ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

জাল-জালিয়াতির একটি মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. রফিক মিয়া (৬৯)। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের একটি আদালত। ২১ দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
কিন্তু জামিনে মুক্তির পর বাদীপক্ষের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি আসল রফিক মিয়া নন। অর্থাৎ ‘আয়নাবাজি’ করেছেন রফিক মিয়া। ইমিগ্রেশন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলায় আদালতে যাঁর যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তিনি ১৬ আগস্টের আগে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসেননি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রফিক মিয়ার পরিবর্তে আদালতে ও কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি মো. আমিন উদ্দিন (৫৭) পেশায় ট্রাকচালক। কারাগারে থাকা ছবিটিও তাঁর। বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। তবে রফিক মিয়ার আইনজীবীর দাবি, ওই ব্যক্তি রফিক মিয়া।
সিলেট নগরের কাজীটুলায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে ১১ কোটি ৭৯ লাখ ২ হাজার ১৬৯ টাকা তুলে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলার ২ নম্বর আসামি রফিক মিয়ার ক্ষেত্রে আসল-নকলের এই প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করা এই মামলায় মোট আসামি আটজন।
রফিক মিয়া সিলেটের ওসমানী নগরের দশহাল গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আদালত ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিক মিয়া গত বছরের ১৬ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। পরে তৃতীয় দফায় ৫ সেপ্টেম্বর জামিন মঞ্জুর হলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর আইনজীবী ছিলেন মো. হুমায়ুন কবির (আইডি নং-১৬৬২)। জামিনদার হন আইনজীবীর সহকারী মো. জাকারিয়া।
দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কিত সকল খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
এদিকে ৯ সেপ্টেম্বর মামলার ধার্য তারিখে বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী আদালতে এক আবেদনে বলেন, জামিন পাওয়া ব্যক্তি এই মামলার আসামি রফিক মিয়া নন। ২৯ আগস্ট আদালতে কথিত রফিক মিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়া ৭ নম্বর আসামি শেখ আজাদ বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আইনজীবী রফিকের ২০ বছরের পাসপোর্টের মূল কপি ও কারাগারে সংগৃহীত ছবি তলব করে আসামি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আবেদন জানান। সেদিন রফিক ও তাঁর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে ৩১ অক্টোবর সর্বশেষ পাসপোর্টসহ আসামিকে আদালতে হাজির করতে তাঁর আইনজীবী ও জামিনদারকে নির্দেশ দেন।
৩১ অক্টোবর আইনজীবী হুমায়ুন কবির আদালতে জানান, রফিক অসুস্থ থাকায় আগের তারিখে হাজির হতে পারেননি। তিনি সুচিকিৎসার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর লন্ডন গেছেন। সুস্থ হলে দেশে ফিরে আদালতে হাজির হবেন। জামিনদারও ওই দিন আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ায় আদালত রফিকের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাঁর হাজতি পরোয়ানার কপি ৭ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে পাঠাতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত। ওই তারিখে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৬ মে রফিকের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলেও বাদীপক্ষের সাক্ষী না আসায় ১১ জুলাই (আগামীকাল) পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগাযোগ করে ‘রফিক মিয়ার’ ছবি এবং আদালতে দাখিল করা পাসপোর্টের ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে শনাক্তের জন্য এই প্রতিবেদক যান ওসমানী নগরের দশহাল গ্রামে রফিকের বাড়িতে। সেখানে রফিকের বড় ভাই হারিছ মিয়াকে কারাগারে যাওয়া ব্যক্তির ছবি দেখানো হলে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর ভাই রফিক নন। তবে পাসপোর্টের ব্যক্তির ছবি দেখানো হলে তাঁকে রফিক বলে শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, রফিক দীর্ঘদিন দেশে আসেননি। তাঁর ছবিও নেই। তিনি বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করার অনুরোধ করেন। তাঁর (হারিছ) ছেলে রুয়েদ ওরফে রুনু মিয়াও লন্ডনে থাকেন।
ওই মামলার ৭ নম্বর আসামি রফিকের চাচাশ্বশুর বিশ্বনাথের রশিদপুরের (ধর্মদা) শেখ আজাদকে কারাগারে যাওয়া ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে তিনি রফিক কি না জানতে চাইলে তিনি সরাসরি জবাব দেননি। বলেন, আদালতে ওই ব্যক্তির চোখে কালো চশমা, মুখে বড় মাস্ক ছিল। তাই কে ছিল, বলতে পারবেন না।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক বলেন, রফিকের পরিবর্তে অন্যজন কারাগারে গেছেন বলে শুনেছেন।
যোগাযোগ করা হলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্দী রফিক মিয়া আদালত থেকে কারাগারে আসার পর নিবন্ধন করে ছবি তোলা হয়। অনেক সময় সার্ভারের জটিলতা বা জ্যামের কারণে শতভাগ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখা যায় না। সে ক্ষেত্রে বন্দীর মৌখিক দেওয়া তথ্য ইনপুট করা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দীর যথার্থতা নির্ধারণের দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে পুলিশের ও পরে আদালতের। সরবরাহ করা তথ্য ও ছবির বন্দীই রফিক মিয়া হিসেবে হাজতের পরোয়ানামূলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এসেছেন।
কারাগারে থাকা ছবির ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায় জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দিগলবাক (দিগলবাদ) গ্রামে। শেওলা ইউপির চেয়ারম্যান মো. জহুর উদ্দিন ও সদস্য মাহমুদুল হাসান এরশাদকে ওই ছবি দেখানো হলে তাঁরা জানান, ছবিটি ট্রাকচালক আমিন উদ্দিনের। তিনি মো. মঈন উদ্দিনের ছেলে। এরশাদ এই প্রতিবেদককে নিয়ে যান আমিন উদ্দিনের বাড়িতে। বাড়ির লোক ছবিটি রাহেলা বেগমের স্বামী ও আমিনা বেগমের বাবা আমিন উদ্দিনের। এরশাদের সহযোগিতায় মোবাইলে যোগাযোগ করলে আমিন উদ্দিন ২১ দিন কারাগারে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রফিকের ভাতিজা রুনুর ট্রিপ দিতাম। ঘটনার দিন কোর্টের সামনে তিনি বলেন, তাঁর একজন আসামি আসেননি। বদলা হাজিরা দিতে হবে। আমি রাজি হই। কিন্তু কোর্ট আমাকে কারাগারে পাঠান।
রুনু পরিবারকে ১০-১৫ হাজার টাকা দেন। আমাকে কারাগার থেকে বের করেন। কারাগারে ঢোকার সময় নিজের নাম আমিন উদ্দিন বললেও তারা বলে, আমি রফিক মিয়া।’
রফিক মিয়া ও তাঁর ভাতিজা রুনু মিয়া যুক্তরাজ্যে থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রফিকের ভাই হারিছ মিয়াও যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে রফিকের জামিনদার মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘জামিন হলে স্যার (আইনজীবী হুমায়ুন) আসামির ভাতিজা রুনু ভাইকে ফোন দিতে বলেছিলেন। ফোন করে জামিনদার নিয়ে আসতে বললেও তিনি আসতে পারছেন না জানিয়ে আমাকে জামিনদার হতে অনুরোধ করেন। রুনু ও আসামিকে চিনতাম না।’
তবে আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিই প্রকৃত রফিক মিয়া। কারাগার থেকেও আদালতে এমন প্রতিবেদন এসেছে। তিনি বলেন, ‘আসামিকে আইনজীবীর চেনার কথা নয়। যাঁরা হাজির করেন, তাঁরা চেনেন। জামিনদার বলতে পারবেন। জামিনদার আমার সঙ্গে কাজ করেন না।’
সিলেটের বিশিষ্ট আইনজীবী এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, যদি কোনো ব্যক্তিকে আদালতে কোনো আইনজীবী শনাক্ত করেন, তার দায়দায়িত্ব ওই আইনজীবীর। তবে সেই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠবে, তখন অনুসন্ধানের মাধ্যমে পরিচয় উদ্ঘাটনের দায়দায়িত্ব আদালতের।
আরও খবর পড়ুন:

জাল-জালিয়াতির একটি মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. রফিক মিয়া (৬৯)। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের একটি আদালত। ২১ দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
কিন্তু জামিনে মুক্তির পর বাদীপক্ষের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি আসল রফিক মিয়া নন। অর্থাৎ ‘আয়নাবাজি’ করেছেন রফিক মিয়া। ইমিগ্রেশন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মামলায় আদালতে যাঁর যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তিনি ১৬ আগস্টের আগে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে আসেননি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রফিক মিয়ার পরিবর্তে আদালতে ও কারাগারে যাওয়া ব্যক্তি মো. আমিন উদ্দিন (৫৭) পেশায় ট্রাকচালক। কারাগারে থাকা ছবিটিও তাঁর। বিষয়টি তিনি স্বীকারও করেছেন। তবে রফিক মিয়ার আইনজীবীর দাবি, ওই ব্যক্তি রফিক মিয়া।
সিলেট নগরের কাজীটুলায় একটি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে ১১ কোটি ৭৯ লাখ ২ হাজার ১৬৯ টাকা তুলে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে করা মামলার ২ নম্বর আসামি রফিক মিয়ার ক্ষেত্রে আসল-নকলের এই প্রশ্ন উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করা এই মামলায় মোট আসামি আটজন।
রফিক মিয়া সিলেটের ওসমানী নগরের দশহাল গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আদালত ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিক মিয়া গত বছরের ১৬ আগস্ট সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। পরে তৃতীয় দফায় ৫ সেপ্টেম্বর জামিন মঞ্জুর হলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাঁর আইনজীবী ছিলেন মো. হুমায়ুন কবির (আইডি নং-১৬৬২)। জামিনদার হন আইনজীবীর সহকারী মো. জাকারিয়া।
দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কিত সকল খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
এদিকে ৯ সেপ্টেম্বর মামলার ধার্য তারিখে বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী আদালতে এক আবেদনে বলেন, জামিন পাওয়া ব্যক্তি এই মামলার আসামি রফিক মিয়া নন। ২৯ আগস্ট আদালতে কথিত রফিক মিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়া ৭ নম্বর আসামি শেখ আজাদ বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। আইনজীবী রফিকের ২০ বছরের পাসপোর্টের মূল কপি ও কারাগারে সংগৃহীত ছবি তলব করে আসামি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আবেদন জানান। সেদিন রফিক ও তাঁর আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে ৩১ অক্টোবর সর্বশেষ পাসপোর্টসহ আসামিকে আদালতে হাজির করতে তাঁর আইনজীবী ও জামিনদারকে নির্দেশ দেন।
৩১ অক্টোবর আইনজীবী হুমায়ুন কবির আদালতে জানান, রফিক অসুস্থ থাকায় আগের তারিখে হাজির হতে পারেননি। তিনি সুচিকিৎসার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর লন্ডন গেছেন। সুস্থ হলে দেশে ফিরে আদালতে হাজির হবেন। জামিনদারও ওই দিন আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাওয়ায় আদালত রফিকের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাঁর হাজতি পরোয়ানার কপি ৭ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে পাঠাতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত। ওই তারিখে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৬ মে রফিকের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলেও বাদীপক্ষের সাক্ষী না আসায় ১১ জুলাই (আগামীকাল) পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগাযোগ করে ‘রফিক মিয়ার’ ছবি এবং আদালতে দাখিল করা পাসপোর্টের ব্যক্তির ছবি সংগ্রহ করে শনাক্তের জন্য এই প্রতিবেদক যান ওসমানী নগরের দশহাল গ্রামে রফিকের বাড়িতে। সেখানে রফিকের বড় ভাই হারিছ মিয়াকে কারাগারে যাওয়া ব্যক্তির ছবি দেখানো হলে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি তাঁর ভাই রফিক নন। তবে পাসপোর্টের ব্যক্তির ছবি দেখানো হলে তাঁকে রফিক বলে শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, রফিক দীর্ঘদিন দেশে আসেননি। তাঁর ছবিও নেই। তিনি বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করার অনুরোধ করেন। তাঁর (হারিছ) ছেলে রুয়েদ ওরফে রুনু মিয়াও লন্ডনে থাকেন।
ওই মামলার ৭ নম্বর আসামি রফিকের চাচাশ্বশুর বিশ্বনাথের রশিদপুরের (ধর্মদা) শেখ আজাদকে কারাগারে যাওয়া ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে তিনি রফিক কি না জানতে চাইলে তিনি সরাসরি জবাব দেননি। বলেন, আদালতে ওই ব্যক্তির চোখে কালো চশমা, মুখে বড় মাস্ক ছিল। তাই কে ছিল, বলতে পারবেন না।
তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনোদয় পাল ঝলক বলেন, রফিকের পরিবর্তে অন্যজন কারাগারে গেছেন বলে শুনেছেন।
যোগাযোগ করা হলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বন্দী রফিক মিয়া আদালত থেকে কারাগারে আসার পর নিবন্ধন করে ছবি তোলা হয়। অনেক সময় সার্ভারের জটিলতা বা জ্যামের কারণে শতভাগ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখা যায় না। সে ক্ষেত্রে বন্দীর মৌখিক দেওয়া তথ্য ইনপুট করা হয়।
কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, বন্দীর যথার্থতা নির্ধারণের দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে পুলিশের ও পরে আদালতের। সরবরাহ করা তথ্য ও ছবির বন্দীই রফিক মিয়া হিসেবে হাজতের পরোয়ানামূলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এসেছেন।
কারাগারে থাকা ছবির ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায় জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দিগলবাক (দিগলবাদ) গ্রামে। শেওলা ইউপির চেয়ারম্যান মো. জহুর উদ্দিন ও সদস্য মাহমুদুল হাসান এরশাদকে ওই ছবি দেখানো হলে তাঁরা জানান, ছবিটি ট্রাকচালক আমিন উদ্দিনের। তিনি মো. মঈন উদ্দিনের ছেলে। এরশাদ এই প্রতিবেদককে নিয়ে যান আমিন উদ্দিনের বাড়িতে। বাড়ির লোক ছবিটি রাহেলা বেগমের স্বামী ও আমিনা বেগমের বাবা আমিন উদ্দিনের। এরশাদের সহযোগিতায় মোবাইলে যোগাযোগ করলে আমিন উদ্দিন ২১ দিন কারাগারে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রফিকের ভাতিজা রুনুর ট্রিপ দিতাম। ঘটনার দিন কোর্টের সামনে তিনি বলেন, তাঁর একজন আসামি আসেননি। বদলা হাজিরা দিতে হবে। আমি রাজি হই। কিন্তু কোর্ট আমাকে কারাগারে পাঠান।
রুনু পরিবারকে ১০-১৫ হাজার টাকা দেন। আমাকে কারাগার থেকে বের করেন। কারাগারে ঢোকার সময় নিজের নাম আমিন উদ্দিন বললেও তারা বলে, আমি রফিক মিয়া।’
রফিক মিয়া ও তাঁর ভাতিজা রুনু মিয়া যুক্তরাজ্যে থাকায় এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রফিকের ভাই হারিছ মিয়াও যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে রফিকের জামিনদার মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘জামিন হলে স্যার (আইনজীবী হুমায়ুন) আসামির ভাতিজা রুনু ভাইকে ফোন দিতে বলেছিলেন। ফোন করে জামিনদার নিয়ে আসতে বললেও তিনি আসতে পারছেন না জানিয়ে আমাকে জামিনদার হতে অনুরোধ করেন। রুনু ও আসামিকে চিনতাম না।’
তবে আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির বলেন, কারাগারে যাওয়া ব্যক্তিই প্রকৃত রফিক মিয়া। কারাগার থেকেও আদালতে এমন প্রতিবেদন এসেছে। তিনি বলেন, ‘আসামিকে আইনজীবীর চেনার কথা নয়। যাঁরা হাজির করেন, তাঁরা চেনেন। জামিনদার বলতে পারবেন। জামিনদার আমার সঙ্গে কাজ করেন না।’
সিলেটের বিশিষ্ট আইনজীবী এমাদুল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, যদি কোনো ব্যক্তিকে আদালতে কোনো আইনজীবী শনাক্ত করেন, তার দায়দায়িত্ব ওই আইনজীবীর। তবে সেই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠবে, তখন অনুসন্ধানের মাধ্যমে পরিচয় উদ্ঘাটনের দায়দায়িত্ব আদালতের।
আরও খবর পড়ুন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন খুলশীতে তাঁর মামার বাসায় থাকতেন। তাঁর বড় ভাইও সেখানে থাকেন। দুই দিন আগে সুমনের মামা পুরো পরিবার নিয়ে তুরস্কে বেড়াতে যান। বাসায় সুমন ও তাঁর বড় ভাই ছিলেন। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সুমন। ফোনে তাঁর বড় ভাই কখন বাসায় ফিরবেন জানতে চান সুমন। বড় ভাই জানান যে তাঁর আসতে একটু দেরি হবে। এর কিছুক্ষণ পর বড় ভাই সুমনকে ফোন করলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে বাড়ি থেকে সুমনের মা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে না পেরে বিষয়টি বড় ভাইকে জানান। এতে উদ্বেগ দেখা দিলে বড় ভাই বিল্ডিংয়ের দারোয়ানকে দিয়ে বাসা চেক করান।
দারোয়ান কলিংবেল বাজিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে বড় ভাইকে জানালে তিনি দ্রুত বাসায় এসে সুমনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে চিরকুট মিলেছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আমি সুমন, ওমর ফারুক সুমন। আমার কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। আর আমার কারও প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সবাই ভালো থাকবেন।’ এর আগে ১ ডিসেম্বর লেখা আরেকটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল—‘আশাই জীবন, আশাই মরণ, ব্যর্থতা হতাশা-অন্ধকারে নিয়ে যায়।’
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর জামান বলেন, ‘সুমন ও তাঁর বড় ভাই একসঙ্গে মামার বাসায় থাকতেন। মামা ও মামি বর্তমানে বিদেশে আছেন। বড় ভাই সন্ধ্যায় বাইরে যান। সে সময় সুমন বাসায় একা ছিলেন। বড় ভাই বাসায় ফিরে এসে বারবার ডাকলেও ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে সুমনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা সব সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

জাল-জালিয়াতির একটি মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. রফিক মিয়া (৬৯)। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের একটি আদালত। ২১ দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
১০ জুলাই ২০২৪
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

জাল-জালিয়াতির একটি মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. রফিক মিয়া (৬৯)। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের একটি আদালত। ২১ দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
১০ জুলাই ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

জাল-জালিয়াতির একটি মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. রফিক মিয়া (৬৯)। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের একটি আদালত। ২১ দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
১০ জুলাই ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪২ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

জাল-জালিয়াতির একটি মামলার আসামি যুক্তরাজ্যপ্রবাসী মো. রফিক মিয়া (৬৯)। জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে গত বছরের ১৬ আগস্ট তাঁকে কারাগারে পাঠান সিলেটের একটি আদালত। ২১ দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান।
১০ জুলাই ২০২৪
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ওমর ফারুক সুমন নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকার একটি বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৬ মিনিট আগে
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
৪২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে