সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
নতুন মিটার সংযোগ, স্থানান্তর অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। সরাসরি অফিসে গিয়ে বহুবার চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে ‘ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে’ কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে কাজ হাসিল করেছেন সহজেই। পল্লী বিদ্যুতের এমন সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করলেন সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ডু।
অনলাইনে আবেদন করে সরকারি নির্ধারিত ফি দিলেও নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। আগে মিটার পেতে ইলেকট্রিশিয়ানের ওয়্যারিং রিপোর্ট বাধ্যতামূলক ছিল। সেই সুযোগে অনেক ইলেকট্রিশিয়ান প্রতিটি আবেদনপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করতেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব টাকার একটি অংশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীর পকেটে যায়।
বর্তমানে সেই নিয়ম পরিবর্তন করে গ্রাহকের কাছ থেকে ‘গ্রাউন্ডিং রডের মেমো নম্বর’ জমা নেওয়া হচ্ছে। তবে সিন্ডিকেটের চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সাহাব উদ্দিন জানান, কয়েক মাস আগে অনলাইনে আবেদন করে মিটার পেয়েছিলেন। তবে ঝড়ে তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অফিসে মিটার জমা দেন। এরপর একাধিকবার অফিসে গেলেও আর মিটার ফেরত পাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ভাই একসঙ্গে থাকতাম। আলাদা হওয়ার পর নতুন মিটার দরকার ছিল। আবেদন করতে গেলে ইলেকট্রিশিয়ানের রিপোর্ট চাইল। শেষে একজনকে টাকা দিয়ে কাজ করালাম। পরে মিটার নষ্ট হলে আর ফেরত পাইনি।’
একই এলাকার বাসিন্দা আলীনুর বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ২-৩ হাজার টাকা দিতে হয়, তখন কাজ হয়।’
বিদ্যুৎ বিভাগের ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এক ফেজ সংযোগে আবেদন ফি ১২০ টাকা, জামানত ৪৮০ টাকা এবং তিন ফেজে আবেদন ফি ৩৬০ টাকা ও জামানত ৭২০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তাহিরপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. আলাউর হক সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার অফিসের কেউ এমন অনিয়মে জড়িত নয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন মিটার পেতে ৯ হাজার টাকা খরচ করেছি। পরে আমাকে পুরোনো মিটার দেওয়ার চেষ্টা হয়। আমি না মানায় শুনি, আমার আবেদন বাতিল হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অফিসে জিএম স্যারের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ফল হয়নি। অফিসে যার হাতে টাকা দিয়েছি, তাকেও দেখিয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইলেকট্রিশিয়ান জানান, কিছু নির্ধারিত ব্যক্তি অফিসের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও অফিস থেকে কাজ আদায় করে দেন। এদের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন হয়।
জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ডু বলেন, ‘অফিসের সামনে সিটিজেন চার্টারে সব ফি লেখা আছে। অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সব সেবা অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে দেশে-বিদেশে সিন্ডিকেট আছে, আমি একা সেটা ভাঙতে পারব না। যদি আমার অফিসের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকে, জানান—আমি ব্যবস্থা নেব।’
নতুন মিটার সংযোগ, স্থানান্তর অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। সরাসরি অফিসে গিয়ে বহুবার চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে ‘ইলেকট্রিশিয়ানের মাধ্যমে’ কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে কাজ হাসিল করেছেন সহজেই। পল্লী বিদ্যুতের এমন সিন্ডিকেটের কথা স্বীকার করলেন সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ডু।
অনলাইনে আবেদন করে সরকারি নির্ধারিত ফি দিলেও নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। আগে মিটার পেতে ইলেকট্রিশিয়ানের ওয়্যারিং রিপোর্ট বাধ্যতামূলক ছিল। সেই সুযোগে অনেক ইলেকট্রিশিয়ান প্রতিটি আবেদনপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করতেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব টাকার একটি অংশ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীর পকেটে যায়।
বর্তমানে সেই নিয়ম পরিবর্তন করে গ্রাহকের কাছ থেকে ‘গ্রাউন্ডিং রডের মেমো নম্বর’ জমা নেওয়া হচ্ছে। তবে সিন্ডিকেটের চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ।
উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সাহাব উদ্দিন জানান, কয়েক মাস আগে অনলাইনে আবেদন করে মিটার পেয়েছিলেন। তবে ঝড়ে তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অফিসে মিটার জমা দেন। এরপর একাধিকবার অফিসে গেলেও আর মিটার ফেরত পাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই ভাই একসঙ্গে থাকতাম। আলাদা হওয়ার পর নতুন মিটার দরকার ছিল। আবেদন করতে গেলে ইলেকট্রিশিয়ানের রিপোর্ট চাইল। শেষে একজনকে টাকা দিয়ে কাজ করালাম। পরে মিটার নষ্ট হলে আর ফেরত পাইনি।’
একই এলাকার বাসিন্দা আলীনুর বলেন, ‘বিদ্যুৎ অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ২-৩ হাজার টাকা দিতে হয়, তখন কাজ হয়।’
বিদ্যুৎ বিভাগের ২০২৪ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এক ফেজ সংযোগে আবেদন ফি ১২০ টাকা, জামানত ৪৮০ টাকা এবং তিন ফেজে আবেদন ফি ৩৬০ টাকা ও জামানত ৭২০ টাকা। কিন্তু বাস্তবে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
তাহিরপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. আলাউর হক সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার অফিসের কেউ এমন অনিয়মে জড়িত নয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন মিটার পেতে ৯ হাজার টাকা খরচ করেছি। পরে আমাকে পুরোনো মিটার দেওয়ার চেষ্টা হয়। আমি না মানায় শুনি, আমার আবেদন বাতিল হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অফিসে জিএম স্যারের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ফল হয়নি। অফিসে যার হাতে টাকা দিয়েছি, তাকেও দেখিয়েছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইলেকট্রিশিয়ান জানান, কিছু নির্ধারিত ব্যক্তি অফিসের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও অফিস থেকে কাজ আদায় করে দেন। এদের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন হয়।
জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মিলন কুমার কুন্ডু বলেন, ‘অফিসের সামনে সিটিজেন চার্টারে সব ফি লেখা আছে। অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সব সেবা অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে দেশে-বিদেশে সিন্ডিকেট আছে, আমি একা সেটা ভাঙতে পারব না। যদি আমার অফিসের কেউ এর সঙ্গে যুক্ত থাকে, জানান—আমি ব্যবস্থা নেব।’
‘সমঝোতা, নাকি মরতে চান’—মোটাদাগে এই প্রস্তাবের আশঙ্কায় এখন দিন গোনেন রাজধানীর পল্লবীর আবাসন ব্যবসায়ীরা। ফোনে বা সরাসরি লোক পাঠিয়ে তাঁদের এই প্রস্তাব দিচ্ছে একদল সন্ত্রাসী। কেউ ভয় পেয়ে সমঝোতা করছেন, কেউ সাড়া না দিয়ে চুপ থাকছেন। তাঁদের বেশির ভাগ থানায় যাচ্ছেন না কিংবা মামলা করছেন না। গত পাঁচ মাসে বৃহত
২ ঘণ্টা আগেকুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) এলাকায় প্রতিদিন বাড়ছে জনসংখ্যা ও নগরায়ণের চাপ। বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণও। অথচ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ডাস্টবিনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক বাসিন্দা ও দোকানি ময়লা ফেলছে সড়কের পাশে, ড্রেনে বা খোলা জায়গায়। এতে পরিবেশদূষণের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে
২ ঘণ্টা আগেখুলনা সার্কিট হাউস মাঠের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে চলছে ২১ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা। ৭ জুলাই মেলার উদ্বোধন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৯টি গাছের চারা বিক্রি হয়েছে মেলায়। এর মূল্য ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬১৫ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেসার্ভার সমস্যার কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমি অফিসগুলো। জেলার ৪২টি ইউনিয়ন ভূমি উন্নয়ন কর অফিসে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে খাজনা পরিশোধ ও মিউটেশন কার্যক্রম। এতে একদিকে যেমন দুর্ভোগে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা, অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব।
২ ঘণ্টা আগে