Ajker Patrika

সড়কে অবৈধ অটোরিকশা, ওপরে ম্যানেজ করতে মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায়

শিপুল ইসলাম, রংপুর ও আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
আপডেট : ০৭ মে ২০২৪, ১৪: ৪৩
সড়কে অবৈধ অটোরিকশা, ওপরে ম্যানেজ করতে মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায়

রংপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে চলছে সহস্রাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সড়কে চলাচল নির্ঝঞ্ঝাট ও নির্বিঘ্ন করতে অবৈধ এসব অটোরিকশার প্রতিটি থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। তাতে মাসে চাঁদা আদায়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। ‘ওপরমহল ম্যানেজ করার জন্য’ এসব টাকা আদায় করছেন কয়েকজন মোটরশ্রমিক। তবে তাঁদের পেছনে কে বা কারা আছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

গত রোববার সরেজমিন ঘুরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় থেকে কালীগঞ্জ সড়ক, দর্শনা-ভেন্ডাবাড়ী, মাহিগঞ্জ-পীরগাছা, বাস টার্মিনাল-বদরগঞ্জ, সাতমাথা-কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি সড়কে সহস্রাধিক অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। রংপুর শহরের বাংলাদেশ মোড় এলাকার গঙ্গাচড়া সড়কে শতাধিক অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। 

সেখান থেকে ভাড়া নিয়ে চালকেরা যাচ্ছেন মহিপুর হয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে। সেখানে শতাধিক অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘আমাদের গাড়ি অবৈধ। আগে প্রায়ই ট্রাফিক পুলিশ ধরে মামলা দিত। এখন আর দেয় না।’ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে রাকিবুল ইসলাম রাকু নামের এক যুবক প্রেত্যেক গাড়িচালকের কাছ থেকে ১৫০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছেন। এই টাকা দিয়ে তিনি ওপরে সামলান। এখন নির্ভয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। কোনো পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে না।’ 

ওই রুটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলে ১৪০টি। তাতে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হচ্ছে ২১ হাজার টাকা। চাঁদা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে রাকিবুল ইসলাম রাকু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই দেড় শ টাকা দেন না। কেউ কম দেন। ২১ হাজার টাকা কালেকশনের কথাটা সঠিক নয়। প্রতিদিন সড়ক থেকে কালেকশন হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।’ এই টাকা কোথায় যায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই, বোঝেন না, অবৈধ গাড়ি সড়কে চললে কারা টাকা খায়? এটা কি বলতে হয়? সবাইকে থামাতে হয়।’ 

রংপুর সিটির সাতমাথা থেকে কুড়িগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করছে শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সাতমাথায় প্রতিদিন প্রতিটি অটোরিকশাচালকের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন আনোয়ার হোসেন ও জাকির হোসেন চৌধুরী। তাঁরা দুজন মোটরশ্রমিক নেতা দাবি করে এই চাঁদা আদায় করছেন। অটোরিকশাচালক সাগর আলী বলেন, ‘৫ লাখ টাকায় সিএনজি অটোরিকশা কিনেছি। আগে গাড়ি সড়কে তুললেই ট্রাফিকের মামলা খেতে হতো। এখন মোটরশ্রমিক নেতাদের ২০০ টাকা করে চাঁদা দেওয়ায় আর সমস্যা হচ্ছে না।’ 

রোস্তম আলী নামের আরেক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘সরকার আমাদের গাড়ির লাইসেন্স দিলে কাউকে চাঁদা দিতে হইতো না। চাঁদা দেওয়ার টাকাটা সরকার পাইত।’ 

সড়কে চাঁদা আদায়ের কারণ জানতে চাইলে শ্রমিক নেতা জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘গাড়িগুলো অবৈধ হওয়ায় ঠিকভাবে তাঁরা সড়কে চালাতে পারেন না। তাই তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে গাড়িগুলো চালানোর ব্যবস্থা করেছি। প্রতিটি গাড়ি থেকে ২০০ টাকা আদায় করছি। এর মধ্যে আমরা পাই ৫০ টাকা, বাকি ১৫০ টাকা চলে যায় ওপরে।’ ওপর কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরাসরি কারও নাম বলতে পারব না, ধরে নেন। আগে তাদের গাড়ি সড়কে উঠলেই আটক করে হয়রানি করা হতো। এখন করা হয় না।’ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়-গঙ্গাচড়া সড়কে যাত্রীর অপেক্ষায় সারিবদ্ধ অটোরিকশাদর্শনা-ভেন্ডাবাড়ি সড়কে প্রায় ৮০টি অটোরিকশা চলাচল করছে। শ্রমিক নেতা মনির হোসেন প্রতিদিন প্রতিটি গাড়িচালকের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। আর মাসে প্রত্যেক চালকের কাছ থেকে ১ হাজার করে চাঁদা আদায় করছেন মিরাজ হোসেন নামের অটোরিকশাচালক। মিরাজ হোসেন বলেন, ‘আমি প্রতি মাসে ৪৮ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করি। এই টাকার ১৬ হাজার দিই এক বড় ভাইয়ের হাতে। তিনি ওপরে সামলান। বাকি টাকা আমার সংগঠন ও আমি পারিশ্রমিক হিসেবে নিই।’ 

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. মেনহাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিএনজিচালকেরা গরিব মানুষ। মানবিক কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের নামে কেউ চাঁদা নিতে পারে না। বিষয়টি আগে কেউ আমার নজরে দেয়নি। বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

আজ মঙ্গলবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়কে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি এখনই দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুমকীতে অটো-টমটম সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের চেষ্টা: ব্যর্থ হয়ে ১৪ জনকে ফেরত নিল বিএসএফ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত