Ajker Patrika

চাকরির পেছনে নয়, খামার গড়ে বছরে আয় ৩০ লাখ টাকা

আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ (রংপুর) 
বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ি মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা।
বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ি মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আমরুলবাড়ী মৌলভীপাড়া গ্রামের মাস্টার্স পাস দম্পতি মশিউর রহমান ও সুমি খাতুন চাকরির পেছনে না ছুটে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। তাঁদের খামারে মুরগি, হাঁস, গরু, ছাগল পালন এবং মাছ চাষ করে বছরে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে তাঁরা এলাকায় মূল্যবান সাড়ে চার একর জমি কিনেছেন। বর্তমানে তাঁদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি। ২০২৪ সালে মশিউর ‘উপজেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি’ হিসেবে পুরস্কৃত হন। তাঁদের দেখে উৎসাহিত হয়ে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক খামার ব্যবসায় ঝুঁকছেন, বদলে যাচ্ছে এলাকার অর্থনীতি।

উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছাত্রজীবনেই

২০০৯ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পরদিন কলেজে ক্লাস নিতে এসেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি জানতে চান, লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষার্থীরা কে কী হতে চায়। মশিউর বলেন, ‘সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা সরকারি চাকরিজীবী হতে চায় শুনে আমি বলেছিলাম, আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। সবাই হেসে উঠলেও আমি বলেছিলাম—আমাদের মতো গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে। আমি সেই হতাশা চাই না। তখন এমপি স্যার আমার কথা সমর্থন করে অন্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার উৎসাহ দেন।’

সেই সময় থেকেই সহপাঠীরা মশিউরকে ঠাট্টা করে বলত, ‘আজ বাড়িতে কী কাজ করলি?’ এসব শুনে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন—দেখিয়ে দেবেন সফল উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব।

এইচএসসি প্রথম বর্ষে থাকাকালে ২০০৯ সালে তিন বন্ধু মিলে মুরগির খামার শুরু করেন। খরচ ধরা হয়েছিল আড়াই লাখ টাকা। তিনজন ৮০ হাজার টাকা করে দিয়ে খামার গড়েন। প্রথম চালানে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হলেও পরে দুবার লোকসান হয়। এতে দুই বন্ধু সরে দাঁড়ালেও মশিউর চালিয়ে যান খামার।

মশিউরের বাবা রফিকুল ইসলাম কৃষক, মা মোসলেমা বেগম গৃহিণী। পাঁচ সদস্যের পরিবারে মশিউর বড় সন্তান। তিনি ২০১৭ সালে কারমাইকেল কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স পাস করেন। পাশাপাশি চালিয়ে যান খামার।

স্ত্রী সুমির সঙ্গে পথচলা

২০১৪ সালে বিয়ে হয় সুমি খাতুনের সঙ্গে, যিনি ২০১৯ সালে একই কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। সুমিও খামারের কাজে যুক্ত হন। সুমি বলেন, ‘চাকরি করলে হয়তো আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে সুবিধা হতো, কিন্তু অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারতাম না। এখন আমাদের খামারে ১৫-২০ জন কাজ করেন।’

মশিউরের খামারে এখন রয়েছে ১৩টি ইউনিটে ১৮ হাজার মুরগি, ২ হাজার হাঁস, ১০টি গরু, ২০টি ছাগল এবং পাঁচ একর জমিতে পাঁচটি পুকুরে ৭০ হাজার পাঙাশ মাছসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। প্রতিটি পাঙাশের ওজন ৭০০-৮০০ গ্রাম।

মশিউরের পাঁচ একর জমিতে ৫টি পুকুরে ৭০ হাজার পাঙাশ মাছসহ রয়েছে বিভিন্ন জাতের মাছ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাছে লাভ, মুরগি-গরুতে লোকসান

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুরগি ও গরুতে কিছু লাভ হলেও এরপর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান বাড়ে। বর্তমানে তিনি মূলত মাছ চাষেই বেশি লাভ করছেন। মাছ বিক্রি করেই মুরগির খামার চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির ন্যায্যমূল্য পাই না। পাইকারি দরে ১০০–১১৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়, যেখানে খুচরায় তা বিক্রি হয় ১৭০–১৮০ টাকায়। এভাবে অনেক উদ্যোক্তা পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন।’

এখন পর্যন্ত আশপাশের অন্তত ৪৭ জন উদ্যোক্তা মশিউরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে খামার শুরু করেছেন। অনেকেই সফল, কেউ কেউ বাজার সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত।

বদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা মুমু বলেন, ‘মশিউর একজন সফল মৎস্যচাষি। তাঁকে ২০২৪ সালে শ্রেষ্ঠ মৎস্যচাষি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁর দেখাদেখি আরও অনেকেই মাছ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘মশিউর দম্পতি সফলভাবে পোলট্রি খামার পরিচালনা করছেন। আমি সুযোগ পেলেই তাঁদের খামার পরিদর্শনে যাই এবং পরামর্শ দিই।’ সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সবখানেই সিন্ডিকেট আছে। তবে খামারিরা যেন সরাসরি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে পারেন, সে জন্য একটি বাজার নির্মাণ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল তিনজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় শিশুসহ আরও চারজন আহত হয়। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।  

হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এই ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় ৫৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোস্ট গার্ডের অভিযানে জব্দ জাটকা ইলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ার জাগলার চর এলাকার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়েছে কোস্ট গার্ড। এ সময় একটি নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় আটক কয়েকজন মাঝিমাল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কোস্ট গার্ড হাতিয়ার একটি দল এই অভিযান চালায়। জব্দ করা জাটকাগুলোর মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা।

কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. আবুল কাশেম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কোস্ট গার্ড। অভিযানে মেঘনা নদীর জাগলার চর এলাকায় একটি কাঠের নৌকায় তল্লাশি করা হয়। ওই নৌকা থেকে ৫ হাজার ৬০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এ সময় মাঝিদের মুচলেকা নিয়ে নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়। জব্দ মাছগুলো মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে এতিমখানা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত