নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা।
তাঁরা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে যে গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের যথাযথ বিচার হবে কি?
আজ সোমবার নগরীর কুমারপাড়া এলাকার একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে বিএনপি। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা হতবাক হয়েছি, গত ৩০ জানুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ৫টি মামলায় সাবেক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ এবং তাঁর ভাই কামরান আহমদকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না; যা নিয়ে সিলেটের সচেতন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসান কয়েস লোদী বলেন, আপনারা জানেন, জিআর মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকে পুলিশ, আসামি জামিন চাওয়ার আগপর্যন্ত বিষয়টি আদালতের পিপির জানার কোনো সুযোগ থাকে না। ওই দিনেও রেজওয়ান এবং তাঁর ভাই ৫টি মামলায় জামিন চাওয়ার খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের পিপিরা জামিনের আপত্তি করেন এবং বিএনপির কোনো আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়াননি।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত প্রাঙ্গণে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় আদালতে থাকা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে তাঁরা যদি সে সময় জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করতেন, তাহলে আদালত প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারত। সেটা হলে আদালতের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হতো।
তিনি আরও বলেন, একসঙ্গে পাঁচটি মামলায় জামিন পাওয়া নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকের সঙ্গে দেখা করে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে পিপি অফিসে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ফ্যাসিজমের দোসরদের পাওয়া জামিন আইনিভাবে বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ বিষয়ে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, জুলাই বিপ্লবে, বিশেষ করে গত ৪ আগস্ট নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। উপরন্তু এসব অবৈধ অস্ত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সারা দেশে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে এসব অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিএনপি জিরো টলারেন্সে রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর এসব অভিযোগে সিলেট বিএনপি ১০ জনকে বহিষ্কার করেছে। সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ভাঙচুরের সঙ্গে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী জড়িত নেই। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতিকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির নেতারা বলেন, সিলেট জেলা বারে দলীয় নির্বাচন হয় না। এখানে ব্যক্তির ইমেজের ওপর নির্বাচন হয়। মূলত এ কারণেই জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি।
এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কতিপয় চিনি-কাণ্ডসহ নানা ঘটনায় সমালোচনার বিষয়ে নেতারা বলেন, কেউ অপরাধ করলে কিংবা দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অপকর্ম করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিগত দিনে এর নজির রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, ডা. আশরাফ আলী, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, নাদির খান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা।
তাঁরা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে যে গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের যথাযথ বিচার হবে কি?
আজ সোমবার নগরীর কুমারপাড়া এলাকার একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে বিএনপি। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা হতবাক হয়েছি, গত ৩০ জানুয়ারি সিলেটের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ৫টি মামলায় সাবেক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ এবং তাঁর ভাই কামরান আহমদকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সিলেটের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না; যা নিয়ে সিলেটের সচেতন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হাসান কয়েস লোদী বলেন, আপনারা জানেন, জিআর মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকে পুলিশ, আসামি জামিন চাওয়ার আগপর্যন্ত বিষয়টি আদালতের পিপির জানার কোনো সুযোগ থাকে না। ওই দিনেও রেজওয়ান এবং তাঁর ভাই ৫টি মামলায় জামিন চাওয়ার খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের পিপিরা জামিনের আপত্তি করেন এবং বিএনপির কোনো আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়াননি।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত প্রাঙ্গণে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় আদালতে থাকা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ কথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে তাঁরা যদি সে সময় জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করতেন, তাহলে আদালত প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারত। সেটা হলে আদালতের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হতো।
তিনি আরও বলেন, একসঙ্গে পাঁচটি মামলায় জামিন পাওয়া নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকের সঙ্গে দেখা করে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে পিপি অফিসে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ফ্যাসিজমের দোসরদের পাওয়া জামিন আইনিভাবে বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এ বিষয়ে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, জুলাই বিপ্লবে, বিশেষ করে গত ৪ আগস্ট নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। উপরন্তু এসব অবৈধ অস্ত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। সারা দেশে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে এসব অস্ত্রধারীকে গ্রেপ্তার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিএনপি জিরো টলারেন্সে রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর এসব অভিযোগে সিলেট বিএনপি ১০ জনকে বহিষ্কার করেছে। সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ভাঙচুরের সঙ্গে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী জড়িত নেই। এই সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতিকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির নেতারা বলেন, সিলেট জেলা বারে দলীয় নির্বাচন হয় না। এখানে ব্যক্তির ইমেজের ওপর নির্বাচন হয়। মূলত এ কারণেই জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি।
এ ছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কতিপয় চিনি-কাণ্ডসহ নানা ঘটনায় সমালোচনার বিষয়ে নেতারা বলেন, কেউ অপরাধ করলে কিংবা দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অপকর্ম করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিগত দিনে এর নজির রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, ডা. আশরাফ আলী, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, নাদির খান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১০ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
৩৩ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে যে গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের যথাযথ বিচার হবে কি?
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
৩৩ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে যে গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের যথাযথ বিচার হবে কি?
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১০ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
১ ঘণ্টা আগেনকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে যে গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের যথাযথ বিচার হবে কি?
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১০ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
৩৩ মিনিট আগে
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তাঁরা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের দেওয়া হুমকিমূলক বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি অশোভন এবং অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে বারবার মারমুখী ও অশালীন আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত “তালা ঝোলানো” সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এর আগেও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, যা সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।’
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তারা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। তবে তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি প্রসঙ্গে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউট ছাত্রদল যেহেতু আমাকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সেহেতু আমি সঠিক পথেই আছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতা-কর্মী নাকি আমাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মনোনয়নপত্র নেওয়ার দিন মনে আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের না, রাজশাহীর সর্বস্তরের কর্মী নিয়েও লাভ হয় নাই। সালাহউদ্দিন আম্মার একা দাঁড়াইয়া ছিল, ওই দিনও সব নেতা-কর্মীর স্লোগান, হুমকি-ধমকি দিয়ে একটা চুলও ছিঁড়তে পারে নাই। ডিনদের পদত্যাগ করাইলাম বাকি কাজও করে যাব।’
একই দিন রাতে জিএস আম্মারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা, সংযম ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তব্যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘অনুষদ অধিকর্তাদের নির্বাচিত মেয়াদ সমাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ভিন্নমত বা আপত্তি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে আলোচনা, আবেদন কিংবা প্রতিবাদের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই পথ অনুসরণ না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান আইনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।’
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ দাবিতে আম্মারের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে ডিনদের চেম্বারে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি প্রশাসনের সকল দপ্তরে তালা দেন তাঁরা। পরে এদিন রাতে এক সভায় ছয় ডিন তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগের ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে শাখা ছাত্রদল। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান ক্যাম্পাসে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেতারা বলেন, ‘রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারের দেওয়া হুমকিমূলক বক্তব্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি অশোভন এবং অছাত্রসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। একজন ছাত্রনেতার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ জ্ঞানচর্চার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে বারবার মারমুখী ও অশালীন আচরণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথাকথিত “তালা ঝোলানো” সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদী মানসিকতারই প্রতিফলন। এর আগেও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ একজন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল, যা সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।’
ডিনদের পদত্যাগের বিষয়টি কেন্দ্র করে তারা বলেন, ‘এই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মব-সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। সালাহউদ্দিন আম্মারের মতো কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অপচেষ্টা চালালে ছাত্রদলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
এ ছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। তবে তথ্য-উপাত্ত ছাড়া অহেতুক ট্যাগিং ও অপপ্রচারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
এদিকে ছাত্রদলের বিবৃতি প্রসঙ্গে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউট ছাত্রদল যেহেতু আমাকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সেহেতু আমি সঠিক পথেই আছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের নেতা-কর্মী নাকি আমাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মনোনয়নপত্র নেওয়ার দিন মনে আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের না, রাজশাহীর সর্বস্তরের কর্মী নিয়েও লাভ হয় নাই। সালাহউদ্দিন আম্মার একা দাঁড়াইয়া ছিল, ওই দিনও সব নেতা-কর্মীর স্লোগান, হুমকি-ধমকি দিয়ে একটা চুলও ছিঁড়তে পারে নাই। ডিনদের পদত্যাগ করাইলাম বাকি কাজও করে যাব।’
একই দিন রাতে জিএস আম্মারের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘একজন নির্বাচিত ছাত্রপ্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতা, সংযম ও প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বক্তব্যে তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র ফুটে উঠেছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘অনুষদ অধিকর্তাদের নির্বাচিত মেয়াদ সমাপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তাঁদের দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কারও ভিন্নমত বা আপত্তি থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে আলোচনা, আবেদন কিংবা প্রতিবাদের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই পথ অনুসরণ না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য, কুরুচিপূর্ণ ভাষা প্রয়োগ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি প্রদান আইনশৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।’
উল্লেখ্য, গতকাল সকাল থেকে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ দাবিতে আম্মারের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এতে ডিনদের চেম্বারে তালা ঝোলানোর পাশাপাশি প্রশাসনের সকল দপ্তরে তালা দেন তাঁরা। পরে এদিন রাতে এক সভায় ছয় ডিন তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।

ফ্যাসিজমের দোসররা যেভাবে একের পর এক জামিন পাচ্ছেন, তা সত্যিই দুঃখজনক। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে যে গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের যথাযথ বিচার হবে কি?
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
১০ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
৩৩ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে