খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় আক্রোশে হিন্দু পরিবারকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, এমন দাবি একেবারেই অমূলক ও অস্বস্তিকর।
ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি-৯ বাংলাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘বাংলাদেশে হিন্দু পরিবারকে ধর্ম বদলের চাপ, বাধা দেওয়ার আক্রোশে হিন্দু পরিবার খুন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে হিন্দু পরিবারকে ধর্ম বদলের চাপ, বাধা দেওয়ার আক্রোশে হিন্দু পরিবার খুন করে ঝুলিয়ে রাখে কট্টরপন্থীরা। কয়েক দিন ধরেই হিন্দু পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল কট্টরপন্থীরা।
এই খবরের সত্যতা জানতে আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৩ নম্বর আংগারপাড়া ইউনিয়নের আরাজী জুগীর ঘোপা গ্রামের বেণুপাড়া এলাকায় সেই মা সুজাতা রায় (২৬) ও মেয়ে নীলাদ্রি রায়ের (৬) বাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে নিহতের শাশুড়ি, ঠাকুমা, শ্বশুরবাড়ি লোকজন, এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানান, টিভি-৯ বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ একেবারেই গুজব।
ওই তরুণীর প্রতিবেশীরা জানান, ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মিথ্যা। ধর্ম বদল বিষয়ে কোনো চাপ কেউ প্রয়োগ করেনি। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা—সেই বিষয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ির পরিবার ও বাবার পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর মাঝে এমন সংবাদ অস্বস্তিকর।
ওই ভিডিও প্রতিবেদনে উপস্থাপক ও টিভির সংবাদকর্মীর বক্তব্য প্রচার হলেও নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর কোনো বক্তব্য প্রচার করেনি টিভি-৯ বাংলা।
জানা যায়, ২০১৮ সালে পার্বতীপুর উপজেলার বিলাইচণ্ডী ইউনিয়নের বাঘাচড়া ঝাউপাড়ার অমিত্য রায়ের মেয়ের সঙ্গে প্রস্তাবের মাধ্যমে ভক্ত রায়ের বিয়ে হয়। ভক্ত রায় পেশায় একজন দরজি। নিহত সুজাতা রায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রী ও বৈবাহিক জীবনে নীলাদ্রি রায় নামে ৬ বছর বয়সী একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় একই রশিতে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বাবার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যার কথা বলছেন।
নিহতের শয়নকক্ষে একটি চিঠি পাওয়া গেছে সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুতে কেউ দায়ী নয়’। তবে দুই পৃষ্ঠার এই চিঠির হাতের লেখা নিহতের কি না সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের আরাজী যুগীর ঘোপা গ্রামের বেণুপাড়ায় নিহতের শয়নকক্ষ থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের বাবার জিম্মায় মরদেহ হস্তান্তর ও গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) তাঁরা দাহ সম্পন্ন করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অমিত্য রায় বাদী হয়ে খানসামা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয়। হিন্দুধর্ম বদলের যে চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে—এমন ঘটনাই ঘটেনি।’
সুজাতার দাদি শাশুড়ি কুমোদিনী রায় বলেন, ‘আমার নাতনি বউ সুজাতা রায় ও তার মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় টিভিতে যে খবর দেখাইছে—এটা সঠিক নয়। সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর আশপাশের মুসলমানরা আমাদের পাহারা ও সাহস দিয়েছে। সেখানে এমন ঘটনা মিথ্যা।’
মৃত সুজাতার শাশুড়ি তৃফলা রানী রায় বলেন, ‘নিহতের দিনেও হাসিখুশি ও স্বাভাবিক ছিল সুজাতা। আমরা সেদিন সবাই বাড়ির সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সন্ধ্যাবেলা সন্ধ্যাবাতি দেওয়ার জন্য সুজাতার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার দরজা খুলে দেখি সে ও তার মেয়ে শয়নকক্ষ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এটা দেখে আমরা নিজেরাও হতবাক হয়েছি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে হিন্দুধর্ম বদলের চাপ সংবাদটিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন নিহতের শাশুড়ি।’
খানসামা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক কেশব কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতীয় টিভি-৯ বাংলায় যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে—সেটি শতভাগ মিথ্যা। পারিবারিক কারণে এই মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই ভারতীয় সরকার ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবেন না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অতীতের মতো আমাদের শান্তিতে থাকতে দেন।’
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে নিহতের শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। পারিবারিক কারণে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এটি সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় নয়। ধর্ম বদলের চাপ বিষয়ে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ নেই। তাই ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এই উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সকল ধর্মের মানুষ বাস করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তদন্তে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন বা হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। এরপরেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি।’

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় আক্রোশে হিন্দু পরিবারকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, এমন দাবি একেবারেই অমূলক ও অস্বস্তিকর।
ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি-৯ বাংলাসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘বাংলাদেশে হিন্দু পরিবারকে ধর্ম বদলের চাপ, বাধা দেওয়ার আক্রোশে হিন্দু পরিবার খুন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব সংবাদে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে হিন্দু পরিবারকে ধর্ম বদলের চাপ, বাধা দেওয়ার আক্রোশে হিন্দু পরিবার খুন করে ঝুলিয়ে রাখে কট্টরপন্থীরা। কয়েক দিন ধরেই হিন্দু পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল কট্টরপন্থীরা।
এই খবরের সত্যতা জানতে আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৩ নম্বর আংগারপাড়া ইউনিয়নের আরাজী জুগীর ঘোপা গ্রামের বেণুপাড়া এলাকায় সেই মা সুজাতা রায় (২৬) ও মেয়ে নীলাদ্রি রায়ের (৬) বাড়িতে যাওয়া হয়। সেখানে নিহতের শাশুড়ি, ঠাকুমা, শ্বশুরবাড়ি লোকজন, এলাকাবাসী, আত্মীয়স্বজন ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানান, টিভি-৯ বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ একেবারেই গুজব।
ওই তরুণীর প্রতিবেশীরা জানান, ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মিথ্যা। ধর্ম বদল বিষয়ে কোনো চাপ কেউ প্রয়োগ করেনি। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা—সেই বিষয়ে নিহতের শ্বশুরবাড়ির পরিবার ও বাবার পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর মাঝে এমন সংবাদ অস্বস্তিকর।
ওই ভিডিও প্রতিবেদনে উপস্থাপক ও টিভির সংবাদকর্মীর বক্তব্য প্রচার হলেও নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর কোনো বক্তব্য প্রচার করেনি টিভি-৯ বাংলা।
জানা যায়, ২০১৮ সালে পার্বতীপুর উপজেলার বিলাইচণ্ডী ইউনিয়নের বাঘাচড়া ঝাউপাড়ার অমিত্য রায়ের মেয়ের সঙ্গে প্রস্তাবের মাধ্যমে ভক্ত রায়ের বিয়ে হয়। ভক্ত রায় পেশায় একজন দরজি। নিহত সুজাতা রায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের বাংলা বিভাগের ছাত্রী ও বৈবাহিক জীবনে নীলাদ্রি রায় নামে ৬ বছর বয়সী একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় একই রশিতে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বাবার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যার কথা বলছেন।
নিহতের শয়নকক্ষে একটি চিঠি পাওয়া গেছে সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুতে কেউ দায়ী নয়’। তবে দুই পৃষ্ঠার এই চিঠির হাতের লেখা নিহতের কি না সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের আরাজী যুগীর ঘোপা গ্রামের বেণুপাড়ায় নিহতের শয়নকক্ষ থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের বাবার জিম্মায় মরদেহ হস্তান্তর ও গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) তাঁরা দাহ সম্পন্ন করেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অমিত্য রায় বাদী হয়ে খানসামা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আছিয়া বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয়। হিন্দুধর্ম বদলের যে চাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে—এমন ঘটনাই ঘটেনি।’
সুজাতার দাদি শাশুড়ি কুমোদিনী রায় বলেন, ‘আমার নাতনি বউ সুজাতা রায় ও তার মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নিয়ে ভারতীয় টিভিতে যে খবর দেখাইছে—এটা সঠিক নয়। সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর আশপাশের মুসলমানরা আমাদের পাহারা ও সাহস দিয়েছে। সেখানে এমন ঘটনা মিথ্যা।’
মৃত সুজাতার শাশুড়ি তৃফলা রানী রায় বলেন, ‘নিহতের দিনেও হাসিখুশি ও স্বাভাবিক ছিল সুজাতা। আমরা সেদিন সবাই বাড়ির সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। সন্ধ্যাবেলা সন্ধ্যাবাতি দেওয়ার জন্য সুজাতার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার দরজা খুলে দেখি সে ও তার মেয়ে শয়নকক্ষ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এটা দেখে আমরা নিজেরাও হতবাক হয়েছি। তবে ভারতীয় গণমাধ্যমে হিন্দুধর্ম বদলের চাপ সংবাদটিকে মিথ্যা বলে দাবি করেন নিহতের শাশুড়ি।’
খানসামা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক কেশব কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভারতীয় টিভি-৯ বাংলায় যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে—সেটি শতভাগ মিথ্যা। পারিবারিক কারণে এই মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই ভারতীয় সরকার ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবেন না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অতীতের মতো আমাদের শান্তিতে থাকতে দেন।’
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে নিহতের শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। পারিবারিক কারণে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এটি সাম্প্রদায়িক কোনো বিষয় নয়। ধর্ম বদলের চাপ বিষয়ে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ নেই। তাই ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এই উপজেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সকল ধর্মের মানুষ বাস করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তদন্তে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন বা হত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। এরপরেও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
২০ মিনিট আগে
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগরীর টুটপাড়া থেকে তন্বীকে আটক করা হয়। খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গার আল আকসা মসজিদ রোডে অবস্থিত ১০৯ মুক্তা হাউসের নিচতলার তন্বীর বাসায় মোতালেব গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি খুলনাসহ দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তোলে।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই কক্ষ থেকে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে মুক্তা হাউসের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানিয়েছিলেন, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী গত ১ ডিসেম্বর নিচতলাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিও কর্মী হিসেবে দাবি করে প্রায় সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। তাঁর কক্ষে একাধিক পুরুষের আসা-যাওয়া ছিল। পরে অন্যদের মাধ্যমে তাঁর অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়টি জানতে পেরে চলতি মাসেই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বাড়ির ছাড়ার আগেই গুলিবিদ্ধের ঘটনাটি ঘটেছে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় আক্রোশে হিন্দু পরিবারকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, এমন দাবি একেবারেই অমূলক ও ভিত্তি
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
২০ মিনিট আগে
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।
রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।
আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।
সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি, ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও ২০২৫ সালের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অধীনে এ মামলা দাখিল করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সামনে বিপুলসংখ্যক লোক দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে সমবেত হয়। তারা পত্রিকাটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে হামলার আহ্বান জানায়।
রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে হামলাকারীরা সাংবাদিক ও কর্মচারীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে ভবনের মূল গেট ও কাচের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। ভবনের বিভিন্ন তলা পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বহু আসবাব নিচে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে বলা হয়, হামলায় ভবনের ভেতরে থাকা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নষ্ট হয়, যার আনুমানিক মূল্য পাঁচ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের লকারে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকা লুট করা হয়। ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, লিফট, সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ও বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনেও ক্ষতি করা হয়।
আসামিদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে ‘দ্য ডেইলি স্টার ভবনে’ সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের আনুমানিক মূল্য ৪০,০০,০০,০০০ (চল্লিশ কোটি টাকা)। যাচাই-বাছাই শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের হিসাব আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সন্ত্রাসীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে দ্য ডেইলি স্টারের তৃতীয় তলায় স্টোরে সংরক্ষিত হিসাব বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি, জাতীয় রাজস্ব বিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর-সম্পর্কিত যাবতীয় নথি এবং নিউজ পেপার আর্কাইভস পুড়িয়ে ভস্মীভূত করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলার সময় প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে অন্তত ৩০ জন কর্মীকে উদ্ধার করা হয়।
সন্ত্রাসীদের হামলার কারণে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ১৯ ডিসেম্বর পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন কার্যক্রম ১৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
মামলার এজাহারে ডেইলি স্টার জানিয়েছে, এই হামলার সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈনু মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় আক্রোশে হিন্দু পরিবারকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, এমন দাবি একেবারেই অমূলক ও ভিত্তি
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
১৬ মিনিট আগে
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাহিদ সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী সাগরিকা ট্রেনটি উত্তর শিবপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দীপক দেওয়ান বলেন, নিহত যুবক হেডফোন কানে রেললাইনে হাঁটছিলেন। পরে চট্টগ্রামগামী ট্রেনটি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে রেললাইনের এক পাশে ছিটকে পড়েন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় আক্রোশে হিন্দু পরিবারকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, এমন দাবি একেবারেই অমূলক ও ভিত্তি
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
২০ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২৭ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড়ে একটি ড্রেজার থেকে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ (৩০) নামের গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের পাড়ামোহনপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত হাফিজুল ইসলাম ওই উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামের মৃত কমল মুন্সীর ছেলে। তিনি গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর আড়কান্দি ও পাড়ামোহনপুরসহ আশপাশের এলাকায় নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাশে বালুর ব্যবসা চলছিল। হাফিজুল ইসলামও ওই কাজে যুক্ত ছিলেন। রোববার রাতে একটি ড্রেজারের বাল্কহেডের ইঞ্জিন অংশে চার সহযোগীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হলে এনায়েতপুর থানা-পুলিশ ও চৌহালী নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল প্রামাণিক জানান, নদীভাঙনে বসতভিটা হারানোর পর হাফিজুল ইসলাম ঢাকায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে এলাকায় ফিরে এসে তিনি বালুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি নিজেকে গণঅধিকার পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এ বিষয়ে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক অপতথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, ধর্মান্তরিত হতে না চাওয়ায় আক্রোশে হিন্দু পরিবারকে খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়। তবে নিহতের পরিবার বলছে, এমন দাবি একেবারেই অমূলক ও ভিত্তি
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আলোচিত তনিমা তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
১৬ মিনিট আগে
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তেজগাঁও থানায় মামলাটি করা হয়। দ্য ডেইলি স্টারের হেড অব অপারেশনস মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
২০ মিনিট আগে
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল নাহিদ (২২) নামের এক যুবক মারা গেছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সদর উপজেলার উত্তর শিবপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগে