আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ ইরানের ব্যাংক খাতের গভীর অস্থিরতাকে প্রকট করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই পরিস্থিতির চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করে, দেশটির অন্যতম ধনী পরিবারের মালিকানাধীন বেসরকারি আয়েন্দে ব্যাংক বিলুপ্ত করা হবে এবং এটি রাষ্ট্র-পরিচালিত ব্যাংক মেল্লির সঙ্গে একীভূত হবে। রোববার থেকে আয়েন্দে-এর শাখাগুলো ব্যাংক মেল্লির শাখা হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ও আমানত নিরাপদ রয়েছে এবং সমস্ত চুক্তি আগের শর্তেই বহাল থাকবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক পরিচালনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার হস্তক্ষেপের কারণে আয়েন্দে ব্যাংকের ওপর যে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা চেপেছে, তা ইরানের সামষ্টিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ২০১০-এর দশকে দুর্নীতি এবং দুর্বল তদারকির কারণে ইরানের ব্যাংকিং খাতে যে সংকট তৈরি হয়, তার মধ্যেই আয়েন্দে ব্যাংকের উত্থান। সে সময় জাতিসংঘে পরমাণু কর্মসূচির নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান টালমাটাল ছিল। এই সুযোগে সামরিক বা ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত শত শত লাইসেন্সবিহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সারা দেশে গজিয়ে ওঠে। তারা আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে অস্বাভাবিক উচ্চ হারে সুদের লোভ দেখাত, কিন্তু পরবর্তীতে অনেক গ্রাহক আমানতের টাকা তুলতেই ব্যর্থ হন।
২০১৭ সালের মধ্যে সরকার এই লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যন্তরীণ ঋণ বিতরণ অর্থাৎ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই ঋণ নেওয়া এবং স্থাবর সম্পত্তিতে অর্থ বিনিয়োগের কারণে তহবিল প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানোর জন্য সরকারকে নতুন করে টাকা ছাপাতে হয়েছে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং সাধারণ ইরানিদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।
আয়েন্দে ব্যাংক ২০১৩ সালে ‘তাত ব্যাংক’ এবং দুটি রাষ্ট্র-সংযুক্ত আর্থিক সত্তা—সালেহিন ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন ও আতি ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন—একীভূত হওয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী আলি আনসারি, যার পরিবার ইরানের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত।
আয়েন্দে ব্যাংক বহু বছর ধরে রাষ্ট্রের নজরদারিতে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তীতে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাধিকার বাতিল করে। সরকারি হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, ব্যাংকটি টিকে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে থাকে।
বিলুপ্তির ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আয়েন্দে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (বর্তমান খোলা বাজারে বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪৬৭ কোটি ডলার), যেখানে জনগণের আমানত ছিল ২ দশমিক ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৩৪ কোটি ডলার)।
আইন অনুযায়ী, আয়েন্দে ব্যাংক তার প্রমাণিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ২০০ ট্রিলিয়ন রিয়াল (১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার) ঋণ দিতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটি বছরের পর বছর সেই পরিমাণের প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থ ব্যক্তি ও বিভিন্ন সত্তাকে (নামে-বেনামে কোম্পানি) ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৩ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (১২১ কোটি ডলার) সরাসরি আয়েন্দে ব্যাংক এবং এর অভ্যন্তরীণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অল্প কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধাভোগীদের পরিচয় প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
অর্থনীতিবিদ বিজান খাজেহপুর উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ ঋণই অনাদায়ি, সেগুলো উদ্ধারের সম্ভাবনাও কম। তাঁর মতে, ‘ক্ষমতার নেটওয়ার্কের মধ্যে কোনো নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে লেনদেন, এবং জামানত সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করেই গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ফলেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের দুর্বল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত ঋণ (Overdrafts) নিয়েছে তার ৪২ শতাংশই পেয়েছে আয়েন্দে ব্যাংক। পুরো ব্যাংক খাতের মূলধন অসামঞ্জস্যের ৪১ শতাংশের কারণও এই ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (সিএআর) ন্যূনতম ৮ শতাংশ হওয়া বাধ্যতামূলক হলেও আয়েন্দে-এর অনুপাত ছিল ঋণাত্মক ৬০০ শতাংশ! এর বিলুপ্তি ইরানের ব্যাংক খাতের গড় সিএআর ১.৩৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করবে।
আয়েন্দে ব্যাংকের বিলুপ্তির ঘোষণা আসে বিচার বিভাগের প্রধান, কট্টরপন্থী ধর্মগুরু গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিনকে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার একদিন পর। এই বিলুপ্তি নিয়ে কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরা, যারা সংস্কারপন্থীদের অর্থনৈতিক উদারীকরণের নীতির বিরোধী, তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবফ এই বিলুপ্তিকে ‘দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিচালনা ব্যবস্থার জন্য একটি বিরাট সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আয়েন্দে-এর পতনের ফলে এর সম্পত্তি—যার মধ্যে পশ্চিম তেহরানে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম শপিং মল ইরান মলও রয়েছে—সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে এই বিপুল সম্পত্তি বিক্রি করা সময়সাপেক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিপুল লোকসানের কারণে রাষ্ট্র এবং ব্যাংক মেল্লিকে মোট ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের হিসাব মেটাতে হবে। এই ঘাটতি পূরণের একটি অংশের সংস্থান করতে টাকা ছাপাতে হবে। এই অতিরিক্ত টাকা ছাপানোই মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ, যা বর্তমানে ৪০ শতাংশের বেশি এবং কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম।
সহজ কথায়, আগামী মাস ও বছরগুলোতে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কোটি কোটি ইরানিকে এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, আয়েন্দে-এর প্রতিষ্ঠাতা আনসারি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব ‘ব্যাংকটি তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ও নীতির ফল’। তাঁর দাবি, তিনি জনকল্যাণের জন্য তাঁর সব শক্তি ও সক্ষমতা উৎসর্গ করেছেন।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপ ইরানের ব্যাংক খাতের গভীর অস্থিরতাকে প্রকট করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এই পরিস্থিতির চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে সাধারণ নাগরিকদের।
গত বৃহস্পতিবার ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করে, দেশটির অন্যতম ধনী পরিবারের মালিকানাধীন বেসরকারি আয়েন্দে ব্যাংক বিলুপ্ত করা হবে এবং এটি রাষ্ট্র-পরিচালিত ব্যাংক মেল্লির সঙ্গে একীভূত হবে। রোববার থেকে আয়েন্দে-এর শাখাগুলো ব্যাংক মেল্লির শাখা হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ও আমানত নিরাপদ রয়েছে এবং সমস্ত চুক্তি আগের শর্তেই বহাল থাকবে।
তবে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক পরিচালনা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার হস্তক্ষেপের কারণে আয়েন্দে ব্যাংকের ওপর যে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা চেপেছে, তা ইরানের সামষ্টিক অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, ২০১০-এর দশকে দুর্নীতি এবং দুর্বল তদারকির কারণে ইরানের ব্যাংকিং খাতে যে সংকট তৈরি হয়, তার মধ্যেই আয়েন্দে ব্যাংকের উত্থান। সে সময় জাতিসংঘে পরমাণু কর্মসূচির নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান টালমাটাল ছিল। এই সুযোগে সামরিক বা ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত শত শত লাইসেন্সবিহীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সারা দেশে গজিয়ে ওঠে। তারা আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে অস্বাভাবিক উচ্চ হারে সুদের লোভ দেখাত, কিন্তু পরবর্তীতে অনেক গ্রাহক আমানতের টাকা তুলতেই ব্যর্থ হন।
২০১৭ সালের মধ্যে সরকার এই লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যন্তরীণ ঋণ বিতরণ অর্থাৎ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই ঋণ নেওয়া এবং স্থাবর সম্পত্তিতে অর্থ বিনিয়োগের কারণে তহবিল প্রায় শূন্য হয়ে পড়েছিল। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ মেটানোর জন্য সরকারকে নতুন করে টাকা ছাপাতে হয়েছে, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং সাধারণ ইরানিদের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।
আয়েন্দে ব্যাংক ২০১৩ সালে ‘তাত ব্যাংক’ এবং দুটি রাষ্ট্র-সংযুক্ত আর্থিক সত্তা—সালেহিন ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন ও আতি ক্রেডিট ইনস্টিটিউশন—একীভূত হওয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবসায়ী আলি আনসারি, যার পরিবার ইরানের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে পরিচিত।
আয়েন্দে ব্যাংক বহু বছর ধরে রাষ্ট্রের নজরদারিতে ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তীতে শেয়ারহোল্ডারদের ভোটাধিকার বাতিল করে। সরকারি হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, ব্যাংকটি টিকে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে থাকে।
বিলুপ্তির ঘোষণায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, আয়েন্দে ব্যাংকের ঋণের পরিমাণ ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (বর্তমান খোলা বাজারে বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪৬৭ কোটি ডলার), যেখানে জনগণের আমানত ছিল ২ দশমিক ৫ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৩৪ কোটি ডলার)।
আইন অনুযায়ী, আয়েন্দে ব্যাংক তার প্রমাণিত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ ২০০ ট্রিলিয়ন রিয়াল (১৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার) ঋণ দিতে পারত। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকটি বছরের পর বছর সেই পরিমাণের প্রায় ১০ গুণ বেশি অর্থ ব্যক্তি ও বিভিন্ন সত্তাকে (নামে-বেনামে কোম্পানি) ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে ১ দশমিক ৩ কোয়াড্রিলিয়ন রিয়াল (১২১ কোটি ডলার) সরাসরি আয়েন্দে ব্যাংক এবং এর অভ্যন্তরীণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অল্প কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে। তবে এই সুবিধাভোগীদের পরিচয় প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে।
অর্থনীতিবিদ বিজান খাজেহপুর উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ ঋণই অনাদায়ি, সেগুলো উদ্ধারের সম্ভাবনাও কম। তাঁর মতে, ‘ক্ষমতার নেটওয়ার্কের মধ্যে কোনো নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে লেনদেন, এবং জামানত সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করেই গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার ফলেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের দুর্বল ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অতিরিক্ত ঋণ (Overdrafts) নিয়েছে তার ৪২ শতাংশই পেয়েছে আয়েন্দে ব্যাংক। পুরো ব্যাংক খাতের মূলধন অসামঞ্জস্যের ৪১ শতাংশের কারণও এই ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (সিএআর) ন্যূনতম ৮ শতাংশ হওয়া বাধ্যতামূলক হলেও আয়েন্দে-এর অনুপাত ছিল ঋণাত্মক ৬০০ শতাংশ! এর বিলুপ্তি ইরানের ব্যাংক খাতের গড় সিএআর ১.৩৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করবে।
আয়েন্দে ব্যাংকের বিলুপ্তির ঘোষণা আসে বিচার বিভাগের প্রধান, কট্টরপন্থী ধর্মগুরু গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মোহাম্মদ রেজা ফারজিনকে সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়ার একদিন পর। এই বিলুপ্তি নিয়ে কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরা, যারা সংস্কারপন্থীদের অর্থনৈতিক উদারীকরণের নীতির বিরোধী, তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাগের গালিবফ এই বিলুপ্তিকে ‘দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিচালনা ব্যবস্থার জন্য একটি বিরাট সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আয়েন্দে-এর পতনের ফলে এর সম্পত্তি—যার মধ্যে পশ্চিম তেহরানে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম শপিং মল ইরান মলও রয়েছে—সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে এই বিপুল সম্পত্তি বিক্রি করা সময়সাপেক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিপুল লোকসানের কারণে রাষ্ট্র এবং ব্যাংক মেল্লিকে মোট ঋণের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের হিসাব মেটাতে হবে। এই ঘাটতি পূরণের একটি অংশের সংস্থান করতে টাকা ছাপাতে হবে। এই অতিরিক্ত টাকা ছাপানোই মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ, যা বর্তমানে ৪০ শতাংশের বেশি এবং কয়েক দশক ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির দেশগুলোর মধ্যে ইরান অন্যতম।
সহজ কথায়, আগামী মাস ও বছরগুলোতে ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কোটি কোটি ইরানিকে এর মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, আয়েন্দে-এর প্রতিষ্ঠাতা আনসারি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ব্যাংকের দেউলিয়াত্ব ‘ব্যাংকটি তাঁদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ও নীতির ফল’। তাঁর দাবি, তিনি জনকল্যাণের জন্য তাঁর সব শক্তি ও সক্ষমতা উৎসর্গ করেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১০ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১০ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট এবং পশ্চিমা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে, ইরানের বৃহৎ বেসরকারি ঋণদাতা ব্যাংকগুলোর অন্যতম ‘আয়েন্দে ব্যাংক’ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ‘ব্যাংক মেল্লি’-এর সঙ্গে এটিকে একীভূত করে সরকার।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
১০ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১ দিন আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
২ দিন আগে