আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা

শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য প্রায় ৫৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধাসংবলিত তিনতলা ভবন। এসব পরিচালনার খরচ এবং বিভিন্ন সেবা ব্যয়ে দেওয়া হয় সরকারি বরাদ্দ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও অধিকাংশ শ্রমিক জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সম্পর্কে। তাঁরা পান না সেবা।
শ্রমিক নেতারা জানান, গাইবান্ধায় নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নের সংখ্যা প্রায় ১২৯টি। এ ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই রয়েছে একটি করে শ্রমিক সংগঠন। জেলায় শ্রমিক ইউনিয়ন আর শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তবে এগুলোর বেশির ভাগই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কোনো প্রত্যাশা পূরণ হয় না।
গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে জেলা শহরের গোডাউন রোড এলাকায় দুই একর জমির ওপর নতুন করে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধা সংবলিত তিনতলা ভবন। এই কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা, শ্রমকল্যাণ সংগঠক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ফার্মাসিস্ট, ডিসপেনসারি অ্যাটেনডেন্ট, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ১২টি পদে জনবল রয়েছে।
শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে প্রধান দুটি পদ মেডিকেল অফিসার এবং জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তার দুটি পদ ২০২২ সাল থেকে শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া শ্রমকল্যাণ সংগঠক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ডিসপেনসারি অ্যাটেনডেন্টসহ আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। এই অবস্থায় বন্ধ রয়েছে কল্যাণ কেন্দ্রটির চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম। ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও এখানে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন।
সরেজমিনে গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, তিনতলা ভবনটির নিচতলার একপাশে অব্যবহৃত পড়ে আছে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র। অন্য পাশে পরিবার-পরিকল্পনার সেবাকেন্দ্র। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রশিক্ষণকক্ষ, বিনোদনকক্ষ, লাইব্রেরি, দর্শনার্থীকক্ষ, বিশ্রামাগার এবং তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুম আর অফিস রুম। ভবনজুড়ে সুনসান নীরবতা। নেই শ্রমিক অথবা শ্রমিক পরিবারের আনাগোনা। কেন্দ্রে সেবা কার্যক্রমগুলো চালু না থাকায় এখানে শ্রমিক আসছেস না। ফলে কর্মকর্তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসংবলিত জেলার শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সম্পর্কে শ্রমিকদের জানানোর জন্য প্রচার-প্রচারণার দরকার। কেন্দ্রটি সক্রিয় করার কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় শ্রমিক ইউনিয়নগুলো শ্রমিকদের সঙ্গে বসে শ্রমের মূল্য নির্ধারণ ও কার্যকরেরও কোনো ভূমিকা রাখে না। বছরজুড়ে নিশ্চুপ থাকলেও শুধু মে দিবসেই রেওয়াজ মেনে শোভাযাত্রা আর সভা-সমাবেশ করায় সরব হয়ে ওঠে বেশির ভাগ শ্রমিক সংগঠন।
শহরের রিকশাচালক মইন মিয়া বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকে শহরেরই রিকশা চালাই। স্টেশনের পাশেই গোডাউন রোডে লেবারদের একটা অফিস আছে সেটা জানি। কিন্তু সেখানে কী হয় তা বলতে পারব না।’
গাইবান্ধা জেলা পরিবহন সুপারভাইজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটির কোনো যোগসূত্রই তৈরি হয়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির নাম শুনেছি। আমাদের কোনো খোঁজখবর নেন না তাঁরা, আমরাও নেইনি তাঁদের খোঁজ। বেশির ভাগ শ্রমিকই জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি কোথায়।’
পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সরকারি এই শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে বলে জানান গাইবান্ধা কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক পার্টির জেলা সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি চালু রাখার একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আর শ্রমিকেরাও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের অধিকার থেকে।’
রেজাউন্নবী রাজু আরও বলেন, ‘সরকারকে প্রতিবছর এই কেন্দ্রে কর্মচারীদের বেতন ও বিভিন্ন খরচ মেটাতে গিয়ে ব্যয় করতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি মাঝেমধ্যে কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে সেমিনার করে, যা লোক দেখানো। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।’
গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও শ্রমকল্যাণ সংগঠক মো. নাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ পাঁচটি পদে জনবল না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব সমস্যার সমাধান শিগগিরই হবে।’

শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য প্রায় ৫৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধাসংবলিত তিনতলা ভবন। এসব পরিচালনার খরচ এবং বিভিন্ন সেবা ব্যয়ে দেওয়া হয় সরকারি বরাদ্দ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও অধিকাংশ শ্রমিক জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সম্পর্কে। তাঁরা পান না সেবা।
শ্রমিক নেতারা জানান, গাইবান্ধায় নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নের সংখ্যা প্রায় ১২৯টি। এ ছাড়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই রয়েছে একটি করে শ্রমিক সংগঠন। জেলায় শ্রমিক ইউনিয়ন আর শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। তবে এগুলোর বেশির ভাগই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় কোনো প্রত্যাশা পূরণ হয় না।
গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৬ সালে এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে জেলা শহরের গোডাউন রোড এলাকায় দুই একর জমির ওপর নতুন করে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধা সংবলিত তিনতলা ভবন। এই কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা, শ্রমকল্যাণ সংগঠক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ফার্মাসিস্ট, ডিসপেনসারি অ্যাটেনডেন্ট, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ ১২টি পদে জনবল রয়েছে।
শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে প্রধান দুটি পদ মেডিকেল অফিসার এবং জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তার দুটি পদ ২০২২ সাল থেকে শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া শ্রমকল্যাণ সংগঠক, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ডিসপেনসারি অ্যাটেনডেন্টসহ আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। এই অবস্থায় বন্ধ রয়েছে কল্যাণ কেন্দ্রটির চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম। ১২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও এখানে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন।
সরেজমিনে গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, তিনতলা ভবনটির নিচতলার একপাশে অব্যবহৃত পড়ে আছে চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র। অন্য পাশে পরিবার-পরিকল্পনার সেবাকেন্দ্র। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে প্রশিক্ষণকক্ষ, বিনোদনকক্ষ, লাইব্রেরি, দর্শনার্থীকক্ষ, বিশ্রামাগার এবং তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুম আর অফিস রুম। ভবনজুড়ে সুনসান নীরবতা। নেই শ্রমিক অথবা শ্রমিক পরিবারের আনাগোনা। কেন্দ্রে সেবা কার্যক্রমগুলো চালু না থাকায় এখানে শ্রমিক আসছেস না। ফলে কর্মকর্তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসংবলিত জেলার শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র সম্পর্কে শ্রমিকদের জানানোর জন্য প্রচার-প্রচারণার দরকার। কেন্দ্রটি সক্রিয় করার কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের। শ্রম অধিকার সুরক্ষায় শ্রমিক ইউনিয়নগুলো শ্রমিকদের সঙ্গে বসে শ্রমের মূল্য নির্ধারণ ও কার্যকরেরও কোনো ভূমিকা রাখে না। বছরজুড়ে নিশ্চুপ থাকলেও শুধু মে দিবসেই রেওয়াজ মেনে শোভাযাত্রা আর সভা-সমাবেশ করায় সরব হয়ে ওঠে বেশির ভাগ শ্রমিক সংগঠন।
শহরের রিকশাচালক মইন মিয়া বলেন, ‘আমি অনেক আগে থেকে শহরেরই রিকশা চালাই। স্টেশনের পাশেই গোডাউন রোডে লেবারদের একটা অফিস আছে সেটা জানি। কিন্তু সেখানে কী হয় তা বলতে পারব না।’
গাইবান্ধা জেলা পরিবহন সুপারভাইজার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটির কোনো যোগসূত্রই তৈরি হয়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটির নাম শুনেছি। আমাদের কোনো খোঁজখবর নেন না তাঁরা, আমরাও নেইনি তাঁদের খোঁজ। বেশির ভাগ শ্রমিকই জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি কোথায়।’
পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সরকারি এই শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে বলে জানান গাইবান্ধা কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিক পার্টির জেলা সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি চালু রাখার একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আর শ্রমিকেরাও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁদের অধিকার থেকে।’
রেজাউন্নবী রাজু আরও বলেন, ‘সরকারকে প্রতিবছর এই কেন্দ্রে কর্মচারীদের বেতন ও বিভিন্ন খরচ মেটাতে গিয়ে ব্যয় করতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রটি মাঝেমধ্যে কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে সেমিনার করে, যা লোক দেখানো। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।’
গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা ও শ্রমকল্যাণ সংগঠক মো. নাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ পাঁচটি পদে জনবল না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব সমস্যার সমাধান শিগগিরই হবে।’

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৬ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৬ ঘণ্টা আগেমুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর (নোয়াখালী)

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর হিসাবে, গত ৭০ বছরে নোয়াখালীতে প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি। তবে এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ায় যারা সব হারায়, তাদের জন্য থাকে কেবল হাহাকার।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষের জন্য সরকারিভাবে কোনো আলাদা সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ। এমনকি কত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য তালিকা তৈরি করা হয়নি।
জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছরে এই দুই ইউনিয়নে অন্তত তিন হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আরও বিস্তৃত হওয়ায় মোট ভিটেমাটি হারানো পরিবারের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হেমায়েতপুরের একটি অংশ, চর বায়েজিদ মৌজা, চর খন্দকার, আলেমপুর, সৈয়দপুর, চর নোমান সমাজ ও চর মোজাম্মেল মৌজাসহ অন্তত ১০টি এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের (সিডিএসপি) ৭/৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং বন বিভাগের রোপণ করা নানা প্রজাতির গাছ।
এক বছর আগে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর খন্দকার এলাকায় সাবেক ২ নম্বর কাটাখালী স্লুইসগেট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে জোয়ারের সময় পানি দ্রুত উত্তর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সোলেমান বাজারসহ আশপাশের এলাকাও নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার।
জানতে চাইলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পর্যায়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সুবর্ণচরের সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী বাবলু বলেন, ভাঙা-গড়া প্রকৃতির নিয়ম হলেও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জেগে ওঠা চরে তাঁদের পুরোনো অবস্থান বা জীবন ফিরে পান না। নদীশাসন এবং জেগে ওঠা চরে বসতি স্থাপন নিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জরুরি। নদী ভাঙলে শুধু মানুষের ঘরবাড়ি নয়, জনপদের চিহ্নও মুছে যায়।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমান বলেন, মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের ভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনের জানা আছে। তবে এখনো পর্যন্ত কত পরিবার গৃহহীন হয়েছে, তার কোনো তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের উপযোগী হয়ে ওঠেনি।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস)-এর হিসাবে, গত ৭০ বছরে নোয়াখালীতে প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি। তবে এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ায় যারা সব হারায়, তাদের জন্য থাকে কেবল হাহাকার।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙনে নিঃস্ব মানুষের জন্য সরকারিভাবে কোনো আলাদা সুযোগ-সুবিধা নেই। নেই পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যোগ। এমনকি কত মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছে, তারও কোনো নির্ভরযোগ্য তালিকা তৈরি করা হয়নি।
জানা গেছে, মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই বছরে এই দুই ইউনিয়নে অন্তত তিন হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আরও বিস্তৃত হওয়ায় মোট ভিটেমাটি হারানো পরিবারের সংখ্যা প্রায় চার হাজার।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, চরক্লার্ক ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হেমায়েতপুরের একটি অংশ, চর বায়েজিদ মৌজা, চর খন্দকার, আলেমপুর, সৈয়দপুর, চর নোমান সমাজ ও চর মোজাম্মেল মৌজাসহ অন্তত ১০টি এলাকা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি, চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্পের (সিডিএসপি) ৭/৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং বন বিভাগের রোপণ করা নানা প্রজাতির গাছ।
এক বছর আগে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চর খন্দকার এলাকায় সাবেক ২ নম্বর কাটাখালী স্লুইসগেট নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে জোয়ারের সময় পানি দ্রুত উত্তর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে সোলেমান বাজারসহ আশপাশের এলাকাও নতুন করে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার।
জানতে চাইলে চরক্লার্ক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল বাশার জানান, ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পর্যায়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সুবর্ণচরের সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী বাবলু বলেন, ভাঙা-গড়া প্রকৃতির নিয়ম হলেও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা জেগে ওঠা চরে তাঁদের পুরোনো অবস্থান বা জীবন ফিরে পান না। নদীশাসন এবং জেগে ওঠা চরে বসতি স্থাপন নিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জরুরি। নদী ভাঙলে শুধু মানুষের ঘরবাড়ি নয়, জনপদের চিহ্নও মুছে যায়।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমান বলেন, মোহাম্মদপুর ও চরক্লার্ক ইউনিয়নের ভাঙনের বিষয়টি প্রশাসনের জানা আছে। তবে এখনো পর্যন্ত কত পরিবার গৃহহীন হয়েছে, তার কোনো তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য প্রায় ৫৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধাসংবলিত তিনতলা ভবন। এসব পরিচালনার খরচ ও বিভিন্ন সেবা ব্যয়ে দেওয়া হয় সরকারি বরাদ্দ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও অধিকাংশ শ্রমিক জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন
০১ মে ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৬ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। এই হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদের (৩৭) স্ত্রীসহ তিনজনকে গতকাল ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরে পৌঁছায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির শরীরের অন্য অঙ্গগুলো এখনো ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তাঁরা হলেন–ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদ ও আলমগীর হোসেন। তবে মামলার এজাহারে আলমগীরের নাম নেই। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই দুজনের এবং তাঁদের বহনকারী গাড়ির চালকদের তথ্য পেলেও হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। ফয়সাল ও আলমগীর ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছেন বলেও ডিবি নিশ্চিত হয়েছে।
হামলার আগের রাতে সাভারের একটি রিসোর্টে ছিলেন দুজন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলার আগের দিন, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর রাতে সাভারের গ্রিন জোন রিসোর্টের পৃথক কক্ষে ছিলেন ফয়সাল ও আলমগীর। রাত ২টার দিকে সেখানে ফয়সালের বান্ধবী ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সকালে হাদির কিছু ভিডিও দেখার পর ঢাকায় আসেন তাঁরা। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সালের বান্ধবী জানান, হাদির ভিডিও দেখার সময় গালিগালাজ করেন ফয়সাল। হাদিকে কিছু একটা করবেন, তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
দুবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন: ১২ ডিসেম্বর সকালে সাভার থেকে ঢাকায় এসে ফয়সাল ও আলমগীর আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। সেখানে ফয়সালের বাবা-মাও থাকেন। ওই বাসার গ্যারেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ডিবি বলছে, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফয়সালের বাবা একটি নম্বরপ্লেট নিয়ে গ্যারেজে এলে তাঁরা নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করে বের হন। গুলি করার পর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা আবার আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। আবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করেন। একটি নম্বরপ্লেট তাঁরা ম্যানহোলে ফেলে দেন। বাসায় কিছুক্ষণ থেকে ফয়সাল ও আলমগীর দুটি কালো ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর ঠিক করা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আমিন বাজারের ঢালে নামেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই অটোরিকশাচালক জানান, আমিনবাজারে ওই দুজন এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গাড়ি নিয়ে আগে থেকে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন বলে ডিবি নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তাঁরা মোবাইল ও সিম ফেলে দেন। এরপর কালামপুর, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ যান। ময়মনসিংহের সেতুর পাড়ে গাড়ি বদলে আরেকটি প্রাইভেট কারে উঠে হালুয়াঘাটের ধারাবাজারের একটি পেট্রলপাম্পে গিয়ে থামেন। সেখানে তিন যুবক ওই দুজনকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়ায় নিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দুজনে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরায় যান। হামলা ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পুরো বিষয়টি ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। ময়মনসিংহে নেওয়া গাড়িটি ছিল ভাড়া করা।
৪ ডিসেম্বর থেকে হামলাকারী ফয়সাল, আলমগীর ও জাকির প্রার্থী ওসমান হাদির গণসংযোগে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। এর দেড় মাস আগে তাঁরা জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে হাদির দলে ভিড়েছিলেন।
ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে: প্রধান আসামি ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ও ফয়সালের এক বান্ধবীকে গতকাল আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হাদির মোবাইলের হদিস নেই: হামলার পর ওসমান হাদির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ডিবি বলেছে, তাঁর মোবাইলে যেহেতু বারবার হত্যার হুমকি আসছিল, তাই মোবাইলটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে ঘটনার পর মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। ওই মোবাইল নম্বরটি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সীমান্ত পারাপারে জড়িত আরও দুজন আটক: হাদির ওপর হামলাকারীদের সীমান্ত পার করানোর ঘটনায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে আটক করেছে বিজিবি। ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি জানান। আটক দুজন হলেন, শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের মামাশ্বশুর বেঞ্জামিন চিড়ান এবং ফিলিপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীশল। এর আগে রোববার ডিবি পুলিশ ওই এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসিম নামের ওই দুজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে। এই হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদের (৩৭) স্ত্রীসহ তিনজনকে গতকাল ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। এই ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির মতিঝিল বিভাগ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম গতকাল বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুরে পৌঁছায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদির শরীরের অন্য অঙ্গগুলো এখনো ‘নিয়ন্ত্রণযোগ্য’ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা হামলায় অংশ নেওয়া দুজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তাঁরা হলেন–ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল ওরফে দাউদ ও আলমগীর হোসেন। তবে মামলার এজাহারে আলমগীরের নাম নেই। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এই দুজনের এবং তাঁদের বহনকারী গাড়ির চালকদের তথ্য পেলেও হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। ফয়সাল ও আলমগীর ইতিমধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছেন বলেও ডিবি নিশ্চিত হয়েছে।
হামলার আগের রাতে সাভারের একটি রিসোর্টে ছিলেন দুজন। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হামলার আগের দিন, অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর রাতে সাভারের গ্রিন জোন রিসোর্টের পৃথক কক্ষে ছিলেন ফয়সাল ও আলমগীর। রাত ২টার দিকে সেখানে ফয়সালের বান্ধবী ছোট বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সকালে হাদির কিছু ভিডিও দেখার পর ঢাকায় আসেন তাঁরা। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সালের বান্ধবী জানান, হাদির ভিডিও দেখার সময় গালিগালাজ করেন ফয়সাল। হাদিকে কিছু একটা করবেন, তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন।
দুবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন: ১২ ডিসেম্বর সকালে সাভার থেকে ঢাকায় এসে ফয়সাল ও আলমগীর আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। সেখানে ফয়সালের বাবা-মাও থাকেন। ওই বাসার গ্যারেজের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ডিবি বলছে, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফয়সালের বাবা একটি নম্বরপ্লেট নিয়ে গ্যারেজে এলে তাঁরা নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করে বের হন। গুলি করার পর পল্টনের বক্স কালভার্ট রোড থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা আবার আগারগাঁওয়ে ফয়সালের বোনের বাসায় যান। আবার মোটরসাইকেলের নম্বরপ্লেট পরিবর্তন করেন। একটি নম্বরপ্লেট তাঁরা ম্যানহোলে ফেলে দেন। বাসায় কিছুক্ষণ থেকে ফয়সাল ও আলমগীর দুটি কালো ব্যাগ নিয়ে বের হয়ে বাসার নিরাপত্তাকর্মীর ঠিক করা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আমিন বাজারের ঢালে নামেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ওই অটোরিকশাচালক জানান, আমিনবাজারে ওই দুজন এক তরুণীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি গাড়ি নিয়ে আগে থেকে সেখানে অপেক্ষা করছিলেন বলে ডিবি নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তাঁরা মোবাইল ও সিম ফেলে দেন। এরপর কালামপুর, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হয়ে ময়মনসিংহ যান। ময়মনসিংহের সেতুর পাড়ে গাড়ি বদলে আরেকটি প্রাইভেট কারে উঠে হালুয়াঘাটের ধারাবাজারের একটি পেট্রলপাম্পে গিয়ে থামেন। সেখানে তিন যুবক ওই দুজনকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে হালুয়াঘাটের ভুটিয়াপাড়ায় নিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে ভুটিয়াপাড়া সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দুজনে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরায় যান। হামলা ও ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পুরো বিষয়টি ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। ময়মনসিংহে নেওয়া গাড়িটি ছিল ভাড়া করা।
৪ ডিসেম্বর থেকে হামলাকারী ফয়সাল, আলমগীর ও জাকির প্রার্থী ওসমান হাদির গণসংযোগে নিয়মিত অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মী ও পুলিশ। এর দেড় মাস আগে তাঁরা জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে হাদির দলে ভিড়েছিলেন।
ফয়সালের স্ত্রীসহ তিনজন রিমান্ডে: প্রধান আসামি ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ও ফয়সালের এক বান্ধবীকে গতকাল আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলাম তাঁদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হাদির মোবাইলের হদিস নেই: হামলার পর ওসমান হাদির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। ডিবি বলেছে, তাঁর মোবাইলে যেহেতু বারবার হত্যার হুমকি আসছিল, তাই মোবাইলটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে ঘটনার পর মোবাইলটি পাওয়া যায়নি। ওই মোবাইল নম্বরটি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সীমান্ত পারাপারে জড়িত আরও দুজন আটক: হাদির ওপর হামলাকারীদের সীমান্ত পার করানোর ঘটনায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে আরও দুজনকে আটক করেছে বিজিবি। ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবির সেক্টর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি জানান। আটক দুজন হলেন, শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারে সহায়তাকারী ফিলিপের মামাশ্বশুর বেঞ্জামিন চিড়ান এবং ফিলিপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সীশল। এর আগে রোববার ডিবি পুলিশ ওই এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। সিবিয়ন দিও ও সঞ্চয় চিসিম নামের ওই দুজন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য প্রায় ৫৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধাসংবলিত তিনতলা ভবন। এসব পরিচালনার খরচ ও বিভিন্ন সেবা ব্যয়ে দেওয়া হয় সরকারি বরাদ্দ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও অধিকাংশ শ্রমিক জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন
০১ মে ২০২৪
মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৬ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৬ ঘণ্টা আগেফটিকছড়ি সংবাদদাতা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজার, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও কাঞ্চননগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাটি কাটার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে চলছে এই কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা বলেন, কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা রোধে অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে কৌশল বদলে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতে কাটা হচ্ছে মাটি। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে মাটি কাটা।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার ফসলি জমি ও টিলা থেকে মাটি কাটছে অর্ধশতাধিক চক্র। এক্সকাভেটর দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ডাম্পট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে করে ইটভাটা, পুকুর, ডোবা ও নতুন বাড়ির জায়গায় মাটি ভরাট করছে তাঁরা।
সরেজমিনে গত শনি ও রোববার দুই দিন উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, বাগানবাজার ইউনিয়নের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা মেলে পরিবেশ ধ্বংসের এমন ভয়াবহতার চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পাইন্দংয়ের ফকিরাচাঁন আমতল এলাকায় রাতের আঁধারে কয়েকটি এক্সকাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে কৃষিজমির মাটি। ভূজপুর ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গলাচিপা এলাকায় স্থানীয় মো. রাশেদের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি চক্র রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে বিশালাকার টিলার মাটি। এসব মাটি ডাম্পট্রাকে করে যাচ্ছে কাজীরহাট বাজারের একাধিক কৃষিজমি ভরাট কাজে। একই কায়দায় হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের আপন ব্রিকস ফিল্ডসংলগ্ন বাংলাবাজার সরকার বাড়ি এলাকায় কাটা হয়েছে টিলা। ভূজপুর ইউনিয়নের আছিয়া চা-বাগানসংলগ্ন মা আমেনা লেয়ার ফার্মের পাশে মো. আরিফ নামে এক ব্যক্তির মুরগির ফার্ম তৈরির জন্য কাটা হয়েছে বিশালাকার টিলা। একই দৃশ্য বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই এলাকায়। যেখানে ভবন নির্মাণের জন্য দিনদুপুরে কাটা হচ্ছে উঁচু পাহাড়-টিলা। লালমাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় মনির ও মফিজের নেতৃত্বে পেলোডার দিয়ে কেটে সাবাড় করা হয়েছে ব্যবসায়ী মো. হাসেমের টিলা।
মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করেন হাসেমের ছেলে মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা যাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছি তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’ তবে কাদের দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন তাদের নাম বলেননি মাহবুব। একই ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় মাহবুবুল হকের বসত টিলা, গার্ডের দোকানে নবী মাস্টারের টিলা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক বাবুলের ভাই লায়েসের নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে কৃষিজমি। তবে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মো. লায়েস।
লালমাই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘যখন যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দলের লোকেরাই পাহাড়-টিলা কর্তন করে। প্রভাবশালী হওয়ার ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না, প্রতিবাদ করে না।’
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের রিসার্স অফিসার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, কর্তনকৃত এসব স্থান পরিদর্শন করে শিগগিরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাটি কাটার সংবাদ পেলে যত রাতই হোক অভিযান পরিচালনা করছি।’ তিনি বলেন, টিলা-পাহাড় ও কৃষিজমির টপসয়েল কাটা আমলযোগ্য অপরাধ। পুলিশ প্রশাসন চাইলে স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।

শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য প্রায় ৫৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধাসংবলিত তিনতলা ভবন। এসব পরিচালনার খরচ ও বিভিন্ন সেবা ব্যয়ে দেওয়া হয় সরকারি বরাদ্দ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও অধিকাংশ শ্রমিক জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন
০১ মে ২০২৪
মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৬ ঘণ্টা আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ কর
৬ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শরীয়তপুরে এবার বদলে গেছে নির্বাচনী সমীকরণ। জুলাই অভ্যুত্থানের পর বিদ্যমান বাস্তবতায় জেলার তিনটি আসনই নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে দলের অপর অংশ। তবে অন্য দুই আসনে এমন বিরোধ নেই। সবকটি আসনেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
শরীয়তপুর-১: স্বাধীনতার পর একবারই এখানে জয় পায় বিএনপি। সেটি ছিল ১৯৭৯ সালে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর দখলে ছিল এটি। শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাঈদ আহমেদ আসলাম। তিনি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শরীয়তপুর-৩ আসনের বাসিন্দা। তবে তাঁর প্রাথমিক মনোনয়ন মেনে নিতে নারাজ আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি সরদার এ কে এম নাসির উদ্দীন কালুর অনুসারীরা। সাঈদ আহমেদ আসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। দলীয়ভাবে মীমাংসা না হলে শেষ পর্যন্ত নাসির উদ্দীন কালু স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন।
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মোশারফ হোসেন মাসুদ। সাঈদ আহমেদ আসলাম ও মোশারফ হোসেন মাসুদ দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জালালুদ্দীন আহমদ, এনসিপি থেকে মো. আব্দুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি তোফায়েল আহমেদ কাসেমী, গণঅধিকার পরিষদ থেকে অ্যাডভোকেট খবির উদ্দিন মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-২: নড়িয়া ও সখিপুর থানা নিয়ে গঠিত আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। শুধু ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুবার বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান কিরণ। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সেক্রেটারি ডা. মাহমুদ হোসেন বকাউল। দুজনই এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভাসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে মো. দবির হোসেন শেখ, ইসলামী আন্দোলন থেকে মুফতি মো. ইমরান হোসাইন এবং গণঅধিকার পরিষদ থেকে আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি মনোনয়ন পেতে পারেন।
শরীয়তপুর-৩: স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সময়েই এখানে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। শুধু ১৯৭৯ সালে একবার মুসলিম লীগ, ১৯৮৬ সালে একবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হন। গোসাইরহাট, ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত আসনটিতে এবার বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম। দুজনই নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি খবির উদ্দিন এবং ইসলামী আন্দোলন থেকে অ্যাডভোকেট মো. হানিফ মিয়া মনোনয়ন পেতে পারেন।

শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবা, প্রশিক্ষণ ও বিনোদনের জন্য প্রায় ৫৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয় গাইবান্ধা শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র। সেখানে তিন বছর আগে নির্মাণ করা হয় আধুনিক সুবিধাসংবলিত তিনতলা ভবন। এসব পরিচালনার খরচ ও বিভিন্ন সেবা ব্যয়ে দেওয়া হয় সরকারি বরাদ্দ। প্রতিষ্ঠার এত বছরেও অধিকাংশ শ্রমিক জানেন না শ্রমকল্যাণ কেন
০১ মে ২০২৪
মেঘনা নদী থেকে জেগে ওঠা নতুন চর নোয়াখালীর সুবর্ণচরের আয়তন বাড়ালেও একই সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ। শুধু সুবর্ণচর নয়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীর সর্বত্রই চলছে নদীর এই ভাঙা-গড়ার খেলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা ভূমির পরিমাণ ভাঙনের চেয়ে বেশি হলেও নতুন জেগে ওঠা চরগুলো এখনো বসতিস্থাপনের
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিদের এবং উপকরণ সরবরাহকারীদের বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারী দুজন ঘটনার আগে-পরে যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে ডিবি ও র্যাব
৬ ঘণ্টা আগে
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় পরিবেশ ধ্বংসের হিড়িক পড়েছে। চক্রের থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বনাঞ্চলের পাহাড়-টিলা, এমনকি কৃষিজমির উর্বর মাটিও। স্থানীয় প্রশাসনের অভিযান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলার পরও কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য।
৬ ঘণ্টা আগে