রোকন উদ্দীন, ঢাকা

ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে, তবে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটায় সবার অংশগ্রহণের ফলে প্রতিবছর অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থার তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই প্রবণতা প্রতিবছর তার সীমা ছাড়িয়ে যায়। এবারের ঈদও এর ব্যতিক্রম নয়। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাপক সামাজিক বৈষম্য এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে মানুষ তবু বাজারে উন্মুখ হয়ে উঠেছে। মাসব্যাপী রোজা ও ঈদ উৎসবকে আরও বর্ণিল ও আনন্দমুখর করতে সবাই সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে কেনাকাটায় যুক্ত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঈদ উদ্যাপন করতে লাখ লাখ মানুষ ফিরেছে, যা বাজারের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি, বাজারের উজ্জীবিত অবস্থা, মূল্যস্ফীতির পতন এবং রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ—সব মিলিয়ে এবারের ঈদ বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে; যা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য আশাব্যঞ্জক সিগন্যাল হয়ে উঠতে পারে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে বাজারে চাঙাভাব দেখা গেছে, যা শপিং মল, বিপণিবিতান, ফুটপাত এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, এলসি খোলার পরিস্থিতির উন্নতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ফলে পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে, যার কারণে বাজারে অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমে গেছে এবং এবারের কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে।
ঈদ বাণিজ্য: বৃহত্তম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ
ঈদ বাণিজ্য শুধু বাণিজ্যিক নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের অংশও। এবারের ঈদ বাণিজ্য দেশের জন্য নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে পরিণত হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স, মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ফলে বাজারে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ঈদ বাজারে চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদ বাণিজ্যে মোট ব্যবসা ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হবে; যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গত বছর এই লেনদেন ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার। সমিতির হিসাব অনুযায়ী, এবারের ঈদ বাণিজ্যের মধ্যে শুধু পোশাকের বাজারে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা যোগ হতে পারে। নিত্যপণ্যের বাজারে এই অতিরিক্ত জোগান ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা। ধনী মানুষদের দেওয়া জাকাত ও ফিতরা বাবদ ৩৮-৪০ হাজার কোটি টাকা আসছে। পরিবহন খাতে অতিরিক্ত বাণিজ্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ এবং বিনোদন খাতে ব্যয় হয় ৪-৫ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া প্রায় সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ৬০ লাখ দোকান কর্মচারী এবং তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিক ঈদ বোনাস পাবেন, যা ঈদ অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা করে এসেছে। ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা তাঁদের আত্মীয়স্বজনের জন্য বাড়তি ব্যয় মেটাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন, যা ঈদ অর্থনীতি চাঙা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রোজার শুরুতে মার্কেটগুলোতে বিক্রি কিছুটা কম ছিল, তবে মধ্য রোজার পর থেকে বিক্রি বাড়তে থাকে। আর ঈদের শেষ দিকে এসে মার্কেটে ক্রেতাদের এত ভিড় হয়েছে যে পা ফেলার জায়গা ছিল না। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা বোনাস হাতে পাওয়ার পর বাজারে কেনাকাটা আরও বেড়ে গেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্য প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে। যদিও অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন, আড়াই লাখ কোটি টাকা না হলেও এর কাছাকাছি বাণিজ্য হবে। তথ্যমতে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি পরিবার ঈদকে কেন্দ্র করে ন্যূনতম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করে, এবং তাদের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে এই অঙ্ক আরও বাড়ে।

মূল্যস্ফীতি এবং রেমিট্যান্স: অর্থনীতির মেরুদণ্ড
এবারের ঈদ বাণিজ্যকে গতিশীল করেছে দুটি বড় পরিবর্তন—মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ। গত বছরের ৯ শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি এ বছরের মার্চে ৯.৩২ শতাংশে নেমে এসেছে; যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এর ফলে মানুষ ঈদ উপলক্ষে বড় আকারে কেনাকাটা করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে, ২৬ মার্চ পর্যন্ত এটি ২৯৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। এই রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে এবং সাধারণ মানুষের হাতে অতিরিক্ত অর্থ আসায় তারা ঈদের বাজারে বেশি খরচ করতে পারছে।
সরবরাহ ব্যবস্থা: পণ্যের সহজলভ্যতা
এবারের ঈদ বাণিজ্যে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত বছর ডলারের সংকটে কিছু পণ্যের সরবরাহে সমস্যা ছিল, তবে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের উদ্যোগে আমদানির সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে; বিশেষ করে খাদ্যপণ্য, পোশাক এবং উপহারসামগ্রী বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারের পণ্য মজুত এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণের কারণে বাজারে অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি হয়নি এবং ব্যবসায়ীরা সংকট অনুভব করেননি, যা বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে।
খাদ্যসামগ্রী, পোশাক এবং অন্যান্য পণ্যের চাহিদা
ঈদে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় পোশাকসামগ্রী। ঈদকেন্দ্রিক শীর্ষ ১০ পণ্যের কেনাকাটায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা ও খাদ্যপণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। খাদ্যসামগ্রীর বিক্রি ৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে এবং পোশাক খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে। মূলত তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন ও ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি বৃদ্ধির কারণে পোশাকশিল্পের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাজারে বিক্রি বেড়েছে।
সুপারশপ স্বপ্নের এমডি সাব্বির হাসান নাসির জানান, মাসখানেক আগে বিক্রি কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা ছিল, তা মধ্য রমজানের আগে কেটে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় গত বছরের তুলনায় বিক্রি ১৮-২০ শতাংশ বেশি হয়েছে।
দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাড়তি ভ্যাটের কারণে এবারের বিক্রির লক্ষ্য কিছুটা কম করা হয়েছে। তবে তাঁদের প্রত্যাশা, গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে এবং মধ্য রমজান থেকে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।
ঈদ বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থান
এবারের ঈদ বাণিজ্য শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনেনি, বরং এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় শপিং মল, দোকান এবং বিভিন্ন সেবামূলক খাতে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের মজুত, প্যাকেজিং, পরিবহন ও বিক্রয় বিভাগে বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ করেছেন। দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, এবারের ঈদে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়েছে।

ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে, তবে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটায় সবার অংশগ্রহণের ফলে প্রতিবছর অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থার তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়। এই প্রবণতা প্রতিবছর তার সীমা ছাড়িয়ে যায়। এবারের ঈদও এর ব্যতিক্রম নয়। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাপক সামাজিক বৈষম্য এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে মানুষ তবু বাজারে উন্মুখ হয়ে উঠেছে। মাসব্যাপী রোজা ও ঈদ উৎসবকে আরও বর্ণিল ও আনন্দমুখর করতে সবাই সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে কেনাকাটায় যুক্ত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে ঈদ উদ্যাপন করতে লাখ লাখ মানুষ ফিরেছে, যা বাজারের পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি, বাজারের উজ্জীবিত অবস্থা, মূল্যস্ফীতির পতন এবং রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ—সব মিলিয়ে এবারের ঈদ বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে; যা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য আশাব্যঞ্জক সিগন্যাল হয়ে উঠতে পারে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে বাজারে চাঙাভাব দেখা গেছে, যা শপিং মল, বিপণিবিতান, ফুটপাত এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, এলসি খোলার পরিস্থিতির উন্নতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ার ফলে পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে, যার কারণে বাজারে অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির চাপ কমে গেছে এবং এবারের কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে।
ঈদ বাণিজ্য: বৃহত্তম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ
ঈদ বাণিজ্য শুধু বাণিজ্যিক নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টের অংশও। এবারের ঈদ বাণিজ্য দেশের জন্য নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিবেশে পরিণত হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স, মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের ফলে বাজারে নতুন গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে; বিশেষ করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় ঈদ বাজারে চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদ বাণিজ্যে মোট ব্যবসা ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হবে; যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গত বছর এই লেনদেন ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকার। সমিতির হিসাব অনুযায়ী, এবারের ঈদ বাণিজ্যের মধ্যে শুধু পোশাকের বাজারে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা যোগ হতে পারে। নিত্যপণ্যের বাজারে এই অতিরিক্ত জোগান ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা। ধনী মানুষদের দেওয়া জাকাত ও ফিতরা বাবদ ৩৮-৪০ হাজার কোটি টাকা আসছে। পরিবহন খাতে অতিরিক্ত বাণিজ্য প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ এবং বিনোদন খাতে ব্যয় হয় ৪-৫ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া প্রায় সাড়ে ১২ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ৬০ লাখ দোকান কর্মচারী এবং তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের ৭০ লাখ শ্রমিক ঈদ বোনাস পাবেন, যা ঈদ অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। পাশাপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা করে এসেছে। ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা তাঁদের আত্মীয়স্বজনের জন্য বাড়তি ব্যয় মেটাতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন, যা ঈদ অর্থনীতি চাঙা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘রোজার শুরুতে মার্কেটগুলোতে বিক্রি কিছুটা কম ছিল, তবে মধ্য রোজার পর থেকে বিক্রি বাড়তে থাকে। আর ঈদের শেষ দিকে এসে মার্কেটে ক্রেতাদের এত ভিড় হয়েছে যে পা ফেলার জায়গা ছিল না। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীরা বোনাস হাতে পাওয়ার পর বাজারে কেনাকাটা আরও বেড়ে গেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্য প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে। যদিও অনেক ব্যবসায়ী মনে করেন, আড়াই লাখ কোটি টাকা না হলেও এর কাছাকাছি বাণিজ্য হবে। তথ্যমতে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি পরিবার ঈদকে কেন্দ্র করে ন্যূনতম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় করে, এবং তাদের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে এই অঙ্ক আরও বাড়ে।

মূল্যস্ফীতি এবং রেমিট্যান্স: অর্থনীতির মেরুদণ্ড
এবারের ঈদ বাণিজ্যকে গতিশীল করেছে দুটি বড় পরিবর্তন—মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ। গত বছরের ৯ শতাংশের ওপরে থাকা মূল্যস্ফীতি এ বছরের মার্চে ৯.৩২ শতাংশে নেমে এসেছে; যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এর ফলে মানুষ ঈদ উপলক্ষে বড় আকারে কেনাকাটা করতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে, ২৬ মার্চ পর্যন্ত এটি ২৯৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। এই রেমিট্যান্স প্রবাহ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে এবং সাধারণ মানুষের হাতে অতিরিক্ত অর্থ আসায় তারা ঈদের বাজারে বেশি খরচ করতে পারছে।
সরবরাহ ব্যবস্থা: পণ্যের সহজলভ্যতা
এবারের ঈদ বাণিজ্যে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গত বছর ডলারের সংকটে কিছু পণ্যের সরবরাহে সমস্যা ছিল, তবে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের উদ্যোগে আমদানির সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে; বিশেষ করে খাদ্যপণ্য, পোশাক এবং উপহারসামগ্রী বেশি সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারের পণ্য মজুত এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণের কারণে বাজারে অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির চাপ সৃষ্টি হয়নি এবং ব্যবসায়ীরা সংকট অনুভব করেননি, যা বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে।
খাদ্যসামগ্রী, পোশাক এবং অন্যান্য পণ্যের চাহিদা
ঈদে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় পোশাকসামগ্রী। ঈদকেন্দ্রিক শীর্ষ ১০ পণ্যের কেনাকাটায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা ও খাদ্যপণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। খাদ্যসামগ্রীর বিক্রি ৪০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে এবং পোশাক খাতে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে। মূলত তরুণ প্রজন্মের ফ্যাশন ও ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি বৃদ্ধির কারণে পোশাকশিল্পের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাজারে বিক্রি বেড়েছে।
সুপারশপ স্বপ্নের এমডি সাব্বির হাসান নাসির জানান, মাসখানেক আগে বিক্রি কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা ছিল, তা মধ্য রমজানের আগে কেটে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় গত বছরের তুলনায় বিক্রি ১৮-২০ শতাংশ বেশি হয়েছে।
দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বাড়তি ভ্যাটের কারণে এবারের বিক্রির লক্ষ্য কিছুটা কম করা হয়েছে। তবে তাঁদের প্রত্যাশা, গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে এবং মধ্য রমজান থেকে বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে।
ঈদ বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থান
এবারের ঈদ বাণিজ্য শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনেনি, বরং এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় শপিং মল, দোকান এবং বিভিন্ন সেবামূলক খাতে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের মজুত, প্যাকেজিং, পরিবহন ও বিক্রয় বিভাগে বিপুলসংখ্যক মানুষ কাজ করেছেন। দোকান মালিক সমিতি জানিয়েছে, এবারের ঈদে ১০ লাখের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানে নিয়োজিত হয়েছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪৪ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
৩০ মার্চ ২০২৫
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
৩০ মার্চ ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
৩০ মার্চ ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪৪ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি ও নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন—পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুন কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতিন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।
গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।
উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাতের। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।
আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগতমানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।
অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।
কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

ঈদ বাণিজ্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের জন্য যেমন একটি অপরিহার্য অংশ, তেমনি দেশের অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ঈদের আগের বাজারে বাণিজ্য যেমন তুঙ্গে পৌঁছায়, তেমনি এটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্রও তুলে ধরে। যদিও দেশের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র এবং স্বল্প আয়ের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে...
৩০ মার্চ ২০২৫
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
৪৪ মিনিট আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে