শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার দুধের দাম ৯০ টাকা। অন্যান্য অনেক কোম্পানিও ৯০-১০০ টাকায় দুধ বিক্রি করে। সে হিসাবে মিল্ক ভিটা বেশি লাভ করছে।
খামারিরা বলছেন, খৈল, ভুসি, মসুর, ফিড, ওষুধসহ গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খামারিদের দুধের দাম বাড়িয়ে থাকে। কিন্তু মিল্ক ভিটা বেশি দাম না দেওয়ায় তাঁদের সমিতিভুক্ত খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ক্রমাগত লোকসানের মুখে মিল্ক ভিটার সমিতিভুক্ত খামারিরা।
মিল্ক ভিটা ও খামারি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হয় এই অঞ্চলে। এরপর সেখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। বর্তমানে এসব খামারের ৪ লক্ষাধিক গবাদিপশু থেকে উৎপাদিত দুধ দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে। আর এই গাভি পালন করে সচ্ছলতা এসেছিল এখানকার মানুষের।
কিন্তু বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। ক্রমাগত গোখাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও মিল্ক ভিটা দুধের দাম না বাড়াচ্ছে না। এ ছাড়া উচ্চমূল্যে কেনা অধিকাংশ গোখাদ্যে রয়েছে ভেজাল। আর লোকসানে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় গবাদিপশু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।
মিল্ক ভিটা বাঘাবাড়ীঘাট কারখানার আওতায় এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি সমবায় সমিতি। এসব সমিতির আওতায় বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার গবাদিপশু লালনপালন করছেন সমিতির সদস্যরা। এসব গো-খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করছে মিল্ক ভিটা। বর্তমানে খামারিদের প্রতি লিটার দুধের দাম দেওয়া হচ্ছে ৪৫-৪৭ টাকা, যা অন্যান্য দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ও খোলাবাজারের চেয়ে ৩৫-৩৮ টাকা কম।
শাহজাদপুর উপজেলার দক্ষিণ বাঙলাপাড়া দুগ্ধ সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল করিম সরদার বলেন, ‘গরু-বাছুর পেইলে অব্যেশ, তাই পালি। মিল্ক ভিটা ৪৫-৪৭ টাকা লিটারে দাম দেয়। গরু পালা কষ্ট হয়ে পড়েছে। বাপ-দাদার অভ্যেস, তাই ছাড়তে পারি না। ভুসি, খৈল, মসুর, ফিড সবকিছুর প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা সর্বনিম্ন দাম। খরচ অনেক বেশি বলে গরু পালা আমাদের কঠিন হয়ে গেছে।’
খামারি আজিজুল সরকার বলেন, ‘খৈল-ভুসির দাম আগে কম ছিল; এখন বস্তাপ্রতি ১৮০০-২০০০ টাকা। দুধে পোষায় না। দুধের দাম যদি ৬৫-৭০ টাকা হইত তাহলে আমাদের পোষাইত। কিন্তু এখন আমাদের ঘাটতি হচ্ছে। গরু পালা হচ্ছে; কিন্তু আমারে কিছুই থাকছে না।’ মিল্ক ভিটা লাভ খেয়ে নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পদ্মমারী আন্নির বাথান এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যে এখন অনেক ভেজাল আছে। কীভাবে আমরা সঠিক খাদ্য পাব, সেইটা সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের দাবি, দুধের দাম বাড়ানো এবং গোখাদ্যের মূল্য কমানো, তাহলে খামারিরা বাঁচবে।’
মিল্ক ভিটার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে মিল্ক ভিটা ধ্বংস করা হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর চাচাকে মিল্ক ভিটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেন্দ্রীয় সমিতি বাতিল করব। চালু করা হবে প্রাথমিক সমিতি। খামারিদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে স্বল্পপরিমাণে লিজমূল্যে শত শত বিঘা গোচারণ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। খামারিদের রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে গোখাদ্যের মূল্য অনুযায়ী দুধের দাম নির্ধারণ করা হবে। আগে ভর্তুতি দেওয়া হতো। সেটাও বিগত সরকারের আমলে বন্ধ করা হয়েছে। আমরা ভর্তুকি দেব। খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করব। খামারি যেন দুধের ন্যায্য মূল্য পান, এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।’

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার দুধের দাম ৯০ টাকা। অন্যান্য অনেক কোম্পানিও ৯০-১০০ টাকায় দুধ বিক্রি করে। সে হিসাবে মিল্ক ভিটা বেশি লাভ করছে।
খামারিরা বলছেন, খৈল, ভুসি, মসুর, ফিড, ওষুধসহ গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খামারিদের দুধের দাম বাড়িয়ে থাকে। কিন্তু মিল্ক ভিটা বেশি দাম না দেওয়ায় তাঁদের সমিতিভুক্ত খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ক্রমাগত লোকসানের মুখে মিল্ক ভিটার সমিতিভুক্ত খামারিরা।
মিল্ক ভিটা ও খামারি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হয় এই অঞ্চলে। এরপর সেখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। বর্তমানে এসব খামারের ৪ লক্ষাধিক গবাদিপশু থেকে উৎপাদিত দুধ দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে। আর এই গাভি পালন করে সচ্ছলতা এসেছিল এখানকার মানুষের।
কিন্তু বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। ক্রমাগত গোখাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও মিল্ক ভিটা দুধের দাম না বাড়াচ্ছে না। এ ছাড়া উচ্চমূল্যে কেনা অধিকাংশ গোখাদ্যে রয়েছে ভেজাল। আর লোকসানে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় গবাদিপশু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।
মিল্ক ভিটা বাঘাবাড়ীঘাট কারখানার আওতায় এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি সমবায় সমিতি। এসব সমিতির আওতায় বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার গবাদিপশু লালনপালন করছেন সমিতির সদস্যরা। এসব গো-খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করছে মিল্ক ভিটা। বর্তমানে খামারিদের প্রতি লিটার দুধের দাম দেওয়া হচ্ছে ৪৫-৪৭ টাকা, যা অন্যান্য দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ও খোলাবাজারের চেয়ে ৩৫-৩৮ টাকা কম।
শাহজাদপুর উপজেলার দক্ষিণ বাঙলাপাড়া দুগ্ধ সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল করিম সরদার বলেন, ‘গরু-বাছুর পেইলে অব্যেশ, তাই পালি। মিল্ক ভিটা ৪৫-৪৭ টাকা লিটারে দাম দেয়। গরু পালা কষ্ট হয়ে পড়েছে। বাপ-দাদার অভ্যেস, তাই ছাড়তে পারি না। ভুসি, খৈল, মসুর, ফিড সবকিছুর প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা সর্বনিম্ন দাম। খরচ অনেক বেশি বলে গরু পালা আমাদের কঠিন হয়ে গেছে।’
খামারি আজিজুল সরকার বলেন, ‘খৈল-ভুসির দাম আগে কম ছিল; এখন বস্তাপ্রতি ১৮০০-২০০০ টাকা। দুধে পোষায় না। দুধের দাম যদি ৬৫-৭০ টাকা হইত তাহলে আমাদের পোষাইত। কিন্তু এখন আমাদের ঘাটতি হচ্ছে। গরু পালা হচ্ছে; কিন্তু আমারে কিছুই থাকছে না।’ মিল্ক ভিটা লাভ খেয়ে নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পদ্মমারী আন্নির বাথান এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যে এখন অনেক ভেজাল আছে। কীভাবে আমরা সঠিক খাদ্য পাব, সেইটা সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের দাবি, দুধের দাম বাড়ানো এবং গোখাদ্যের মূল্য কমানো, তাহলে খামারিরা বাঁচবে।’
মিল্ক ভিটার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে মিল্ক ভিটা ধ্বংস করা হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর চাচাকে মিল্ক ভিটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেন্দ্রীয় সমিতি বাতিল করব। চালু করা হবে প্রাথমিক সমিতি। খামারিদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে স্বল্পপরিমাণে লিজমূল্যে শত শত বিঘা গোচারণ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। খামারিদের রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে গোখাদ্যের মূল্য অনুযায়ী দুধের দাম নির্ধারণ করা হবে। আগে ভর্তুতি দেওয়া হতো। সেটাও বিগত সরকারের আমলে বন্ধ করা হয়েছে। আমরা ভর্তুকি দেব। খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করব। খামারি যেন দুধের ন্যায্য মূল্য পান, এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।’
শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার দুধের দাম ৯০ টাকা। অন্যান্য অনেক কোম্পানিও ৯০-১০০ টাকায় দুধ বিক্রি করে। সে হিসাবে মিল্ক ভিটা বেশি লাভ করছে।
খামারিরা বলছেন, খৈল, ভুসি, মসুর, ফিড, ওষুধসহ গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খামারিদের দুধের দাম বাড়িয়ে থাকে। কিন্তু মিল্ক ভিটা বেশি দাম না দেওয়ায় তাঁদের সমিতিভুক্ত খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ক্রমাগত লোকসানের মুখে মিল্ক ভিটার সমিতিভুক্ত খামারিরা।
মিল্ক ভিটা ও খামারি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হয় এই অঞ্চলে। এরপর সেখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। বর্তমানে এসব খামারের ৪ লক্ষাধিক গবাদিপশু থেকে উৎপাদিত দুধ দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে। আর এই গাভি পালন করে সচ্ছলতা এসেছিল এখানকার মানুষের।
কিন্তু বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। ক্রমাগত গোখাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও মিল্ক ভিটা দুধের দাম না বাড়াচ্ছে না। এ ছাড়া উচ্চমূল্যে কেনা অধিকাংশ গোখাদ্যে রয়েছে ভেজাল। আর লোকসানে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় গবাদিপশু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।
মিল্ক ভিটা বাঘাবাড়ীঘাট কারখানার আওতায় এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি সমবায় সমিতি। এসব সমিতির আওতায় বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার গবাদিপশু লালনপালন করছেন সমিতির সদস্যরা। এসব গো-খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করছে মিল্ক ভিটা। বর্তমানে খামারিদের প্রতি লিটার দুধের দাম দেওয়া হচ্ছে ৪৫-৪৭ টাকা, যা অন্যান্য দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ও খোলাবাজারের চেয়ে ৩৫-৩৮ টাকা কম।
শাহজাদপুর উপজেলার দক্ষিণ বাঙলাপাড়া দুগ্ধ সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল করিম সরদার বলেন, ‘গরু-বাছুর পেইলে অব্যেশ, তাই পালি। মিল্ক ভিটা ৪৫-৪৭ টাকা লিটারে দাম দেয়। গরু পালা কষ্ট হয়ে পড়েছে। বাপ-দাদার অভ্যেস, তাই ছাড়তে পারি না। ভুসি, খৈল, মসুর, ফিড সবকিছুর প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা সর্বনিম্ন দাম। খরচ অনেক বেশি বলে গরু পালা আমাদের কঠিন হয়ে গেছে।’
খামারি আজিজুল সরকার বলেন, ‘খৈল-ভুসির দাম আগে কম ছিল; এখন বস্তাপ্রতি ১৮০০-২০০০ টাকা। দুধে পোষায় না। দুধের দাম যদি ৬৫-৭০ টাকা হইত তাহলে আমাদের পোষাইত। কিন্তু এখন আমাদের ঘাটতি হচ্ছে। গরু পালা হচ্ছে; কিন্তু আমারে কিছুই থাকছে না।’ মিল্ক ভিটা লাভ খেয়ে নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পদ্মমারী আন্নির বাথান এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যে এখন অনেক ভেজাল আছে। কীভাবে আমরা সঠিক খাদ্য পাব, সেইটা সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের দাবি, দুধের দাম বাড়ানো এবং গোখাদ্যের মূল্য কমানো, তাহলে খামারিরা বাঁচবে।’
মিল্ক ভিটার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে মিল্ক ভিটা ধ্বংস করা হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর চাচাকে মিল্ক ভিটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেন্দ্রীয় সমিতি বাতিল করব। চালু করা হবে প্রাথমিক সমিতি। খামারিদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে স্বল্পপরিমাণে লিজমূল্যে শত শত বিঘা গোচারণ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। খামারিদের রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে গোখাদ্যের মূল্য অনুযায়ী দুধের দাম নির্ধারণ করা হবে। আগে ভর্তুতি দেওয়া হতো। সেটাও বিগত সরকারের আমলে বন্ধ করা হয়েছে। আমরা ভর্তুকি দেব। খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করব। খামারি যেন দুধের ন্যায্য মূল্য পান, এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।’

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার দুধের দাম ৯০ টাকা। অন্যান্য অনেক কোম্পানিও ৯০-১০০ টাকায় দুধ বিক্রি করে। সে হিসাবে মিল্ক ভিটা বেশি লাভ করছে।
