
উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
এর ফলে স্পট মার্কেটে এলএনজির চালান কেনায় ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিশ্ব পণ্যবাজার নিয়ে বুধবার প্রকাশিত ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক’ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে বিশ্বের অন্য সব মুদ্রার রেকর্ড দরপতনের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
সরকারের হিসাবে বাংলাদেশের মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৬২ শতাংশই প্রাকৃতিক গ্যাস, যার মধ্যে ৮ শতাংশ চাহিদা আমদানি করা এলপিজি দিয়ে মেটানো হয়। বাকি ৩৮ শতাংশ জ্বালানি চাহিদার বেশির ভাগটা আমদানি করা তেল দিয়ে মেটানো হয়।
এর বাইরে জ্বালানির উৎস হিসেবে দেশে কয়লার বড় মজুত থাকলেও তার উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কম। অন্যদিকে তরল গ্যাসের মজুত খুব বেশি না হলেও প্রাপ্ত উৎসের মধ্যে এর উৎপাদন ও ব্যবহারই বেশি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের মতো অন্যান্য বিকল্পের ব্যবহার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তবে জাপান ও কোরিয়ার মতো বড় এলএনজি আমদানিকারকেরা তাদের বেশির ভাগ এলএনজি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কিনে থাকে। এর ফলে স্পট মার্কেটে দাম বাড়লে এরা বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
তবে এ দুটি দেশই প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সরে গিয়ে জ্বালানি ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে চায়। এজন্য তারা পরমাণু শক্তি পুনর্ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করছে। মেরিন ট্রাফিকের হিসাবে, এখন ৬০টি ট্যাংকার বা বিশ্বের এলএনজি নৌযানের ১০ শতাংশ এখন উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ, ভূমধ্যসাগর, ইবেরিয়ান উপদ্বীপ এলাকায় চলাচল করছে বা নোঙর করে আছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় শীতের আগে ইউরোপের জ্বালানির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। সে কারণে এলএনজি ট্যাংকারগুলো সেদিকে ছুটছে। চাহিদার চেয়ে সংরক্ষণক্ষমতা কম থাকায় সেগুলোকে জলরাশিতেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক পণ্যবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম এমনভাবে হুহু করে বাড়ছে যে এসব দেশের চলমান খাদ্য ও জ্বালানির সংকটকে তা তীব্রতর করতে পারে।
আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির হিসাবে, ঘনিয়ে আসা মন্দার শঙ্কার মধ্যে ডলারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম চূড়ায় উঠেও সম্প্রতি কিছুটা কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডলারে অপরিশোধিত তেল ব্রেন্টের দর প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। তবু আমদানিকারক ও উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় মুদ্রায় তেলের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। একইভাবে গমের দামেও ব্যাপক উচ্চমূল্যের মুখোমুখি হয়েছে এসব দেশের ৯০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যের উচ্চমূল্য বাড়িয়েছে খাদ্যের দাম। ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ২০ শতাংশের বেশি, যা বিশ্বে অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপ, মধ্য এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরই একমাত্র অঞ্চল, যেখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কম ছিল। এর জন্য চালের দামের স্থিতিশীলতাকে মূল অবদান হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাংকের সুষম প্রবৃদ্ধি, অর্থ ও প্রতিষ্ঠান বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলো সাভেদ্রা এক বিবৃতিতে বলেন, পণ্যের দাম যতটুকু কমেছে, তা হিসাবে ধরেও গত পাঁচ বছরে গড় মূল্য স্তরের চেয়ে অনেক বেশি। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্যের সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।
‘আর তাই অবাধ খাদ্য সরবরাহ ও সুষম বিতরণ এবং মানুষের প্রকৃত আয়ে সহায়তা বা ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য একগুচ্ছ নীতিমালার জরুরি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানির দামে বেশ অস্থিরতা ছিল। তবে ধীরে ধীরে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরে জ্বালানির দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে তা প্রায় ১১ শতাংশ কমবে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে এই কমার পরও জ্বালানির দাম গত পাঁচ বছরের চেয়ে গড়ে ৭৫ শতাংশ বেশি থাকবে।
২০২৩ সালে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৯২ ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা পাঁচ বছরের গড় দামের চেয়েও বেশি। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার দামও কমার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে অস্ট্রেলীয় কয়লা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বিগত পাঁচ বছরের গড় দামের দ্বিগুণ হবে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় চার গুণ বেশি হতে পারে।
কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক তৈরির দায়িত্বে থাকা বিশ্বব্যাংকের প্রসপেক্ট গ্রুপ ডিরেক্টর আয়হান কোস বলেন, পণ্যের উচ্চমূল্য এবং ক্রমাগত মুদ্রার অবমূল্যায়ন অনেক দেশকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তবে কয়েক দশকের সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির এই চক্রের লাগাম হাতে রাখতে নতুন বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের খুব বেশি কিছু করার নেই বলে তিনি মনে করেন।
আয়হান কোস বলেন, ‘খুব সর্তকতার সঙ্গে মুদ্রা ও আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করে পরিকল্পনাগুলো সুস্পষ্টভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হাবে তাঁদের। পাশাপাশি বৈশ্বিক আর্থিক ও পণ্য বাজারে আরও উচ্চ অস্থির সময় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
কৃষিপণ্যের দাম আগামী বছর ৫ শতাংশ কমার আশা করা হচ্ছে। আর গমের দাম এ বছর তৃতীয় প্রান্তিকে ২০ শতাংশ কমেও এক বছর আগের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট জন ব্যাফেস বলেন, কৃষিপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস কতগুলো ঝুঁকি ওপর নির্ভর করবে। প্রথমত, ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে রপ্তানিতে ব্যাঘাত আবারও বিশ্বব্যাপী শস্য সরবরাহে বাধা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, জ্বালানির দামের চরম বৃদ্ধি শস্য ও ভোজ্যতেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয়ত, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কমতে পারে।

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
এর ফলে স্পট মার্কেটে এলএনজির চালান কেনায় ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিশ্ব পণ্যবাজার নিয়ে বুধবার প্রকাশিত ‘কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক’ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলারের বিপরীতে বিশ্বের অন্য সব মুদ্রার রেকর্ড দরপতনের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানির সংকট তীব্রতর হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
সরকারের হিসাবে বাংলাদেশের মোট জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৬২ শতাংশই প্রাকৃতিক গ্যাস, যার মধ্যে ৮ শতাংশ চাহিদা আমদানি করা এলপিজি দিয়ে মেটানো হয়। বাকি ৩৮ শতাংশ জ্বালানি চাহিদার বেশির ভাগটা আমদানি করা তেল দিয়ে মেটানো হয়।
এর বাইরে জ্বালানির উৎস হিসেবে দেশে কয়লার বড় মজুত থাকলেও তার উৎপাদন ও ব্যবহার দুটোই কম। অন্যদিকে তরল গ্যাসের মজুত খুব বেশি না হলেও প্রাপ্ত উৎসের মধ্যে এর উৎপাদন ও ব্যবহারই বেশি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের মতো অন্যান্য বিকল্পের ব্যবহার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারছে না। তবে জাপান ও কোরিয়ার মতো বড় এলএনজি আমদানিকারকেরা তাদের বেশির ভাগ এলএনজি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কিনে থাকে। এর ফলে স্পট মার্কেটে দাম বাড়লে এরা বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
তবে এ দুটি দেশই প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে সরে গিয়ে জ্বালানি ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে চায়। এজন্য তারা পরমাণু শক্তি পুনর্ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করছে। মেরিন ট্রাফিকের হিসাবে, এখন ৬০টি ট্যাংকার বা বিশ্বের এলএনজি নৌযানের ১০ শতাংশ এখন উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ, ভূমধ্যসাগর, ইবেরিয়ান উপদ্বীপ এলাকায় চলাচল করছে বা নোঙর করে আছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় শীতের আগে ইউরোপের জ্বালানির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। সে কারণে এলএনজি ট্যাংকারগুলো সেদিকে ছুটছে। চাহিদার চেয়ে সংরক্ষণক্ষমতা কম থাকায় সেগুলোকে জলরাশিতেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে।
বৈশ্বিক পণ্যবাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির দাম এমনভাবে হুহু করে বাড়ছে যে এসব দেশের চলমান খাদ্য ও জ্বালানির সংকটকে তা তীব্রতর করতে পারে।
আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির হিসাবে, ঘনিয়ে আসা মন্দার শঙ্কার মধ্যে ডলারে বেশির ভাগ পণ্যের দাম চূড়ায় উঠেও সম্প্রতি কিছুটা কমেছে। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে আগস্ট পর্যন্ত ডলারে অপরিশোধিত তেল ব্রেন্টের দর প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। তবু আমদানিকারক ও উন্নয়নশীল দেশে মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় মুদ্রায় তেলের দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। একইভাবে গমের দামেও ব্যাপক উচ্চমূল্যের মুখোমুখি হয়েছে এসব দেশের ৯০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি পণ্যের উচ্চমূল্য বাড়িয়েছে খাদ্যের দাম। ২০২২ সালের প্রথম ৯ মাসে দক্ষিণ এশিয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল গড়ে ২০ শতাংশের বেশি, যা বিশ্বে অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপ, মধ্য এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে ছিল। তবে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরই একমাত্র অঞ্চল, যেখানে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি কম ছিল। এর জন্য চালের দামের স্থিতিশীলতাকে মূল অবদান হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রতিবেদনে।
বিশ্বব্যাংকের সুষম প্রবৃদ্ধি, অর্থ ও প্রতিষ্ঠান বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলো সাভেদ্রা এক বিবৃতিতে বলেন, পণ্যের দাম যতটুকু কমেছে, তা হিসাবে ধরেও গত পাঁচ বছরে গড় মূল্য স্তরের চেয়ে অনেক বেশি। এর ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে খাদ্যের সংকট দীর্ঘায়িত হতে পারে।
‘আর তাই অবাধ খাদ্য সরবরাহ ও সুষম বিতরণ এবং মানুষের প্রকৃত আয়ে সহায়তা বা ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য একগুচ্ছ নীতিমালার জরুরি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জ্বালানির দামে বেশ অস্থিরতা ছিল। তবে ধীরে ধীরে দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি বছরে জ্বালানির দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়লেও ২০২৩ সালে তা প্রায় ১১ শতাংশ কমবে বলে বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে এই কমার পরও জ্বালানির দাম গত পাঁচ বছরের চেয়ে গড়ে ৭৫ শতাংশ বেশি থাকবে।
২০২৩ সালে ব্রেন্টের দাম প্রতি ব্যারেল ৯২ ডলার হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা পাঁচ বছরের গড় দামের চেয়েও বেশি। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং কয়লার দামও কমার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে অস্ট্রেলীয় কয়লা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বিগত পাঁচ বছরের গড় দামের দ্বিগুণ হবে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় চার গুণ বেশি হতে পারে।
কমোডিটি মার্কেটস আউটলুক তৈরির দায়িত্বে থাকা বিশ্বব্যাংকের প্রসপেক্ট গ্রুপ ডিরেক্টর আয়হান কোস বলেন, পণ্যের উচ্চমূল্য এবং ক্রমাগত মুদ্রার অবমূল্যায়ন অনেক দেশকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তবে কয়েক দশকের সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির এই চক্রের লাগাম হাতে রাখতে নতুন বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের খুব বেশি কিছু করার নেই বলে তিনি মনে করেন।
আয়হান কোস বলেন, ‘খুব সর্তকতার সঙ্গে মুদ্রা ও আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করে পরিকল্পনাগুলো সুস্পষ্টভাবে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হাবে তাঁদের। পাশাপাশি বৈশ্বিক আর্থিক ও পণ্য বাজারে আরও উচ্চ অস্থির সময় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’
কৃষিপণ্যের দাম আগামী বছর ৫ শতাংশ কমার আশা করা হচ্ছে। আর গমের দাম এ বছর তৃতীয় প্রান্তিকে ২০ শতাংশ কমেও এক বছর আগের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সিনিয়র ইকোনমিস্ট জন ব্যাফেস বলেন, কৃষিপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস কতগুলো ঝুঁকি ওপর নির্ভর করবে। প্রথমত, ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে রপ্তানিতে ব্যাঘাত আবারও বিশ্বব্যাপী শস্য সরবরাহে বাধা দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, জ্বালানির দামের চরম বৃদ্ধি শস্য ও ভোজ্যতেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তৃতীয়ত, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফলন কমতে পারে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
২৭ অক্টোবর ২০২২
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
২৭ অক্টোবর ২০২২
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
২৭ অক্টোবর ২০২২
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১ দিন আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

উচ্চ চাহিদার কারণে ইউরোপে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম সর্বোচ্চ। আর তাই অন্য দেশের গন্তব্যে থাকা এলএনজির চালান পথ বদলে বেশি লাভজনক ইউরোপের বাজারে যাচ্ছে।
২৭ অক্টোবর ২০২২
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
১ দিন আগে