Ajker Patrika

সিলেটে পিকেটিংয়ে গিয়ে যুবদল নেতা নিহত, পুলিশের গাড়িচাপায় হত্যা—দাবি বিএনপির

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ২০: ৩৭
সিলেটে পিকেটিংয়ে গিয়ে যুবদল নেতা নিহত, পুলিশের গাড়িচাপায় হত্যা—দাবি বিএনপির

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দিলু আহমদ জিলু (৩৫) অবরোধের পিকেটিং করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। বিএনপি ও পরিবারের দাবি, পুলিশের গাড়ি মোটরসাইকেল আরোহী জিলুকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, জিলু পুলিশ দেখে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আহত হন, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বুধবার সিলেট বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে সিলেট বিভাগীয় যুবদল। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় অবরোধের পিকেটিংয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিলু মারা যান। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মদনগৌরী এলাকার এলাইছ মিয়ার ছেলে। তাঁর আড়াই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধে পিকেটিং করতে যান জিলু। একপর্যায়ে তিনি পুলিশ দেখে পালানোর সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেন। সেখানেই তিনি মারা যান।

বিএনপির দাবি, জিলু মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একদল পুলিশ তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলে চাপা দেয়। এরপর তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাঁরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদ পান।

নিহত জিলুর বড় ভাই মো. বুলু মিয়া জিলুর সঙ্গে আহত রফিক মিয়ার বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেছন থেকে পুলিশের গাড়িয়ে ধাক্কা মারিয়া তারারে ফালাইছে। পুলিশে পরে তারারে থানায় নিছে। পরে আবার তারারে হসপিটালও লইয়া আইছে। পুলিশে হসপিটাল তারারে ওলান রাখিয়া আইছে। পরে আমরার মানুষে গিয়া তারারে ভর্তি করছেন। হসপিটালে ভর্তি তারা দুইজনে গাড়ির ধাক্কায় মাথায় চোট পাইছেন, নাকে-মুখে রক্ত বের হইছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে আর কেউ ইলান পরিস্থিতির সম্মুখীন না হইন।’

সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে পিকেটিং করতে যান যুবদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ এসে যুবদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী শাহ সুন্দর এলাকার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে জিলু গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি মারা যান।’

অ্যাডভোকেট মোমিনুল জানান, ‘এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় আমরা বিক্ষোভ মিছিল করে বুধবার অবরোধের পাশাপাশি সিলেট বিভাগের যুবদলের পক্ষ থেকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’

তবে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-গণমাধ্যম) আজবাহার আলী শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘সে পুলিশ হেফাজতে মারা যায়নি। সকালে লালাবাজারের এদিকে পিকেটিং করতে আসছিল সে। পুলিশ দেখে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালাতে গিয়ে সে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে সেখানে তারা দুই ভাই পড়ে যায়। তখন লোকজন তাঁদের সকাল ৮টা ৫৩ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করে। আইসিইউতে সে মারা যায় এবং তার ভাই সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা দেখলেই বুঝতে পারবেন। যে তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তারা থানাতেই আছে।’

ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। এটা অ্যাকসিডেন্টাল বিষয়, পুলিশ ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছ থেকে জেনে নেন।’

এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে পুলিশি হেফাজতে জিলুর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে জেলা ও মহানগর বিএনপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী এই বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতা-কর্মীরা। অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ যুবদল নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় অন্যান্য নেতা-কর্মীর সঙ্গে গোলাপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিলু আহমদ দিলু মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একদল পুলিশ তাঁকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে এবং পুলিশের ভ্যান তাঁর মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এরপর তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এরপর বেলা ২টার দিকে আমরা জিলুর মৃত্যুর সংবাদ পাই। যেহেতু পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়, সেহেতু পুলিশই উদীয়মান ও নিবেদিতপ্রাণ যুবনেতাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে বলে আমরা মনে করি।’

বিবৃতিতে জিলুর মৃত্যুতে গভীর শোক, দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য মুক্তিকামী জনতা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। সরকার জনতার ন্যায্য দাবির এই আন্দোলনকে দমাতে নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। যে জিলু সকাল বেলায়ও দেশের মানুষের দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন, বিকেলে তাঁকে লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে। এভাবে তো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র চলতে পারে না। এই সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করার বিকল্প নেই।

এসএমপির ওসমানী মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলমগীর জানান, যুবদল নেতা জিলুর মরদেহ মর্গে রয়েছে। আগামীকাল বুধবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গতকাল সোমবার ঢাকা-৩ সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আসন হিসেবে পরিচিত এই আসনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ মোট ১৬ জন এদিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই আসনে শক্ত লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, সে আভাসই মিলেছে।

এদিন ঢাকা-২ ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষ, দাঁড়িপাল্লা ও হাতপাখা প্রতীকে একজন করে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণসংহতি আন্দোলন এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে যুক্ত হন।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুকের কাছে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সুলতান আহমেদ খানও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিন ঢাকা-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া বিএনপির একাধিক বিদ্রোহী নেতা ও সমর্থকের উপস্থিতি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিএনপির তিনজন বড় নেতা ও তিনজন সমর্থক রয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও অবিভক্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নাজিমউদ্দীন মাস্টার, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল কবির পল এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেত আলী বাবু। তাঁদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল কবির পল অনেক দিন ধরে ঢাকা-৩ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত দল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেই মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিএনপির সমর্থকদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া নিয়েও এলাকায় কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাজ্জাত হোসেন, ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লার মা পারুল মোল্লাসহ আরও কয়েকজন। বিএনপি নেতাদের একটি অংশের দাবি, কৌশলগত কারণেই এসব প্রার্থীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনী মাঠে রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া একই আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী সাজ্জাদ আল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী বাচ্চু ভূঁইয়া, গণফোরামের প্রার্থী মোহাম্মদ রওশন ইয়াজদানি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বেলাল হোসেন, মো. ফারুক, মো. সাজ্জাদ ও মো. শোয়েব মাহমুদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্রভাবে বিএনপির একাধিক প্রভাবশালী নেতা ও সমর্থকের অংশগ্রহণে ঢাকা-৩ আসনের নির্বাচনী সমীকরণ শুরুতেই জটিল হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের পাশাপাশি বিএনপির ভেতরের এই বহুমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জন্য এবারের নির্বাচনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভারকেয়ারের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এছাড়া র‍্যাব ও বিজিবিসহ আরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে শেষবারের মতো এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নানান পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ছুটে এসেছেন এক পলক দেখতে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে শতশত মানুষ ভিড় জমতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তাঁদের নেত্রীকে একপলক দেখার জন্য এসেছেন, কেউ কেউ ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছেন।

ঢাকায় থাকা দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রায় সবাই ইতিমধ্যে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দিলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা

পীরগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সড়কের তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগঞ্জে বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তার কথা বলে তাল, খেজুরসহ বিভিন্ন জাতের গাছের মাথা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, প্রায় অর্ধশত গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা বা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা ছাড়াই এসব গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব গাছে ফল ধরবে কি না, তা নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার খালাশপীর থেকে চতরা সড়কের মঞ্জিলার দরগা হয়ে পত্নীচড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং আশপাশের বসতবাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা তাল, খেজুর, কলাসহ বিভিন্ন গাছের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার পত্নীচড়া গ্রামের মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘এই গাছগুলো আমাদের ছায়া দিত, ফল দিত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করত। কোনো ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়াই গাছগুলোর মাথা কেটে দেওয়া হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ছোট রসুলপুর গ্রামের নুর আমিন বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু পুরো গাছের মাথা কেটে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না। এতে গাছগুলো স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উজিরপুর গ্রামের তাহাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক গাছে হয়তো আর ফল ধরবে না। এতে পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।’

এ বিষয়ে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের ঝুঁকি এড়াতেই কাজটি করা হয়েছে।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সিইউজের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি এক অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল।

বিজ্ঞপ্তিতে সিইউজের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ‘খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক অবিস্মরণী ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব। রাষ্ট্র পরিচালনা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বহুদলীয় রাজনীতির বিকাশে তাঁর অবদান ইতিহাসে অসামান্য। একজন সাহসী ও আপসহীন রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবে তিনি দেশের মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে আজন্ম সংগ্রামী নেত্রী। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানসহ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক রূপান্তরে তিনি এক অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ তাঁর মৃত্যুতে জাতি এক অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারিয়েছে। এই শোকাবহ মুহূর্তে সিইউজে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ফজরের নামাজের ঠিক পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলেন ৮০ বছর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত