Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে: সাক্ষাৎকারে এফবিসিসিআই সভাপতি

এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে: সাক্ষাৎকারে এফবিসিসিআই সভাপতি
সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ২১: ০৭

২০১৪ সালের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যে হরতাল ও অবরোধের মতো কোনো রাজনৈতিক বাধা আসেনি।। ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘাতের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। এরই মধ্যে এক দিনের হরতাল পালিত হয়েছে। ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর তিন দিনের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

একই সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরা।

রাজনৈতিক সহিংসতায় এরই মধ্যে পুলিশসহ প্রায় ১০ জন এবং শ্রমিক অসন্তোষে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও উদ্বেগ জানিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা–বাণিজ্যের সার্বিক বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন। 

এফবিসিসিআই সভাপতি মনে করছেন, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও বড় সংকটে পড়বে। 

আজকের পত্রিকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে? 

মাহবুবুল আলম: ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ হরতাল, অবরোধ-মুক্ত ছিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক ছিল। কয়েক দিন আগেও এফবিসিসিআই সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে তারা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে। 

অর্থনীতির সব সূচক বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি, ২০১৩-১৪ সালের দিকে এক দিনের হরতালে দৈনিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান দেশের অর্থনীতির আকার বিবেচনায় এখন এক দিন হরতাল হলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। আমাদের বর্তমান অর্থনীতির আকার ৪৫৭ বিলিয়ন ডলার। আমরা এখন দেশের অর্থনীতি ট্রিলিয়ন ডলারে নিতে চাই। এই অবস্থায় হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চললে আমাদের অর্থনীতি ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়বে। 

এই হরতাল ও অবরোধের কারণে আমাদের সরবরাহ চেইনও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের খাত— রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। একদিকে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে হামাস–ইসরায়েল যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যও অস্থিশীল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতি এমনিতে চাপে আছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে যদি রাজনৈতিক সহিংসতা চলতে থাকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। 

আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে এখন যেই সমস্যা আছে সেটা রাজনৈতিক। এই সমস্যা নিরসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এগিয়ে আসার জন্য বলছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী? 

মাহবুবুল আলম: সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান হচ্ছে, আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই। আমরা চাই, দেশে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসুক। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করুক। দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সব দলের দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি, এখানে সরকারের দায়িত্বটা বেশি। তবে সরকারের পাশাপাশি যারা বিরোধী দলে আছে তাদেরও দায়িত্ব আছে। আমি মনে করি, দেশে রাজনৈতিক সহিষ্ণু পরিবেশ থাকা উচিত, যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়। আমার আশা, সরকার এই দিকে দৃষ্টি দেবে এবং দেশের ব্যবসায়ীদেরই ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়ক পরিবেশ দেবে। বিরোধী দলের উচিত, হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকা। 

আজকের পত্রিকা: হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি যদি ভবিষ্যতেও চলতে থাকে তাহলে পণ্য সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে। কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হলে রপ্তানিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। 

মাহবুবুল আলম: যেকোনো দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে দেশের ভাবমূর্তি নিয়ে বিদেশিদের কাছে ইতিবাচক ধারণা যায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে বিনিয়োগ, রপ্তানি ক্রয়াদেশ। যদি কোনো ক্রেতা মনে করে আমি পণ্য কেনার জন্য অর্ডার দিলেও রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ঠিকমতো পণ্য পাব না, তাহলে তারা আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের এই রাজনৈতিক সহিংসতার মাঝে দেশের ভাবমূর্তি ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ভাবমূর্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমাদের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। আমি আগেও বলেছি। আবারও বলছি। 

অভ্যন্তরীণ ভোক্তা ও রপ্তানির চাহিদা মেটাতে আমাদের অনেক জিনিস আমদানি করতে হয়। যদি অবরোধ ও হরতালের মতো পরিস্থিতির কারণে বন্দর  থেকে পণ্য আনা–নেওয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে অর্থনীতি সার্বিকভাবে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। দিন শেষে জিনিসের দাম বাড়বে, ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। 

আজকের পত্রিকা: আপনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে রাজনৈতিক কারণে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা–বাণিজ্য সচল রাখার জন্য সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলাপ করার কথা ভেবেছেন কি না?

মাহবুবুল আলম: ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নিয়ে দুই দলের প্রতি আমাদের আহ্বান ছিল— তারা সভা–সমাবেশ করে নিজেদের বক্তব্য পেশ করবে। কিন্তু এর মধ্যে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি চলে এসেছে। আমরা এখন দেখছি, এই রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণটা কী রকম। আমরা যদি দেখি, ভবিষ্যতে আরও কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচি আসছে, তাহলে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদসহ অন্যান্য ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে বসে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেব। 

আজকের পত্রিকা: শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি নিয়ে তৈরি পোশাক খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। পোশাক খাতে শ্রমিকদের আন্দোলন চলতে থাকলে রপ্তানি ধসে পড়ার আশঙ্কা আছে। শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার বিষয়ে আপনার মতামত কী? 

মাহবুবুল আলম: তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির চলমান আন্দোলন নিয়ে আমি বিজিএমইএর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। ন্যূনতম মজুরির বিষয়টি সুরাহা করার জন্য বিজিএমইএ শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সকল পক্ষ একটা যৌক্তিক সমাধানে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, সবাই পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে একটা সমাধানে আসবে। 

আজকের পত্রিকা: মজুরি বোর্ডে তৈরি পোশাক খাতের মালিক প্রতিনিধি বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। যেই মজুরি বিজিএমইএ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে সেটি দিয়ে ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামের মতো শহরে ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব? 

মাহবুবুল আলম: আমি তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে কোনো হোমওয়ার্ক করিনি। বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অন্য বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে ১০ হাজার ৪০০ টাকা বেশি না। এই অবস্থায় অবশ্যই আমি চাইব, শ্রমিকেরা যাতে তাদের ন্যায্য মজুরিটা পায়। আমার আশা, শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে সব পক্ষ তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে। একই সঙ্গে বর্তমানে পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ, আনুষঙ্গিক খরচ এবং ব্যাংক ঋণ— এই বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হবে। তৈরি পোশাক খাতের ওপর আমাদের রপ্তানি নির্ভর করছে। মালিকদের স্বার্থও অক্ষুণ্ন রেখে শ্রমিকদের মজুরি যথাযথভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে এই খাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। 

আজকের পত্রিকা: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদেশিদের মনোভাব কী দেখছেন; বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের। 

মাহবুবুল আলম: আমরা অনেক দিন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যে ছিলাম। গত দুই দিনে পরিস্থিতিটা হঠাৎ করে উত্তপ্ত হয়ে গেল। আমি এখনো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে থেকে ইতিবাচক–নেতিবাচক তেমন কিছুই শুনিনি। তবে তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এত তাড়াতাড়ি তারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে না। একটু সময় লাগবে। আমি আশা করি, বর্তমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশি দিন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সব দলের নেতাদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। একটা সমঝোতায় তাঁরা আসবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইস্টার্ন ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।

আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।

এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।

বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।

এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।

বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।

ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।

বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

  • পাঁচ মাসেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার কোটি।
  • শুধু নভেম্বরে ব্যয় কমেছে ৪ হাজার কোটি।
  • সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট।
  • নির্বাচন ইস্যুতে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৪
আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন: এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।

শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।

প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করে যা বলল ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বরপ্লেট উদ্ধার

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত