Ajker Patrika

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শাবিপ্রবির ভর্তিতে কোটা আপাতত স্থগিত

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে সবধরনের কোটার ব্যবহার আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিকভাবে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করেন।

আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮০তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আপাতত সবধরনের কোটা স্থগিত করা হয়েছে। ভর্তিতে কোটার ব্যবহার নিয়ে ভর্তি কমিটি অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক কোটা রাখা নিয়ে একটি সুপারিশ করবে, সেই আলোকে ভর্তির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে ২৮টি বিভাগ মিলে আসন রয়েছে ১ হাজার ৬৭১টি। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগে (‘এ’ ইউনিট) ৯৮৫টি এবং সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদভুক্ত বিভাগে (‘বি’ ইউনিট) আসন রয়েছে ৫৮১টি। এ ছাড়া কোটায় ১০৫টি (অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচনা) আসন রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৮টি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/জাতিসত্তা/হরিজন/দলিত কোটা ২৮, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪, পোষ্য কোটা ২০, চা–শ্রমিক কোটা ৫ ও বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটায় ১০টি আসন রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত তিনটি ভর্তি কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষে কোটায় ৪৬ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে পোষ্য কোটায় ১৮ জন, চা–শ্রমিক কোটায় ৩, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটায় ১১ ও প্রতিবন্ধী কোটায় ৮ শিক্ষার্থী। ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে কোটায় ভর্তি হন ২৩ জন। এর মধ্যে পোষ্য কোটায় ৯ জন, মুক্তিযোদ্ধায় ২, চা–শ্রমিকে ৩, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীতে ৭ ও অলিম্পিক কোটায় দুই শিক্ষার্থী।

২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৯। এর মধ্যে পোষ্য কোটায় ১৫ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৯, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/জাতিসত্তা বা হরিজন/দলিত কোটায় ১৯, প্রতিবন্ধী কোটায় ১১, চা–শ্রমিক কোটায় ৩ ও বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটায় দুই শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, মূল আসন ছাড়া অতিরিক্ত হিসেবে কোটার ১০৫টি আসন সংরক্ষিত ছিল। এসব আসন মূল আসন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বলে বিবেচনা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ

নিউজিল্যান্ডের কাছে বাজে হারের ‘বদলা’ নেবেই পাকিস্তান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত