Ajker Patrika

তাহিরপুরে মাঠ আছে নেই খেলা, থেকেও নেই ক্রীড়া সংস্থা

প্রতিনিধি, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২১, ১২: ৩২
তাহিরপুরে মাঠ আছে নেই খেলা, থেকেও নেই ক্রীড়া সংস্থা

তাহিরপুর উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি গত পাঁচ বছরেও খেলার উপযোগী না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার ক্রীড়ামোদী যুবকদের মধ্যে। অপরদিকে কাগজে-কলমে কমিটি থাকলেও প্রায় অর্ধযুগ ধরে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে তাহিরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের পাশের মাঠে তিন একর জায়গা নিয়ে ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি পাবলিক টয়লেট, একটি প্যাভিলিয়ন বিল্ডিং এবং ৩৫টি পাকা বেঞ্চ নির্মাণ করার কথা। বর্তমানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি তাহিরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

তাহিরপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে মাঠটি হারিয়ে যেতে বসেছে। পুরো মাঠ খানাখন্দে ভরা। মাঠের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ময়লা–আবর্জনার স্তূপ। অন্যদিকে মাঠের একপাশে দখল হয়ে আছে সড়ক ও বিভিন্ন ভবন নির্মাণসামগ্রী দিয়ে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে পদাধিকারবলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হাফিজ উদ্দিন নামে দুজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চার বছর মেয়াদি কমিটির তিন মাস পূর্বেই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার কথা। 

তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, কাগজে–কলমে তাহিরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি থাকলেও বাস্তবে নেই কোনো কার্যক্রম। গত পাঁচ বছরের মধ্যে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের খেলার আয়োজনও করা হয়নি।  

শফিকুল ইসলাম নামের একজন অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক বছরে খেলার মাঠটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের অর্থ উত্তোলন করা হলেও মাঠ সংস্কারের কোনো কাজ চোখে পড়েনি। 

তরুণ ক্রীড়া সংগঠক গোলাম নবী সাজ্জাদ বলেন, ২০১৭ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে গঠিত হওয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটির কোনো কার্যক্রম নেই। নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটি করার দাবি জানাই।
 
উপজেলা মানবাধিকারকর্মী আবুল কাশেম বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কয়েক লক্ষাধিক টাকার বরাদ্দে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার কথা থাকলেও তাহিরপুর উপজেলায় তা কোনো কাজে আসেনি। নামে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থাকলেও খেলাধুলার উপযোগী হয়ে ওঠেনি আজ পর্যন্ত। 

সাবেক ফুটবলার রুকন উদ্দিন তালুকদার জানান, যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। কিন্তু তাহিরপুরে যে মাঠটি রয়েছে, সেখানে খেলার কোনো পরিবেশ না থাকায় যুবসমাজ দিনদিন বিপথগামী হচ্ছে। মাঠের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য তিনি তাহিরপুরের ইউএনও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট দাবি জানান।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বে থাকা নেতাদের লজ্জা নেই দাবি করে হোসাইন আফজাল নামের এক তরুণ খেলোয়াড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, তাহিরপুর খেলার মাঠ নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু কানে নিচ্ছেন না কেউ। ছেলের বয়সী পোলাপানদের কাছে আর ঘৃণার পাত্র না হয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। আর কত? 

মাঠ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মিসবাহ উদ্দিন শিশির নামের এক ফুটবলপ্রেমী, পাঁচ বছরেও মাঠের কোনো পরিবর্তন হয়নি উল্লেখ করে স্ট্যাটাসে মাঠ সংস্কারের বরাদ্দ কোথায় যায় এমন প্রশ্ন তোলেন। 

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পদাধিকারবলে ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো. রায়হান কবির বলেন, `সর্বশেষ ২০১৭ সালে তাহিরপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নিয়মানুযায়ী কমিটির মেয়াদকাল শেষ। খুব শিগগির নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করব।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির সদ্যপ্রয়াত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেওয়ার সুবিধার্থে আগামীকাল বুধবার মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের সই করা নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে বিশেষ এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উদ্যোগের বিষয়ে ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার ৩১ ডিসেম্বর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও খালেদা জিয়ার জানাজার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেলের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মেট্রোরেল সেবা সমন্বয় করা হবে। যাতায়াত স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে ডিএমটিসিএল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
মাওলানা মুখলিছুর রহমান (চিতল মুখলিছ)। ছবি: সংগৃহীত
মাওলানা মুখলিছুর রহমান (চিতল মুখলিছ)। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মাওলানা মুখলিছুর রহমান (চিতল মুখলিছ) নামের এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। তিনি শেখ হাসিনাকে চিতল মাছ ও হিরো আলমকে নোয়া গাড়ি উপহার দিয়ে ‘চিতল মুখলিছ’ নামে পরিচিতি পান। মুখলিছুর রহমান পরে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে চুনারুঘাট পৌর শহরের থানা রোডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে থানার গেট এলাকায় দাঁড়িয়ে মাওলানা মুখলিছুর রহমান বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বিষয়টি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের কানে গেলে তাঁরা তাঁকে আটক করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাঁকে ধরে মারধর করে। পরে স্থানীয় মুরব্বিদের হস্তক্ষেপে মাওলানা মুখলিছুর রহমান প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

যুবদল নেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মারুফ আহমেদ বলেন, থানার গেট এলাকায় বসে তিনি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা তাঁকে কিছু মারধর করে। পরে উপস্থিত মুরব্বিদের হস্তক্ষেপে মাওলানা মুখলিছুর রহমান প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০২
হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সাহায্যকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে তৃতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পর অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ফয়সাল নামে একজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেন।

দুই আদিবাসী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম এবং ফয়সালকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পৃথক দুটি আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

২৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সিবিউন ও সঞ্জয়কে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ ডিসেম্বর দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

এর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে এই দুজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।

সিবিউন ও সঞ্জয়ের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে পারাপারকারী চক্রের হোতা জনৈক ফিলিপ নামক ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত, গ্রেপ্তার, ফিলিপ ব্যতীত আর কারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, ফিলিপের সঙ্গে কিলিং মিশনের কে বা কারা যোগাযোগ করেছে তা জানার জন্য, কিলিং মিশনের ইন্ধনদাতা এবং অর্থদাতাদের শনাক্ত করার জন্য সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিমকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

অন্যদিকে ফয়সালের রিমান্ড আবেদন থেকে জানা যায়, ১৬ ডিসেম্বর র‍্যাব-১১-এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন তরুয়া এলাকার মোল্লার বাড়ির সামনে তরুয়ার বিলে অভিযান চালিয়ে ফয়সালকে আটক করে। অভিযানের সময় বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া হাদি হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

তাঁর রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, হাদি হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। মামলার এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়ার তথ্য অনুযায়ী, আসামি ফয়সালের দেখানো মতে নরসিংদী সদরের তরোয়া বিল থেকে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করে। নরসিংদী সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ফয়সালের তথ্যানুযায়ী উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও গুলি পল্টনে চাঞ্চল্যকর ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে। অস্ত্রের উৎস ও সরবরাহকারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ, হত্যার মোটিভ উদ্ধার, ইন্ধনদাতাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ফয়সালকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় রিকশায় করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করা হয়। মোটরসাইকেল করে এসে রিকশার পাশ থেকে করা গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার হলে সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।

১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাফলংয়ে বালুচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় পাড় ধসে পড়ে এক বালুশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে জাফলং চা-বাগানসংলগ্ন নদীর পাড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাচ্চু মিয়া (৫০) গোয়াইনঘাট উপজেলার নয়াবস্তি গ্রামের মৃত হাবিব মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একদল শ্রমিক নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলনের কাজ করছিল। এ সময় হঠাৎ বালুর একটি বড় অংশ ধসে পড়ে শ্রমিকদের ওপর। অন্য শ্রমিকেরা দ্রুত সরে যেতে পারলেও বাচ্চু মিয়া বালুর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, বালু উত্তোলনের সময় মাটি ধসে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত