Ajker Patrika

মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ১৬: ০৮
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার (৬ মে) দেশে ফিরছেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে বহনকারী কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। লন্ডনের স্থানীয় সময় সোমবার হিথরো বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যাত্রা শুরু করবে বলে জানান তিনি।

গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই দেশে ফিরতে পারেন তিনি—দলের পক্ষ থেকে এমনটাই বলা হচ্ছিল। সেটা না পাওয়া গেলে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল।

কিন্তু সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে, কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিশ্চিত হয়েছে। সেটিতে করেই আগামী সোমবার (৫ মে) লন্ডন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন। সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান।

কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া নিশ্চিত করার খবরটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল শনিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে বিমানে তিনি (খালেদা জিয়া) গেছেন, কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইটেই তিনি ফিরে আসবেন।’

দেশে ফেরার পর খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নেত্রী ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড আবেগ আছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ উৎসাহিত, উজ্জীবিত যে তাঁদের প্রিয় নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। তাঁকে যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো, এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ আজকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। এ নিয়ে আমরা যৌথ সভা করেছি। জনগণ যাতে তাঁদের নেত্রীকে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আগামীকাল রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জরিপে নির্বাচনের ফলের আগাম বার্তা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক অপপ্রয়াস: ইসলামী আন্দোলন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জরিপে নির্বাচনের ফলের আগাম বার্তা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক অপপ্রয়াস: ইসলামী আন্দোলন

সীমিত মানুষের ওপর করা জরিপের ভিত্তিতে নির্বাচনের ফল সম্পর্কে আগাম বার্তা দেওয়া ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক অপপ্রয়াস বলে মনে করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার এক প্রেস বিবৃতিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।

বিবৃতিতে গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এখান থেকে মাত্র ১ হাজার ৩৪২ জনের মতামত নিয়ে করা জরিপের ভিত্তিতে আগামীর নির্বাচনে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, কে বেশি আসন পাবে, কোন দল জয়ী হলে দেশের ভালো হবে ইত্যাদি প্রশ্নে পূর্বাভাস দেওয়া ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বুদ্ধিবৃত্তিক অপপ্রয়াস।

কারণ উল্লেখ করে গাজী আতাউর বলেন, এত অল্পসংখ্যক নমুনা ব্যবহার করে বিপুলসংখ্যক ভোটারের চিন্তা সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায় না। তারপরও দেশের শীর্ষ একটি পত্রিকা এই জরিপের সংবাদ গুরুত্বসহ উপস্থাপন করে আগামী নির্বাচনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করছে বলে মনে করা অযৌক্তিক না।

ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ইসলামপন্থীদের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে। চাঁদাবাজদের প্রতি মানুষের অনীহা প্রকট হয়েছে। কিন্তু এই জরিপ সেই পুরোনো বন্দোবস্তের পক্ষে জনমত আছে বলে উপস্থাপন করেছে। এই জরিপ জনমতকে ভিন্নপথে পরিচালিত করার একটি অপপ্রয়াস ছাড়া কিছু না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে জনমতকে ভুলভাবে প্রভাবিত করার জন্য তথ্যের ভুল উপস্থাপন, অপতথ্য তৈরি ও উপস্থাপনের নিন্দা করে এবং সবাইকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তথ্য তৈরি ও উপস্থাপনের আহ্বান জানায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিষয়:

নির্বাচন
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে: তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৬
মঙ্গলবার ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: বাসস
মঙ্গলবার ঢাকার ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: বাসস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘ডিটেইল প্ল্যানিং’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে মিলে যদি সরকারকে সহযোগিতা করি, যে সরকার নির্বাচিত হবে এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে চাই, ইনশা আল্লাহ, জনগণের রায়ে বিএনপি সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। সেই সরকারকে সফল করতে হলে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে সহযোগিতা করতে হবে।’

দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘যে অন্যায় করে, সে কোনো দলের হতে পারে না। অন্যায় যে করে, সে অন্যায়কারী। কাজেই, যেকোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, কঠোর হস্তে দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো মূল্যে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলাকে আমাদের ঠিক রাখতে হবে।’

তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছে নিরাপদ। দেশের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা বলেন, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা, এটিতেও বিএনপির রেকর্ড রয়েছে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা একটি রাজনৈতিক দল। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ আমাদের কাছে শুধু কথার ফুলঝুড়ি প্রত্যাশা করে না, কথার ফুলঝুড়ি যদি দিতে হয়, অনেক কথা আমরা বলতে পারি; কিন্তু জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে যে—আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব? পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ‘‘ডিটেইল প্ল্যানিং’’ শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আজ দেশের স্বাধীনতা বলেন, সার্বভৌমত্ব বলেন, গণতন্ত্র বলেন—সবকিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে। আমরা যদি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই দেশকে আমরা ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে পারব। যদি আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারি, জনগণকে সঙ্গে রাখতে না পারি, এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। কাজেই, আপনাদেরকে এখন সজাগ হতে হবে। ঘরে বসে থাকার বিন্দুমাত্র সময় নেই, মাঠে চলে যেতে হবে, মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে, পথে-প্রান্তরে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

এর আগে সকালে একই অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে একটা জরিপের রিপোর্ট বের হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, বেশি আসন এই নির্বাচনে কে পাবে? কোন দল? শতকরা ৬৬ জন উত্তরদাতা বলেছে বিএনপি। আর শতকরা ২৬ জন উত্তরদাতা বলেছে জামায়াতে ইসলামী। ডিফারেন্স হলো, ৪৪ ভাগ। আর অন্য যারা, তারা তো অনেক অনেক কম আরকি। এমনকি অনেক উল্লেখযোগ্য দল, তারা শতকরা এক ভাগও না। এরচেয়েও কম। এতে হতাশ হয়ে, নিরাশ হয়ে কেউ ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু যে জনগণ তাদের মনস্থির করে ফেলেছে, তারাই ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেবে না। এটা মনে রাখতে হবে।’

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন ও একটা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা, এই এক দফা আমরা অর্জন করেছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, বাকি অংশটুকু পূরণ করার জন্যই অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এই বাংলাদেশের জনগণ মাত্র কিছুদিন আগে ১৫ বছর ধইরা সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো ঘাড়ে চেপে বসা একটা নিপীড়নকারী, একটা খুনি, একটা ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করেছে। সেই জনগণ কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। কোনো ষড়যন্ত্র এই জনগণকে পরাজিত করতে পারেনি এবং পারবে না ইনশা আল্লাহ।’

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট

এদিকে আজ মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লিখেছেন, ‘দুর্নীতি কীভাবে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে—তা বুঝতে দূরে যাওয়ার দরকার নেই। মেধার ভিত্তিতে চাকরি খুঁজতে বের হওয়া একজন গ্র্যাজুয়েটের সঙ্গে কথা বললেই বুঝবেন। মাসের পর মাস ধরে একটি সাধারণ সরকারি সেবা পেতে হিমশিম খাওয়া কৃষকের দিকে তাকান। হাসপাতালে গিয়ে এক তরুণের পরিবার কীভাবে ভোগান্তিতে পড়ে, সেটা শুনুন। অথবা ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি দেখুন। খাবারের দাম কেন বাড়ে, স্কুলে ভালো পড়াশোনা কেন মেলে না, রাস্তায় কেন নিরাপত্তা নেই—সবকিছুর পিছনে সেই একই কারণ—দুর্নীতি। এটা লাখো মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দমবন্ধ করে ফেলেছে।’

আগামী দিনের লড়াইয়ে বিএনপি নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তারেক রহমান লেখেন, ‘বহু বছর অব্যবস্থাপনার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই অবশ্যই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসই প্রমাণ করে, যখন সৎ নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা ও জনগণের সমর্থন একসাথে আসে, তখন পরিবর্তন অসম্ভব নয়। জনগণ যদি দায়িত্ব দেয়—বিএনপি আবারও সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’

অন্যদিকে জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশ দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানবাধিকার সমাধিস্থ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছিল, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে নেওয়া হয়েছিল হাতের মুঠোয়। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যে-ই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানবাধিকার দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার কোনো বিশেষ দিনের বিষয় নয়, এটি প্রতিদিনের মানবাধিকার হরণের প্রতি লক্ষ রাখা ও প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। দেশের আপামর জনগণের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দী থেকে, মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা এক চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। ন্যায়সংগত প্রতিবাদের বিজয় অনিবার্য। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দেশনেত্রীর আশু সুস্থতা কামনা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনের পরিবেশ সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি: গণতন্ত্র মঞ্চ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের অফিসে গণতন্ত্র মঞ্চের এক জরুরি সভা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের অফিসে গণতন্ত্র মঞ্চের এক জরুরি সভা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় চলে এলেও দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। জোটে থাকা দলগুলোর নেতারা নিজ আসনে প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে হেনস্তা-হামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মঞ্চের শীর্ষ নেতারা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে নাগরিক ঐক্যের অফিসে গণতন্ত্র মঞ্চের এক জরুরি সভায় এমন কথা জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা। সভা শেষে মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘কাল-পরশু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। আমরাও চাই সরকার তার ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করুক। কিন্তু নির্বাচনের জন্য যে ধরনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকা দরকার, সরকার তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।’

নির্বাচনকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানান নেতারা। তাঁরা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর জনগণের আস্থা-বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বাচনে বেশুমার টাকার খেলা বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এই নির্বাচনকে কোনো অবস্থাতেই অতীতের স্বৈরাচারী আমলের মতো প্রশ্নবিদ্ধ করা করা যাবে না।’

সভায় রামগতির আলেকজান্ডার হাইস্কুলে জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের নির্বাচনী জনসভায় দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদ জানান মঞ্চের নেতারা। তাঁরা বলেন, ‘নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সংঘাত-সহিংসতাও তত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্ত্রবাজ-সন্ত্রাসীদের সহিংস তৎপরতা বাড়ছে। এসব ব্যাপার প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি চলতে দিলে জননিরাপত্তাও হুমকির মধ্যে পড়ে যাবে।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের নির্বাচনী এলাকায় তাঁদের অফিসে হামলা, ভাঙচুর এবং নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করতে বাধা দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল একদল সন্ত্রাসী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছিল। তারপরও গতকালকে জনসভায় আসা-যাওয়ার পথে পথে যেভাবে হামলাসহ আক্রমণ করা হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক এবং ন্যক্কারজনক।’

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মৎস্য ভবন এলাকায় নতুন এক সেইফ হাউসের বর্ণনা দিলেন হাসনাত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর মৎস্য ভবন এলাকায় করা সেইফ হাউসের বর্ণনা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ তিনি এই বর্ণনা দেন।

এই মামলায় ২২ তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ জবানবন্দিতে বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই তিনি ও সমন্বয়ক সারজিস আলম তাঁর মামার বাসায় যান। তবে ডিজিএফআই সদস্যরা রাতে সেখান থেকে তাঁদের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় উঠিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা যাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে সেখানে আনিসুল হক (সাবেক আইনমন্ত্রী), আরাফাত (সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত) ও নওফেল (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী) প্রবেশ করেন। ডিজিএফআই সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে দুজনকে বৈঠক করতে চাপ দেন। তবে সমন্বয়ক নাহিদ-আসিফের সঙ্গে কথা না বলে তাঁরা বৈঠক করতে অস্বীকৃতি জানান। বৈঠক না করায় ডিজিএফআই সদস্যরা রাতেই তাঁদের মৎস্য ভবন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাঝে একটি গোপন স্থানে নিয়ে যান; যা সেইফ হাউস নামে পরিচিত। সেখানে ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যিনি জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তিনি ফোন করে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের নিউজ পরিবর্তন এবং স্ক্রল সংশোধনের নির্দেশ দিচ্ছিলেন। সে অনুযায়ী টিভি চ্যানেলগুলো সংবাদ প্রচার করছিল এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক মর্মে দেখানোর চেষ্টা করছিল। হাসনাত নামে একজন মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, যে বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, তা বাইরে থেকে পরিত্যক্ত মনে হলেও ভেতরে ছিল আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত। ১৭ জুলাই রাত প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ফজরের সময় তাঁদের ডেকে তুলে আবার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহার করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে এবং সেটি সংবাদ সম্মেলন করে জাতির কাছে জানাতে তাঁদের চাপ দেওয়া হয়। তবে সে সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় তাঁরা অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। ডিজিএফআইয়ের সদস্যরা তাঁদের ফোন ব্যবহার করে সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগযোগ করে তাঁদের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁর ফোন থেকে সমন্বয়ক হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর অবস্থান জানতে চাইলে হাসিব চানখাঁরপুলে আন্দোলনে থাকার কথা জানান। ডিজিএফআই তাঁকে কিছুক্ষণের মধ্যে চানখাঁরপুল থেকে সেইফ হাউসে তুলে আনে। সেখানে তাঁদের তিনজনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। হাসিব মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ায় তাঁকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়।

হাসনাত জবানবন্দিতে আরও বলেন, আটক অবস্থায় তাঁদের দেশবাসীর কাছে ভিলেন বানানোর উদ্দেশ্যে তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন মর্মে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা খবর প্রচার করা হয়। তাঁদের যখনই মিডিয়ার সামনে আনা হচ্ছিল, তখনই বলছিলেন, পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি ও আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সময় টিভি, একাত্তর টিভি ও ডিবিসি তাঁদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় ডিজিএফআইয়ের ডিজিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ওই সেইফ হাউসে এসে শেষবারের মতো তাঁদের বৈঠক করে আন্দোলন প্রত্যাহার করতে চাপ দেন। এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, ডিবিসহ সব গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে আন্দোলন দমনের ক্রেডিট নেওয়ার প্রতিযোগিতা দেখা যায়। তাঁরা তিনজন সিদ্ধান্ত নেন, প্রেস কনফারেন্স করে দাবি জানাতে দিলে তাঁরা পদ্মায় যাবেন।

হাসনাত বলেন, পদ্মায় গিয়ে তাঁরা প্রেস কনফারেন্সে বলেন, সরকারের সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি। শহীদদের রক্ত মাড়িয়ে তাঁরা কোনো সংলাপ করতে পারেন না এবং পূর্বঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তবে মিডিয়া তাঁদের বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে। শাটডাউন কর্মসূচি যেন প্রত্যাহার করা হয়, সে জন্য মিডিয়ার সামনেই সেনা কর্মকর্তা হাসনাত তাঁদের চাপ দেন। তাঁরা অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের আবার সেইফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখেন, তাঁদের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিকৃতভাবে প্রচার করে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে মর্মে খবর পরিবেশিত হতে থাকে। প্রেস কনফারেন্সের তাঁদের কথা কেটে দিয়ে শুধু দাবিগুলো প্রচারিত হয়। সেদিন রাতে তাঁদের ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।

আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তৎকালীন আইজিপি, বেরোবি প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও যারা সরাসরি গুলি করেছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় দায়ী সবার বিচার চান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতির ডাক পেলেন শেখ হাসিনার সাজা প্রত্যাখ্যান করা শিক্ষক মাসুদ রানা

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

৫ আগস্টের পর দুর্নীতিবাজদের কোটি টাকায় সীমান্ত পার করে দিয়েছেন রাজনৈতিক এলিটরা: দুদক চেয়ারম্যান

তুরস্কের গোয়েন্দা সহায়তায় যেভাবে ‘দামেস্কের আমির’ হলেন আল–শারা

কোটালীপাড়ায় এক রাতে ২টি এজেন্ট ব্যাংকসহ ৪ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত