আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮০০ টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)। এই সুযোগ কাজে লাগাতে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী মার্কিন নাগরিক এরিকা রবার্টস। এখন সেখানে কাটছে তাঁর জীবনের প্রায় আট বছর। পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি তাঁর জীবনযাপনের ব্যয়ও অন্যান্য উন্নত দেশের চেয়ে কম।
এরিকা বলনে, ‘আমি এখানে থাকতে পেরে সত্যিই খুশি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে বড় হওয়া এরিকা কৈশোরে একটি দুই সপ্তাহের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন মিউনিখে। সেখানকার অভিজ্ঞতা তার মনে গেঁথে যায়। ২০১৬ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক কলেজে বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে পড়ার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বহুল ও চাপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থায় একসময় হাঁপিয়ে ওঠেন তিনি।
ভালো রেজাল্ট (জিপিএ ৩.৯) থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনায় মন বসছিল না। মনে হচ্ছিল, ভবিষ্যৎ তাকে খুব একটা টানছে না। তিনি বলেন, ‘সব জায়গা বলেছিল বৈচিত্র্য, কমিউনিটি, আত্মোন্নয়ন থাকবে—তবে বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চাইছিলাম, নিজেকে খুঁজে পেতে।’ তাই তিনি বিকল্প কিছু খুঁজতে থাকেন।
জার্মানির শিক্ষাব্যবস্থা তখন তাঁর সামনে নতুন পথ খুলে দেয়। দেশটিতে মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হতে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাগে না। বরং ছয় বছর মেয়াদি একটি ধাপে ধাপে পরীক্ষাভিত্তিক প্রোগ্রামে ভর্তি হয় শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে মেডিকেল স্কুলে পড়াশোনার জন্য লাখ লাখ ডলার খরচ হয়, জার্মানির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রায় ফ্রি বা অত্যন্ত কম খরচে এই সুযোগ দেয়। এরিকার ক্ষেত্রে টিউশন ফি সেমিস্টারে মাত্র ৮৫ ইউরো—মার্কিন ডলারে ৯৭ ডলার।
তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বাবা প্রথমে রাজি হননি মেয়েকে বিদেশে পড়তে পাঠাতে। তবে এরিকার একাডেমিক ফলাফল দেখে অবশেষে মত বদলান।
২০১৭ সালে এরিকা একটি ভাষা স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখানকার ডরমিটরিতে ওঠেন। এরপর এক বান্ধবীর পরিবারের সঙ্গে, পরে শেয়ার অ্যাপার্টমেন্টে দুই রুমমেটের সঙ্গে এক বছর।
সবশেষে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন রুমমেটদের সঙ্গে একটি অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুতে ভাড়া ছিল ৫৬৫ ইউরো (৬৪৮ ডলার), পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫৯ ইউরো (৭৫১ ডলার)। এখন একা থাকেন, তবে বর্তমান ভাড়া প্রকাশ করতে চাননি।
জার্মানিতে এরিকার জীবনযাপনে ব্যয়ও কম। বাসাভাড়া ছাড়া মাসিক খরচ ৭৪৯ ইউরো (৮৫৯ ডলার), যার মধ্যে রয়েছে—
বাজার খরচ: ২৩০ ইউরো (২৬২ ডলার)
স্বাস্থ্যবিমা: ১৪৪ ইউরো (১৬৪ ডলার)
জিম: ২৪ ইউরো (২৭ ডলার)
মোবাইল বিল: ২৮ ইউরো (৩২ ডলার)
যাতায়াত: ৩৮ ইউরো (৪৩ ডলার)
মেডিকেল স্কুলের ফি: ৮৫ ইউরো (৯৭ ডলার)
খাওয়া-দাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা: ২০০ ইউরো (২২৮ ডলার)
এরিকা বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্যাক্সপেয়ারদের অর্থে চলে, তাই কাজ শুরু করার পর আমি আমার অংশের অবদান ফিরিয়ে দিতে পারব।’
জার্মানিতে এসে এরিকার জীবনে এসেছে বড় পরিবর্তন। তাঁদের জীবনযাপন আরও গোছানো, খাবার স্বাস্থ্যকর, আর আগের মতো অযথা চিন্তা করেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলাডেলফিয়ার আমি ছিলাম খুবই ইন্ডিভিজুয়ালিস্টিক। এখানে এসে অন্যরকম চিন্তা শিখেছি। কেমন করে সমাজে চলতে হয়, সেটা বুঝতে শিখেছি। আমাকে কী হতে হবে, সেটা বাইরের কেউ বলে দেয় না—আমি নিজেই খুঁজে নিচ্ছি।’
জার্মানিতে কাটানো এই আট বছর তাঁকে অনেকটাই গড়ে তুলেছে, শিখিয়েছে টিকে থাকতে হলে নতুন পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয়।
পরিবার এখনো যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও আপাতত দেশে ফেরার কোনো পরিকল্পনা নেই এরিকার। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে চান না।
এরিকা বলেন, ‘১০ বছর আগেও ভাবিনি আমি এত দিন জার্মানিতে থাকব। আর ১০ বছর পর কী হবে, তাও জানি না। কিন্তু এখন আমি এখানে অনেক সুখে আছি, আর এখানেই থাকার কথা ভাবছি।’
তথ্যসূত্র: সিএনবিসি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ দিন আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ দিন আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

বিশ্বের অনেক দেশে উচ্চশিক্ষার খরচ বাড়ছে। বিশেষ করে মেডিকেলে পড়াশোনায় লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। তবে জার্মানিতে এমন এক সুযোগ রয়েছে, যেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল পড়াশোনার সেমিস্টার ফি মাত্র ৯৭ ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ১১ হাজার ৮ শতাধিক টাকার মতো (১ ডলারের মান ধরা হয়েছে ১২২ দশমিক ২ টাকা)।
৩১ মে ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ দিন আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ দিন আগে