জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
রেকর্ড খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংক খাত। এসব দুর্বলতা দেখে ব্যাংকে টাকা রাখার মতো আস্থা পাচ্ছেন না অনেক গ্রাহক। অনেকেই আবার তুলে নিচ্ছেন আমানতের টাকা। এ অবস্থায় দৈনন্দিন ব্যাংকিংসেবা ও স্বাভাবিক লেনদেন চালু রাখতে ব্যাপক হারে ধার করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর নেওয়া ঋণ বা ধারের পরিমাণ গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এসে ধারের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর ধার বেড়েছে ৬ হাজার ১১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন গভর্নর নিয়োগের পরেই ব্যাংক খাতে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত হয়েছে। এ খবর গণমাধ্যমে ঘোষণার পরেই আমানত তুলে নিতে শুরু করে গ্রাহকেরা, যার ধাক্কা লাগে পুরো ব্যাংক খাতে। পরে অনেক ব্যাংক সেই চাপ সামলাতে পারলেও ইসলামি ধারার কয়েকটি ব্যাংকসহ প্রায় দুই ডজন ব্যাংক বিপদে পড়ে। একটা পর্যায়ে কয়েকটি ব্যাংকের চলতি হিসাব নেতিবাচক হয়।
এসব ব্যাংকের আস্থা ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু ব্যাংক অনিয়ম এবং উচ্চ খেলাপিতে ডুবতে বসেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাপানো একীভূতকরণ এবং ডলারের মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে হাত পাতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে ধার দেওয়ার এ চাপ পড়ছে সাধারণের ওপর।
এদিকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসেই ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবে ব্যাংক খাতে অনিয়ম এবং লুটপাট দৃশ্যমান। নামে-বেনামে ঋণ ছাড়ের ফলে সেই টাকা আর ফিরছে না। এতে খেলাপির রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই নিয়ন্ত্রিত। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সব সহযোগিতা দিয়ে ব্যাংক খাতকে বাঁচিয়ে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।
রেকর্ড খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশের ব্যাংক খাত। এসব দুর্বলতা দেখে ব্যাংকে টাকা রাখার মতো আস্থা পাচ্ছেন না অনেক গ্রাহক। অনেকেই আবার তুলে নিচ্ছেন আমানতের টাকা। এ অবস্থায় দৈনন্দিন ব্যাংকিংসেবা ও স্বাভাবিক লেনদেন চালু রাখতে ব্যাপক হারে ধার করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোর নেওয়া ঋণ বা ধারের পরিমাণ গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে এসে ধারের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর ধার বেড়েছে ৬ হাজার ১১২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নতুন গভর্নর নিয়োগের পরেই ব্যাংক খাতে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত হয়েছে। এ খবর গণমাধ্যমে ঘোষণার পরেই আমানত তুলে নিতে শুরু করে গ্রাহকেরা, যার ধাক্কা লাগে পুরো ব্যাংক খাতে। পরে অনেক ব্যাংক সেই চাপ সামলাতে পারলেও ইসলামি ধারার কয়েকটি ব্যাংকসহ প্রায় দুই ডজন ব্যাংক বিপদে পড়ে। একটা পর্যায়ে কয়েকটি ব্যাংকের চলতি হিসাব নেতিবাচক হয়।
এসব ব্যাংকের আস্থা ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু ব্যাংক অনিয়ম এবং উচ্চ খেলাপিতে ডুবতে বসেছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চাপানো একীভূতকরণ এবং ডলারের মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে হাত পাতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে ধার দেওয়ার এ চাপ পড়ছে সাধারণের ওপর।
এদিকে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসেই ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবে ব্যাংক খাতে অনিয়ম এবং লুটপাট দৃশ্যমান। নামে-বেনামে ঋণ ছাড়ের ফলে সেই টাকা আর ফিরছে না। এতে খেলাপির রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই নিয়ন্ত্রিত। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক সব সহযোগিতা দিয়ে ব্যাংক খাতকে বাঁচিয়ে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।
শিল্প খাতে গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে দাম পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১টি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতা ও দুটি শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোক্তা। তাঁরা বলেছেন, এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যের মারাত্মক ক্ষতি করবে।
২১ মিনিট আগেঅসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।
১১ ঘণ্টা আগেপেঁয়াজের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে দাম আরও বাড়বে; সেই আশায় কৃষক, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী—সবাই সাধ্যমতো পেঁয়াজ ধরে রাখছেন, সুবিধামতো সময়ে ছাড়ছেন অল্প অল্প করে। আর এতেই মোকামে বাড়ছে পণ্যটির দাম, যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
১১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বদলে দিতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। বহুল কাঙ্ক্ষিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি এখন আর কাগজে আঁকা স্বপ্ন নয়, সেটি বাস্তবায়নের মোক্ষম বাঁক পেরিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে নির্মাণপর্বে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাপানের দুটি
১১ ঘণ্টা আগে