পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর
রাহুল শর্মা, ঢাকা

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ডিআইএর সক্ষমতা বাড়াতে দুই বছর মেয়াদি এই স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায়। এসইডিপি কর্তৃপক্ষ ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ’ শীর্ষক এই স্কিমের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। স্কিম বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে এসইডিপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কিমটির কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। অবশ্য এসইডিপির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্কিমটির নথিপত্রে দেখা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ শীর্ষক স্কিম বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। এই খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সফটওয়্যার ও পরামর্শক সেবার সম্মানী ও বিশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, মুদ্রণ, মনিহারি কেনাকাটাসহ অন্যান্য খাতে।
জানা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিমের আওতায় ৪৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে বাজেট ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণ, অডিট ও ইন্সপেকশন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, অ্যাডভান্সড আইসিটি, অটোমেটেড সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্মার্ট পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫টি মডিউল অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
ডিআইএর মূল কাজ হলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডসহ যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি তদন্ত করে ডিআইএ।
১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর ডিআইএর যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৯টি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা ডিআইএর নেই। সংস্থাটির কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগও উঠেছে।
ডিআইএ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপে গতি এসেছে ডিআইএর কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ বুক ও পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর উদ্যোগ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডিআইএর কয়েকজন শিক্ষা পরিদর্শক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শককে ‘নজরদারিতে’ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে। একই সঙ্গে ডিআইএর ‘বদনাম’ও ঘুচবে। কারণ, তখন নিরীক্ষা কার্যক্রমে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয়ে গতকাল বুধবার জানতে চাইলে ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘স্কিমটি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি আদেশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে।’ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ডিআইএর সক্ষমতা বাড়াতে দুই বছর মেয়াদি এই স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায়। এসইডিপি কর্তৃপক্ষ ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ’ শীর্ষক এই স্কিমের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। স্কিম বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে এসইডিপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কিমটির কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। অবশ্য এসইডিপির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্কিমটির নথিপত্রে দেখা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ শীর্ষক স্কিম বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। এই খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সফটওয়্যার ও পরামর্শক সেবার সম্মানী ও বিশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, মুদ্রণ, মনিহারি কেনাকাটাসহ অন্যান্য খাতে।
জানা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিমের আওতায় ৪৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে বাজেট ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণ, অডিট ও ইন্সপেকশন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, অ্যাডভান্সড আইসিটি, অটোমেটেড সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্মার্ট পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫টি মডিউল অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
ডিআইএর মূল কাজ হলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডসহ যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি তদন্ত করে ডিআইএ।
১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর ডিআইএর যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৯টি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা ডিআইএর নেই। সংস্থাটির কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগও উঠেছে।
ডিআইএ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপে গতি এসেছে ডিআইএর কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ বুক ও পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর উদ্যোগ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডিআইএর কয়েকজন শিক্ষা পরিদর্শক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শককে ‘নজরদারিতে’ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে। একই সঙ্গে ডিআইএর ‘বদনাম’ও ঘুচবে। কারণ, তখন নিরীক্ষা কার্যক্রমে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয়ে গতকাল বুধবার জানতে চাইলে ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘স্কিমটি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি আদেশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে।’ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর
রাহুল শর্মা, ঢাকা

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ডিআইএর সক্ষমতা বাড়াতে দুই বছর মেয়াদি এই স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায়। এসইডিপি কর্তৃপক্ষ ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ’ শীর্ষক এই স্কিমের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। স্কিম বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে এসইডিপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কিমটির কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। অবশ্য এসইডিপির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্কিমটির নথিপত্রে দেখা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ শীর্ষক স্কিম বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। এই খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সফটওয়্যার ও পরামর্শক সেবার সম্মানী ও বিশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, মুদ্রণ, মনিহারি কেনাকাটাসহ অন্যান্য খাতে।
জানা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিমের আওতায় ৪৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে বাজেট ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণ, অডিট ও ইন্সপেকশন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, অ্যাডভান্সড আইসিটি, অটোমেটেড সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্মার্ট পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫টি মডিউল অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
ডিআইএর মূল কাজ হলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডসহ যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি তদন্ত করে ডিআইএ।
১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর ডিআইএর যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৯টি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা ডিআইএর নেই। সংস্থাটির কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগও উঠেছে।
ডিআইএ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপে গতি এসেছে ডিআইএর কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ বুক ও পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর উদ্যোগ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডিআইএর কয়েকজন শিক্ষা পরিদর্শক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শককে ‘নজরদারিতে’ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে। একই সঙ্গে ডিআইএর ‘বদনাম’ও ঘুচবে। কারণ, তখন নিরীক্ষা কার্যক্রমে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয়ে গতকাল বুধবার জানতে চাইলে ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘স্কিমটি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি আদেশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে।’ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র বলেছে, ডিআইএর সক্ষমতা বাড়াতে দুই বছর মেয়াদি এই স্কিম বাস্তবায়ন করা হবে মন্ত্রণালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায়। এসইডিপি কর্তৃপক্ষ ‘ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ’ শীর্ষক এই স্কিমের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সেখান থেকে পাঠানো হয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। স্কিম বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় নীতিগত সম্মতি দিয়ে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। তবে এসইডিপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্কিমটির কার্যক্রম এখনো শুরু করা যায়নি। অবশ্য এসইডিপির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্কিমটির নথিপত্রে দেখা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ শীর্ষক স্কিম বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। এই খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। সফটওয়্যার ও পরামর্শক সেবার সম্মানী ও বিশেষ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ এই দুই খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা। বাকি ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, প্রশাসনিক ব্যয়, মুদ্রণ, মনিহারি কেনাকাটাসহ অন্যান্য খাতে।
জানা যায়, ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিমের আওতায় ৪৮ হাজার শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে বাজেট ব্যবস্থাপনা, নিরীক্ষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বাজেট ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণ, অডিট ও ইন্সপেকশন এবং রেকর্ড সংরক্ষণ, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট, অ্যাডভান্সড আইসিটি, অটোমেটেড সফটওয়্যার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া স্মার্ট পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৫টি মডিউল অটোমেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।
ডিআইএর মূল কাজ হলো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থা পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডসহ যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদি তদন্ত করে ডিআইএ।
১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর ডিআইএর যাত্রা শুরু হয়। তখন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ হাজার। বর্তমানে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৯টি। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা করার মতো সক্ষমতা ডিআইএর নেই। সংস্থাটির কাজকর্ম নিয়ে বিভিন্ন সময় নানান অভিযোগও উঠেছে।
ডিআইএ সূত্র বলছে, সম্প্রতি ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অব ডিআইএ স্কিম বাস্তবায়নের উদ্যোগসহ নানা পদক্ষেপে গতি এসেছে ডিআইএর কার্যক্রমে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-ক্যাশ বুক ও পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর উদ্যোগ। এ ছাড়া দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডিআইএর কয়েকজন শিক্ষা পরিদর্শক ও সহকারী শিক্ষা পরিদর্শককে ‘নজরদারিতে’ রাখা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে। একই সঙ্গে ডিআইএর ‘বদনাম’ও ঘুচবে। কারণ, তখন নিরীক্ষা কার্যক্রমে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয়ে গতকাল বুধবার জানতে চাইলে ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘স্কিমটি অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনো কোনো সরকারি আদেশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি, স্কিমটি বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরীক্ষা কার্যক্রমে গতি আসবে।’ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই দপ্তরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও খবর পড়ুন:

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৯ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

প্রায় ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি স্কিমে প্রশিক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ স্কিমে মোট ব্যয়ের অর্ধেকই খরচ হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিআইএ) ডিজিটালাইজড করার অংশ হিসেবে এই স্কিমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে