
বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দেশগুলো স্বর্ণের ভান্ডার গড়ত।
তবে বিশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে বেশির ভাগ দেশ সোনা মজুতের ভিত্তিতে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড মুদ্রার মান হিসেবে স্বর্ণকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়। তা সত্ত্বেও, হাইপার ইনফ্লেশন (অতি মূদ্রাস্ফীতি) বা অন্যান্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারগুলো এখনো স্বর্ণের মজুত রেখেছে।
এ ছাড়া ওষুধ, গয়না এবং ইলেকট্রনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনাই সম্পদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই—সোনা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা মন্দা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র।
তাই বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের স্বর্ণের মজুতের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বিদেশি সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন সোনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করে।
স্বর্ণের সর্বাধিক মজুতকারী দেশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর পরের তিনটি বৃহত্তম স্বর্ণধারী দেশ—জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স। এই তিন দেশের মোট যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে, সেই পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের একারই রয়েছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এরপরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ২ হাজার ৮১৪ দশমিক ১০ টন (৩ হাজার ১০২ দশমিক ০১ স্ট্যান্ডার্ড টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে, যা জার্মানির মোট সোনার রিজার্ভের প্রায় সমান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশগুলোর স্বর্ণের মজুতের বিস্তারিত বিবরণ:
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা রয়েছে। ব্রেটন উডসে আন্তর্জাতিক বিনিময় ব্যবস্থা চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিনিময়ে অন্যান্য দেশের সোনা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই সমগ্র বিশ্বের সোনার মজুতের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আমেরিকার ভল্টে রয়েছে। কয়েক দশক পেরোলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৭৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণ।
জার্মানি
জার্মানির রিজার্ভে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন সোনা রয়েছে; যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই–তৃতীয়াংশ। দেশটির সরকার বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের মজুত রাখে। এসবের মধ্যে রয়েছে: ফ্রাঙ্কফুর্টে ডয়েচে বুন্দেসব্যাঙ্ক, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা, লন্ডনের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও প্যারিসে বাঙ্কে দ্য ফ্রান্স।
ইতালি
২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইউরোজোন সংকটের কারণে ইতালির সরকারের ওপর রিজার্ভ থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করার চাপ এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
দেশটি সিংহভাগ সোনা (৮৭ শতাংশের বেশি) ব্যাংক অব ইতালির প্রধান কার্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে মজুত রেখেছে। বাকি অংশ সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভল্টের রয়েছে। ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ঐতিহাসিক কারণে এবং ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে দেশটি।
ফ্রান্স
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার মজুতকারী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কাছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার পতনের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস ডি গলকে। কারণ তিনি ফোর্ট নক্স রিজার্ভ থেকে সোনার বিনিময়ে ডলারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জানতেন ৩৫ ডলারের বিনিময়ে সোনার এক আউন্স খুবই কম। এর ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের মান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সোনার সঙ্গে ডলারের দূরত্ব তৈরি হয়।
রাশিয়ান ফেডারেশন
চীনকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন সোনার মজুত নিয়ে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণের মজুতকারী দেশ হয়। দেশটি এর ধারাবাহিকতা এখনো ধরে রেখেছে। আমেরিকান বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসতেই রাশিয়া সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করে চলেছে। রাশিয়া মূলত স্বর্ণ কেনার জন্যই মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে।
কেন দেশগুলো সোনার মজুত করে
বর্তমানে কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই, এরপরও দেশগুলো এখনো সোনার মজুত রাখে কেন? এর কারণ হলো: যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারগুলো নিজের জারি করা মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে রাখতেই মূলত স্বর্ণ মজুত করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে: স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীদের মতো সরকারকেও নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে হয়। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রাখলে সরকারের ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
যদিও স্বর্ণকেই মান বিবেচনা করা এখন অতীতকালের বিষয়; অনেক দেশের সরকার এখনো বিশ্বাস করে, স্বর্ণের মজুত মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে।
সোনা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকায়। একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গয়নার ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২২ সালে ১৯৬৭ সালের মতো দ্রুত সোনা কিনেছে। আর বিশ্বে খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণের এক–পঞ্চমাংশই ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
১৯৬০–এর দশকে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট স্বর্ণের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এটি ছিল প্রতি আউন্স সোনার বিপরীতে ৩৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সালের দিকে বিনিয়োগকারীরা তখন সোনাকেই স্থিতিশীল ধরে নেন। তাঁরা বিপুল স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন। প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাংকগুলো এই সময় প্রায় ২ হাজার টন স্বর্ণ বিক্রি করে। এসব স্বর্ণের প্রধান ক্রেতাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দেশগুলো স্বর্ণের ভান্ডার গড়ত।
তবে বিশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে বেশির ভাগ দেশ সোনা মজুতের ভিত্তিতে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড মুদ্রার মান হিসেবে স্বর্ণকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়। তা সত্ত্বেও, হাইপার ইনফ্লেশন (অতি মূদ্রাস্ফীতি) বা অন্যান্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারগুলো এখনো স্বর্ণের মজুত রেখেছে।
এ ছাড়া ওষুধ, গয়না এবং ইলেকট্রনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনাই সম্পদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই—সোনা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা মন্দা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র।
তাই বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের স্বর্ণের মজুতের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বিদেশি সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন সোনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করে।
স্বর্ণের সর্বাধিক মজুতকারী দেশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর পরের তিনটি বৃহত্তম স্বর্ণধারী দেশ—জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স। এই তিন দেশের মোট যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে, সেই পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের একারই রয়েছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এরপরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ২ হাজার ৮১৪ দশমিক ১০ টন (৩ হাজার ১০২ দশমিক ০১ স্ট্যান্ডার্ড টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে, যা জার্মানির মোট সোনার রিজার্ভের প্রায় সমান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশগুলোর স্বর্ণের মজুতের বিস্তারিত বিবরণ:
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা রয়েছে। ব্রেটন উডসে আন্তর্জাতিক বিনিময় ব্যবস্থা চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিনিময়ে অন্যান্য দেশের সোনা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই সমগ্র বিশ্বের সোনার মজুতের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আমেরিকার ভল্টে রয়েছে। কয়েক দশক পেরোলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৭৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণ।
জার্মানি
জার্মানির রিজার্ভে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন সোনা রয়েছে; যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই–তৃতীয়াংশ। দেশটির সরকার বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের মজুত রাখে। এসবের মধ্যে রয়েছে: ফ্রাঙ্কফুর্টে ডয়েচে বুন্দেসব্যাঙ্ক, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা, লন্ডনের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও প্যারিসে বাঙ্কে দ্য ফ্রান্স।
ইতালি
২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইউরোজোন সংকটের কারণে ইতালির সরকারের ওপর রিজার্ভ থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করার চাপ এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
দেশটি সিংহভাগ সোনা (৮৭ শতাংশের বেশি) ব্যাংক অব ইতালির প্রধান কার্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে মজুত রেখেছে। বাকি অংশ সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভল্টের রয়েছে। ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ঐতিহাসিক কারণে এবং ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে দেশটি।
ফ্রান্স
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার মজুতকারী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কাছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার পতনের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস ডি গলকে। কারণ তিনি ফোর্ট নক্স রিজার্ভ থেকে সোনার বিনিময়ে ডলারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জানতেন ৩৫ ডলারের বিনিময়ে সোনার এক আউন্স খুবই কম। এর ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের মান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সোনার সঙ্গে ডলারের দূরত্ব তৈরি হয়।
রাশিয়ান ফেডারেশন
চীনকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন সোনার মজুত নিয়ে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণের মজুতকারী দেশ হয়। দেশটি এর ধারাবাহিকতা এখনো ধরে রেখেছে। আমেরিকান বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসতেই রাশিয়া সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করে চলেছে। রাশিয়া মূলত স্বর্ণ কেনার জন্যই মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে।
কেন দেশগুলো সোনার মজুত করে
বর্তমানে কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই, এরপরও দেশগুলো এখনো সোনার মজুত রাখে কেন? এর কারণ হলো: যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারগুলো নিজের জারি করা মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে রাখতেই মূলত স্বর্ণ মজুত করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে: স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীদের মতো সরকারকেও নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে হয়। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রাখলে সরকারের ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
যদিও স্বর্ণকেই মান বিবেচনা করা এখন অতীতকালের বিষয়; অনেক দেশের সরকার এখনো বিশ্বাস করে, স্বর্ণের মজুত মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে।
সোনা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকায়। একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গয়নার ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২২ সালে ১৯৬৭ সালের মতো দ্রুত সোনা কিনেছে। আর বিশ্বে খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণের এক–পঞ্চমাংশই ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
১৯৬০–এর দশকে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট স্বর্ণের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এটি ছিল প্রতি আউন্স সোনার বিপরীতে ৩৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সালের দিকে বিনিয়োগকারীরা তখন সোনাকেই স্থিতিশীল ধরে নেন। তাঁরা বিপুল স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন। প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাংকগুলো এই সময় প্রায় ২ হাজার টন স্বর্ণ বিক্রি করে। এসব স্বর্ণের প্রধান ক্রেতাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দেশগুলো স্বর্ণের ভান্ডার গড়ত।
তবে বিশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে বেশির ভাগ দেশ সোনা মজুতের ভিত্তিতে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড মুদ্রার মান হিসেবে স্বর্ণকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়। তা সত্ত্বেও, হাইপার ইনফ্লেশন (অতি মূদ্রাস্ফীতি) বা অন্যান্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারগুলো এখনো স্বর্ণের মজুত রেখেছে।
এ ছাড়া ওষুধ, গয়না এবং ইলেকট্রনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনাই সম্পদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই—সোনা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা মন্দা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র।
তাই বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের স্বর্ণের মজুতের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বিদেশি সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন সোনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করে।
স্বর্ণের সর্বাধিক মজুতকারী দেশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর পরের তিনটি বৃহত্তম স্বর্ণধারী দেশ—জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স। এই তিন দেশের মোট যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে, সেই পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের একারই রয়েছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এরপরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ২ হাজার ৮১৪ দশমিক ১০ টন (৩ হাজার ১০২ দশমিক ০১ স্ট্যান্ডার্ড টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে, যা জার্মানির মোট সোনার রিজার্ভের প্রায় সমান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশগুলোর স্বর্ণের মজুতের বিস্তারিত বিবরণ:
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা রয়েছে। ব্রেটন উডসে আন্তর্জাতিক বিনিময় ব্যবস্থা চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিনিময়ে অন্যান্য দেশের সোনা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই সমগ্র বিশ্বের সোনার মজুতের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আমেরিকার ভল্টে রয়েছে। কয়েক দশক পেরোলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৭৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণ।
জার্মানি
জার্মানির রিজার্ভে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন সোনা রয়েছে; যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই–তৃতীয়াংশ। দেশটির সরকার বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের মজুত রাখে। এসবের মধ্যে রয়েছে: ফ্রাঙ্কফুর্টে ডয়েচে বুন্দেসব্যাঙ্ক, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা, লন্ডনের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও প্যারিসে বাঙ্কে দ্য ফ্রান্স।
ইতালি
২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইউরোজোন সংকটের কারণে ইতালির সরকারের ওপর রিজার্ভ থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করার চাপ এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
দেশটি সিংহভাগ সোনা (৮৭ শতাংশের বেশি) ব্যাংক অব ইতালির প্রধান কার্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে মজুত রেখেছে। বাকি অংশ সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভল্টের রয়েছে। ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ঐতিহাসিক কারণে এবং ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে দেশটি।
ফ্রান্স
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার মজুতকারী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কাছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার পতনের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস ডি গলকে। কারণ তিনি ফোর্ট নক্স রিজার্ভ থেকে সোনার বিনিময়ে ডলারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জানতেন ৩৫ ডলারের বিনিময়ে সোনার এক আউন্স খুবই কম। এর ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের মান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সোনার সঙ্গে ডলারের দূরত্ব তৈরি হয়।
রাশিয়ান ফেডারেশন
চীনকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন সোনার মজুত নিয়ে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণের মজুতকারী দেশ হয়। দেশটি এর ধারাবাহিকতা এখনো ধরে রেখেছে। আমেরিকান বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসতেই রাশিয়া সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করে চলেছে। রাশিয়া মূলত স্বর্ণ কেনার জন্যই মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে।
কেন দেশগুলো সোনার মজুত করে
বর্তমানে কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই, এরপরও দেশগুলো এখনো সোনার মজুত রাখে কেন? এর কারণ হলো: যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারগুলো নিজের জারি করা মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে রাখতেই মূলত স্বর্ণ মজুত করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে: স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীদের মতো সরকারকেও নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে হয়। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রাখলে সরকারের ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
যদিও স্বর্ণকেই মান বিবেচনা করা এখন অতীতকালের বিষয়; অনেক দেশের সরকার এখনো বিশ্বাস করে, স্বর্ণের মজুত মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে।
সোনা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকায়। একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গয়নার ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২২ সালে ১৯৬৭ সালের মতো দ্রুত সোনা কিনেছে। আর বিশ্বে খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণের এক–পঞ্চমাংশই ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
১৯৬০–এর দশকে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট স্বর্ণের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এটি ছিল প্রতি আউন্স সোনার বিপরীতে ৩৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সালের দিকে বিনিয়োগকারীরা তখন সোনাকেই স্থিতিশীল ধরে নেন। তাঁরা বিপুল স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন। প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাংকগুলো এই সময় প্রায় ২ হাজার টন স্বর্ণ বিক্রি করে। এসব স্বর্ণের প্রধান ক্রেতাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দেশগুলো স্বর্ণের ভান্ডার গড়ত।
তবে বিশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে বেশির ভাগ দেশ সোনা মজুতের ভিত্তিতে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড মুদ্রার মান হিসেবে স্বর্ণকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়। তা সত্ত্বেও, হাইপার ইনফ্লেশন (অতি মূদ্রাস্ফীতি) বা অন্যান্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারগুলো এখনো স্বর্ণের মজুত রেখেছে।
এ ছাড়া ওষুধ, গয়না এবং ইলেকট্রনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনাই সম্পদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই—সোনা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা মন্দা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র।
তাই বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের স্বর্ণের মজুতের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বিদেশি সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন সোনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করে।
স্বর্ণের সর্বাধিক মজুতকারী দেশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর পরের তিনটি বৃহত্তম স্বর্ণধারী দেশ—জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স। এই তিন দেশের মোট যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে, সেই পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের একারই রয়েছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এরপরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ২ হাজার ৮১৪ দশমিক ১০ টন (৩ হাজার ১০২ দশমিক ০১ স্ট্যান্ডার্ড টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে, যা জার্মানির মোট সোনার রিজার্ভের প্রায় সমান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশগুলোর স্বর্ণের মজুতের বিস্তারিত বিবরণ:
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা রয়েছে। ব্রেটন উডসে আন্তর্জাতিক বিনিময় ব্যবস্থা চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিনিময়ে অন্যান্য দেশের সোনা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই সমগ্র বিশ্বের সোনার মজুতের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আমেরিকার ভল্টে রয়েছে। কয়েক দশক পেরোলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৭৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণ।
জার্মানি
জার্মানির রিজার্ভে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন সোনা রয়েছে; যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই–তৃতীয়াংশ। দেশটির সরকার বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের মজুত রাখে। এসবের মধ্যে রয়েছে: ফ্রাঙ্কফুর্টে ডয়েচে বুন্দেসব্যাঙ্ক, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা, লন্ডনের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও প্যারিসে বাঙ্কে দ্য ফ্রান্স।
ইতালি
২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইউরোজোন সংকটের কারণে ইতালির সরকারের ওপর রিজার্ভ থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করার চাপ এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
দেশটি সিংহভাগ সোনা (৮৭ শতাংশের বেশি) ব্যাংক অব ইতালির প্রধান কার্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে মজুত রেখেছে। বাকি অংশ সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভল্টের রয়েছে। ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ঐতিহাসিক কারণে এবং ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে দেশটি।
ফ্রান্স
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার মজুতকারী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কাছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার পতনের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস ডি গলকে। কারণ তিনি ফোর্ট নক্স রিজার্ভ থেকে সোনার বিনিময়ে ডলারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জানতেন ৩৫ ডলারের বিনিময়ে সোনার এক আউন্স খুবই কম। এর ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের মান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সোনার সঙ্গে ডলারের দূরত্ব তৈরি হয়।
রাশিয়ান ফেডারেশন
চীনকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন সোনার মজুত নিয়ে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণের মজুতকারী দেশ হয়। দেশটি এর ধারাবাহিকতা এখনো ধরে রেখেছে। আমেরিকান বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসতেই রাশিয়া সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করে চলেছে। রাশিয়া মূলত স্বর্ণ কেনার জন্যই মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে।
কেন দেশগুলো সোনার মজুত করে
বর্তমানে কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই, এরপরও দেশগুলো এখনো সোনার মজুত রাখে কেন? এর কারণ হলো: যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারগুলো নিজের জারি করা মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে রাখতেই মূলত স্বর্ণ মজুত করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে: স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীদের মতো সরকারকেও নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে হয়। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রাখলে সরকারের ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
যদিও স্বর্ণকেই মান বিবেচনা করা এখন অতীতকালের বিষয়; অনেক দেশের সরকার এখনো বিশ্বাস করে, স্বর্ণের মজুত মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে।
সোনা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকায়। একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গয়নার ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২২ সালে ১৯৬৭ সালের মতো দ্রুত সোনা কিনেছে। আর বিশ্বে খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণের এক–পঞ্চমাংশই ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
১৯৬০–এর দশকে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট স্বর্ণের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এটি ছিল প্রতি আউন্স সোনার বিপরীতে ৩৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সালের দিকে বিনিয়োগকারীরা তখন সোনাকেই স্থিতিশীল ধরে নেন। তাঁরা বিপুল স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন। প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাংকগুলো এই সময় প্রায় ২ হাজার টন স্বর্ণ বিক্রি করে। এসব স্বর্ণের প্রধান ক্রেতাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
২০ ঘণ্টা আগে