Ajker Patrika

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড: ১৩ কলেজের কেউ পাস করেনি

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৩৪
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড: ১৩ কলেজের কেউ পাস করেনি

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১৩টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। দিনাজপুর বোর্ডের প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিনাজপুরের দুটি, ঠাকুরগাঁওয়ের তিন, লালমনিরহাটের তিন ও পঞ্চগড়ের দুটি এবং গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীর একটি কলেজ থেকে কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি।

আজ বুধবার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার গোগোর কলেজ থেকে ১৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। একই জেলার সদর উপজেলার সালন্দর মহিলা কলেজ থেকে ১১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সিংগর দাবড়ির হাট বিএল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আলহাজ তমিজ উদ্দিন কলেজ, একই জেলার বোদা উপজেলার ম্যারেয়া হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে সাতজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার নাসির উদ্দিন কলেজ থেকে ছয়জন এবং একই জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দুহুলি এসসি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চারজন পরীক্ষার্থীয় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার চেওড়াডাঙ্গী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সনকা আদর্শ কলেজ থেকে তিনজন করে পরীক্ষার্থীর কেহ-ই পাস করেনি।

এদিকে, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা মহিলা কলেজ, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া মহিলা কলেজ ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও ফেল করেছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মানিক হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যমুনা অয়েল: ৬ দায়িত্বে এক কর্মকর্তা, দুর্নীতির অভিযোগ

  • সর্বশেষ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
  • আগে থেকে মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিবের দায়িত্বে আছেন।
  • লোভনীয় বিটুমিন বরাদ্দ কমিটিরও আহ্বায়ক তিনি।
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম    
মো. মাসুদুল ইসলাম
মো. মাসুদুল ইসলাম

রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানি যমুনা অয়েলে ছয় দায়িত্বে রয়েছেন একজন কর্মকর্তা। সর্বশেষ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. মাসুদুল ইসলাম নামের এই কর্মকর্তাকে। তার আগে থেকেই মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও বিপণন) এবং কোম্পানি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর বাইরে কোম্পানির সবচেয়ে লোভনীয় বিটুমিন বরাদ্দ কমিটি ও চেম্বার বরাদ্দ কমিটিরও আহ্বায়ক তিনি। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সরকারি ডিপো থেকে ডিজেল গায়েব ও সিবিএ নেতা আবুল হোসেনের কারাগার থেকে অফিসে হাজিরার মতো ঘটনায় তাঁর নাম এসেছে। এমন একজন কর্মকর্তার একসঙ্গে এত দায়িত্বে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, সামনে বিটুমিনের ভরা মৌসুম। মূলত এ কারণেই বিটুমিনের দায়িত্ব নিয়েছেন মাসুদুল ইসলাম। সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলতে ফোনে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করেও মাসুদুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর একসঙ্গে এত দায়িত্ব পালনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে পাঠানো বার্তার কোনো জবাব দেননি তিনি।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সরকারি ডিপো (যমুনা অয়েল) থেকে পৌনে চার লাখ লিটার ডিজেল গায়েবের তথ্য প্রকাশিত হয়। ওই ডিপোর ২২ ও ২৩ নম্বর ট্যাংক রি-ক্যালিব্রেশনে (পুনঃপরিমাপ) ওই ঘটনা সামনে আসে। সেখানে বছরের পর বছর ধরে ডিজেল চুরির অন্যতম হাতিয়ার ছিল অনিয়মের মাধ্যমে প্রস্তুত করা ক্যালিব্রেশন শিট। ট্যাংকে যত পরিমাণ তেল ঢালা হতো, হিসাবের খাতায় তার চেয়ে কম দেখানো হতো। বিষয়টি সামনে এলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসে, ক্যালিব্রেশন শিটে ট্যাংকের ধারণক্ষমতা কম দেখিয়ে বছরের পর বছর লুটে নেওয়া হয় লাখ লাখ লিটার জ্বালানি তেল।

চলতি বছরের ২০ জুলাই নগরের ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম যমুনা অয়েল কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি মো. আবুল হোসেন। পরে ভাঙচুরের মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু এর মধ্যেই গত ৯ আগস্ট পর্যন্ত ২০ দিন তাঁকে কর্মস্থলে হাজির দেখানো হয়। যদিও তিনি এখনো কারাগারে। অথচ কোনো সরকারি কর্মচারী কারাগারে গেলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন; কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।

সুজনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী জানান, এক কর্মকর্তা যদি এতগুলো দায়িত্বে থাকেন, তাহলে সেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতি হবেই।

বিপিসি সচিব শাহিনা সুলতানা জানান, যমুনা অয়েলের সচিব মাসুদুল ইসলামকে কোম্পানির এমডির রুটিন দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টাকা চুরির জন্য সন্দেহ করায় মা-মেয়েকে হত্যা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

টাকা চুরির বিষয়ে সন্দেহ করায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার খুন করেছেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের সূত্র।

আয়েশাকে (২০) আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের কয়ারচর থেকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। এ সময় তাঁর স্বামী জামাল সিকদার রাব্বিকেও আটক করে পুলিশ।

মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের একটি ১৪ তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় নিজেদের ফ্ল্যাটে গত সোমবার সকালে ছুরিকাঘাতে খুন হন গৃহবধূ লায়লা আফরোজ ও তাঁর নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে নাফিসা। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন চার দিন আগে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া আয়েশা। লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম উত্তরার সানবীমস স্কুলের শিক্ষক। সেদিন সকালে তিনি স্কুলে চলে যাওয়ায় বাসায় স্ত্রী ও একমাত্র মেয়ে ছিলেন।

পুলিশের সূত্র জানায়, আয়েশা মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে চাচা-চাচির সঙ্গে থাকার কথা বললেও তা সত্যি নয়। ঘটনার চার দিন আগে তিনি ওই বাসায় কাজ নেন। এর দুদিন পর ওই বাসা থেকে দুই হাজার টাকা চুরি করেন। এ নিয়ে তাঁকে বাসার লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু আয়েশা চুরির কথা অস্বীকার করেন এবং এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চুরি প্রমাণ হলে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার কথা বলেন লায়লা ও নাফিসা। পরদিন সকালে আয়েশা অনেকটা প্রস্তুতি নিয়েই সঙ্গে একটি ছুরি নিয়ে ওই বাসায় যান। চুরির বিষয়ে আবার তাঁরা জানতে চাইলে আয়েশা অস্বীকার করলে তাঁকে বাসায় থাকতে বলা হয় এবং গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম স্কুল থেকে বাসায় এলে পুলিশে দেওয়ার কথা বলেন। আয়েশা তাতে সম্মতি দেন। এরপর যে যাঁর মতো বাসায় ব্যস্ত থাকেন। একপর্যায়ে লায়লাকে ছুরিকাঘাত করেন আয়েশা। তাঁকে ধরে রাখায় লায়লার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে নাফিসাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন আয়েশা।

পুলিশ জানায়, আয়েশা জেনেভা ক্যাম্পে থাকতেন না। কাজ পাওয়ার জন্য জেনেভা ক্যাম্পে থাকার ভুল তথ্য দেন। তিনি কাজের জন্য ঢাকায় আসেন। স্বামী ও এক সন্তান নিয়ে থাকতেন সাভারের হেমায়েতপুরে। দুজনকে হত্যার পর ওই বাসা থেকে বেরিয়ে আয়েশা হেমায়েতপুরে যান। ওই বাসা থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন নদীতে ফেলে দেন। কোনো ফোন, নাম, পরিচয় না থাকায় তাঁকে খুঁজে পেতে সব ধরনের চেষ্টা চালাতে হয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের। দুদিন পুলিশের তৎপরতা ও গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আসায় স্বামী জামালকে ঘটনা জানান আয়েশা। গ্রেপ্তারের ভয়ে তাঁরা গতকাল সকালে সাভার থেকে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়রাচরে গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকেই দুপুরে আয়েশাকে গ্রেপ্তার ও তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়।

হত্যার ঘটনায় সোমবার রাতে সন্দেহভাজন গৃহকর্মী আয়েশাকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বাসা থেকে মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়েকে হত্যা করেন গৃহকর্মী আয়েশা। তাঁকে ঝালকাঠি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে আয়েশা এবং গ্রেপ্তার

জোড়া খুনের মামলার আসামি আয়েশাকে নিয়ে গতকাল প্রথম ঝালকাঠির নলছিটিতে নিজ গ্রামের বাড়িতে যান জামাল সিকদার রাব্বি। ১৫ বছর আগে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে তিনি বাড়ি ছেড়েছিলেন। গতকাল সকালে হঠাৎ আয়েশাকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে সবার সঙ্গে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ওই বাড়িতে হাজির হয় মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রতিবেশীরা জানতে পারেন, আয়েশা মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যা মামলার পলাতক আসামি।

পুলিশ ও গ্রামের লোকজন জানান, আয়েশা নরসিংদীর সলিমগঞ্জের রবিউল ইসলামের মেয়ে। জামালের বাবার নাম জাকির সিকদার। এক সময় কারখানার শ্রমিক ছিলেন জামাল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাব্বি তাঁর নানার সহায়তায় চাচার বাড়িতে ওঠেন। তিনি নিজেই বাবার বাড়ি চিনতে পারছিলেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘পেছনে ঘুরে দেখি ছেলে নেই, শুধু মা মা ডাক শুনছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
কাঁদছেন সাজিদের মা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কাঁদছেন সাজিদের মা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে প্রায় ৩৫ ফুট মাটির গভীরে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার তৎপরতা দেখতে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করছেন। এক পাশে পুরুষ, অন্য পাশে নারীরা অবস্থান করছেন। নারীদের মাঝে চুপচাপ বসে আছেন সাজিদের মা রুনা খাতুন।

সাজিদের মা জানান, তাঁর তিন ছেলে। দুই বছরের সাজিদ মেজ। তাঁদের একটি ট্রলি দেবে গেলে ছোট ছেলে সাদমানকে কোলে নিয়ে আর সাজিদের হাত ধরে তিনি আসেন। ফেরার সময় সাজিদ ওই গর্তে পড়ে যায়।

রুনা বলেন, ‘আমি সামনে হাঁটছি, সাজিদ পেছনে। একটু পর পেছনে ঘুরে দেখি, সাজিদ নাই। শুধু মা মা ডাক শুনছি।’

সাজিদের মা জানান, গর্তের মুখে খড় ছিল। তাই গর্ত বোঝা যায়নি।

দুপুরে তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাজিদের বাবার নাম রাকিবুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় থাকেন। গুদামের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন।

রাত ১০টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সাজিদকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৩০ ফুট গভীর গর্তে দুই বছরের শিশু

  • নলকূপের জন্য খোঁড়া হয়েছিল গর্ত। সেটি আর ভরাট করা হয়নি।
  • গতকাল রাতে ফায়ার সার্ভিস জানায়, গর্তে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
  • গর্তটির পাশে রাত ৮ পর্যন্ত ১৫ ফুট খনন, উদ্ধারকাজ চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পাশে ভিড় করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিশু সাজিদকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। পাশে ভিড় করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নলকূপ বসাতে করা হয়েছিল গর্ত। গভীরতা ৩০-৩৫ ফুট। তবে সেখানে নলকূপ বসানো হয়নি। সেই গর্তে পড়ে গেছে দুই বছরের শিশু। কীভাবে শিশুটি পড়েছে, তা কেউ বলতে পারছে না। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটির নাম সাজিদ। বাবার নাম রাকিব। ওই গ্রামেই তাদের বাড়ি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গর্তটি ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমিটির মালিক কছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এক বছর আগে তিনি এই জমিতে সেচের জন্য একটি সেমিডিপ নলকূপ বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৫ ফুট বোরিং করার পর সেখানে পানি পাননি। তাই নলকূপ বসানো হয়নি। এক বছর গর্তটি সেভাবেই পড়ে ছিল। গতকাল দুপুরে শিশুটির মা ওই মাঠে খড় আনতে যান। ওই সময় সাজিদ খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

পরে ফায়ার সার্ভিসের তানোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সদর স্টেশনের তিনটি ইউনিট গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। শিশুটিকে জীবিত রাখতে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হচ্ছে। বেড়েছে স্থানীয়দের ভিড়।

ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম গতকাল রাত ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন কিছু মাটি গর্তে পড়ে গেছে। তাঁরা ক্যামেরা পাঠিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন। মানুষের কোলাহলের কারণে শিশুটির কোনো সাড়া বুঝতে পারছেন না। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য তাঁরা অক্সিজেন পাঠাচ্ছেন। পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করছেন। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত ৮ নাগাদ ১৫ ফুটের মতো খনন করা হয়েছে। আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত