নুরুল আমিন হাসান, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরে র্যাবের গোয়েন্দা পরিচয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সার্জেন্ট মিজানুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান। তখন জাহাঙ্গীর জানান, তাঁর কাছে একটি স্বর্ণের বার আছে। ওই সময় গোয়েন্দা মিজান স্বর্ণের বারটি তাঁর কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন জাহাঙ্গীরকে এবং কিছু টাকা দিলে বারটি বিমানবন্দরের বাইরে বের করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক হওয়ায় সহজে বিশ্বাস করে ওই প্রবাসী যাত্রী মিজানকে কাস্টম পার করার জন্য দিয়ে দেন। পরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার করে স্বর্ণের বারের আশায় দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি এভিয়েশন সিকিউরিটিকে (এভসেক) জানান তিনি।
অতঃপর সিসিটিভির ফুটেজ শনাক্ত করে র্যাবের গোয়েন্দা মিজানকে শনাক্ত করে অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বারটি প্রবাসী যাত্রীকে ফেরত দিতে বলা হয়। পরে এভসেকের সামনে বারটি প্রবাসীকে ফেরত দিলে সেটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ডিএম করে। অপরদিকে র্যাবের ওই গোয়েন্দাকে র্যাব-১ হেফাজতে দেওয়া হয়।
এদিকে র্যাবের বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকা'কে জানায়, র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর দেহ তল্লাশি করে পরিহিত কালো রঙের ব্লেজারের ডান পকেটে থাকা মোবাইল কাভারের ভেতর থেকে কালো রঙের স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি এবং জামার বুকপকেট থেকে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলোর প্রতিটির গায়ে ইংরেজিতে NAIF, 10 TOLAS FINE GOLD, 999.9 লেখা রয়েছে। দশটি বারের ওজন ১০০ তোলা এবং এর বাজারমূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে দুটি অপো মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বর্ণের বারের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মিজান। পরে ২০ মার্চ শেষ রাতে এসব বার ও মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব। সেই সঙ্গে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানান, স্বর্ণ চোরাচালানিদের বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দেশে স্বর্ণের বার আনার কাজে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
এ ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা শাখার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মুশফিকুর রহমান বাদী হয়ে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় সার্জেন্ট মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দেন। সেই সঙ্গে মিজানুর রহমানকে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সেনাবাহিনীর ওই সার্জেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আশুরহাট গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি যশোর সেনানিবাসের ১৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান সোমবার (২৪ মার্চ) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো সরকারি চাকরি করি। সিভিলিয়ান না। সেও (আসামি) চাকরি করে। এ জন্য এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।’
অপরদিকে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ শামীম আহমেদ একই দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে মামলার পর রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
কত দিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত এবং চক্রের কতজন রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একটি একটি বিশাল সিন্ডিকেট। আমরা মাত্র তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছি। কিন্তু বিস্তারিত জানতে হলে আরও অনেক সময় প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছুই বলা যাবে না।’
অপরদিকে চোরাচালান ও চক্রের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বখতিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি জানান, সার্জেন্ট মিজানকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া সার্জেন্টের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত সার্জেন্ট মিজান। আর কয়েক বছর পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
আরও খবর পড়ুন:

দীর্ঘদিন ধরে র্যাবের গোয়েন্দা পরিচয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সার্জেন্ট মিজানুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান। তখন জাহাঙ্গীর জানান, তাঁর কাছে একটি স্বর্ণের বার আছে। ওই সময় গোয়েন্দা মিজান স্বর্ণের বারটি তাঁর কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন জাহাঙ্গীরকে এবং কিছু টাকা দিলে বারটি বিমানবন্দরের বাইরে বের করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক হওয়ায় সহজে বিশ্বাস করে ওই প্রবাসী যাত্রী মিজানকে কাস্টম পার করার জন্য দিয়ে দেন। পরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার করে স্বর্ণের বারের আশায় দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি এভিয়েশন সিকিউরিটিকে (এভসেক) জানান তিনি।
অতঃপর সিসিটিভির ফুটেজ শনাক্ত করে র্যাবের গোয়েন্দা মিজানকে শনাক্ত করে অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বারটি প্রবাসী যাত্রীকে ফেরত দিতে বলা হয়। পরে এভসেকের সামনে বারটি প্রবাসীকে ফেরত দিলে সেটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ডিএম করে। অপরদিকে র্যাবের ওই গোয়েন্দাকে র্যাব-১ হেফাজতে দেওয়া হয়।
এদিকে র্যাবের বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকা'কে জানায়, র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর দেহ তল্লাশি করে পরিহিত কালো রঙের ব্লেজারের ডান পকেটে থাকা মোবাইল কাভারের ভেতর থেকে কালো রঙের স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি এবং জামার বুকপকেট থেকে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলোর প্রতিটির গায়ে ইংরেজিতে NAIF, 10 TOLAS FINE GOLD, 999.9 লেখা রয়েছে। দশটি বারের ওজন ১০০ তোলা এবং এর বাজারমূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে দুটি অপো মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বর্ণের বারের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মিজান। পরে ২০ মার্চ শেষ রাতে এসব বার ও মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব। সেই সঙ্গে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানান, স্বর্ণ চোরাচালানিদের বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দেশে স্বর্ণের বার আনার কাজে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
এ ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা শাখার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মুশফিকুর রহমান বাদী হয়ে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় সার্জেন্ট মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দেন। সেই সঙ্গে মিজানুর রহমানকে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সেনাবাহিনীর ওই সার্জেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আশুরহাট গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি যশোর সেনানিবাসের ১৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান সোমবার (২৪ মার্চ) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো সরকারি চাকরি করি। সিভিলিয়ান না। সেও (আসামি) চাকরি করে। এ জন্য এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।’
অপরদিকে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ শামীম আহমেদ একই দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে মামলার পর রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
কত দিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত এবং চক্রের কতজন রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একটি একটি বিশাল সিন্ডিকেট। আমরা মাত্র তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছি। কিন্তু বিস্তারিত জানতে হলে আরও অনেক সময় প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছুই বলা যাবে না।’
অপরদিকে চোরাচালান ও চক্রের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বখতিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি জানান, সার্জেন্ট মিজানকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া সার্জেন্টের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত সার্জেন্ট মিজান। আর কয়েক বছর পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
আরও খবর পড়ুন:
নুরুল আমিন হাসান, ঢাকা

দীর্ঘদিন ধরে র্যাবের গোয়েন্দা পরিচয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সার্জেন্ট মিজানুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান। তখন জাহাঙ্গীর জানান, তাঁর কাছে একটি স্বর্ণের বার আছে। ওই সময় গোয়েন্দা মিজান স্বর্ণের বারটি তাঁর কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন জাহাঙ্গীরকে এবং কিছু টাকা দিলে বারটি বিমানবন্দরের বাইরে বের করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক হওয়ায় সহজে বিশ্বাস করে ওই প্রবাসী যাত্রী মিজানকে কাস্টম পার করার জন্য দিয়ে দেন। পরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার করে স্বর্ণের বারের আশায় দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি এভিয়েশন সিকিউরিটিকে (এভসেক) জানান তিনি।
অতঃপর সিসিটিভির ফুটেজ শনাক্ত করে র্যাবের গোয়েন্দা মিজানকে শনাক্ত করে অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বারটি প্রবাসী যাত্রীকে ফেরত দিতে বলা হয়। পরে এভসেকের সামনে বারটি প্রবাসীকে ফেরত দিলে সেটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ডিএম করে। অপরদিকে র্যাবের ওই গোয়েন্দাকে র্যাব-১ হেফাজতে দেওয়া হয়।
এদিকে র্যাবের বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকা'কে জানায়, র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর দেহ তল্লাশি করে পরিহিত কালো রঙের ব্লেজারের ডান পকেটে থাকা মোবাইল কাভারের ভেতর থেকে কালো রঙের স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি এবং জামার বুকপকেট থেকে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলোর প্রতিটির গায়ে ইংরেজিতে NAIF, 10 TOLAS FINE GOLD, 999.9 লেখা রয়েছে। দশটি বারের ওজন ১০০ তোলা এবং এর বাজারমূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে দুটি অপো মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বর্ণের বারের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মিজান। পরে ২০ মার্চ শেষ রাতে এসব বার ও মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব। সেই সঙ্গে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানান, স্বর্ণ চোরাচালানিদের বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দেশে স্বর্ণের বার আনার কাজে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
এ ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা শাখার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মুশফিকুর রহমান বাদী হয়ে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় সার্জেন্ট মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দেন। সেই সঙ্গে মিজানুর রহমানকে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সেনাবাহিনীর ওই সার্জেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আশুরহাট গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি যশোর সেনানিবাসের ১৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান সোমবার (২৪ মার্চ) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো সরকারি চাকরি করি। সিভিলিয়ান না। সেও (আসামি) চাকরি করে। এ জন্য এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।’
অপরদিকে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ শামীম আহমেদ একই দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে মামলার পর রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
কত দিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত এবং চক্রের কতজন রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একটি একটি বিশাল সিন্ডিকেট। আমরা মাত্র তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছি। কিন্তু বিস্তারিত জানতে হলে আরও অনেক সময় প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছুই বলা যাবে না।’
অপরদিকে চোরাচালান ও চক্রের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বখতিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি জানান, সার্জেন্ট মিজানকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া সার্জেন্টের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত সার্জেন্ট মিজান। আর কয়েক বছর পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
আরও খবর পড়ুন:

দীর্ঘদিন ধরে র্যাবের গোয়েন্দা পরিচয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সার্জেন্ট মিজানুর রহমান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান। তখন জাহাঙ্গীর জানান, তাঁর কাছে একটি স্বর্ণের বার আছে। ওই সময় গোয়েন্দা মিজান স্বর্ণের বারটি তাঁর কাছে দিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন জাহাঙ্গীরকে এবং কিছু টাকা দিলে বারটি বিমানবন্দরের বাইরে বের করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক হওয়ায় সহজে বিশ্বাস করে ওই প্রবাসী যাত্রী মিজানকে কাস্টম পার করার জন্য দিয়ে দেন। পরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস পার করে স্বর্ণের বারের আশায় দীর্ঘক্ষণ বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করেন জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে বিষয়টি এভিয়েশন সিকিউরিটিকে (এভসেক) জানান তিনি।
অতঃপর সিসিটিভির ফুটেজ শনাক্ত করে র্যাবের গোয়েন্দা মিজানকে শনাক্ত করে অফিসে ডেকে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বারটি প্রবাসী যাত্রীকে ফেরত দিতে বলা হয়। পরে এভসেকের সামনে বারটি প্রবাসীকে ফেরত দিলে সেটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী ডিএম করে। অপরদিকে র্যাবের ওই গোয়েন্দাকে র্যাব-১ হেফাজতে দেওয়া হয়।
এদিকে র্যাবের বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকা'কে জানায়, র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর দেহ তল্লাশি করে পরিহিত কালো রঙের ব্লেজারের ডান পকেটে থাকা মোবাইল কাভারের ভেতর থেকে কালো রঙের স্কচ টেপে মোড়ানো অবস্থায় ৮টি এবং জামার বুকপকেট থেকে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলোর প্রতিটির গায়ে ইংরেজিতে NAIF, 10 TOLAS FINE GOLD, 999.9 লেখা রয়েছে। দশটি বারের ওজন ১০০ তোলা এবং এর বাজারমূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর কাছ থেকে দুটি অপো মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এসব স্বর্ণের বারের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মিজান। পরে ২০ মার্চ শেষ রাতে এসব বার ও মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব। সেই সঙ্গে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মিজান জানান, স্বর্ণ চোরাচালানিদের বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দেশে স্বর্ণের বার আনার কাজে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
এ ঘটনায় র্যাব গোয়েন্দা শাখার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মুশফিকুর রহমান বাদী হয়ে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় সার্জেন্ট মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দেন। সেই সঙ্গে মিজানুর রহমানকে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া সেনাবাহিনীর ওই সার্জেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আশুরহাট গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে। তিনি যশোর সেনানিবাসের ১৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট র্যাব সদর দপ্তরের প্রেষণে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান সোমবার (২৪ মার্চ) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি তো সরকারি চাকরি করি। সিভিলিয়ান না। সেও (আসামি) চাকরি করে। এ জন্য এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।’
অপরদিকে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মুহাম্মদ শামীম আহমেদ একই দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে মামলার পর রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
কত দিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত এবং চক্রের কতজন রয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘একটি একটি বিশাল সিন্ডিকেট। আমরা মাত্র তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছি। কিন্তু বিস্তারিত জানতে হলে আরও অনেক সময় প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে এখন বিস্তারিত কিছুই বলা যাবে না।’
অপরদিকে চোরাচালান ও চক্রের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বখতিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে একই কথা বলেন। তিনি জানান, সার্জেন্ট মিজানকে রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া সার্জেন্টের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত সার্জেন্ট মিজান। আর কয়েক বছর পর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
আরও খবর পড়ুন:

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ, চাই সুষ্ঠু নির্বাচন, চাই যোগ্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করে সম্মিলিত নারী প্রয়াস।
সরকারের কাছে দাবি তুলে শামীমা তাসনিম বলেন, ‘সব দলের রাজনৈতিক সুযোগ রেখে সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সেটি ভয়ভীতি যেন না দেখানো হয়। মানে ভোট দিতে যে আমি যাব, যেন সুস্থ অবস্থায় ফেরত আসতে পারি।’
অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, বাংলাদেশে অতীতে যে দলই ক্ষমতায় এসেছে, তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করেছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে আমলা নিয়োগ এবং পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অতীতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।
কথায় ও কাজে সৎ এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, যিনি দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না, যিনি বাংলাদেশকে একমাত্র স্থায়ী ঠিকানা মনে করবেন এবং বিদেশে কোনো ‘সেকেন্ড হোম’ রাখবেন না, আধিপত্যবিরোধী হবেন—এমন নেতৃত্ব আনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়ামা ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সেক্রেটারি ড. ফেরদৌস আরা খানম, সহকারী সম্পাদক মাহসিনা মমতাজ মারিয়া, লেকচারার ড. জেবুন্নেসা, ড. মেহের আফরোজ লুৎফা, জান্নাতুন নাইম প্রমি প্রমুখ।

সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান।
২৪ মার্চ ২০২৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) শিক্ষক নেটওয়ার্কের ‘ক্যাম্পাসে ছাত্র প্রতিনিধিদের এখতিয়ারবহির্ভূত তৎপরতা বন্ধ হোক’ শিরোনামে দেওয়া বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় এই আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই বিবৃতির মন্তব্যে আম্মার লেখেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি কমেন্ট করেছি, ডিলিট করি নাই। তাঁরা (শিক্ষক নেটওয়ার্ক) আমার কাজকে যদি অপতৎপরতা হিসেবে দেখের, তাহলে আমিও তাঁদের বিবৃতি সন্দেহের চোখে দেখি। তাঁরা আমাকে একটি আহ্বান জানিয়েছেন, আমিও তাঁদের আহ্বান জানিয়েছি। তাঁরা এটাকে স্বাধীনতা হিসেবে দেখলে, আমিও আমার স্বাধীনতা প্রকাশ করছি।’
শিক্ষক নেটওয়ার্কের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে নানা ধরনের মবপ্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ডিনদের পদত্যাগ করানো, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হয়রানি তৎপরতা চলমান আছে। রাকসুর জিএস প্রশাসনের কাছে জবাবদিহি না চেয়ে বরং ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবি করেন। কেবল তা-ই নয়, নিজেই যেন “প্রশাসন” হয়ে অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাষায় ডিনদের বিরুদ্ধে হুমকি দেন, এমনকি এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে নিজে পদত্যাগপত্র লিখে এনে বিভিন্ন বিভাগে গিয়ে ডিনদের খুঁজতে থাকেন, সম্ভবত লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে। মোট ১২ জন ডিনের প্রত্যেকেই গত আওয়ামী শাসনামলে নির্বাচিত হলেও, বাকি ছয়জন হয়তো রাকসু জিএসের বিবেচনায় “রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ”, ফলে তাঁদের পদত্যাগের দাবি ওঠেনি, তাঁদের নিয়ে অবমাননাকর কিছু বলাও হয়নি। এই উদ্ভূত অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে “প্রগতিশীল শিক্ষক” হিসেবে পরিচিত ছয়জন ডিন দায়িত্ব পালতে অপারগতা প্রকাশ করেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যা করছেন, তা রাকসুর এখতিয়ারবহির্ভূত এবং তাঁদের আচরণও আগ্রাসী ও সন্ত্রাসীদের মতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা এর জবাবদিহি প্রত্যাশা করি। কেননা, রাকসুর নেতৃবৃন্দের এ রকম আচরণ কেবল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেনি; এটা সরাসরি বিদ্যায়তনিক স্বাধীনতার ওপরে হামলা। এর “স্পাইরাল ইফেক্ট” পড়েছে সারা দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।’
সার্বিক বিষয়ে রাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য সৌভিক রেজা বলেন, ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। যদি ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে চাকরি চলে যেত বা পদচ্যুত করানো হতো তাহলে তো শিক্ষক নেটওয়ার্কের অনেকেরই আওয়ামী আমলে চাকরি চলে যেত। ৭৩-এর অধ্যাদেশ আমাদেরকে একটা রক্ষাকবজ দিয়েছে, যে কারণে আমরা শিক্ষকেরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার পরও আমাদের চাকরি চলে যায়নি।’
সৌভিক রেজা আরও বলেন, ‘ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষক কর্মকর্তাদের গাছে বেঁধে রাখা, চাকরিচ্যুত কিংবা জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো একজন শিক্ষার্থীর এখতিয়ারের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও এ ক্ষমতা রাখেন না। তবে শিক্ষকেরা কিন্তু আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনানুযায়ী তাঁদের শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, তবে মব সৃষ্টি করে নয়। কেউ যদি সরাসরি হামলা বা দালালি করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু একজন নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি এভাবে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন না।’

সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান।
২৪ মার্চ ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের মো. ইজ্জতুল্লাহ, জাতীয় পার্টির জিয়াউর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের শেখ মো. রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম।
আর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এস এম মুজিবর রহমান ওরফে সরদার মুজিব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। পরে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগে মাগফুর রহমান নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহাম্মদ আব্দুল খালেক, বিএনপির মো. আব্দুর রউফ, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান ও মাতলুব হোসেন।
এ ছাড়া এলডিপির শফিকুল ইসলাম শাহেদ, ইসলামী আন্দোলনের মুফতি রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের মো. ইদ্রিস আলী ও এবি পার্টির জিএম সালাউদ্দীন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের মুহা. রবিউল ইসলাম, বিএনপির কাজী আলাউদ্দীন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিপ হোসেন।
এ ছাড়া মাইনরিটি জনতা পার্টির রুবেল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের ওয়েজ কুরনী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এম এ আসফউদ্দৌলা খান, আসলাম আল মেহেদী ও ডা. শহিদুল আলম (বিএনপির বিদ্রোহী) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মো. মনিরুজ্জামান ও জাতীয় পার্টির হুসেইন মো. মায়াজ, গণঅধিকার পরিষদের এইচ এম গোলাম রেজা, ইসলামী আন্দোলনের মোস্তফা আল মামুন ও আব্দুল ওয়াহেদ (বিএনপির বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান।
২৪ মার্চ ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেভোলা প্রতিনিধি

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে সোমবার বিকেলে ভোলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বিজেপি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ছাত্রদলের নেতা সিফাত হত্যার প্রতিবাদ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন অভিযোগ করেন, মিছিলটি নতুন বাজার এলাকায় বিজেপি অফিসের সামনে পৌঁছালে সেখান থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা বিজেপি অফিসে হামলা চালায়।
বিজেপির অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সামছুল আলম অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁদের দলীয় অফিস বন্ধ ছিল। বিজেপির জনসমর্থনে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজেপি অফিসে হামলা কিংবা কোনো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’ তিনি আরও জানান, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেটা এখনো পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।
ভোলার জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।’

সৌদি আরব থেকে বিজি-৩৪০ ফ্লাইটে গত বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার জনাব আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই সময় প্রবাসী জাহাঙ্গীর ইমিগ্রেশনে যাওয়ার সময় রাতের শিফটে ডিউটিরত মিজানুর রহমান গোয়েন্দা পরিচয়ে কোনো অবৈধ মালপত্র আছে কি না, জানতে চান।
২৪ মার্চ ২০২৫
স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব দলের জন্য সমান প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির দাবি জানিয়েছেন সম্মিলিত নারী প্রয়াস সংগঠনের সভানেত্রী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিম।
১ ঘণ্টা আগে
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে রাকসুর জিএস ভব্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে বারবার ঘোষণা করতে থাকেন, লীগপন্থী শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে ঢুকলে কলার ধরে টেনে এনে প্রশাসন ভবনের সামনে বেঁধে রাখা হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ নেতাসহ ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিজ নিজ মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে