Ajker Patrika

বিজয়নগরে হোটেল থেকে জাতীয় পার্টির নেতার মরদেহ উদ্ধার

ঢামেক প্রতিবেদক
বিজয়নগরে হোটেল থেকে জাতীয় পার্টির নেতার মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর বিজয়নগরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে জাতীয় পার্টির বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক হাজরা শহিদুল ইসলাম বাবলুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবার বলছে, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পল্টন থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় এটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান জানান, গতকাল বুধবার সকালে হোটেল বিজয়নগরের তৃতীয় তলার ৩২৪ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন হাজরা শহিদুল ইসলাম বাবলু (৬৮)। আজ দুপুরে ওই কক্ষের বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। সে সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ ও তাঁর পরিচিত একজন সেখান থেকে তাঁকে বের করে। পরে ৯৯৯-এ খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসআই আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিনি হার্টের রোগী ছিলেন। এর আগেও তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মৃত ব্যক্তির ভাগনি জামাই মো. শাহিন উদ্দিন জানান, শহিদুল ইসলামের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায়। গ্রামেই থাকেন তিনি। গতকাল মনোনয়নপত্র নিতে ও দলের মিটিংয়ে অংশ নিতে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতিসহ আরও কয়েকজন। ঢাকায় এলে তিনি বরাবরই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে হোটেল বিজয়নগরেই ওঠেন। তিনি হার্টের রোগী।

ঘটনা সম্পর্কে শাহিন উদ্দিন জানান, গতকাল দুপুরে পার্টি অফিসে মিটিং শেষে হোটেলে ফিরে খাবার খান শহিদুল ইসলাম ও জেলা সভাপতি। এরপর জেলা সভাপতি চলে গেলে তিনি একাই ছিলেন রুমে। রাত ৮টার পর তাঁর পরিবারের কেউ ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। আজ সকালেও না পেয়ে একপর্যায়ে তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীদের ফোনে জানালে তাঁদের একজন হোটেলে গিয়ে ৩২৪ নম্বর কক্ষের দরজায় ধাক্কা দেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন, বাথরুমের দরজা বন্ধ। এরপর বাথরুমের দরজা ভাঙা হলে শহিদুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্বজনেরা জানান, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। তবে জয় পাননি। রাজনীতির পাশাপাশি মাছ ধরার ট্রলারের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া সুপারির ব্যবসাও করতেন। এ বছর রমজান মাসে তিনি মিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। এর পর থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