আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

এল নিনোর প্রভাবে দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বেশি ভুগছে গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।
কিন্তু এর বিপরীতে সর্বোচ্চ উৎপাদন গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ফলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে। এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতি সরকার জেলা ও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং করে সমাধানের চেষ্টা করছে। এতে ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।
পিডিবি জানিয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারার প্রধান কারণ, তাদের হাতে অর্থ নেই। সংস্থাটির কাছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা।
ডলার-সংকটের কারণে এই পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না পিডিবি। কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার-সংকট মোকাবিলা করতে না পারলে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকবে সরকার।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় ভাবনা কী জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। টাকা পাওয়া গেলে এই গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সংকট হবে না।’
৪১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া, পাওনাদার কারা বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাবদ দেশে-বিদেশে পিডিবির বকেয়া পড়েছে প্রায় ৪১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি, বেসরকারি ও দেশি-বিদেশি যৌথ কোম্পানির পাওনা ৩৭ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। আর পেট্রোবাংলার অধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসারের (আইপিপি) মালিকেরা পিডিবির কাছে পাবে ১৫ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। দেশের অভ্যন্তরে থাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পাবে ৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পাবে ৪ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। আর দেশের সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পিডিবির কাছে পাবে ৯ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ভারত থেকে পিডিবি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যে বিদ্যুৎ আমদানি করে, সেখানেও ১ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
ভারতের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ আদানির ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ধারাবাহিকভাবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, আদানির টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় তারা একটি ইউনিট বন্ধ রেখেছিল। বাকি একটা ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আসছিল। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দৌড়াদৌড়ির কারণে শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড় করাতে পেরেছে। আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট দেওয়া শুরু করেছে।
পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে দেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ ইউনাইটেডের বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পিডিবির কাছে পাওনা দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। এই কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের সমান মালিকানা রয়েছে। কেন্দ্রটির জ্বালানি ও বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। গত ৯ মাস কেন্দ্রটিকে সেই বিল পরিশোধ করতে পারেনি পিডিবি।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রটির অর্ধেক মালিক সিএমসি নিজের টাকায় কয়লা কিনে কেন্দ্রটিকে দিয়ে থাকে, সেই কয়লার অর্থ ৬ মাস পরে দেওয়া যায়। নির্ধারিত ওই ছয় মাসও শেষ হয়েছে আরও তিন মাস আগে। কিন্তু টাকা পায়নি সিএমসি। ফলে কেন্দ্রটিতে কয়লা সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
উত্তরবঙ্গের বড় ভরসা পিডিবির বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াটের তিনটি ইউনিট। ১২৫ মেগাওয়াট একটি ইউনিটের সংস্কারকাজ চলছে, বাকি দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে কয়লার অভাবে। এই গ্রীষ্মে আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হলে গোটা উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে, এমনকি কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে এমন অনিশ্চয়তা নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে ঠিকই, কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারবে না। কারণ, প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, এর ব্যয় বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এসব অর্থ পরিশোধের ক্ষমতা পিডিবির নেই। এখন কেন্দ্র বসে থাকবে, সেই বসে থাকা কেন্দ্রের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হবে। কিন্তু মানুষ গ্রীষ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে না।

এল নিনোর প্রভাবে দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বেশি ভুগছে গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।
কিন্তু এর বিপরীতে সর্বোচ্চ উৎপাদন গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ফলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে। এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতি সরকার জেলা ও গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং করে সমাধানের চেষ্টা করছে। এতে ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না।
পিডিবি জানিয়েছে, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে না পারার প্রধান কারণ, তাদের হাতে অর্থ নেই। সংস্থাটির কাছে সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার কোটি টাকা।
ডলার-সংকটের কারণে এই পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না পিডিবি। কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার-সংকট মোকাবিলা করতে না পারলে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকবে সরকার।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় ভাবনা কী জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। টাকা পাওয়া গেলে এই গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সংকট হবে না।’
৪১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া, পাওনাদার কারা বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাবদ দেশে-বিদেশে পিডিবির বকেয়া পড়েছে প্রায় ৪১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি, বেসরকারি ও দেশি-বিদেশি যৌথ কোম্পানির পাওনা ৩৭ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। আর পেট্রোবাংলার অধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রেন্টাল ও ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসারের (আইপিপি) মালিকেরা পিডিবির কাছে পাবে ১৫ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা। দেশের অভ্যন্তরে থাকা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পাবে ৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। ভারতের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পাবে ৪ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। আর দেশের সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পিডিবির কাছে পাবে ৯ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ভারত থেকে পিডিবি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যে বিদ্যুৎ আমদানি করে, সেখানেও ১ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
ভারতের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ আদানির ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ধারাবাহিকভাবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, আদানির টাকা সময়মতো পরিশোধ না করায় তারা একটি ইউনিট বন্ধ রেখেছিল। বাকি একটা ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আসছিল। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের দৌড়াদৌড়ির কারণে শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড় করাতে পেরেছে। আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট দেওয়া শুরু করেছে।
পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে দেশের অন্যতম শিল্পগ্রুপ ইউনাইটেডের বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পিডিবির কাছে পাওনা দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। এই কেন্দ্রটিতে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের সমান মালিকানা রয়েছে। কেন্দ্রটির জ্বালানি ও বিদ্যুতের বিল বকেয়া আছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। গত ৯ মাস কেন্দ্রটিকে সেই বিল পরিশোধ করতে পারেনি পিডিবি।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রটির অর্ধেক মালিক সিএমসি নিজের টাকায় কয়লা কিনে কেন্দ্রটিকে দিয়ে থাকে, সেই কয়লার অর্থ ৬ মাস পরে দেওয়া যায়। নির্ধারিত ওই ছয় মাসও শেষ হয়েছে আরও তিন মাস আগে। কিন্তু টাকা পায়নি সিএমসি। ফলে কেন্দ্রটিতে কয়লা সরবরাহ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
উত্তরবঙ্গের বড় ভরসা পিডিবির বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫২৫ মেগাওয়াটের তিনটি ইউনিট। ১২৫ মেগাওয়াট একটি ইউনিটের সংস্কারকাজ চলছে, বাকি দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে কয়লার অভাবে। এই গ্রীষ্মে আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হলে গোটা উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে, এমনকি কৃষি উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে এমন অনিশ্চয়তা নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সিনিয়র সহসভাপতি ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে ঠিকই, কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারবে না। কারণ, প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, এর ব্যয় বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এসব অর্থ পরিশোধের ক্ষমতা পিডিবির নেই। এখন কেন্দ্র বসে থাকবে, সেই বসে থাকা কেন্দ্রের ভাড়া বা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট দিতে হবে। কিন্তু মানুষ গ্রীষ্মে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে না।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

এল নিনোর প্রভাবে দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বেশি ভুগছে গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।
২১ এপ্রিল ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এল নিনোর প্রভাবে দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বেশি ভুগছে গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।
২১ এপ্রিল ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

এল নিনোর প্রভাবে দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বেশি ভুগছে গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।
২১ এপ্রিল ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
২ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

এল নিনোর প্রভাবে দেশজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। বেশি ভুগছে গ্রামের মানুষ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) তথ্য বলছে, সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৭ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াট।
২১ এপ্রিল ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে