নাদিম মজিদ

প্রশ্ন: বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হলো ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। এ প্রতিষ্ঠানে ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে আছেন। কী কী কাজ করছেন?
উত্তর: ১৯৪৫ সালে আইএটিএ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রধান কার্যালয় কানাডার মনট্রিলে। এখানে আমার টিমকে বলা হয় গ্লোবাল এভিয়েশন ডেটা ম্যানেজমেন্ট। আমরা ফ্লাইটের সেফটি, সিকিউরিটি এবং অপারেশনের জন্য বিশ্বের তথ্য বিনিময় প্রোগ্রামগুলোকে হোস্ট করে থাকি। আমার প্রধান কাজ হলো বিগ ডেটা প্ল্যাটফর্মের ডেটা কোয়ালিটি, ডেটা লাইনেজ এবং তাদের ফাংশনগুলো নিশ্চিত করা। আমি এভিয়েশন ডেটার অ্যাডভান্স অ্যানালাইটিকস দেখাশোনা করি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ফ্লাইট অপারেশন, সেফটি এবং সিকিউরিটি-সংক্রান্ত বিভিন্ন কেস স্টাডি সংগ্রহ ও প্রস্তুত করে থাকি।
প্রশ্ন: আইএটিএর নিয়োগপদ্ধতি সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: একটি বৈশ্বিক অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে আইএটিএ আন্তর্জাতিক নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে। সব ধরনের খালি পদ লিংকডইনে দেওয়া হয়। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ আবেদন করতে পারে। নিয়োগকারী ব্যবস্থাপকেরা সব সিভি সতর্কতার সঙ্গে রিভিউ করে থাকেন। তাঁরা ফোনকল, বাড়িতে করার জন্য একটি কাজ, টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ এবং ম্যানেজারিয়েল কলের মাধ্যমে তাঁদের সেরা আবেদনকারীকে নিয়োগ করে থাকেন।
প্রশ্ন: আপনি কীভাবে প্রোগ্রামিংয়ে এলেন?
উত্তর: আমি ২০১০ সালে প্রোগ্রামিং শুরু করি। তখন আমি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করছিলাম। আমি ভাবতাম, প্রোগ্রামিং শিখলে সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে বিশ্বের সমস্যাগুলো ম্যাজিকের মতো সমাধান করতে পারব। সে লক্ষ্যে প্রোগ্রামিংয়ে আসা।
প্রশ্ন: আপনি স্নাতক করার সময় সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। এ অভিজ্ঞতা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে কীভাবে কাজে লেগেছে?
উত্তর: স্নাতক শুরুর সময় নিশ্চিত ছিলাম না যে আমার জন্য কোনটা ভালো? প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, নাকি সফটওয়্যার প্রকল্প প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ছোট ছোট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়, আর সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বজনীন যেকোনো সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান করা যায়। কিছুদিন ভাবার পর বুঝতে পারি, প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চেয়ে সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতা আমাকে বেশি টানে। আমি স্ক্র্যাচ (শূন্য) থেকে যেকোনো কিছু তৈরি এবং উন্নত করতে পছন্দ করতাম এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ব্যবহারকারীরা কী করছেন, সে পর্যন্ত যুক্ত থাকতে চাইতাম। ফলে আমি আমার স্নাতক পড়ার সময়ে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম এবং অনেক পুরস্কার জিতেছিলাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন হলো ২০১২ সালে মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপের বাংলাদেশ রাউন্ডে রানারআপ হয়েছিলাম, একই বছরে প্যানাসনিক আইডিয়াস চেঞ্জ লাইভস প্রতিযোগিতায় সেরা আটটি আইডিয়ার একটি ছিল আমাদের আইডিয়া, ২০১৩ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত হওয়া নকিয়া ফিউচার ক্যাপচার হ্যাকাথনের ফাইনালিস্ট ছিলাম, ২০১৭ সালে কানাডা থেকে ইমার্জিং অ্যাগ্রিকালচার বেস্ট প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলাম এবং ২০১৬ সালে কানাডার উসাক রিসার্চ ফেস্টে দ্বিতীয় বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম।
২০১৮ সালে আমি কানাডার টপ সফটওয়্যার ডেভেলপার ৩০ আন্ডার ৩০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হই। আমার এসব অর্জনের মূল কারণ ছিল, আমি প্রথম দিক থেকে একটি সফটওয়্যারের সিস্টেম বোঝার চেষ্টা করতাম। আমি সব সময় যেকোনো সফটওয়্যারের ইউজার ইন্টারফেস থেকে ডেটাবেইস, সিস্টেম ডিজাইন থেকে ডেটা কম্পোন্যান্ট বোঝার চেষ্টা করতাম, যা আমাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
প্রশ্ন: আপনি দশমবারের মতো মাইক্রোসফট মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। কোনো ব্যক্তির কী যোগ্যতা থাকলে মাইক্রোসফট এ পুরস্কার দিয়ে থাকে?
উত্তর: এ বছর দশমবারের মতো মাইক্রোসফট এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। সাত বছর ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যাটাগরিতে এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। মাইক্রোসফট বিশ্বব্যাপী টপ টেকনোলজি প্রফেশনালদের মধ্যে তাদের জ্ঞান, কমিউনিটি কার্যক্রমে যুক্ত থাকার ভিত্তিতে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। আমি বিগত কয়েক বছরে শতাধিক অফলাইন ও অনলাইন কনফারেন্সে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। বিনা মূল্যে ব্লগ লিখি, ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করি, ই-বুক রিলিজ দিই এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে মেন্টরিং করে থাকি। এসব কার্যক্রমের কারণে মাইক্রোসফট আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
প্রশ্ন: আমাদের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে বলুন।
উত্তর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত বাড়ছে। এখন আর এটি হাইপের মধ্যে নেই। স্মার্টফোনের মাধ্যমে রাইডশেয়ারিংয়ে রাইড অর্ডার দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, খবর, ওয়েব, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবস্থার ব্যবহার রয়েছে। আমরা বর্তমানে দুই ধরনের এআই দেখতে পাই—প্রথাগত মেশিন লার্নিং এবং জিপিটিভিত্তিক লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল।
আমি বিশ্বাস করি, অদূর ভবিষ্যতে জিপিটিভিত্তিক আইওটি ডিভাইস এবং রোবোটিক সিস্টেমের ট্রেন্ড বৃদ্ধি পাবে। এলএলএম মডেলের সাহায্যে হার্ডওয়্যার ব্যবস্থা আরও স্মার্ট হবে। হার্ডওয়্যার মানুষের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করবে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবে এবং আরও ভালো কমান্ড দিতে পারবে। আশা করছি, আমাদের জীবদ্দশায় এ পরিবর্তন দেখে যেতে পারব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী হতে পারবে?
উত্তর: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সামনে অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল এবং এখানে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা গ্লোবাল ট্রেন্ডস থেকে শিখতে পারবে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তারা স্থানীয় মার্কেট থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে এবং এআই ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন টুলস ও প্ল্যাটফর্ম থেকে শিখতে পারবে এবং অনলাইন কোর্স করতে পারবে। আমি শিক্ষার্থীদের সব সময় উৎসাহ দেব, তারা যেন এআই ল্যাব ব্যবহার করে এবং বাস্তব সমস্যার সমাধান এআই দিয়ে করে।
প্রশ্ন: বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হলো ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। এ প্রতিষ্ঠানে ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে আছেন। কী কী কাজ করছেন?
উত্তর: ১৯৪৫ সালে আইএটিএ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রধান কার্যালয় কানাডার মনট্রিলে। এখানে আমার টিমকে বলা হয় গ্লোবাল এভিয়েশন ডেটা ম্যানেজমেন্ট। আমরা ফ্লাইটের সেফটি, সিকিউরিটি এবং অপারেশনের জন্য বিশ্বের তথ্য বিনিময় প্রোগ্রামগুলোকে হোস্ট করে থাকি। আমার প্রধান কাজ হলো বিগ ডেটা প্ল্যাটফর্মের ডেটা কোয়ালিটি, ডেটা লাইনেজ এবং তাদের ফাংশনগুলো নিশ্চিত করা। আমি এভিয়েশন ডেটার অ্যাডভান্স অ্যানালাইটিকস দেখাশোনা করি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ফ্লাইট অপারেশন, সেফটি এবং সিকিউরিটি-সংক্রান্ত বিভিন্ন কেস স্টাডি সংগ্রহ ও প্রস্তুত করে থাকি।
প্রশ্ন: আইএটিএর নিয়োগপদ্ধতি সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: একটি বৈশ্বিক অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে আইএটিএ আন্তর্জাতিক নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে। সব ধরনের খালি পদ লিংকডইনে দেওয়া হয়। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ আবেদন করতে পারে। নিয়োগকারী ব্যবস্থাপকেরা সব সিভি সতর্কতার সঙ্গে রিভিউ করে থাকেন। তাঁরা ফোনকল, বাড়িতে করার জন্য একটি কাজ, টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ এবং ম্যানেজারিয়েল কলের মাধ্যমে তাঁদের সেরা আবেদনকারীকে নিয়োগ করে থাকেন।
প্রশ্ন: আপনি কীভাবে প্রোগ্রামিংয়ে এলেন?
উত্তর: আমি ২০১০ সালে প্রোগ্রামিং শুরু করি। তখন আমি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করছিলাম। আমি ভাবতাম, প্রোগ্রামিং শিখলে সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে বিশ্বের সমস্যাগুলো ম্যাজিকের মতো সমাধান করতে পারব। সে লক্ষ্যে প্রোগ্রামিংয়ে আসা।
প্রশ্ন: আপনি স্নাতক করার সময় সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। এ অভিজ্ঞতা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে কীভাবে কাজে লেগেছে?
উত্তর: স্নাতক শুরুর সময় নিশ্চিত ছিলাম না যে আমার জন্য কোনটা ভালো? প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, নাকি সফটওয়্যার প্রকল্প প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ছোট ছোট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়, আর সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বজনীন যেকোনো সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান করা যায়। কিছুদিন ভাবার পর বুঝতে পারি, প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চেয়ে সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতা আমাকে বেশি টানে। আমি স্ক্র্যাচ (শূন্য) থেকে যেকোনো কিছু তৈরি এবং উন্নত করতে পছন্দ করতাম এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ব্যবহারকারীরা কী করছেন, সে পর্যন্ত যুক্ত থাকতে চাইতাম। ফলে আমি আমার স্নাতক পড়ার সময়ে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম এবং অনেক পুরস্কার জিতেছিলাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন হলো ২০১২ সালে মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপের বাংলাদেশ রাউন্ডে রানারআপ হয়েছিলাম, একই বছরে প্যানাসনিক আইডিয়াস চেঞ্জ লাইভস প্রতিযোগিতায় সেরা আটটি আইডিয়ার একটি ছিল আমাদের আইডিয়া, ২০১৩ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত হওয়া নকিয়া ফিউচার ক্যাপচার হ্যাকাথনের ফাইনালিস্ট ছিলাম, ২০১৭ সালে কানাডা থেকে ইমার্জিং অ্যাগ্রিকালচার বেস্ট প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলাম এবং ২০১৬ সালে কানাডার উসাক রিসার্চ ফেস্টে দ্বিতীয় বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম।
২০১৮ সালে আমি কানাডার টপ সফটওয়্যার ডেভেলপার ৩০ আন্ডার ৩০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হই। আমার এসব অর্জনের মূল কারণ ছিল, আমি প্রথম দিক থেকে একটি সফটওয়্যারের সিস্টেম বোঝার চেষ্টা করতাম। আমি সব সময় যেকোনো সফটওয়্যারের ইউজার ইন্টারফেস থেকে ডেটাবেইস, সিস্টেম ডিজাইন থেকে ডেটা কম্পোন্যান্ট বোঝার চেষ্টা করতাম, যা আমাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।
প্রশ্ন: আপনি দশমবারের মতো মাইক্রোসফট মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। কোনো ব্যক্তির কী যোগ্যতা থাকলে মাইক্রোসফট এ পুরস্কার দিয়ে থাকে?
উত্তর: এ বছর দশমবারের মতো মাইক্রোসফট এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। সাত বছর ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যাটাগরিতে এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। মাইক্রোসফট বিশ্বব্যাপী টপ টেকনোলজি প্রফেশনালদের মধ্যে তাদের জ্ঞান, কমিউনিটি কার্যক্রমে যুক্ত থাকার ভিত্তিতে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। আমি বিগত কয়েক বছরে শতাধিক অফলাইন ও অনলাইন কনফারেন্সে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। বিনা মূল্যে ব্লগ লিখি, ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করি, ই-বুক রিলিজ দিই এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে মেন্টরিং করে থাকি। এসব কার্যক্রমের কারণে মাইক্রোসফট আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
প্রশ্ন: আমাদের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে বলুন।
উত্তর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত বাড়ছে। এখন আর এটি হাইপের মধ্যে নেই। স্মার্টফোনের মাধ্যমে রাইডশেয়ারিংয়ে রাইড অর্ডার দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, খবর, ওয়েব, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবস্থার ব্যবহার রয়েছে। আমরা বর্তমানে দুই ধরনের এআই দেখতে পাই—প্রথাগত মেশিন লার্নিং এবং জিপিটিভিত্তিক লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল।
আমি বিশ্বাস করি, অদূর ভবিষ্যতে জিপিটিভিত্তিক আইওটি ডিভাইস এবং রোবোটিক সিস্টেমের ট্রেন্ড বৃদ্ধি পাবে। এলএলএম মডেলের সাহায্যে হার্ডওয়্যার ব্যবস্থা আরও স্মার্ট হবে। হার্ডওয়্যার মানুষের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করবে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবে এবং আরও ভালো কমান্ড দিতে পারবে। আশা করছি, আমাদের জীবদ্দশায় এ পরিবর্তন দেখে যেতে পারব।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী হতে পারবে?
উত্তর: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সামনে অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল এবং এখানে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা গ্লোবাল ট্রেন্ডস থেকে শিখতে পারবে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তারা স্থানীয় মার্কেট থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে এবং এআই ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন টুলস ও প্ল্যাটফর্ম থেকে শিখতে পারবে এবং অনলাইন কোর্স করতে পারবে। আমি শিক্ষার্থীদের সব সময় উৎসাহ দেব, তারা যেন এআই ল্যাব ব্যবহার করে এবং বাস্তব সমস্যার সমাধান এআই দিয়ে করে।

প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন একাদশ থেকে বাড়িয়ে দশম গ্রেডে নির্ধারণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে স্বাক্ষর করেন উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রাজীব কুমার সরকার।
এদিন এই প্রজ্ঞাপন জারি হলেও নতুন গ্রেডে বেতন ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গেল ২৭ অক্টোবর গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে তাঁদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়। এরপর ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রধান শিক্ষকদের সবগুলো পদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৮ জুলাই অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও অক্টোবরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব প্রধান শিক্ষক পদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার সম্মতি দিয়েছিল।
পরে গত ১১ নভেম্বর অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এ প্রস্তাবে সম্মতি জানায়।
৩ ডিসেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায়ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়।
এদিকে প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এর ফলে প্রধান শিক্ষকেরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও ‘সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত’ ভূমিকা রাখবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আরও উন্নত ও গতিশীল’ শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
মন্ত্রণালয় বলছে, প্রধান শিক্ষকেরা অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক ও সব স্তরের অংশীজনদের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে’ উন্নীত করবেন বলে প্রত্যাশা করছে সরকার।

বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আইএটিএর ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন রাহাত ইয়াসির। তাঁর প্রোগ্রামিংয়ে আসা, আইএটিএর নিয়োগপ্রক্রিয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশিদের সফল হওয়ার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন রাহাত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
১২ অক্টোবর ২০২৪
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অর্থ ব্যয় এবং পরিচালনায় এমন অনেক অনিয়ম ও অসংগতি পেয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অনিয়মে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানত ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (নিরীক্ষা ও আইন অনুবিভাগ) জহিরুল ইসলাম ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি এখনো হাতে পাননি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ১৯৯০ সাল থেকে কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অবসর সুবিধা দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। এই দুই সুবিধা বাবদ শিক্ষকেরা চাকরিকাল অনুযায়ী এককালীন অর্থ পান। সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখের বেশি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৭৭৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন রয়েছে। এর মধ্যে স্কুলপর্যায়ের ২৭ হাজার ৮৬২টি, কলেজের ১৭ হাজার ২৭৮টি, মাদ্রাসার ১২ হাজার ৯৬৮টি এবং কারিগরির শিক্ষকদের ৬ হাজার ৬৬৭টি।
আইন অনুযায়ী, শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (বেতনের সরকারি অংশ) থেকে চাঁদা হিসেবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কেটে রাখা হয়। এর মধ্যে অবসর সুবিধা বোর্ড ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্ট ৪ শতাংশ পায়। এর বাইরে বিশেষ বা থোক বরাদ্দ এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেওয়া সিড মানি বা গচ্ছিত অর্থের লভ্যাংশ পায় সংস্থা দুটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ১৮ জন ভুয়া ইনডেক্সধারীকে বোর্ড তহবিল থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৭ টাকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা পরিশোধের আগে ইনডেক্স যাচাই আবশ্যক। অথচ ইনডেক্স যাচাই না করে ভুয়া ইনডেক্সের বিপরীতে অর্থ পরিশোধ করায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এসব অর্থ আদায় করে বোর্ডের তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে নিরীক্ষা দল।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর ভাতা প্রাপ্তির আবেদন না করলেও এবং বোর্ড থেকে ব্যাংকে কোনো অ্যাডভাইস না পাঠালেও তাঁদের অনুকূলে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯৭ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া একই ইনডেক্সধারীকে একাধিকবার অবসর সুবিধা দেওয়ায় বোর্ডের ১ কোটি চার লাখ ৭২ হাজার ৮৬১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাল আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হিসাবে ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮ টাকা এবং ভুয়া ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে সফটওয়্যার ভেন্ডরের মাধ্যমে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৭৭৫ টাকা পরিশোধের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোর্ডের আইন লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে না রেখে বেসরকারি ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত না পাওয়ায় বোর্ডের আর্থিক ক্ষতি ৬৩৯ কোটি ৬০ লাখ ৬১ হাজার ৭২৫ টাকা। এসব টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা করা আবশ্যক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য আদায় করা ২৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৪০ টাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তহবিল থেকে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিলে জমা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওর চেক নগদায়নপূর্বক নির্ধারিত সময়ে ৫২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৩ টাকা জমা হয়নি। স্থায়ী তহবিলের প্রাপ্ত সুদ চলতি তহবিলে জমা না দেওয়ায় ৫৬ কোটি ৭১ লাখ ২১ হাজার ৫২৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া তহবিল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না হওয়ায় ৯১ লাখ ৩৫ হাজার, যথাযথ নিয়মে হিসাবভুক্ত না করায় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ১৫৭ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
পরামর্শক বাবদ বিল পরিশোধ করায় অনিয়মিত ব্যয় ৪৫ লাখ ৩ হাজার ৪৮০ টাকা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রাপ্যতা না থাকলেও সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা পারিতোষিক দেওয়া হয়েছে। আবার অতিরিক্ত অবসর সুবিধা পরিশোধ করায় ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৪ টাকা, ভ্যাট না কাটায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫৩ টাকা, চেকের ব্যবহার না থাকলেও এ খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৬৫ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এসব ব্যয়কে প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে এসব অর্থ আদায় করে বোর্ড তহবিলে জমা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রতিবেদনে উৎসে কর না কাটায় ১ লাখ ৬ হাজার ১১ টাকা, ক্রয় সিলিং না মেনে ২৬ লাখ ১৬ হাজার ৩০৪ টাকার অতিরিক্ত ব্যয়, বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা না মেনে ১ কোটি ৮ লাখ ২৮ হাজার ৭০৭ টাকা ব্যয় এবং আর্থিক ক্রয়সীমার অতিরিক্ত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪১ টাকা ব্যয়ের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অবসর সুবিধা বোর্ডের তহবিল ব্যবস্থাপনা ও সম্পাদিত কার্যাবলির প্রতিবেদন প্রণয়ন না করা এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়ন বোর্ডের আইন ও প্রবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বোর্ড কর্তৃক ক্যাশবই ও স্টক রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করা হয়নি। তহবিল প্রাপ্তি নিশ্চিত না করে অধিক হারে পরিশোধের অঙ্গীকার করার অবসর সুবিধা বোর্ডের দায় উত্তরোত্তর বাড়ছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আপত্তিগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্যসচিব (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিরীক্ষার আপত্তিগুলোর জবাব দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আইএটিএর ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন রাহাত ইয়াসির। তাঁর প্রোগ্রামিংয়ে আসা, আইএটিএর নিয়োগপ্রক্রিয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশিদের সফল হওয়ার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন রাহাত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
১২ অক্টোবর ২০২৪
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এর আগে একসময় ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরুর রেওয়াজ থাকলেও করোনা মহামারি ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপঞ্জিতে পরিবর্তন আসে।
২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষাকে আবারও ফেব্রুয়ারিতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরপর ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর রমজানের কারণে ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি শুরু করতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরে ঈদুল ফিতরের পর ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের প্রশ্নে এ পরীক্ষায় বসতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি, যাতে সরকার যেকোনো সময় বললে পরীক্ষা নিতে পারি। পরীক্ষার ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা, কিছু বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিলে আমরা পরীক্ষা নেব।’
এহসানুল কবির আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, এর মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা হবে। এরপর রমজান। এসএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কোন সময় আয়োজিত হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের। তাই পরীক্ষা কবে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘গত বছর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এপ্রিলে। এবার এপ্রিলেও শুরু হতে পারে, মে মাসেও শুরু হতে পারে। আবার এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়-বন্যার একটা বিষয় আছে। এসএসসি পরীক্ষা কবে হবে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। আমরা প্রস্তুতি রাখছি, সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার আনুষ্ঠিকতা শুরু হবে।’
গত বছর ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা এবং ১৫ থেকে ২২ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা আয়োজনের পরিল্পনা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ১৪ ও ১৫ মের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ মে। আর ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এরপর ২৬ জুন থেকে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বর থেকে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিলম্বসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণে এ ফি দিতে হবে। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ফরম পূরণের ফি ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আইএটিএর ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন রাহাত ইয়াসির। তাঁর প্রোগ্রামিংয়ে আসা, আইএটিএর নিয়োগপ্রক্রিয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশিদের সফল হওয়ার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন রাহাত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
১২ অক্টোবর ২০২৪
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ দিন আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল দুপুর ১২টায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রোক্টর অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন, সহকারী প্রোক্টর মনিরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তাঁরা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ন্যায়বিচার, ইনসাফ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই আদর্শ ধারণ করেই শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে একটি সুন্দর, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। কর্মসূচি শেষে উপস্থিত সবাই শহীদ শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি জানান।

বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আইএটিএর ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন রাহাত ইয়াসির। তাঁর প্রোগ্রামিংয়ে আসা, আইএটিএর নিয়োগপ্রক্রিয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশিদের সফল হওয়ার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন রাহাত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
১২ অক্টোবর ২০২৪
প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে ‘যুগান্তকারী’ আখ্যা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ উদ্যোগ প্রধান শিক্ষকদের ‘আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত’ এবং তাঁদের ‘সামাজিক মর্যাদা সুসংহত’ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
৫ ঘণ্টা আগে
অবসর ভাতার আবেদন করতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবশ্যই ইনডেক্স (পরিচয় শনাক্তকারী নম্বর) থাকতে হবে। এই শর্ত ঠিক রেখেই জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ইনডেক্সধারীদের অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবেদন না করেও অনেকে এই ভাতা পেয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের...
১ দিন আগে
আগামী বছরের (২০২৬) মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণভোট ও পবিত্র রমজান মাস বিবেচনায় নিয়ে আগামী এপ্রিল বা মে মাসে এই পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
১ দিন আগে