জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

শখের বশে তিনি শুরু করেছিলেন কফিবাগান। সেই কফিবাগান ই এখন বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। নীলফামারী জেলার জলঢাকার নারী খাদিজা আক্তারের এখন, ৫ বিঘা জমিতে রয়েছে কফিসহ নানা জাতের ফলগাছ। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের সহযোগিতায় বের করেন ব্যস্ত থাকার এক অন্য উপায়। পরিশ্রম ও সৃষ্টিশীলতার এই ব্যস্ত জীবনে খাদিজা আক্তার (৫৫) এখন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
খাদিজা আক্তার বলেন, পতিত জমিগুলোতে শখের বশে কখনো দু-একটি লাউ-কুমড়ার চারাগাছ লাগাতেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে তাঁর সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে চলে যায়। প্রথমে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রজাতির কিছু অ্যারাবিকা ও রোভাষ্ট জাতের কফি গাছের চারা এনে দেয় বাগান করার জন্য। শখের বশে করা বাগানে এখন দুই হাজার ৮০টি কফি গাছসহ ২০ প্রজাতির ফল গাছ আছে। তিনি আরও বলেন, এই বাগান এখন তাঁকে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা এনে দিচ্ছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে সন্তানদের উৎসাহ ও সহযোগিতায়।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলাটিতে ৬২টি বিভিন্ন ফল ও মিশ্র ফলের বাগানের মধ্যে শুধু একটি কফিবাগান আছে। বাগানটির উদ্যোক্তা জলঢাকার কৈমারী সুনগর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত সম্ভাবনাময় কফি বাগানটি দেখভাল ও পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খাদিজা আক্তারের ছোট ছেলে শেফায়েত নাশরাত নয়ন বলেন, ’মায়ের একাতিত্বের কথা চিন্তা করে মূলত কিছু ফল গাছের চারা এনে দেই। পর্যায়ক্রমে পাঁচ বিঘা জমিতে সেসব চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু শখের কাজ যে আজ বাগানে রুপান্তরিত হবে ভাবতেই পারিনি। কফি বাগানের সঙ্গে ড্রাগন, শরিফা, রামভূটান, অ্যাভোগ্যাডো, আম ও কোকো গাছও আছে। কফিবাগানেও প্রচুর ফলন এসেছে। আমদানি পণ্য হওয়ায় এভাবে কফিবাগান করলে একদিকে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে মানুষও তাজা জিনিস পাবে।’
ওই এলাকার স্থানীয় ইউনুছ আলী, কেচুয়া মণ্ডল ও মিন্টু মিয়াসহ অনেকেই বলেন, আগে শুধু কফির নাম শুনেছেন তাঁরা। এখন বাস্তবে কফি ফল দেখছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই কফি বাগান দেখতে আসেন। তারাও বাগান করার পরামর্শ নেন খাদিজা আক্তারের কাছ থেকে।
এই বাগানটির পরিচর্যায় নিয়োজিত কর্মীরা বলেন, তারা ছয়জন বাগানে নিয়মিত কাজ করেন। গাছগুলোতে যখন ফুল আসে ও ফল ধরে তখন আরও বেশি পরিচর্যা করতে হয় বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, 'নারী উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। খাদিজা আক্তারের আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১ হাজার ৫ শত কফির চারা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার মাটি পলি-দোআঁশ। এসব মাটিতে কফির ফলন ভালো হয়। পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম। এভাবে কফিবাগান করলে দেশেই কফির বাজার তৈরি হবে। আমাদের আর আমদানি নির্ভরতায় থাকতে হবে না। আমি মনে করি খাদিজা আক্তারকে দেখে অনেকেই কফিবাগান করতে উৎসাহী হবেন।'

শখের বশে তিনি শুরু করেছিলেন কফিবাগান। সেই কফিবাগান ই এখন বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠেছে। নীলফামারী জেলার জলঢাকার নারী খাদিজা আক্তারের এখন, ৫ বিঘা জমিতে রয়েছে কফিসহ নানা জাতের ফলগাছ। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের সহযোগিতায় বের করেন ব্যস্ত থাকার এক অন্য উপায়। পরিশ্রম ও সৃষ্টিশীলতার এই ব্যস্ত জীবনে খাদিজা আক্তার (৫৫) এখন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
খাদিজা আক্তার বলেন, পতিত জমিগুলোতে শখের বশে কখনো দু-একটি লাউ-কুমড়ার চারাগাছ লাগাতেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে তাঁর সন্তানেরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে চলে যায়। প্রথমে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা প্রজাতির কিছু অ্যারাবিকা ও রোভাষ্ট জাতের কফি গাছের চারা এনে দেয় বাগান করার জন্য। শখের বশে করা বাগানে এখন দুই হাজার ৮০টি কফি গাছসহ ২০ প্রজাতির ফল গাছ আছে। তিনি আরও বলেন, এই বাগান এখন তাঁকে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা এনে দিচ্ছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে সন্তানদের উৎসাহ ও সহযোগিতায়।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, উপজেলাটিতে ৬২টি বিভিন্ন ফল ও মিশ্র ফলের বাগানের মধ্যে শুধু একটি কফিবাগান আছে। বাগানটির উদ্যোক্তা জলঢাকার কৈমারী সুনগর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তারের। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত সম্ভাবনাময় কফি বাগানটি দেখভাল ও পরিচর্যার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খাদিজা আক্তারের ছোট ছেলে শেফায়েত নাশরাত নয়ন বলেন, ’মায়ের একাতিত্বের কথা চিন্তা করে মূলত কিছু ফল গাছের চারা এনে দেই। পর্যায়ক্রমে পাঁচ বিঘা জমিতে সেসব চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু শখের কাজ যে আজ বাগানে রুপান্তরিত হবে ভাবতেই পারিনি। কফি বাগানের সঙ্গে ড্রাগন, শরিফা, রামভূটান, অ্যাভোগ্যাডো, আম ও কোকো গাছও আছে। কফিবাগানেও প্রচুর ফলন এসেছে। আমদানি পণ্য হওয়ায় এভাবে কফিবাগান করলে একদিকে আমাদের অর্থ সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে মানুষও তাজা জিনিস পাবে।’
ওই এলাকার স্থানীয় ইউনুছ আলী, কেচুয়া মণ্ডল ও মিন্টু মিয়াসহ অনেকেই বলেন, আগে শুধু কফির নাম শুনেছেন তাঁরা। এখন বাস্তবে কফি ফল দেখছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই কফি বাগান দেখতে আসেন। তারাও বাগান করার পরামর্শ নেন খাদিজা আক্তারের কাছ থেকে।
এই বাগানটির পরিচর্যায় নিয়োজিত কর্মীরা বলেন, তারা ছয়জন বাগানে নিয়মিত কাজ করেন। গাছগুলোতে যখন ফুল আসে ও ফল ধরে তখন আরও বেশি পরিচর্যা করতে হয় বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, 'নারী উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। খাদিজা আক্তারের আগ্রহ দেখে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ১ হাজার ৫ শত কফির চারা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার মাটি পলি-দোআঁশ। এসব মাটিতে কফির ফলন ভালো হয়। পরিশ্রম ও খরচ দুটোই কম। এভাবে কফিবাগান করলে দেশেই কফির বাজার তৈরি হবে। আমাদের আর আমদানি নির্ভরতায় থাকতে হবে না। আমি মনে করি খাদিজা আক্তারকে দেখে অনেকেই কফিবাগান করতে উৎসাহী হবেন।'

রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
১১ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে এসে মারা যাওয়া মো. নিরব হোসেন (৫৬) দৈনিক জনকণ্ঠের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে। রাজধানীর বড় মগবাজারে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভিডিওতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির (ঠিকাদার প্রতিনিধি) সঙ্গে কথা বলার আগে কাজের বিলের ফাইল স্বাক্ষর করার সময় ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টিও উঠে আসে। এ ছাড়া নতুন করে আরও পাঁচ হাজার টাকা না দেওয়ায় গড়িমসি করতে থাকেন ওই প্রকৌশলী। একপর্যায়ে তাঁকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে পকেটে রাখতে দেখা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে