চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথ
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী ও পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জনবলসংকটকে দায়ী করে নিজেদের ‘নিরুপায়’ বলছে নৌ পুলিশ। তাদের দাবি, তুলনামূলক কম গুরুত্ব পাওয়া দেশের এই নৌপথের নিরাপত্তায় জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সর্বশেষ গত বুধবার দুপুরে চিলমারী-রাজিবপুর নৌপথে চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নৌকার যাত্রীরা জানান, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জন ডাকাত যাত্রীবাহী নৌকা থামিয়ে সবকিছু লুটে নিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই চলে যায়।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর রৌমারী-চিলমারী নৌপথে মুসল্লিদের একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা জানান, ওই নৌপথের অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ২০০ বিঘার চরের কাছে ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে চলে যায় ১৬-১৭ জন সশস্ত্র ডাকাত।
কোনো ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি। পুলিশও নিজ উদ্যোগে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
নৌপথটি চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন হলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এ পথ ব্যবহারকারীদের। এমনকি ডাকাতির ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেনি নৌ পুলিশ। যদিও মামলা না হওয়ার জন্য ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনাগ্রহকে দায়ী করেছে তারা।
শঙ্কা বেড়েছে ইজারাদার ও যাত্রীদের
এক মাসের ব্যবধানে দুটি ডাকাতির ঘটনায় ওই নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। নৌপথের বিকল্প না থাকায় তারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বুধবার ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘১১ জন ডাকাতের বেশির ভাগের হাতে বন্দুক ছিল। সবার মুখ ঢাকা থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। ডিঙিতে করে আক্রমণের পর তারা সব লুটে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে নারী-পুরুষ সব যাত্রী ছিল অসহায়।’
চিলমারী নৌঘাটে কথা হয় নৌকার যাত্রী রুমি আক্তার ও রুজি বেগমের সঙ্গে।
ডাকাতির খবরে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান। রুমি আক্তার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নৌকায় যাতায়াত করি। নৌকায় ডাকাতির খবরে আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ডাকাতির কথা শুনলে বুকটা কেঁপে ওঠে। এই যে এখন রৌমারী যাচ্ছি। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে খুব ভয়ে পারাপার হতে হয়। ভয় হয়, যদি আজকেও ডাকাতি হয়!’
রুজি বেগম বলেন, এই নদে ডাকাতির ঘটনা আগে ছিল না। কিন্তু এখন কী শুরু হলো! দিনের বেলাতেই ডাকাতেরা হামলা করছে। আমাদের নৌকাতেও যে ডাকাত পড়বে না, তার কোনো ঠিক নাই। আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?’
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘নদে নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। সব সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডাকাতি হয়।’
শুধু যাত্রীরা নয়, ডাকাতির ঘটনায় ঘাট ইজারাদারও অসহায় হয়ে পড়েছেন। নৌপথের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তাঁরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
রমনা ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর বলেন, ‘রাজিবপুর যেতে যে জায়গাটিতে ডাকাতি হয়েছে, সেটি বরাবরই ফাঁকা থাকে। কড়াইবরিশাল থেকে নালতেখাতা পর্যন্ত জায়গাটা খারাপ। এই পথ ডাকাতের আস্তানা। সম্ভাব্য ওই জায়গাতেই ডাকাতি হয়। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেই
রৌমারী নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার মাঝি সবুর বলেন, ‘এর আগে ২০০০ সালের দিকে নৌ ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশকে অভিযোগ দিলেও কোনো ফল পাই নাই। শুধু শুধু কোর্টে গিয়া উল্টা আমরা হয়রানি হইছি। এ জন্য আর পুলিশে অভিযোগ দেই নাই।’ একই কারণ জানিয়েছেন গত বুধবার রাজিবপুর নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ও রফিকুল।
মামলা না হওয়ার বিষয়ে চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সরকার বলেন, ‘নৌ ডাকাতির ঘটনায় কোনো যাত্রী মামলা করেনি। ফলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কোনো জিডিও নথিভুক্ত করা হয়নি।’
নিরুপায় পুলিশ
ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় নৌ পুলিশও নিরুপায়। এ জন্য জনবলসংকটকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
ফাঁড়ির এএসআই সেলিম সরকার বলেন, ‘আমাদের ফাঁড়িতে মাত্র ৬ জন সদস্য। এর মধ্যে ইনচার্জসহ দুই সদস্যকে ইজতেমার ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে। এই জনবল নিয়ে নদে টহল দেওয়া এবং ফাঁড়ি পাহারা দিতে হচ্ছে।’
নৌপথটি রাজশাহী নৌ পুলিশের আওতাধীন। ডাকাতি ও নিরাপত্তার শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যাত্রীরা মামলা না করায় আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু করতে পারছি না। এই অঞ্চলে নৌ পুলিশের জনবলও কম। এর মধ্যে চিলমারী ফাঁড়িতে আরও কম। আমরা জনবল বাড়ানোর জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি; কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আমরা নিরুপায়।’

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী ও পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতির জন্য জনবলসংকটকে দায়ী করে নিজেদের ‘নিরুপায়’ বলছে নৌ পুলিশ। তাদের দাবি, তুলনামূলক কম গুরুত্ব পাওয়া দেশের এই নৌপথের নিরাপত্তায় জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।
সর্বশেষ গত বুধবার দুপুরে চিলমারী-রাজিবপুর নৌপথে চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নৌকার যাত্রীরা জানান, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জন ডাকাত যাত্রীবাহী নৌকা থামিয়ে সবকিছু লুটে নিয়ে কোনো বাধা ছাড়াই চলে যায়।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর রৌমারী-চিলমারী নৌপথে মুসল্লিদের একটি যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা জানান, ওই নৌপথের অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ২০০ বিঘার চরের কাছে ডাকাতি করে নির্বিঘ্নে চলে যায় ১৬-১৭ জন সশস্ত্র ডাকাত।
কোনো ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি। পুলিশও নিজ উদ্যোগে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
নৌপথটি চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আওতাধীন হলেও যাত্রীদের নিরাপত্তায় ন্যূনতম কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ এ পথ ব্যবহারকারীদের। এমনকি ডাকাতির ঘটনায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেনি নৌ পুলিশ। যদিও মামলা না হওয়ার জন্য ভুক্তভোগী যাত্রীদের অনাগ্রহকে দায়ী করেছে তারা।
শঙ্কা বেড়েছে ইজারাদার ও যাত্রীদের
এক মাসের ব্যবধানে দুটি ডাকাতির ঘটনায় ওই নৌপথের যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। নৌপথের বিকল্প না থাকায় তারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
বুধবার ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘১১ জন ডাকাতের বেশির ভাগের হাতে বন্দুক ছিল। সবার মুখ ঢাকা থাকায় কাউকে চেনা যায়নি। ডিঙিতে করে আক্রমণের পর তারা সব লুটে নিয়ে যায়। অস্ত্রের মুখে নারী-পুরুষ সব যাত্রী ছিল অসহায়।’
চিলমারী নৌঘাটে কথা হয় নৌকার যাত্রী রুমি আক্তার ও রুজি বেগমের সঙ্গে।
ডাকাতির খবরে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানান। রুমি আক্তার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নৌকায় যাতায়াত করি। নৌকায় ডাকাতির খবরে আমরা খুব আতঙ্কে আছি। ডাকাতির কথা শুনলে বুকটা কেঁপে ওঠে। এই যে এখন রৌমারী যাচ্ছি। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে খুব ভয়ে পারাপার হতে হয়। ভয় হয়, যদি আজকেও ডাকাতি হয়!’
রুজি বেগম বলেন, এই নদে ডাকাতির ঘটনা আগে ছিল না। কিন্তু এখন কী শুরু হলো! দিনের বেলাতেই ডাকাতেরা হামলা করছে। আমাদের নৌকাতেও যে ডাকাত পড়বে না, তার কোনো ঠিক নাই। আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে?’
রফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘নদে নিরাপত্তা জোরদার করা দরকার। সব সময় আতঙ্কে থাকি কখন ডাকাতি হয়।’
শুধু যাত্রীরা নয়, ডাকাতির ঘটনায় ঘাট ইজারাদারও অসহায় হয়ে পড়েছেন। নৌপথের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তাঁরা প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
রমনা ঘাট ইজারাদারের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর বলেন, ‘রাজিবপুর যেতে যে জায়গাটিতে ডাকাতি হয়েছে, সেটি বরাবরই ফাঁকা থাকে। কড়াইবরিশাল থেকে নালতেখাতা পর্যন্ত জায়গাটা খারাপ। এই পথ ডাকাতের আস্তানা। সম্ভাব্য ওই জায়গাতেই ডাকাতি হয়। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
ডাকাতির ঘটনায় মামলা নেই
রৌমারী নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার মাঝি সবুর বলেন, ‘এর আগে ২০০০ সালের দিকে নৌ ডাকাতির ঘটনার পর পুলিশকে অভিযোগ দিলেও কোনো ফল পাই নাই। শুধু শুধু কোর্টে গিয়া উল্টা আমরা হয়রানি হইছি। এ জন্য আর পুলিশে অভিযোগ দেই নাই।’ একই কারণ জানিয়েছেন গত বুধবার রাজিবপুর নৌপথে ডাকাতির শিকার নৌকার যাত্রী মঞ্জুরুল ও রফিকুল।
মামলা না হওয়ার বিষয়ে চিলমারী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সরকার বলেন, ‘নৌ ডাকাতির ঘটনায় কোনো যাত্রী মামলা করেনি। ফলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কোনো জিডিও নথিভুক্ত করা হয়নি।’
নিরুপায় পুলিশ
ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় নৌ পুলিশও নিরুপায়। এ জন্য জনবলসংকটকেই দায়ী করছেন তাঁরা।
ফাঁড়ির এএসআই সেলিম সরকার বলেন, ‘আমাদের ফাঁড়িতে মাত্র ৬ জন সদস্য। এর মধ্যে ইনচার্জসহ দুই সদস্যকে ইজতেমার ডিউটিতে পাঠানো হয়েছে। এই জনবল নিয়ে নদে টহল দেওয়া এবং ফাঁড়ি পাহারা দিতে হচ্ছে।’
নৌপথটি রাজশাহী নৌ পুলিশের আওতাধীন। ডাকাতি ও নিরাপত্তার শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। যাত্রীরা মামলা না করায় আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কিছু করতে পারছি না। এই অঞ্চলে নৌ পুলিশের জনবলও কম। এর মধ্যে চিলমারী ফাঁড়িতে আরও কম। আমরা জনবল বাড়ানোর জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি; কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আমরা নিরুপায়।’

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলের জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর। ওই রাতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সংঘর্ষসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মেঘনায়।
১ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এ জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
নদীতে ভাসমান জাকির সম্রাট-৩ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফসহ কয়েক যাত্রীকে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চযোগে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হানিফ মাঝি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. গেদু শনির ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চার সন্তান ও স্ত্রীর সংসারে নদীতে মাছ শিকারই হানিফ মাঝির একমাত্র আয়ের পথ। সম্প্রতি স্ত্রী রহিমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলে হানিফ।
গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত ২টার দিকে সন্তানেরা খবর পান, তাঁর বাবা হানিফ মাঝি আর নেই।
এ খবর ফরিদাবাদ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত হানিফ মাঝির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হানিফের সন্তানেরা। বসতঘরের সামনে সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। ধারদেনা করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে ফোনে খবর পাই, দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন।’ বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চচালকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
নিহত হানিফের ভাই আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রা করা মানুষটি শেষপর্যন্ত লাশ হলেন। নদীর বুকে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ শুধু দুটি লঞ্চের নয়, এটি গরিব জেলে পরিবারের জীবনের সঙ্গে নিয়তির ভয়াবহ সংঘর্ষ। নিহত হানিফ মাঝির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের হানিফ নামের একজনের নিহতের খবর পেয়েছি। পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে নৌ পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।’

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এ জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
নদীতে ভাসমান জাকির সম্রাট-৩ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফসহ কয়েক যাত্রীকে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চযোগে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হানিফ মাঝি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. গেদু শনির ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চার সন্তান ও স্ত্রীর সংসারে নদীতে মাছ শিকারই হানিফ মাঝির একমাত্র আয়ের পথ। সম্প্রতি স্ত্রী রহিমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলে হানিফ।
গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত ২টার দিকে সন্তানেরা খবর পান, তাঁর বাবা হানিফ মাঝি আর নেই।
এ খবর ফরিদাবাদ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত হানিফ মাঝির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হানিফের সন্তানেরা। বসতঘরের সামনে সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। ধারদেনা করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে ফোনে খবর পাই, দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন।’ বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চচালকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
নিহত হানিফের ভাই আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রা করা মানুষটি শেষপর্যন্ত লাশ হলেন। নদীর বুকে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ শুধু দুটি লঞ্চের নয়, এটি গরিব জেলে পরিবারের জীবনের সঙ্গে নিয়তির ভয়াবহ সংঘর্ষ। নিহত হানিফ মাঝির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের হানিফ নামের একজনের নিহতের খবর পেয়েছি। পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে নৌ পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।’

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলের জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর। ওই রাতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সংঘর্ষসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মেঘনায়।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মিরপুর উপজেলার বিজনগর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম শেখ (১৬) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আ. রশিদ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিয়াম ও রশিদ মটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও মনি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া এলাকায় এলে কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক সিয়াম নিহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আরেক কিশোর রশিদকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মিরপুর উপজেলার বিজনগর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম শেখ (১৬) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আ. রশিদ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিয়াম ও রশিদ মটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও মনি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া এলাকায় এলে কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক সিয়াম নিহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আরেক কিশোর রশিদকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলের জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর। ওই রাতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সংঘর্ষসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মেঘনায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।
বিকেলে দুজনকে পাঁচ দিনের দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২১ ডিসেম্বর দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুজনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার পর এখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম।
বিকেলে দুজনকে পাঁচ দিনের দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
২১ ডিসেম্বর দুজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া ও হালুয়াঘাট থেকে দুজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে বিজয়নগর এলাকায় শরিফ ওসমান বিন হাদি একটি রিকশায় যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল করে আসা দুজনের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে হাদি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পরপর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়ার পর এখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান হাদি।
১৪ ডিসেম্বর রাতে ফয়সালকে আসামি করে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলের জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর। ওই রাতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সংঘর্ষসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মেঘনায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলের জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর। ওই রাতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সংঘর্ষসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মেঘনায়। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির জনসভা শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনেক লঞ্চ এই রাতে বরিশালে ফিরছিল। রাতের আঁধারে ঘন কুয়াশায় বেপরোয়া লঞ্চ চলানোয় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একই রাতে চাঁদপুর এলাকার মেঘনায় কুয়াশায় দিক হারিয়ে এম খান-৭ ও ঈগল-৪ নামে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঢাকা-বরিশাল রুটের এম খান-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শুভ জানান, চাঁদপুরের আমিরাবাদ এলাকায় কুয়াশায় দিক হারিয়ে ঈগল-৪ লঞ্চ দিক হারিয়ে তাদের লঞ্চের ডান পাশে ধাক্কা দেয়। এতে এম খান-৭-এর চারটি টেক্সিন ও খুঁটি ভেঙে গেছে। লঞ্চটি নিরাপদে আজ শুক্রবার সকালে পৌঁছেছে।
একই রাতে মেঘনায় বরিশালগামী সুরভী-৭ ও ঢাকাগামী ফারহান-৭ লঞ্চের মধ্যে মৃদু সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা লেগেছে। এ ঘটনায় আজ বিকেলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতর থেকে দুই স্টাফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াগামী কুয়াকাটা-১ লঞ্চ দিক হারিয়ে চরে ওঠে গিয়েছিল। লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হুমায়ন কবীর জানান, জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে আজ সকাল ১০টায় লঞ্চটি চর থেকে নামানো সম্ভব হয়। পরে নিরাপদে মঠবাড়িয়ায় পৌঁছেছে। এ লঞ্চের যাত্রীরা ছিলেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। রাজধানীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গণসংবর্ধনা কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাঁরা লঞ্চটি রিজার্ভ নিয়েছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লঞ্চের চালকেরা আইন মানছে না। কুয়াশার মধ্যেও তাঁরা লঞ্চ চালান। যে কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সোলায়মান হোসেন বলেন, গতকাল নদীতে অনেক বেশি লঞ্চ ছিল। বিএনপির জনসভার পর লঞ্চগুলো ফিরেছে, নিয়মিত লঞ্চও ছিল। গত রাতে কুয়াশাও ছিল অতি ঘন। যে কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে একই রাতে। দুর্ঘটনার জেরে সুন্দরবন-১৬-এর রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩-এর রুট পারমিটও বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুয়াশার বিষয়ে সাবধান করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ঘাটে ঘাটে মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে চলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতটি মেঘনা নদীতে নৌ চলাচলের জন্য ছিল বেশ ভয়ংকর। ওই রাতে অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সংঘর্ষসহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে মেঘনায়। এসব দুর্ঘটনায় অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বিএনপির জনসভা শেষে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনেক লঞ্চ এই রাতে বরিশালে ফিরছিল। রাতের আঁধারে ঘন কুয়াশায় বেপরোয়া লঞ্চ চলানোয় এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ভোলা থেকে ঢাকাগামী জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে ঢাকা-বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চারজনের মৃত্যু হয়। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একই রাতে চাঁদপুর এলাকার মেঘনায় কুয়াশায় দিক হারিয়ে এম খান-৭ ও ঈগল-৪ নামে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঢাকা-বরিশাল রুটের এম খান-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. শুভ জানান, চাঁদপুরের আমিরাবাদ এলাকায় কুয়াশায় দিক হারিয়ে ঈগল-৪ লঞ্চ দিক হারিয়ে তাদের লঞ্চের ডান পাশে ধাক্কা দেয়। এতে এম খান-৭-এর চারটি টেক্সিন ও খুঁটি ভেঙে গেছে। লঞ্চটি নিরাপদে আজ শুক্রবার সকালে পৌঁছেছে।
একই রাতে মেঘনায় বরিশালগামী সুরভী-৭ ও ঢাকাগামী ফারহান-৭ লঞ্চের মধ্যে মৃদু সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা লেগেছে। এ ঘটনায় আজ বিকেলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতর থেকে দুই স্টাফের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়াগামী কুয়াকাটা-১ লঞ্চ দিক হারিয়ে চরে ওঠে গিয়েছিল। লঞ্চের সুপারভাইজার মো. হুমায়ন কবীর জানান, জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে আজ সকাল ১০টায় লঞ্চটি চর থেকে নামানো সম্ভব হয়। পরে নিরাপদে মঠবাড়িয়ায় পৌঁছেছে। এ লঞ্চের যাত্রীরা ছিলেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। রাজধানীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গণসংবর্ধনা কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাঁরা লঞ্চটি রিজার্ভ নিয়েছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লঞ্চের চালকেরা আইন মানছে না। কুয়াশার মধ্যেও তাঁরা লঞ্চ চালান। যে কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সোলায়মান হোসেন বলেন, গতকাল নদীতে অনেক বেশি লঞ্চ ছিল। বিএনপির জনসভার পর লঞ্চগুলো ফিরেছে, নিয়মিত লঞ্চও ছিল। গত রাতে কুয়াশাও ছিল অতি ঘন। যে কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে একই রাতে। দুর্ঘটনার জেরে সুন্দরবন-১৬-এর রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার-৯ এবং জাকির সম্রাট-৩-এর রুট পারমিটও বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুয়াশার বিষয়ে সাবধান করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ঘাটে ঘাটে মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু লঞ্চ বেপরোয়া গতিতে চলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

দুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগে