবই সহজ।
তা ছাড়া আপনি যেকোনো সাবজেক্টে চাইলেই শিফট করতে পারবেন; যেমন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। উপরন্তু এ বিষয়ে রয়েছে রিসার্চের অনেক সুযোগ। এর কারণ হচ্ছে বিষয়টি মাল্টি ডাইমেনশনাল। বর্তমান প্রজন্মে বিভিন্ন ডাইমেনশনের সমন্বয় সাধন করে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
মো. আরিফুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
আর রোবট নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে, সেটাই হচ্ছে রোবোটিকস। আর মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্সের সমন্বিত একটি শাখা, যা মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিকসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে।
পড়ার যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৮ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে ১২.৫ (লিখিত ও এমসিকিউ মিলে) নম্বর করে পেতে হয়।
এ ছাড়া মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ওই বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভর্তির সুযোগ পেলেও অন্য বিভাগ কিংবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক ও প্রাইভেট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত ও ভাইভা) মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড ফিজিকস, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৩.২৫ (৪-এর মধ্যে) সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে।
কোথায় পড়া যায়
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েটের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারনেট অব থিংকস অ্যান্ড রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ-সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
বেসরকারিভাবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড অটোমেশন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিকস টেকনোলজি বিভাগে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বয়সীদের রোবোটিকস শিক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুল অব রোবোটিকস।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বাংলাদেশে অনেকগুলো অটোমেটেড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যেগুলো চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশের নিজস্ব কোনো এক্সপার্ট নেই। ফলে সেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশ থেকে মিলিয়ন ডলার খরচ করে এক্সপার্ট আনতে হয়, যা দেশের ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোনো এক্সপার্ট থাকলে অনেক খরচ কমে যেত এবং দেশের মুদ্রা দেশেই থাকত।
তাই এই সেক্টরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে এই বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে রোবোটিকসের গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে গার্মেন্টস ও প্রোডাকশন সেক্টরে রোবোটিকসের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। এমনকি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যে হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে, সেখানে বিশ্বের নামীদামি কোম্পানিগুলো জায়গা করে নেবে। সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা অগ্রাধিকার পাবে।
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
এই আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভাগ বাংলাদেশের মেধাবী প্রজন্মকে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করবে; যা দেশে প্রযুক্তিসম্বৃদ্ধ গার্মেন্টস সেক্টর, পাওয়ার সেক্টর, নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি উৎপাদন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রোবোটিকসের বিভিন্ন প্রযুক্তি, যেমন অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল কিংবা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল ইত্যাদির মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান ও আরোহণ করা যাবে।
এভাবে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে রোবোটিকসের ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তাই রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়ন, অগ্নিকাণ্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। কারণ রোবোটিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোডাকশন বাড়াতে না পারলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ব। ফলে মুখ থুবড়ে পড়বে আমাদের এক্সপোর্ট খাত।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স–এই তিনটি সাবজেক্টের সমন্বয়ে মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি গঠিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ তিনটি বিষয়ের ওপর সমন্বিত কোর্সগুলো পড়ানো হয়। কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে অ্যানালাইসিস করে, নিজের মতো করে সার্কিট ডিজাইন করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিজিটাল লজিক সার্কিট থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে দক্ষভাবে কন্ট্রোল করার জন্য যতটুকু ইলেকট্রনিক জ্ঞানের প্রয়োজন তা সবই পড়ানো হয়। মেকানিক্যাল সিস্টেম নিয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সলিড মেকানিকস, ফ্লুয়িড মেকানিকস, মেকানিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইব্রিড ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসের ওপর বিস্তারিত কোর্স রয়েছে। ইলেকট্রনিকস ও মেকানিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। এ ক্ষেত্রে বেসিক প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং’ বিভাগে পড়ানো হয়। বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রোল সিস্টেম, যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোপ্রসেসর, পিএলসি, সিএনসি নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের কন্ট্রোল সিস্টেমে দক্ষ বানাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম, যেমন পিআইডি অ্যালগরিদম, ডেরিভেটিভ অ্যালগরিদম, ইন্টিগ্রাল অ্যালগরিদম এখানে শেখানো হয়। রোবটের দর্শন ও ইন্টারেকশন ক্ষমতা তৈরির জন্য রোবট ভিশন, ইন্টারনেট অব থিংকস, হিউম্যান রোবট ইন্টারেকশন ও ইমেইজ প্রসেসিং কোর্স পড়ানো হয়, যা একটি রোবট ইমেজিং সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ, সরবরাহ, কন্ডিশনিং, রূপান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যায়। রোবটের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সিমুলেশন করার জন্য ম্যাটল্যাব, সলিড ওয়ার্ক, এনসিস, রোবট অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করানো হয়। রোবটকে প্রোগ্রামের বাইরে নিজে নিজে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম বানাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিং লার্নিং ও ডিপ লার্নিং বিস্তারিত পড়ানো হয়। এ ছাড়া হাতে-কলমে কাজ করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা। রোবোটিকস ল্যাবে হেক্সা রোবট, অহনি ভি৫, নাও রোবট, রোভার ভি৫, থ্রিডি প্রিন্টার, ই-পাক রোবট, ড্রোনসহ অনেক ধরনের ম্যানুপেলেটর রয়েছে। অটোমেশন নিয়ে কাজ করার জন্য মেকাট্রনিকস ল্যাবে রয়েছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সিএনসি মিলিং মেশিন, প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডুলার সিস্টেম ও লেজার কাটার মেশিন।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র অর্থ খরচ করে এ রকম একটি ব্যয়বহুল বিভাগে পড়াশোনা করা যায়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্ষেত্রবিশেষে খুবই রিজনেবল খরচে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে যাচ্ছে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকসের বিশাল দুয়ার। কারণ ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকসের ওপর বেশ কাজ হচ্ছে। সে জন্য এই সাবজেক্টে পড়ে দেশের বাইরে ভালো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া খুবই সহজ।
তা ছাড়া আপনি যেকোনো সাবজেক্টে চাইলেই শিফট করতে পারবেন; যেমন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। উপরন্তু এ বিষয়ে রয়েছে রিসার্চের অনেক সুযোগ। এর কারণ হচ্ছে বিষয়টি মাল্টি ডাইমেনশনাল। বর্তমান প্রজন্মে বিভিন্ন ডাইমেনশনের সমন্বয় সাধন করে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
মো. আরিফুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
আর রোবট নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে, সেটাই হচ্ছে রোবোটিকস। আর মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্সের সমন্বিত একটি শাখা, যা মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিকসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে।
পড়ার যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৮ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে ১২.৫ (লিখিত ও এমসিকিউ মিলে) নম্বর করে পেতে হয়।
এ ছাড়া মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ওই বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভর্তির সুযোগ পেলেও অন্য বিভাগ কিংবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক ও প্রাইভেট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত ও ভাইভা) মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড ফিজিকস, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৩.২৫ (৪-এর মধ্যে) সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে।
কোথায় পড়া যায়
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েটের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারনেট অব থিংকস অ্যান্ড রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ-সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
বেসরকারিভাবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড অটোমেশন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিকস টেকনোলজি বিভাগে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বয়সীদের রোবোটিকস শিক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুল অব রোবোটিকস।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বাংলাদেশে অনেকগুলো অটোমেটেড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যেগুলো চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশের নিজস্ব কোনো এক্সপার্ট নেই। ফলে সেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশ থেকে মিলিয়ন ডলার খরচ করে এক্সপার্ট আনতে হয়, যা দেশের ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোনো এক্সপার্ট থাকলে অনেক খরচ কমে যেত এবং দেশের মুদ্রা দেশেই থাকত।
তাই এই সেক্টরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে এই বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে রোবোটিকসের গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে গার্মেন্টস ও প্রোডাকশন সেক্টরে রোবোটিকসের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। এমনকি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যে হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে, সেখানে বিশ্বের নামীদামি কোম্পানিগুলো জায়গা করে নেবে। সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা অগ্রাধিকার পাবে।
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
এই আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভাগ বাংলাদেশের মেধাবী প্রজন্মকে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করবে; যা দেশে প্রযুক্তিসম্বৃদ্ধ গার্মেন্টস সেক্টর, পাওয়ার সেক্টর, নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি উৎপাদন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রোবোটিকসের বিভিন্ন প্রযুক্তি, যেমন অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল কিংবা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল ইত্যাদির মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান ও আরোহণ করা যাবে।
এভাবে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে রোবোটিকসের ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তাই রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়ন, অগ্নিকাণ্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। কারণ রোবোটিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোডাকশন বাড়াতে না পারলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ব। ফলে মুখ থুবড়ে পড়বে আমাদের এক্সপোর্ট খাত।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স–এই তিনটি সাবজেক্টের সমন্বয়ে মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি গঠিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ তিনটি বিষয়ের ওপর সমন্বিত কোর্সগুলো পড়ানো হয়। কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে অ্যানালাইসিস করে, নিজের মতো করে সার্কিট ডিজাইন করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিজিটাল লজিক সার্কিট থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে দক্ষভাবে কন্ট্রোল করার জন্য যতটুকু ইলেকট্রনিক জ্ঞানের প্রয়োজন তা সবই পড়ানো হয়। মেকানিক্যাল সিস্টেম নিয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সলিড মেকানিকস, ফ্লুয়িড মেকানিকস, মেকানিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইব্রিড ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসের ওপর বিস্তারিত কোর্স রয়েছে। ইলেকট্রনিকস ও মেকানিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। এ ক্ষেত্রে বেসিক প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং’ বিভাগে পড়ানো হয়। বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রোল সিস্টেম, যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোপ্রসেসর, পিএলসি, সিএনসি নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের কন্ট্রোল সিস্টেমে দক্ষ বানাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম, যেমন পিআইডি অ্যালগরিদম, ডেরিভেটিভ অ্যালগরিদম, ইন্টিগ্রাল অ্যালগরিদম এখানে শেখানো হয়। রোবটের দর্শন ও ইন্টারেকশন ক্ষমতা তৈরির জন্য রোবট ভিশন, ইন্টারনেট অব থিংকস, হিউম্যান রোবট ইন্টারেকশন ও ইমেইজ প্রসেসিং কোর্স পড়ানো হয়, যা একটি রোবট ইমেজিং সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ, সরবরাহ, কন্ডিশনিং, রূপান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যায়। রোবটের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সিমুলেশন করার জন্য ম্যাটল্যাব, সলিড ওয়ার্ক, এনসিস, রোবট অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করানো হয়। রোবটকে প্রোগ্রামের বাইরে নিজে নিজে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম বানাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিং লার্নিং ও ডিপ লার্নিং বিস্তারিত পড়ানো হয়। এ ছাড়া হাতে-কলমে কাজ করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা। রোবোটিকস ল্যাবে হেক্সা রোবট, অহনি ভি৫, নাও রোবট, রোভার ভি৫, থ্রিডি প্রিন্টার, ই-পাক রোবট, ড্রোনসহ অনেক ধরনের ম্যানুপেলেটর রয়েছে। অটোমেশন নিয়ে কাজ করার জন্য মেকাট্রনিকস ল্যাবে রয়েছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সিএনসি মিলিং মেশিন, প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডুলার সিস্টেম ও লেজার কাটার মেশিন।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র অর্থ খরচ করে এ রকম একটি ব্যয়বহুল বিভাগে পড়াশোনা করা যায়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্ষেত্রবিশেষে খুবই রিজনেবল খরচে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে যাচ্ছে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকসের বিশাল দুয়ার। কারণ ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকসের ওপর বেশ কাজ হচ্ছে। সে জন্য এই সাবজেক্টে পড়ে দেশের বাইরে ভালো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া খুবই সহজ।
তা ছাড়া আপনি যেকোনো সাবজেক্টে চাইলেই শিফট করতে পারবেন; যেমন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। উপরন্তু এ বিষয়ে রয়েছে রিসার্চের অনেক সুযোগ। এর কারণ হচ্ছে বিষয়টি মাল্টি ডাইমেনশনাল। বর্তমান প্রজন্মে বিভিন্ন ডাইমেনশনের সমন্বয় সাধন করে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
মো. আরিফুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
আর রোবট নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা আলোচনা করে, সেটাই হচ্ছে রোবোটিকস। আর মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং হলো মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্সের সমন্বিত একটি শাখা, যা মূলত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে ইলেকট্রনিকসের মাধ্যমে কন্ট্রোল করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে।
পড়ার যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএ ১০-এর মধ্যে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৮ পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিভাগে পড়ার সুযোগ পায়। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে কমপক্ষে ১২.৫ (লিখিত ও এমসিকিউ মিলে) নম্বর করে পেতে হয়।
এ ছাড়া মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ওই বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান থেকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভর্তির সুযোগ পেলেও অন্য বিভাগ কিংবা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় (পাবলিক ও প্রাইভেট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার (লিখিত ও ভাইভা) মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লাইড ফিজিকস, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সংশ্লিষ্ট যেকোনো একটি বিভাগ থেকে ন্যূনতম ৩.২৫ (৪-এর মধ্যে) সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে হবে।
কোথায় পড়া যায়
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়েটের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, কুয়েটের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারনেট অব থিংকস অ্যান্ড রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ-সম্পর্কিত বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
বেসরকারিভাবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মেকাট্রনিকস অ্যান্ড অটোমেশন, খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেকাট্রনিকস টেকনোলজি বিভাগে ডিপ্লোমা করার সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বয়সীদের রোবোটিকস শিক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্কুল অব রোবোটিকস।
কর্মসংস্থানের সুযোগ
বাংলাদেশে অনেকগুলো অটোমেটেড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। যেগুলো চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশের নিজস্ব কোনো এক্সপার্ট নেই। ফলে সেই ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশ থেকে মিলিয়ন ডলার খরচ করে এক্সপার্ট আনতে হয়, যা দেশের ইকোনমিক স্ট্যাবিলিটির জন্য মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কোনো এক্সপার্ট থাকলে অনেক খরচ কমে যেত এবং দেশের মুদ্রা দেশেই থাকত।
তাই এই সেক্টরে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে এই বিভাগে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা। এমনকি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে রোবোটিকসের গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে গার্মেন্টস ও প্রোডাকশন সেক্টরে রোবোটিকসের ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। এমনকি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যে হাই-টেক পার্ক গড়ে উঠছে, সেখানে বিশ্বের নামীদামি কোম্পানিগুলো জায়গা করে নেবে। সেখানে চাকরির ক্ষেত্রে অবশ্যই এই বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা অগ্রাধিকার পাবে।
রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা
এই আধুনিক ও যুগোপযোগী বিভাগ বাংলাদেশের মেধাবী প্রজন্মকে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করবে; যা দেশে প্রযুক্তিসম্বৃদ্ধ গার্মেন্টস সেক্টর, পাওয়ার সেক্টর, নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি উৎপাদন ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় রোবোটিকসের বিভিন্ন প্রযুক্তি, যেমন অটোমেটেড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল কিংবা রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল ইত্যাদির মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান ও আরোহণ করা যাবে।
এভাবে সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে রোবোটিকসের ব্যবহার বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। তাই রোবট এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। চিকিৎসা, কৃষি ও শিল্প খাতের উন্নয়ন, অগ্নিকাণ্ড, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবটের ব্যবহার ও প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস বিষয়ে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। কারণ রোবোটিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রোডাকশন বাড়াতে না পারলে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ব। ফলে মুখ থুবড়ে পড়বে আমাদের এক্সপোর্ট খাত।
যেসব কোর্সে পড়ানো হয়
মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার সায়েন্স–এই তিনটি সাবজেক্টের সমন্বয়ে মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি গঠিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে এ তিনটি বিষয়ের ওপর সমন্বিত কোর্সগুলো পড়ানো হয়। কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইসকে অ্যানালাইসিস করে, নিজের মতো করে সার্কিট ডিজাইন করার জন্য ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক সার্কিট, ডিজিটাল লজিক সার্কিট থেকে শুরু করে মেকানিক্যাল ডিভাইসকে দক্ষভাবে কন্ট্রোল করার জন্য যতটুকু ইলেকট্রনিক জ্ঞানের প্রয়োজন তা সবই পড়ানো হয়। মেকানিক্যাল সিস্টেম নিয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য সলিড মেকানিকস, ফ্লুয়িড মেকানিকস, মেকানিক্যাল পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, হাইব্রিড ইলেকট্রিক্যাল ভেহিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসের ওপর বিস্তারিত কোর্স রয়েছে। ইলেকট্রনিকস ও মেকানিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজটি করে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। এ ক্ষেত্রে বেসিক প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং’ বিভাগে পড়ানো হয়। বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রোল সিস্টেম, যেমন মাইক্রোকন্ট্রোলার, মাইক্রোপ্রসেসর, পিএলসি, সিএনসি নিয়ে বিস্তারিত পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীদের কন্ট্রোল সিস্টেমে দক্ষ বানাতে বিভিন্ন ধরনের অ্যালগরিদম, যেমন পিআইডি অ্যালগরিদম, ডেরিভেটিভ অ্যালগরিদম, ইন্টিগ্রাল অ্যালগরিদম এখানে শেখানো হয়। রোবটের দর্শন ও ইন্টারেকশন ক্ষমতা তৈরির জন্য রোবট ভিশন, ইন্টারনেট অব থিংকস, হিউম্যান রোবট ইন্টারেকশন ও ইমেইজ প্রসেসিং কোর্স পড়ানো হয়, যা একটি রোবট ইমেজিং সেন্সর থেকে সিগন্যাল গ্রহণ, সরবরাহ, কন্ডিশনিং, রূপান্তর, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে আইডিয়া পাওয়া যায়। রোবটের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের সিমুলেশন করার জন্য ম্যাটল্যাব, সলিড ওয়ার্ক, এনসিস, রোবট অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে কাজ করানো হয়। রোবটকে প্রোগ্রামের বাইরে নিজে নিজে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম বানাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিং লার্নিং ও ডিপ লার্নিং বিস্তারিত পড়ানো হয়। এ ছাড়া হাতে-কলমে কাজ করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা। রোবোটিকস ল্যাবে হেক্সা রোবট, অহনি ভি৫, নাও রোবট, রোভার ভি৫, থ্রিডি প্রিন্টার, ই-পাক রোবট, ড্রোনসহ অনেক ধরনের ম্যানুপেলেটর রয়েছে। অটোমেশন নিয়ে কাজ করার জন্য মেকাট্রনিকস ল্যাবে রয়েছে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সিএনসি মিলিং মেশিন, প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডুলার সিস্টেম ও লেজার কাটার মেশিন।
পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র অর্থ খরচ করে এ রকম একটি ব্যয়বহুল বিভাগে পড়াশোনা করা যায়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ক্ষেত্রবিশেষে খুবই রিজনেবল খরচে এ বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
উচ্চশিক্ষার জন্য এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে যাচ্ছে রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকসের বিশাল দুয়ার। কারণ ইউরোপ-আমেরিকার নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকসের ওপর বেশ কাজ হচ্ছে। সে জন্য এই সাবজেক্টে পড়ে দেশের বাইরে ভালো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া খুবই সহজ।
তা ছাড়া আপনি যেকোনো সাবজেক্টে চাইলেই শিফট করতে পারবেন; যেমন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। উপরন্তু এ বিষয়ে রয়েছে রিসার্চের অনেক সুযোগ। এর কারণ হচ্ছে বিষয়টি মাল্টি ডাইমেনশনাল। বর্তমান প্রজন্মে বিভিন্ন ডাইমেনশনের সমন্বয় সাধন করে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
মো. আরিফুল ইসলাম সহকারী অধ্যাপক, রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৪ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
২১ অক্টোবর ২০২৩
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৪ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল
সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।
কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
২১ অক্টোবর ২০২৩
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৪ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
২১ অক্টোবর ২০২৩
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়।
এআইইউবির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু মিয়া আকন্দ তুহিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মোঃ সাহাবুদ্দিনের সম্মতিক্রমে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন এবং গ্র্যাজুয়েটদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এআইইউবির ২৩তম সমাবর্তনে বিভিন্ন অনুষদের মোট ১৭৬৬ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এবারের সমাবর্তনে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক পেয়েছেন ৩ জন; সুম্মা কাম লাউড পেয়েছেন ৪৩ জন; ম্যাগনা কাম লাউড পেয়েছেন ৭৪ জন; কাম লাউড পেয়েছেন ২৬ জন; ডা. আনোয়ারুল আবেদীন লিডারশিপ পদক পেয়েছেন ১৯ জন এবং ভাইস-চ্যান্সেলর পদক পেয়েছেন ২১ জন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান।
সমাবর্তনের প্রধান অতিথি ড. আবেদ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব বর্তমানে এক বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকট হলো ঝুঁকি এবং সম্ভাবনার সমন্বয়। স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় দেখা যায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সেই শিক্ষা প্রতিফলিত হয়। সংকট শনাক্ত এবং অতিক্রম করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের এবং সংকটের বাইরে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যই দেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ আপনারাই।’
স্নাতকদের অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এই মুহূর্তটি কেবল একটি সমাবর্তন নয়; এটি আপনার বহু বছরের পরিশ্রমের স্বীকৃতি। পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের চাপ, নির্ঘুম রাত, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও অটল থাকা, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত টিউশন ফি আর আপনার নিজের নিষ্ঠা ও ত্যাগ, সবকিছুরই সম্মিলিত স্বীকৃতি এটি।’
স্বাগত বক্তব্যে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের দিকে তাকাই, তখন শত শত গল্প ভেসে ওঠে। নীরবে লড়ে যাওয়া সংগ্রামের গল্প, হৃদয়ের গভীরে লালিত স্বপ্নের গল্প। সংশয়ে ভরা অসংখ্য রাত পেরিয়ে নতুন প্রত্যয়ে জেগে ওঠা সকালের গল্প। আপনারা এই মুহূর্তে পৌঁছেছেন কোনো কাকতালীয়তায় নয়; পৌঁছেছেন নিজের শক্তি, আশার আলো এবং ভবিষ্যতের প্রতি অটল অঙ্গীকারের পথ ধরে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশে নাদিয়া আনোয়ার বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা, সম্মান ও কৃতজ্ঞতা—এসব শুধু শব্দ নয়; এগুলো আমাদের অন্তরের গভীর অনুভূতির প্রকাশ। আপনারা নীরবে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, হয়তো নিজের স্বপ্ন পিছিয়ে দিয়েছেন, হয়তো নিজের ইচ্ছাগুলো সংযত রেখেছেন, সেই ত্যাগই আজকের এই সাফল্যের প্রকৃত ভিত্তি।’
সমাবর্তন বক্তা ব্রাসেলসের আইআরইজি অবজারভেটরি অন একাডেমিক র্যাংকিং অ্যান্ড এক্সিলেন্সের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার অধ্যাপক ড. হাবিব ফারদৌন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এআইইউবি’র মূলমন্ত্র ‘হোয়্যার লিডারস আর ক্রিয়েটেড’ কেবল একটি বাক্য নয়; এটি শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব এবং সমাজের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন। যেকোনো র্যাংকিংয়ের চেয়েও বড় বিষয় হলো, বিশ্ব আপনাকে চিনে নেওয়ার আগেই এআইইউবি আপনার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করেছে। আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো শিখতে থাকা, আবার নতুনভাবে শিখতে পারা। এই চলমান শিক্ষণ-প্রক্রিয়ায় একজন কৌতূহলী মানুষ সেখানে সেতু নির্মাণ করেন, যেখানে অন্যরা কেবল দেয়াল দেখতে পান। ভবিষ্যৎ হবে তাদেরই, যারা এই সেতুগুলো গড়ে তুলতে সক্ষম।
শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এআইইউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি এই স্তরে পৌঁছানোর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছেন। তবে এখনো আপনাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে এবং জীবনে সফল হতে আরও অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে। মনে রাখবেন, এটি কোনো শেষ নয়, বরং সম্ভাবনাময় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুরু।’
গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক ও সম্মানিত অতিথিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এআইইউবি’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘এআইইউবি’র পক্ষ থেকে আমরা সকল গ্রাজুয়েট, অভিভাবক ও অতিথিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের উপস্থিতি আজকের অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও গৌরব যুক্ত করেছে।’
অনুষ্ঠানে এআইইউবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ড. হাসানুল এ. হাসান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইশতিয়াক আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা, এআইইউবির কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, ডিন, শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

রোবট নিয়ে অনেকের একটি ভুল ধারণা হচ্ছে—রোবট মানেই মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা একটি যন্ত্র। অটোমেটেড যেকোনো যন্ত্র, যা চারপাশ থেকে উদ্দীপনা গ্রহণ করে প্রয়োজনমতো সাড়া দিতে সক্ষম, সেটাকেই আমরা রোবট বলি।
২১ অক্টোবর ২০২৩
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের
৪ ঘণ্টা আগে