
বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দেশগুলো স্বর্ণের ভান্ডার গড়ত।
তবে বিশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে বেশির ভাগ দেশ সোনা মজুতের ভিত্তিতে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড মুদ্রার মান হিসেবে স্বর্ণকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়। তা সত্ত্বেও, হাইপার ইনফ্লেশন (অতি মূদ্রাস্ফীতি) বা অন্যান্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারগুলো এখনো স্বর্ণের মজুত রেখেছে।
এ ছাড়া ওষুধ, গয়না এবং ইলেকট্রনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনাই সম্পদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই—সোনা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা মন্দা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র।
তাই বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের স্বর্ণের মজুতের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বিদেশি সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন সোনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করে।
স্বর্ণের সর্বাধিক মজুতকারী দেশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর পরের তিনটি বৃহত্তম স্বর্ণধারী দেশ—জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স। এই তিন দেশের মোট যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে, সেই পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের একারই রয়েছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এরপরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ২ হাজার ৮১৪ দশমিক ১০ টন (৩ হাজার ১০২ দশমিক ০১ স্ট্যান্ডার্ড টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে, যা জার্মানির মোট সোনার রিজার্ভের প্রায় সমান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশগুলোর স্বর্ণের মজুতের বিস্তারিত বিবরণ:
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা রয়েছে। ব্রেটন উডসে আন্তর্জাতিক বিনিময় ব্যবস্থা চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিনিময়ে অন্যান্য দেশের সোনা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই সমগ্র বিশ্বের সোনার মজুতের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আমেরিকার ভল্টে রয়েছে। কয়েক দশক পেরোলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৭৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণ।
জার্মানি
জার্মানির রিজার্ভে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন সোনা রয়েছে; যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই–তৃতীয়াংশ। দেশটির সরকার বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের মজুত রাখে। এসবের মধ্যে রয়েছে: ফ্রাঙ্কফুর্টে ডয়েচে বুন্দেসব্যাঙ্ক, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা, লন্ডনের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও প্যারিসে বাঙ্কে দ্য ফ্রান্স।
ইতালি
২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইউরোজোন সংকটের কারণে ইতালির সরকারের ওপর রিজার্ভ থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করার চাপ এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
দেশটি সিংহভাগ সোনা (৮৭ শতাংশের বেশি) ব্যাংক অব ইতালির প্রধান কার্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে মজুত রেখেছে। বাকি অংশ সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভল্টের রয়েছে। ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ঐতিহাসিক কারণে এবং ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে দেশটি।
ফ্রান্স
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার মজুতকারী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কাছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার পতনের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস ডি গলকে। কারণ তিনি ফোর্ট নক্স রিজার্ভ থেকে সোনার বিনিময়ে ডলারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জানতেন ৩৫ ডলারের বিনিময়ে সোনার এক আউন্স খুবই কম। এর ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের মান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সোনার সঙ্গে ডলারের দূরত্ব তৈরি হয়।
রাশিয়ান ফেডারেশন
চীনকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন সোনার মজুত নিয়ে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণের মজুতকারী দেশ হয়। দেশটি এর ধারাবাহিকতা এখনো ধরে রেখেছে। আমেরিকান বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসতেই রাশিয়া সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করে চলেছে। রাশিয়া মূলত স্বর্ণ কেনার জন্যই মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে।
কেন দেশগুলো সোনার মজুত করে
বর্তমানে কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই, এরপরও দেশগুলো এখনো সোনার মজুত রাখে কেন? এর কারণ হলো: যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারগুলো নিজের জারি করা মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে রাখতেই মূলত স্বর্ণ মজুত করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে: স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীদের মতো সরকারকেও নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে হয়। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রাখলে সরকারের ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
যদিও স্বর্ণকেই মান বিবেচনা করা এখন অতীতকালের বিষয়; অনেক দেশের সরকার এখনো বিশ্বাস করে, স্বর্ণের মজুত মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে।
সোনা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকায়। একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গয়নার ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২২ সালে ১৯৬৭ সালের মতো দ্রুত সোনা কিনেছে। আর বিশ্বে খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণের এক–পঞ্চমাংশই ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
১৯৬০–এর দশকে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট স্বর্ণের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এটি ছিল প্রতি আউন্স সোনার বিপরীতে ৩৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সালের দিকে বিনিয়োগকারীরা তখন সোনাকেই স্থিতিশীল ধরে নেন। তাঁরা বিপুল স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন। প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাংকগুলো এই সময় প্রায় ২ হাজার টন স্বর্ণ বিক্রি করে। এসব স্বর্ণের প্রধান ক্রেতাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দেশগুলো স্বর্ণের ভান্ডার গড়ত।
তবে বিশ শতকের মাঝামাঝিতে এসে বেশির ভাগ দেশ সোনা মজুতের ভিত্তিতে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেয়। ১৯৯৯ সালে সর্বশেষ দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ড মুদ্রার মান হিসেবে স্বর্ণকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয়। তা সত্ত্বেও, হাইপার ইনফ্লেশন (অতি মূদ্রাস্ফীতি) বা অন্যান্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সরকারগুলো এখনো স্বর্ণের মজুত রেখেছে।
এ ছাড়া ওষুধ, গয়না এবং ইলেকট্রনিক ব্যবসার ক্ষেত্রে সোনাই সম্পদের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক বিনিয়োগকারীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা উভয় ক্ষেত্রেই—সোনা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা মন্দা মোকাবিলার প্রধান অস্ত্র।
তাই বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের স্বর্ণের মজুতের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক বিদেশি সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন সোনার রক্ষকের ভূমিকা পালন করে।
স্বর্ণের সর্বাধিক মজুতকারী দেশ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার মজুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। এর পরের তিনটি বৃহত্তম স্বর্ণধারী দেশ—জার্মানি, ইতালি এবং ফ্রান্স। এই তিন দেশের মোট যে পরিমাণ সোনা মজুত আছে, সেই পরিমাণ স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের একারই রয়েছে। শীর্ষ পাঁচের মধ্যে রয়েছে রাশিয়াও। এরপরেই রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির ২ হাজার ৮১৪ দশমিক ১০ টন (৩ হাজার ১০২ দশমিক ০১ স্ট্যান্ডার্ড টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে, যা জার্মানির মোট সোনার রিজার্ভের প্রায় সমান।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশগুলোর স্বর্ণের মজুতের বিস্তারিত বিবরণ:
যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের মজুতে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা রয়েছে। ব্রেটন উডসে আন্তর্জাতিক বিনিময় ব্যবস্থা চুক্তির সময় যুক্তরাষ্ট্র ডলারের বিনিময়ে অন্যান্য দেশের সোনা সুরক্ষার প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই সমগ্র বিশ্বের সোনার মজুতের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ আমেরিকার ভল্টে রয়েছে। কয়েক দশক পেরোলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সবচেয়ে বেশি স্বর্ণের মজুত ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ৭৫ শতাংশের বেশি স্বর্ণ।
জার্মানি
জার্মানির রিজার্ভে ৩ হাজার ৩৫২ দশমিক ৬৫ টন সোনা রয়েছে; যা দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দুই–তৃতীয়াংশ। দেশটির সরকার বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণের মজুত রাখে। এসবের মধ্যে রয়েছে: ফ্রাঙ্কফুর্টে ডয়েচে বুন্দেসব্যাঙ্ক, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখা, লন্ডনের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও প্যারিসে বাঙ্কে দ্য ফ্রান্স।
ইতালি
২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন সোনা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। ইউরোজোন সংকটের কারণে ইতালির সরকারের ওপর রিজার্ভ থেকে কিছু স্বর্ণ বিক্রি করার চাপ এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
দেশটি সিংহভাগ সোনা (৮৭ শতাংশের বেশি) ব্যাংক অব ইতালির প্রধান কার্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে মজুত রেখেছে। বাকি অংশ সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের ভল্টের রয়েছে। ইতালির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, ঐতিহাসিক কারণে এবং ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন স্থানে স্বর্ণ সংরক্ষণ করে দেশটি।
ফ্রান্স
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সোনার মজুতকারী দেশ ফ্রান্স। দেশটির কাছে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। ব্রেটন উডস ব্যবস্থার পতনের জন্য আংশিকভাবে দায়ী করা হয় ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস ডি গলকে। কারণ তিনি ফোর্ট নক্স রিজার্ভ থেকে সোনার বিনিময়ে ডলারের ব্যবসা শুরু করেছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জানতেন ৩৫ ডলারের বিনিময়ে সোনার এক আউন্স খুবই কম। এর ফলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বর্ণের মান থেকে সরে যেতে বাধ্য হয় এবং সোনার সঙ্গে ডলারের দূরত্ব তৈরি হয়।
রাশিয়ান ফেডারেশন
চীনকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ২ হাজার ৩৩২ দশমিক ৭৪ টন সোনার মজুত নিয়ে রাশিয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্বর্ণের মজুতকারী দেশ হয়। দেশটি এর ধারাবাহিকতা এখনো ধরে রেখেছে। আমেরিকান বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসতেই রাশিয়া সোনার ভান্ডার বৃদ্ধি করে চলেছে। রাশিয়া মূলত স্বর্ণ কেনার জন্যই মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে।
কেন দেশগুলো সোনার মজুত করে
বর্তমানে কাগজের মুদ্রার সঙ্গে স্বর্ণের কোনো সম্পর্ক নেই, এরপরও দেশগুলো এখনো সোনার মজুত রাখে কেন? এর কারণ হলো: যেকোনো সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারগুলো নিজের জারি করা মুদ্রার বিনিময় মূল্য ধরে রাখতেই মূলত স্বর্ণ মজুত করে থাকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে সোনা রাখার কয়েকটি কারণ রয়েছে: স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীদের মতো সরকারকেও নিজের পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনতে হয়। বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যম রাখলে সরকারের ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
যদিও স্বর্ণকেই মান বিবেচনা করা এখন অতীতকালের বিষয়; অনেক দেশের সরকার এখনো বিশ্বাস করে, স্বর্ণের মজুত মুদ্রায় কিছুটা স্থিতিশীলতা আনে।
সোনা একটি রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এবং মুদ্রাস্ফীতি ঠেকায়। একটি দেশের অর্থনীতিতে আস্থা বাড়াতে সাহায্য করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারী ও গয়নার ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২০২২ সালে ১৯৬৭ সালের মতো দ্রুত সোনা কিনেছে। আর বিশ্বে খনি থেকে উত্তোলিত স্বর্ণের এক–পঞ্চমাংশই ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।
১৯৬০–এর দশকে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর একটি সিন্ডিকেট স্বর্ণের নির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। এটি ছিল প্রতি আউন্স সোনার বিপরীতে ৩৫ ডলার। এই মূল্য নির্ধারণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৭ সালের দিকে বিনিয়োগকারীরা তখন সোনাকেই স্থিতিশীল ধরে নেন। তাঁরা বিপুল স্বর্ণ কিনতে শুরু করেন। প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাংকগুলো এই সময় প্রায় ২ হাজার টন স্বর্ণ বিক্রি করে। এসব স্বর্ণের প্রধান ক্রেতাই ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২১ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৫ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের ব্যবহারের ইতিহাস কয়েক হাজার বছরের। সতেরো শতক থেকে বিশ শতকের বেশির ভাগ সময় সরকারগুলো মজুতকৃত স্বর্ণের পরিমাণের ভিত্তিতে কাগজের নোট বাজারে ছাড়ত। এসব নোট সোনার আইনি মানদণ্ড বলে বিবেচিত হতো। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্বর্ণই ব্যবহৃত হতো। ফলে, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক কারণে দ
০৩ মে ২০২৪
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৫ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২১ ঘণ্টা আগে