Ajker Patrika

হয়রানি মুক্তির প্রিপেইড মিটারে ভোগান্তিতে গ্রাহক

  • জরুরি ব্যালান্স নিলে পরিশোধ করতে হয় মাত্রাতিরিক্ত চার্জ।
  • প্রিপেইড মিটার বন্ধ করে পোস্টপেইড মিটার স্থাপনের দাবি।
  • প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন।
লবীব আহমদ, সিলেট 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের অপচয় নিয়ন্ত্রণ এবং ভুতুড়ে বিলের হয়রানি থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে ২০০৪ সালে সারা দেশে প্রিপেইড মিটার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই থেকে সিলেট নগরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও মার্কেটে প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওতাধীন এলাকায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮২টি মিটার স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু প্রিপেইড মিটার নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। অযথা টাকা কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে রয়েছে নানা সমস্যা।

এ জন্য প্রিপেইড মিটার বন্ধ করে পোস্টপেইড ও ডিজিটাল মিটার স্থাপনের দাবি গ্রাহকদের। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আগের পোস্টপেইড মিটার সরিয়ে নতুন প্রিপেইড মিটার বসাতে গ্রাহকদের অনেকটা বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রিপেইড মিটার নিয়ে চলছে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম। নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত চার্জ। মিটারে রিচার্জ করার পরই দ্রুত টাকা শেষ হয়ে যায়। কাগজের বিলের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিল পরিশোধ করতে হয় প্রিপেইড মিটারে। আবার আরেক ভোগান্তির নাম হচ্ছে জরুরি ব্যালান্স। জরুরি ব্যালান্স নিলে পরিশোধ করতে হয় মাত্রাতিরিক্ত চার্জ। রিচার্জে পোহাতে হয় নানামুখী ঝামেলা। একদিকে রিচার্জ কার্ড সব জায়গায় পাওয়া যায় না, অন্যদিকে ডিজিট বেশি হওয়ায় তা মিটারে প্রবেশ করাতে ঝক্কি পোহাতে হয়। একসঙ্গে এতগুলো ডিজিট প্রবেশ করাতে গিয়ে ভুল হলেই মিটার ‘লক’ হয়ে যায়। তখন দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। মিটার আনলক করতে দিনের পর দিন ধরনা দিতে হয় বিদ্যুৎ অফিসে। এসব কারণে গ্রাহকেরা প্রিপেইড মিটারের পরিবর্তে আবার পোস্টপেইড মিটার স্থাপনের দাবি জানাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে মানববন্ধনও হয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে। এ ছাড়া নগরীতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটি গড়ে উঠছে।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপন করে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে উল্টো প্রিপেইড মিটার স্থাপনের মাধ্যমে লুটপাট শুরু করেছেন। প্রিপেইড মিটারে আগের মিটারের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি বিল আসছে। এ ছাড়া মিটারভাড়াও বেড়েছে।

ভুক্তভোগী সৈয়দ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘আগে ৬০০-৭০০ টাকা বিল আসত। এখন ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আসে। কী কারণে এটা হচ্ছে, বুঝতেছি না। আবার লোডশেডিংও বেশি। আমরা আগের মিটার চাই।’ নগরের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা সৈয়দ আব্দুল মুকিত বলেন, ‘আমার একটাই অনুরোধ, প্রিপেইড মিটার খুলে আমাদের আগের মিটারটাই দেওয়া হোক। আমরা তো কখনো টাকা বকেয়া রাখি না। মাস পুরলেই বিলের টাকা দিয়ে দিই। এই মিটারে নানা সমস্যা, এটা আর চাই না।’

সিলেটের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানা যায়, সিসিকের আওতাধীন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এ ১৭ হাজার ৮৭৮টি, বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-২-এ ৫৮ হাজার ৫৯৩টি, বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-৩-এ ১৬ হাজার ৪২৭টি, বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-৪-এ ২৩ হাজার ৫৮৪টি এবং বিক্রয় বিতরণ বিভাগ-৫-এ ৩০ হাজার প্রিপেইড মিটার ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) অফিসের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির বলেন, ‘এটা তো ডিজিটাল সিস্টেম, সারা দেশেই প্রথম দিকে একটু সমস্যা হচ্ছে। সিলেটে প্রায় ৬৩ শতাংশ প্রিপেইড মিটার। সবারই তো চলতেছে, যাঁরা নতুন, তাঁরা এসব বলছেন। ২০০৫-০৬ সাল থেকে যাঁরা ব্যবহার করছেন, তাঁদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমাদের অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে সিলেটে। বিভিন্ন জায়গায় মিটারে কারচুপি হচ্ছে। যারা বিল তোলে, তারা সঠিক রিডিং নেয় না। গ্রাহকদের এসব হয়রানি তো বন্ধ হচ্ছে প্রিপেইড মিটারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত