Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত বাড়ছে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত বাড়ছে
নাদিম মজিদ

বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন আইএটিএর ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন রাহাত ইয়াসির। তাঁর প্রোগ্রামিংয়ে আসা, আইএটিএর নিয়োগপ্রক্রিয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বাংলাদেশিদের সফল হওয়ার উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন রাহাত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ

প্রশ্ন: বিশ্বের বিমান সংস্থাগুলোর ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হলো ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ)। এ প্রতিষ্ঠানে ডেটা কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস বিভাগের প্রধান হিসেবে আছেন। কী কী কাজ করছেন?
উত্তর: ১৯৪৫ সালে আইএটিএ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রধান কার্যালয় কানাডার মনট্রিলে। এখানে আমার টিমকে বলা হয় গ্লোবাল এভিয়েশন ডেটা ম্যানেজমেন্ট। আমরা ফ্লাইটের সেফটি, সিকিউরিটি এবং অপারেশনের জন্য বিশ্বের তথ্য বিনিময় প্রোগ্রামগুলোকে হোস্ট করে থাকি। আমার প্রধান কাজ হলো বিগ ডেটা প্ল্যাটফর্মের ডেটা কোয়ালিটি, ডেটা লাইনেজ এবং তাদের ফাংশনগুলো নিশ্চিত করা। আমি এভিয়েশন ডেটার অ্যাডভান্স অ্যানালাইটিকস দেখাশোনা করি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ফ্লাইট অপারেশন, সেফটি এবং সিকিউরিটি-সংক্রান্ত বিভিন্ন কেস স্টাডি সংগ্রহ ও প্রস্তুত করে থাকি।

প্রশ্ন: আইএটিএর নিয়োগপদ্ধতি সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: একটি বৈশ্বিক অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে আইএটিএ আন্তর্জাতিক নিয়োগপ্রক্রিয়া অনুসরণ করে। সব ধরনের খালি পদ লিংকডইনে দেওয়া হয়। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ আবেদন করতে পারে। নিয়োগকারী ব্যবস্থাপকেরা সব সিভি সতর্কতার সঙ্গে রিভিউ করে থাকেন। তাঁরা ফোনকল, বাড়িতে করার জন্য একটি কাজ, টেকনিক্যাল ইন্টারভিউ এবং ম্যানেজারিয়েল কলের মাধ্যমে তাঁদের সেরা আবেদনকারীকে নিয়োগ করে থাকেন।

প্রশ্ন: আপনি কীভাবে প্রোগ্রামিংয়ে এলেন?
উত্তর: আমি ২০১০ সালে প্রোগ্রামিং শুরু করি। তখন আমি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করছিলাম। আমি ভাবতাম, প্রোগ্রামিং শিখলে সফটওয়্যার সিস্টেমের মাধ্যমে বিশ্বের সমস্যাগুলো ম্যাজিকের মতো সমাধান করতে পারব। সে লক্ষ্যে প্রোগ্রামিংয়ে আসা।
 
প্রশ্ন: আপনি স্নাতক করার সময় সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। এ অভিজ্ঞতা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে কীভাবে কাজে লেগেছে?
উত্তর: স্নাতক শুরুর সময় নিশ্চিত ছিলাম না যে আমার জন্য কোনটা ভালো? প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, নাকি সফটওয়্যার প্রকল্প প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা দিয়ে কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ছোট ছোট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়, আর সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বজনীন যেকোনো সমস্যার সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান করা যায়। কিছুদিন ভাবার পর বুঝতে পারি, প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার চেয়ে সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রতিযোগিতা আমাকে বেশি টানে। আমি স্ক্র্যাচ (শূন্য) থেকে যেকোনো কিছু তৈরি এবং উন্নত করতে পছন্দ করতাম এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ব্যবহারকারীরা কী করছেন, সে পর্যন্ত যুক্ত থাকতে চাইতাম। ফলে আমি আমার স্নাতক পড়ার সময়ে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম এবং অনেক পুরস্কার জিতেছিলাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন হলো ২০১২ সালে মাইক্রোসফট ইমাজিন কাপের বাংলাদেশ রাউন্ডে রানারআপ হয়েছিলাম, একই বছরে প্যানাসনিক আইডিয়াস চেঞ্জ লাইভস প্রতিযোগিতায় সেরা আটটি আইডিয়ার একটি ছিল আমাদের আইডিয়া, ২০১৩ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত হওয়া নকিয়া ফিউচার ক্যাপচার হ্যাকাথনের ফাইনালিস্ট ছিলাম, ২০১৭ সালে কানাডা থেকে ইমার্জিং অ্যাগ্রিকালচার বেস্ট প্রজেক্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলাম এবং ২০১৬ সালে কানাডার উসাক রিসার্চ ফেস্টে দ্বিতীয় বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলাম।

২০১৮ সালে আমি কানাডার টপ সফটওয়্যার ডেভেলপার ৩০ আন্ডার ৩০ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হই। আমার এসব অর্জনের মূল কারণ ছিল, আমি প্রথম দিক থেকে একটি সফটওয়্যারের সিস্টেম বোঝার চেষ্টা করতাম। আমি সব সময় যেকোনো সফটওয়্যারের ইউজার ইন্টারফেস থেকে ডেটাবেইস, সিস্টেম ডিজাইন থেকে ডেটা কম্পোন্যান্ট বোঝার চেষ্টা করতাম, যা আমাকে বর্তমান অবস্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে।

প্রশ্ন: আপনি দশমবারের মতো মাইক্রোসফট মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্রফেশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। কোনো ব্যক্তির কী যোগ্যতা থাকলে মাইক্রোসফট এ পুরস্কার দিয়ে থাকে?
উত্তর: এ বছর দশমবারের মতো মাইক্রোসফট এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। সাত বছর ধরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্যাটাগরিতে এমভিপি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। মাইক্রোসফট বিশ্বব্যাপী টপ টেকনোলজি প্রফেশনালদের মধ্যে তাদের জ্ঞান, কমিউনিটি কার্যক্রমে যুক্ত থাকার ভিত্তিতে এ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। আমি বিগত কয়েক বছরে শতাধিক অফলাইন ও অনলাইন কনফারেন্সে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। বিনা মূল্যে ব্লগ লিখি, ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রকাশ করি, ই-বুক রিলিজ দিই এবং বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে মেন্টরিং করে থাকি। এসব কার্যক্রমের কারণে মাইক্রোসফট আমাকে এই অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।

প্রশ্ন: আমাদের জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে বলুন।
উত্তর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগৎ খুব দ্রুত বাড়ছে। এখন আর এটি হাইপের মধ্যে নেই। স্মার্টফোনের মাধ্যমে রাইডশেয়ারিংয়ে রাইড অর্ডার দেওয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, খবর, ওয়েব, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সব জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবস্থার ব্যবহার রয়েছে। আমরা বর্তমানে দুই ধরনের এআই দেখতে পাই—প্রথাগত মেশিন লার্নিং এবং জিপিটিভিত্তিক লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল।

আমি বিশ্বাস করি, অদূর ভবিষ্যতে জিপিটিভিত্তিক আইওটি ডিভাইস এবং রোবোটিক সিস্টেমের ট্রেন্ড বৃদ্ধি পাবে। এলএলএম মডেলের সাহায্যে হার্ডওয়্যার ব্যবস্থা আরও স্মার্ট হবে। হার্ডওয়্যার মানুষের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করবে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারবে এবং আরও ভালো কমান্ড দিতে পারবে। আশা করছি, আমাদের জীবদ্দশায় এ পরিবর্তন দেখে যেতে পারব।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পারদর্শী হতে পারবে?
উত্তর: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সামনে অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিশাল এবং এখানে ইন্টারনেট ও প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা গ্লোবাল ট্রেন্ডস থেকে শিখতে পারবে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তারা স্থানীয় মার্কেট থেকে ডেটা সংগ্রহ করতে পারবে এবং এআই ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন টুলস ও প্ল্যাটফর্ম থেকে শিখতে পারবে এবং অনলাইন কোর্স করতে পারবে। আমি শিক্ষার্থীদের সব সময় উৎসাহ দেব, তারা যেন এআই ল্যাব ব্যবহার করে এবং বাস্তব সমস্যার সমাধান এআই দিয়ে করে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত