সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

২০১৪ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যে হরতাল ও অবরোধের মতো কোনো রাজনৈতিক বাধা আসেনি।। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘাতের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এরই মধ্যে এক দিনের হরতাল পালিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর তিন দিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
একই সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরা।
রাজনৈতিক সহিংসতায় এরই মধ্যে পুলিশসহ প্রায় ১০ জন এবং শ্রমিক অসন্তোষে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও উদ্বেগ জানিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা–বাণিজ্যের সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে।
আজকের পত্রিকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?
মাহবুবুল আলম: ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ হরতাল, অবরোধ-মুক্ত ছিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক ছিল। কয়েক দিন আগেও এফবিসিসিআই সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে।
অর্থনীতির সব সূচক বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, ২০১৩-১৪ সালের দিকে এক দিনের হরতালে দৈনিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান দেশের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় এখন এক দিন হরতাল হলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বর্তমান অর্থনীতির আকার ৪৫৭ বিলিয়ন ডলার। আমরা এখন দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে নিতে চাই। এই অবস্থায় হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চললে আমাদের অর্থনীতি ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়বে।
এই হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের সরবরাহ চেইনও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত— রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। একদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যও অস্থিশীল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতি এমনিতে চাপে আছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে যদি রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে এখন যেই সমস্যা আছে সেটা রাজনৈতিক। এই সমস্যা নিরসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এগিয়ে আসার জন্য বলছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
মাহবুবুল আলম: সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান হচ্ছে, আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। আমরা চাই, দেশে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করুক। দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সব দলের দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি, এখানে সরকারের দায়িত্বটা বেশি। তবে সরকারের পাশাপাশি যারা বিরোধী দলে আছে তাদেরও দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি, দেশে রাজনৈতিক সহিষ্ণু পরিবেশ থাকা উচিত, যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়। আমার আশা, সরকার এই দিকে দৃষ্টি দেবে এবং দেশের ব্যবসায়ীদেরই ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়ক পরিবেশ দেবে। বিরোধী দলের উচিত, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা।
আজকের পত্রিকা: হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি যদি ভবিষ্যতেও চলতে থাকে তাহলে পণ্য সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হলে রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মাহবুবুল আলম: যেকোনো দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে বিদেশিদের কাছে ইতিবাচক ধারণা যায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ, রপ্তানি ক্রয়াদেশ। যদি কোনো ক্রেতা মনে করে আমি পণ্য কেনার জন্য অর্ডার দিলেও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ঠিকমতো পণ্য পাব না, তাহলে তারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের এই রাজনৈতিক সহিংসতার মাঝে দেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ভাবমূর্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। আমি আগেও বলেছি। আবারও বলছি।
অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ও রপ্তানির চাহিদা মেটাতে আমাদের অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। যদি অবরোধ ও হরতালের মতো পরিস্থিতির কারণে বন্দর থেকে পণ্য আনা–নেওয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে অর্থনীতি সার্বিকভাবে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দিন শেষে জিনিসের দাম বাড়বে, ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে রাজনৈতিক কারণে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা–বাণিজ্য সচল রাখার জন্য সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করার কথা ভেবেছেন কি না?
মাহবুবুল আলম: ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নিয়ে দুই দলের প্রতি আমাদের আহ্বান ছিল— তারা সভা–সমাবেশ করে নিজেদের বক্তব্য পেশ করবে। কিন্তু এর মধ্যে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলে এসেছে। আমরা এখন দেখছি, এই রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণটা কী রকম। আমরা যদি দেখি, ভবিষ্যতে আরও কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি আসছে, তাহলে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেব।
আজকের পত্রিকা: শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। পোশাক খাতে শ্রমিকদের আন্দোলন চলতে থাকলে রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার বিষয়ে আপনার মতামত কী?
মাহবুবুল আলম: তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির চলমান আন্দোলন নিয়ে আমি বিজিএমইএর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বিজিএমইএ শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল পক্ষ একটা যৌক্তিক সমাধানে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, সবাই পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে একটা সমাধানে আসবে।
আজকের পত্রিকা: মজুরি বোর্ডে তৈরি পোশাক খাতের মালিক প্রতিনিধি বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। যেই মজুরি বিজিএমইএ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি দিয়ে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামের মতো শহরে ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব?
মাহবুবুল আলম: আমি তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনো হোমওয়ার্ক করিনি। বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অন্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে ১০ হাজার ৪০০ টাকা বেশি না। এই অবস্থায় অবশ্যই আমি চাইব, শ্রমিকেরা যাতে তাদের ন্যায্য মজুরিটা পায়। আমার আশা, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সব পক্ষ তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে। একই সঙ্গে বর্তমানে পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ, আনুষঙ্গিক খরচ এবং ব্যাংক ঋণ— এই বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর আমাদের রপ্তানি নির্ভর করছে। মালিকদের স্বার্থও অক্ষুণ্ন রেখে শ্রমিকদের মজুরি যথাযথভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে এই খাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
আজকের পত্রিকা: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশিদের মনোভাব কী দেখছেন; বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের।
মাহবুবুল আলম: আমরা অনেক দিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে ছিলাম। গত দুই দিনে পরিস্থিতিটা হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে গেল। আমি এখনো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে ইতিবাচক–নেতিবাচক তেমন কিছুই শুনিনি। তবে তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এত তাড়াতাড়ি তারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। একটু সময় লাগবে। আমি আশা করি, বর্তমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সব দলের নেতাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। একটা সমঝোতায় তাঁরা আসবেন।
২০১৪ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যে হরতাল ও অবরোধের মতো কোনো রাজনৈতিক বাধা আসেনি।। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘাতের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এরই মধ্যে এক দিনের হরতাল পালিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর তিন দিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
একই সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরা।
রাজনৈতিক সহিংসতায় এরই মধ্যে পুলিশসহ প্রায় ১০ জন এবং শ্রমিক অসন্তোষে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও উদ্বেগ জানিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা–বাণিজ্যের সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে।
আজকের পত্রিকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?
মাহবুবুল আলম: ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ হরতাল, অবরোধ-মুক্ত ছিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক ছিল। কয়েক দিন আগেও এফবিসিসিআই সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে।
অর্থনীতির সব সূচক বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, ২০১৩-১৪ সালের দিকে এক দিনের হরতালে দৈনিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান দেশের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় এখন এক দিন হরতাল হলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বর্তমান অর্থনীতির আকার ৪৫৭ বিলিয়ন ডলার। আমরা এখন দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে নিতে চাই। এই অবস্থায় হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চললে আমাদের অর্থনীতি ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়বে।
এই হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের সরবরাহ চেইনও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত— রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। একদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যও অস্থিশীল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতি এমনিতে চাপে আছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে যদি রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে এখন যেই সমস্যা আছে সেটা রাজনৈতিক। এই সমস্যা নিরসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এগিয়ে আসার জন্য বলছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
মাহবুবুল আলম: সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান হচ্ছে, আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। আমরা চাই, দেশে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করুক। দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সব দলের দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি, এখানে সরকারের দায়িত্বটা বেশি। তবে সরকারের পাশাপাশি যারা বিরোধী দলে আছে তাদেরও দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি, দেশে রাজনৈতিক সহিষ্ণু পরিবেশ থাকা উচিত, যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়। আমার আশা, সরকার এই দিকে দৃষ্টি দেবে এবং দেশের ব্যবসায়ীদেরই ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়ক পরিবেশ দেবে। বিরোধী দলের উচিত, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা।
আজকের পত্রিকা: হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি যদি ভবিষ্যতেও চলতে থাকে তাহলে পণ্য সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হলে রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মাহবুবুল আলম: যেকোনো দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে বিদেশিদের কাছে ইতিবাচক ধারণা যায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ, রপ্তানি ক্রয়াদেশ। যদি কোনো ক্রেতা মনে করে আমি পণ্য কেনার জন্য অর্ডার দিলেও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ঠিকমতো পণ্য পাব না, তাহলে তারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের এই রাজনৈতিক সহিংসতার মাঝে দেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ভাবমূর্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। আমি আগেও বলেছি। আবারও বলছি।
অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ও রপ্তানির চাহিদা মেটাতে আমাদের অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। যদি অবরোধ ও হরতালের মতো পরিস্থিতির কারণে বন্দর থেকে পণ্য আনা–নেওয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে অর্থনীতি সার্বিকভাবে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দিন শেষে জিনিসের দাম বাড়বে, ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে রাজনৈতিক কারণে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা–বাণিজ্য সচল রাখার জন্য সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করার কথা ভেবেছেন কি না?
মাহবুবুল আলম: ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নিয়ে দুই দলের প্রতি আমাদের আহ্বান ছিল— তারা সভা–সমাবেশ করে নিজেদের বক্তব্য পেশ করবে। কিন্তু এর মধ্যে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলে এসেছে। আমরা এখন দেখছি, এই রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণটা কী রকম। আমরা যদি দেখি, ভবিষ্যতে আরও কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি আসছে, তাহলে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেব।
আজকের পত্রিকা: শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। পোশাক খাতে শ্রমিকদের আন্দোলন চলতে থাকলে রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার বিষয়ে আপনার মতামত কী?
মাহবুবুল আলম: তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির চলমান আন্দোলন নিয়ে আমি বিজিএমইএর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বিজিএমইএ শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল পক্ষ একটা যৌক্তিক সমাধানে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, সবাই পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে একটা সমাধানে আসবে।
আজকের পত্রিকা: মজুরি বোর্ডে তৈরি পোশাক খাতের মালিক প্রতিনিধি বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। যেই মজুরি বিজিএমইএ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি দিয়ে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামের মতো শহরে ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব?
মাহবুবুল আলম: আমি তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনো হোমওয়ার্ক করিনি। বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অন্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে ১০ হাজার ৪০০ টাকা বেশি না। এই অবস্থায় অবশ্যই আমি চাইব, শ্রমিকেরা যাতে তাদের ন্যায্য মজুরিটা পায়। আমার আশা, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সব পক্ষ তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে। একই সঙ্গে বর্তমানে পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ, আনুষঙ্গিক খরচ এবং ব্যাংক ঋণ— এই বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর আমাদের রপ্তানি নির্ভর করছে। মালিকদের স্বার্থও অক্ষুণ্ন রেখে শ্রমিকদের মজুরি যথাযথভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে এই খাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
আজকের পত্রিকা: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশিদের মনোভাব কী দেখছেন; বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের।
মাহবুবুল আলম: আমরা অনেক দিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে ছিলাম। গত দুই দিনে পরিস্থিতিটা হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে গেল। আমি এখনো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে ইতিবাচক–নেতিবাচক তেমন কিছুই শুনিনি। তবে তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এত তাড়াতাড়ি তারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। একটু সময় লাগবে। আমি আশা করি, বর্তমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সব দলের নেতাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। একটা সমঝোতায় তাঁরা আসবেন।

শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৫ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৭ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
চার দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ২২০টি স্টল থাকছে। মেলায় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে রিহ্যাব।
মেলায় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাট বা প্লট বিক্রির প্রস্তাবের সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণাও তুলে ধরছেন। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ আবাসন খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যা ক্রেতাদের অভিজ্ঞতায় আনছে নতুন মাত্রা। থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণেই পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ফ্ল্যাট কেমন হবে, তা বুঝতে ক্রেতাদের ব্রশিউর ও নকশার ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এবার থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণেই তাঁদের পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন। এতে ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ও বাস্তবসম্মত হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এবার নিজস্ব ডিজিটাল সেলস প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে।
এ ছাড়া মেলায় এমন বহু প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে স্মার্ট লক, অটোমেটেড লাইটিং, স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির ফলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দেশ গঠনে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবাসন খাতে নানা পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত থাকলেও বাস্তবে ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্ব উদ্যোক্তা ও নির্মাতাদের। দীর্ঘদিন ধরে আবাসন খাত নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে কিছুটা মন্দা থাকলেও এটি স্থায়ী নয়, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।
ডেভেলপারদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার কথা তুলে ধরে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, ডেভেলপাররা শুধু নিজেদের ব্যবসার কথা ভাবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ধারণা সঠিক নয়। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন, তবে সবাই একটি সুন্দর, পরিকল্পিত ও নিয়মের মধ্যে গড়ে ওঠা শহরই চান।’