খামারিরা বলছেন, খৈল, ভুসি, মসুর, ফিড, ওষুধসহ গোখাদ্যের দাম বাড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খামারিদের দুধের দাম বাড়িয়ে থাকে। কিন্তু মিল্ক ভিটা বেশি দাম না দেওয়ায় তাঁদের সমিতিভুক্ত খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ক্রমাগত লোকসানের মুখে মিল্ক ভিটার সমিতিভুক্ত খামারিরা।
মিল্ক ভিটা ও খামারি সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা করা হয় এই অঞ্চলে। এরপর সেখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। বর্তমানে এসব খামারের ৪ লক্ষাধিক গবাদিপশু থেকে উৎপাদিত দুধ দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে। আর এই গাভি পালন করে সচ্ছলতা এসেছিল এখানকার মানুষের।
কিন্তু বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। ক্রমাগত গোখাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পেলেও মিল্ক ভিটা দুধের দাম না বাড়াচ্ছে না। এ ছাড়া উচ্চমূল্যে কেনা অধিকাংশ গোখাদ্যে রয়েছে ভেজাল। আর লোকসানে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় গবাদিপশু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক খামারি।
মিল্ক ভিটা বাঘাবাড়ীঘাট কারখানার আওতায় এই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি সমবায় সমিতি। এসব সমিতির আওতায় বর্তমানে প্রায় ৮০ হাজার গবাদিপশু লালনপালন করছেন সমিতির সদস্যরা। এসব গো-খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করছে মিল্ক ভিটা। বর্তমানে খামারিদের প্রতি লিটার দুধের দাম দেওয়া হচ্ছে ৪৫-৪৭ টাকা, যা অন্যান্য দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান ও খোলাবাজারের চেয়ে ৩৫-৩৮ টাকা কম।
শাহজাদপুর উপজেলার দক্ষিণ বাঙলাপাড়া দুগ্ধ সমবায় সমিতির সদস্য আব্দুল করিম সরদার বলেন, ‘গরু-বাছুর পেইলে অব্যেশ, তাই পালি। মিল্ক ভিটা ৪৫-৪৭ টাকা লিটারে দাম দেয়। গরু পালা কষ্ট হয়ে পড়েছে। বাপ-দাদার অভ্যেস, তাই ছাড়তে পারি না। ভুসি, খৈল, মসুর, ফিড সবকিছুর প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা সর্বনিম্ন দাম। খরচ অনেক বেশি বলে গরু পালা আমাদের কঠিন হয়ে গেছে।’
খামারি আজিজুল সরকার বলেন, ‘খৈল-ভুসির দাম আগে কম ছিল; এখন বস্তাপ্রতি ১৮০০-২০০০ টাকা। দুধে পোষায় না। দুধের দাম যদি ৬৫-৭০ টাকা হইত তাহলে আমাদের পোষাইত। কিন্তু এখন আমাদের ঘাটতি হচ্ছে। গরু পালা হচ্ছে; কিন্তু আমারে কিছুই থাকছে না।’ মিল্ক ভিটা লাভ খেয়ে নিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পদ্মমারী আন্নির বাথান এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যে এখন অনেক ভেজাল আছে। কীভাবে আমরা সঠিক খাদ্য পাব, সেইটা সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের দাবি, দুধের দাম বাড়ানো এবং গোখাদ্যের মূল্য কমানো, তাহলে খামারিরা বাঁচবে।’
মিল্ক ভিটার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে মিল্ক ভিটা ধ্বংস করা হয়েছে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর চাচাকে মিল্ক ভিটার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা কেন্দ্রীয় সমিতি বাতিল করব। চালু করা হবে প্রাথমিক সমিতি। খামারিদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে স্বল্পপরিমাণে লিজমূল্যে শত শত বিঘা গোচারণ ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। খামারিদের রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে গোখাদ্যের মূল্য অনুযায়ী দুধের দাম নির্ধারণ করা হবে। আগে ভর্তুতি দেওয়া হতো। সেটাও বিগত সরকারের আমলে বন্ধ করা হয়েছে। আমরা ভর্তুকি দেব। খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করব। খামারি যেন দুধের ন্যায্য মূল্য পান, এজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব।’

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করছে লিটারপ্রতি ৪৫-৪৭ টাকায়। অথচ দুধ সংগ্রহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ খোলাবাজারে ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মিল্ক ভিটার প্যাকেটজাত ১ লিটার
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২১ ঘণ্টা আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে