নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পেঁয়াজ বাংলাদেশে শুধু একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা নয়, বরং অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর এ নিয়ে দেশে একধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হন, আবার কখনো ভোক্তারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হন। এর পেছনে মূলত আমদানিনির্ভরতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাই দায়ী। এ অবস্থায় ভারত সরকার হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানিতে থাকা ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। এতে একদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি আরও সহজ হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশি কৃষকের ন্যায্যমূল্য পাওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের বাজারে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এবং কৃষক কেমন পরিস্থিতির মুখে পড়বেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশের কৃষকের অবস্থা
বর্তমানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ উত্তোলন করছেন। কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি ৩৫-৪০ টাকায় নেমে এসেছে, যা এক বছর আগেও ছিল ৬০-৭০ টাকা।
হাটবাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৫০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে, যেখানে উৎপাদন খরচ তুলতে কৃষকের অন্তত ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরকার। ফরিদপুরের কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ চাষ করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করেছি। এখন মাঠ থেকে তুলতে গিয়ে দেখি, দাম আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় অর্ধেকের কম। এর মধ্যে যদি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকে পড়ে, তাহলে তো পুরোপুরি পথে বসে যাব।’
ভারতের নীতি পরিবর্তন: এখন কেন
ভারত কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে এবং ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করে দেয়। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং প্রতি টনের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে। এরপর গত সেপ্টেম্বরে ভারত শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করে, যা এবার পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলো।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটিতে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে। তাই রপ্তানির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কেবল অভ্যন্তরীণ কারণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও ভারত নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে চায়। ভারতীয় পেঁয়াজের বড় ক্রেতা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। এ কারণে বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান সুসংহত রাখার কৌশল হিসেবেও ভারত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের বাজারে সম্ভাব্য প্রভাব
ভারতীয় পেঁয়াজ বিনা শুল্কে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে স্থানীয় কৃষকের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম এমনিতেই কম। এর মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে থাকলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে, যা স্থানীয় কৃষককে লোকসানের মুখে ফেলবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। পেঁয়াজের সংকট হলে ভারত থেকে আমদানি করা হয়, কিন্তু কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় তেমন কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। বাজার বিশ্লেষক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা একই ভুলের পুনরাবৃত্তি দেখি। কৃষক লোকসান গুনতে গুনতে একসময় চাষ কমিয়ে দেন, তখন আবার সংকট তৈরি হয় এবং ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে। এর সমাধানে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’
সরকারের করণীয় ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান
সরকার ইতিমধ্যে আমদানি নিয়ন্ত্রণের কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে আমদানি অনুমোদন (আইপি) সীমিত রাখা হয়েছে, যাতে স্থানীয় কৃষক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জানিয়েছে, বিপুলসংখ্যক আমদানির আবেদন জমা পড়লেও মাত্র ১০০-২০০ টনের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তবে ৩১ মার্চের পর নতুন অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, দেশীয় কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা সংকট সমাধানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। প্রথমত, সংরক্ষণ সুবিধা বাড়ানো জরুরি, যাতে কৃষক কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য না হন। দ্বিতীয়ত, সরকারি ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও সরাসরি ক্রয়ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, আমদানি নীতিতে স্বচ্ছতা আনা দরকার, যাতে হঠাৎ রপ্তানি বন্ধের ফলে বাজারে অস্থিরতা না হয়। চতুর্থত, সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন করতে হবে, যেখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে কৃষকের লোকসান কমবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

পেঁয়াজ বাংলাদেশে শুধু একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা নয়, বরং অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর এ নিয়ে দেশে একধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হন, আবার কখনো ভোক্তারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হন। এর পেছনে মূলত আমদানিনির্ভরতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাই দায়ী। এ অবস্থায় ভারত সরকার হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানিতে থাকা ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। এতে একদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি আরও সহজ হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশি কৃষকের ন্যায্যমূল্য পাওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের বাজারে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে এবং কৃষক কেমন পরিস্থিতির মুখে পড়বেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
বাংলাদেশের কৃষকের অবস্থা
বর্তমানে বাংলাদেশে পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ উত্তোলন করছেন। কিন্তু বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম অনেক কমে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজি ৩৫-৪০ টাকায় নেমে এসেছে, যা এক বছর আগেও ছিল ৬০-৭০ টাকা।
হাটবাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৫০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে, যেখানে উৎপাদন খরচ তুলতে কৃষকের অন্তত ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরকার। ফরিদপুরের কৃষক ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমরা পেঁয়াজ চাষ করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ করেছি। এখন মাঠ থেকে তুলতে গিয়ে দেখি, দাম আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় অর্ধেকের কম। এর মধ্যে যদি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকে পড়ে, তাহলে তো পুরোপুরি পথে বসে যাব।’
ভারতের নীতি পরিবর্তন: এখন কেন
ভারত কয়েক বছর ধরে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে এবং ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করে দেয়। পরে ২০২৪ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে এবং প্রতি টনের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে। এরপর গত সেপ্টেম্বরে ভারত শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করে, যা এবার পুরোপুরি তুলে নেওয়া হলো।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশটিতে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে। তাই রপ্তানির পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কেবল অভ্যন্তরীণ কারণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও ভারত নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে চায়। ভারতীয় পেঁয়াজের বড় ক্রেতা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলো। এ কারণে বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান সুসংহত রাখার কৌশল হিসেবেও ভারত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশের বাজারে সম্ভাব্য প্রভাব
ভারতীয় পেঁয়াজ বিনা শুল্কে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে স্থানীয় কৃষকের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম এমনিতেই কম। এর মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে থাকলে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে, যা স্থানীয় কৃষককে লোকসানের মুখে ফেলবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। পেঁয়াজের সংকট হলে ভারত থেকে আমদানি করা হয়, কিন্তু কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় তেমন কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। বাজার বিশ্লেষক মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছরই আমরা একই ভুলের পুনরাবৃত্তি দেখি। কৃষক লোকসান গুনতে গুনতে একসময় চাষ কমিয়ে দেন, তখন আবার সংকট তৈরি হয় এবং ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ে। এর সমাধানে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।’
সরকারের করণীয় ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান
সরকার ইতিমধ্যে আমদানি নিয়ন্ত্রণের কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে আমদানি অনুমোদন (আইপি) সীমিত রাখা হয়েছে, যাতে স্থানীয় কৃষক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জানিয়েছে, বিপুলসংখ্যক আমদানির আবেদন জমা পড়লেও মাত্র ১০০-২০০ টনের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তবে ৩১ মার্চের পর নতুন অনুমোদন দেওয়া হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, দেশীয় কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা সংকট সমাধানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। প্রথমত, সংরক্ষণ সুবিধা বাড়ানো জরুরি, যাতে কৃষক কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য না হন। দ্বিতীয়ত, সরকারি ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও সরাসরি ক্রয়ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। তৃতীয়ত, আমদানি নীতিতে স্বচ্ছতা আনা দরকার, যাতে হঠাৎ রপ্তানি বন্ধের ফলে বাজারে অস্থিরতা না হয়। চতুর্থত, সাপ্লাই চেইন উন্নয়ন করতে হবে, যেখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে কৃষকের লোকসান কমবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

পেঁয়াজ বাংলাদেশে শুধু একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা নয়, বরং অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর এ নিয়ে দেশে একধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হন, আবার কখনো ভোক্তারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হন। এর পেছনে মূলত আমদানিনির্ভরতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাই দায়ী।
২৪ মার্চ ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

পেঁয়াজ বাংলাদেশে শুধু একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা নয়, বরং অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর এ নিয়ে দেশে একধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হন, আবার কখনো ভোক্তারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হন। এর পেছনে মূলত আমদানিনির্ভরতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাই দায়ী।
২৪ মার্চ ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

পেঁয়াজ বাংলাদেশে শুধু একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা নয়, বরং অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর এ নিয়ে দেশে একধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হন, আবার কখনো ভোক্তারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হন। এর পেছনে মূলত আমদানিনির্ভরতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাই দায়ী।
২৪ মার্চ ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পেঁয়াজ বাংলাদেশে শুধু একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা নয়, বরং অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিবছর এ নিয়ে দেশে একধরনের সংকট সৃষ্টি হয়। কখনো কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হন, আবার কখনো ভোক্তারা চড়া দামে কিনতে বাধ্য হন। এর পেছনে মূলত আমদানিনির্ভরতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাই দায়ী।
২৪ মার্চ ২০২৫
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১৭ ঘণ্টা আগে