বিশেষ অতিথি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সদস্য ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের ভালো জায়গায় সুন্দর একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার আগ্রহ বাড়ছে। আমরা নাগরিকদের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত্ আলী ভূঁইয়া আবাসন খাতের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন নাগরিকের পক্ষে হাউজিং লোন ছাড়া ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব। ক্রেতারা যাতে খুব সহজে এই ঋণ পেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য জানান তিনি। পরিকল্পিত ও আধুনিক বাসস্থান তৈরিতে গৃহঋণের অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিহ্যাবের পরিচালক ও মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মোক্তাদিরসহ আরও অনেকে।
প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এ বছরের মেলায় প্রতিদিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
চার দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ২২০টি স্টল থাকছে। মেলায় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে রিহ্যাব।
মেলায় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাট বা প্লট বিক্রির প্রস্তাবের সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণাও তুলে ধরছেন। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ আবাসন খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যা ক্রেতাদের অভিজ্ঞতায় আনছে নতুন মাত্রা। থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণেই পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ফ্ল্যাট কেমন হবে, তা বুঝতে ক্রেতাদের ব্রশিউর ও নকশার ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এবার থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণেই তাঁদের পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন। এতে ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ও বাস্তবসম্মত হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এবার নিজস্ব ডিজিটাল সেলস প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে।
এ ছাড়া মেলায় এমন বহু প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে স্মার্ট লক, অটোমেটেড লাইটিং, স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির ফলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দেশ গঠনে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবাসন খাতে নানা পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত থাকলেও বাস্তবে ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্ব উদ্যোক্তা ও নির্মাতাদের। দীর্ঘদিন ধরে আবাসন খাত নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে কিছুটা মন্দা থাকলেও এটি স্থায়ী নয়, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।
ডেভেলপারদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার কথা তুলে ধরে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, ডেভেলপাররা শুধু নিজেদের ব্যবসার কথা ভাবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ধারণা সঠিক নয়। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন, তবে সবাই একটি সুন্দর, পরিকল্পিত ও নিয়মের মধ্যে গড়ে ওঠা শহরই চান।’
বিশেষ অতিথি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সদস্য ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের ভালো জায়গায় সুন্দর একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার আগ্রহ বাড়ছে। আমরা নাগরিকদের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত্ আলী ভূঁইয়া আবাসন খাতের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন নাগরিকের পক্ষে হাউজিং লোন ছাড়া ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব। ক্রেতারা যাতে খুব সহজে এই ঋণ পেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য জানান তিনি। পরিকল্পিত ও আধুনিক বাসস্থান তৈরিতে গৃহঋণের অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিহ্যাবের পরিচালক ও মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মোক্তাদিরসহ আরও অনেকে।
প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এ বছরের মেলায় প্রতিদিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে।
৩১ অক্টোবর ২০২৩
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৫ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৭ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।
প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’
তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।
প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’
তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’
বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে।
৩১ অক্টোবর ২০২৩
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৭ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।
এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে।
৩১ অক্টোবর ২০২৩
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৫ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে।
৩১ অক্টোবর ২০২৩
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
১ ঘণ্টা আগে
বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র...
৫ ঘণ্টা আগে
রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর...
৭ ঘণ্টা আগে